Announcement

Collapse
No announcement yet.

জাতীয়তাবাদ বা অ্যাসাবিয়া উম্মাহকে গ্রাস করছে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জাতীয়তাবাদ বা অ্যাসাবিয়া উম্মাহকে গ্রাস করছে

    আমি একটি বিষয় খেয়াল করলাম,

    ‘জাতীয়তাবাদ’ বা ‘অ্যাসাবিয়া’ কি শুধু দেশের জন্যই বিবেচ্য??

    যেমন,

    বাংলাদেশিরা বলে, আমরা বাঙালি, আমরাই শ্রেষ্ঠ। বাকি সব ফাউল;

    আরবরা বলে, আমরা অনারবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;

    অনারবরা বলে, আমরা আরবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;

    প্রাচ্যের লোকরা পাশ্চাত্যের লোকদের পছন্দ করে না;

    পাশ্চাত্যের লোকেরা প্রাচ্যের লোকদের পছন্দ করে না;

    ................ইত্যাদি

    তাছাড়া আমি আমেরিকান, আমি বৃটিশ, আমি পাকিস্তানী, আমি বাংলাদেশী, আমি সৌদি ইত্যাদি

    ** তবে আমরা কি কখনো এভাবে চিন্তা করেছিঃ

    ফর্সা মানুষরা, কালো মানুষদের দেখতে পারেনা;

    কালো মানুষরা, ফর্সাদের ঘৃণা করে;

    প্রকৌশল, মেডিকেলের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;

    আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা কওমিদেরকে পছন্দ করে না, তারা কওমিদেরকে খারেজি মাদ্রাসা বলে;

    কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা আলিয়াদেরকে পছন্দ করে না, তারা আলিয়াদেরকে ব্রিটিশি মাদ্রাসা বলে;

    কট্টর আহলে হাদিসরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;

    কট্টর আহলে হক্বরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;

    দেওবন্দিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;

    মাদানিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;

    তাবলিগরা মনে করে এই জামাতটাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;

    শিবিররা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;

    চরমোনাইরা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;

    ছেলেরা নিজেদের, মেয়েদের থেকে উত্তম মনে করে;

    মেয়েরা নিজেদের, ছেলেদের থেকে উত্তম মনে করে;

    বড় কর্মকর্তারা, ছোট কর্মকর্তাদের নিচু জাতি মনে করে;

    ছোট কর্মকর্