Announcement

Collapse
No announcement yet.

খাওয়ারিজ সম্পর্কে ভুল ধারণা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • খাওয়ারিজ সম্পর্কে ভুল ধারণা

    খাওয়ারিজ সম্প্রদায় সম্পর্কে আমাদের অনেক ভুল ধারণা আছে। তাই আমরা যাকে তাকে খারিজী মনে করি, অথবা নিজেই খারিজী হয়ে যাই, এমনকি এমনও হতে পারে যে খারিজীদের বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেরাই একএকজন খারিজীর মত আচরণ করি। নবীজী (সা) একদল লোকের ফিতনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক পর্যায়ে বলেব, "...তারা দ্বীন হতে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে..." আর বেরিয়ে যাওয়া আরবী হচ্ছে খুরুজ। যে বেরিয়ে গিয়েছে, খারিজী; আর যারা বেরিয়ে গিয়েছে, খাওয়ারিজ।
    .
    দ্বীন হতে বেরিয়ে যাবার অর্থ হচ্ছে, আহলুস-সুন্নাহর আক্বীদা এবং মানহাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়া। এখন যে কোন দল, যারাই আহলুস সুন্নাহর আক্বীদা-মানহাজ থেকে খুরুজ করবে তারাই খাওয়ারিজ তাত্ত্বিক ভাবে। কিন্তু আমাদের সমাজে একটি ধারণা বসে গেছে যে, যারা কবীরা গুনাহর উপর তাকফির করে, তাকফির করে মুসলিমদের হত্যা করে তারাই শুধু খাওয়ারিজ; অন্য বিদা'তী এবং দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া দলগুলো খাওয়ারিজ হতে পারে না। ব্যাপারটা তা নয়।
    .
    যারা কবীরা গুনাহর উপর তাকফির করে, তাকফির করে মুসলিমদের হত্যা করে তারাই শুধু না, বরং যারা যে কোন ধরণের অন্যায় তাকফির আর এর জন্য হত্যাকে মানহাজ হিসেবে নিয়েছে তারা সকলেই তাকফিরী খাওয়ারিজ। এভাবে শিয়া-রাফিজী, মুর্যিয়া, মুতাযিলা, কাদীয়ানী, হাল আমলের বেরেলভী, মাদখালী, মুনকারে হাদিস, মডারেট, সেকুলার এবং সে সকল জিহাদি লদ যারা আহলুস-সুন্নাহর আক্বীদা-মানহাজের অনুসরণ করে না। এরা সকলেই এক একটি খাওয়ারিজ দল। জরুরী না যে সকলকেই তাকফিরী হতে হবে; সকলকে কবীরা গুনাহর উপর তাকফির করতে হবে; সকলকে ইসলামের নাম ব্যাবহার করে অন্যা করতে হবে। বরং অন্যরকমও হতে পারে।
    .
    এখন খাওয়ারিজ মানেই কি মুরতাদ? কারণ উপরে যাদের উদাহরণ দিলাম, তাদের মধ্যে মুরতাদ দলের নামও আছে, আবার এমন দলের নামও আছে যাদের মুরতাদ বিবেচনা করা হয় না। আসলে খাওয়ারিজ মানেই মুরতাদ না। তবে যে কোন খাওয়ারিজ দল মুরতাদ হয়ে যেতে পারে, যদি তারা তাদের আক্বীদা-মানহাযে কোন রকমের রিদ্দা গ্রহণ করে অথবা শিরক-কুফর যুক্ত আক্বীদা গ্রহণ করে। খাারিজী মানে যে আহলুস-সুন্নাহ ওআল-জামা'তের অন্তর্ভুক্ত নয়, মানে এখনো তার মুসলিমদের অনর্ভুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। আর মুরতাদ মানে যে মুসলিমদেরই অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত নয়, তার তো আহলুস-সুন্নাহ ওআল-জামা'তের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রথমে তারা বিদা'আত সৃষ্টি করে, পরবর্তিতে তাদের কোন কোন দল সম্পূর্ণ ইসলাম হতেই বেরিয়ে যায়।
    .
    এখন আসা যাক আদ জাতির মত হত্যা করার ব্যাপারটায়। দেখুন, খাওয়রিজ বিষয়ক অনেকগুলো হাদিস রয়েছে। সবগুলো মূলত বিভ্রান্ত দলগুলো সম্পর্কে। এর প্রত্যেকটা বৈশিষ্ট্য কখনো একটি দলের মধ্যে নাও থাকতে পারে। এদের সম্পর্কে হাদিসে দেয়া হুকুমগুলো পড়লে, আপনারা সেই হুকুমের কারণও দেখতে পারবেন। যেমন যখন নবীজী (সা) তাদের আদ জাতির মত হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করলেন, ঠিক এর আগের কথাই ছিল, তারা মুসলিমদের হত্যা করবে আর মুশরিকদের ছেড়ে দিবে। এবং এর কারণেই তিনি তেমন মন্তব্য করেছিলেন। কারণ মুসলিমদের জান-মাল হচ্ছে পবিত্র এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ইসলামের দায়িত্ব।
    .
    অর্থাৎ যারাই এমনটা করবে যে, মুশরিকদের ছেড়ে দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করবে, হোক সেটা তাকফির করে অথবা তাকফির না করে, হোক সেটা ইসলামের নামে অথবা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষা আর জাতীয়তাবাদের নামে; তাদের শুধু খাওয়রিজ ডাকা হোক আর না হোক, তাদের মুরতাদ ডাকা হোক আর না হোক; আমি আবারো বলছি যে, যারা মুশরিকদের ছেড়ে দিবে এবং মুসলিমদের হত্যা করবে, নবীজী (সা) তাদেরকে পেলে আদ জাতির মত হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এবং তাদেরকে সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট, এবং জাহান্নামের কুকুর বলে অবিহিত করেছিলেন।

  • #2
    যারা মুশরিকদের ছেড়ে দিবে এবং মুসলিমদের হত্যা করবে, নবীজী (সা) তাদেরকে পেলে আদ জাতির মত হত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। এবং তাদেরকে সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট, এবং জাহান্নামের কুকুর বলে অবিহিত করেছিলেন।

    Comment


    • #3
      ১নাম্বারে খারেজি হলো মুসলিম দেশসমূহের সরকারি বাহিনী গুলো।
      এরা শরিয়ত প্রতিষ্ঠায় বাধা , এরা আক্রান্ত মুসলিমদের সহায়তায় নিজেরা ও যুদ্ধ করছেনা মুজাহিদীন যারা সহায়তার চেষ্টা করছে তাদের কে হত্যা করছে।বরং তারা ইসলামের জিহাদেই অবিশ্বাসি , তারা গনতন্ত্র ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিস্বাশি হওয়ার কারনে কাফের দের বিরোদ্ধে যুদ্ধ ফরজ এটা বিশ্বাসই করেনা তারা ভাবে মানুষ হত্যা আবার ফরজ হয় কিভাবে? কিন্তু মুজাহিদ হত্যার ক্ষেত্রে তারা খুব ততপর।
      সুতরাং যেসব ভাগ্যবান মুজাহিদ এদের হাতে শহীদ হবে হাদিসের ভাষায় তারা হবে শ্রেষ্ট নিহত আর এদের যারা মরবে সে হবে নিকৃষ্ট নিহত ব্যক্তি আর এর হত্যা কারি হবে হক্বের অধিক নিকটবর্তি ব্যক্তি।
      Last edited by murabit; 08-08-2016, 12:03 PM.

      Comment


      • #4
        ১নাম্বারে খারেজি হলো মুসলিম দেশসমূহের সরকারি বাহিনী গুলো।

        অতঃপর ২নাম্বারে খারেজি হবে বাগদাদি জামাতের(দাওলা/IS) ওই দলগুলো/লোকগুলো যারা মুজাহিদীনদের কে হত্যা করে এবং মুশরিকদের কে ছেড়ে দেয়।


        বিভিন্ন অঞ্ছলের সরলপ্রাণ তাওহিদ এবং জিহাদপ্রেমী মুসলিমরা অবশ্যই খারেজি না। তারা দাওলার পথভ্রষ্ট উলুল আমর দের দ্বারা সৃষ্ট সংশয়,তাদের মিডিয়ার অপপ্রচার এবং খিলাফত-হিজরত-দারুল ইসলাম-জিহাদ ইত্যাদি শব্দের অপব্যাখ্যার খপ্পরে পড়ে তাদের কে সমর্থন দিচ্ছে এবং বায়াহ দিচ্ছে।এই সরলপ্রান মুসলিমদের অনেকেই পশ্চিমা ক্রুসেডার অথবা স্থানীয় মুরতাদ দের সাথে যুদ্ধ করে আহত,নিহত ও বন্ধী হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ্* তাদের কে মাফ করুন, নিহত দের শাহীদ হিসেবে কবুল করুন,বন্ধিদের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন।আল্লাহ্* এই সরলপ্রাণ মুসলিমদের কে হেদায়েত দান করুন এবং তাদের কে সঠিক আকিদা-মানহাজ এ ফিরে আসার তাওফিক দান করুন।
        আল্লাহ্* তায়ালা ইরাকি দের(দাওলা/is) ফিত্নাহ থেকে আমাদের সকল কে হেফাজত করুন। ইরাকিরা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং হুসাইন বিন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।তাদের ইতিহাস এবং চরিত্র সকলেরই জানা।
        বর্তমান সময়ে ও এই ইরাকিরাই মুসলিম মুহাজিদীন দের ঐক্য কে ভেঙ্গে দিয়েছে,আমিরুল মুমেনিন(মোল্লা উমার) এবং আমিরুল জিহাদ(আইমান-আল জাওয়াহিরি) এর সাথে সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
        আসলে বর্তমান প্রজন্মের সাথে তো সাহাবায়ে কেরামের(রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আজমায়েইন) অনেকদিক থেকে মিল আছে,তাই সাহাবায়ে কেরাম(রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আজমায়েইন) যেরকম অনেক পরিক্ষার সম্মুখিন হয়েছিলেন, বর্তমান প্রজন্মকে ও সেরকম কিছু পরিক্ষা তো দিতে হবে। is/দাওলার ফিতনাহ কে ও আমি সেরকম মনে করি।এর দ্বারা মুজাহিদীনগন আরও বিশুদ্ধ হচ্ছে............আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
        যাইহোক,এই ফিতনাহ থেকে ও আল্লাহ্* মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করবেন এবং পরিশেষে মুসলিম উম্মাহকে সকল ক্রুসেডার ও মুরতাদ দের বিরুদ্ধে বিজয়ী করবেন। প্রতিষ্ঠা হবে খিলাহফাহ আলা মিনহাজুন নাবুয়াহ। -এটাই আমাদের ইমান-আকিদা।
        "মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলুল্লাহর প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।"(সূরাঃতাওবা,আয়াতঃ১২০)

        Comment

        Working...
        X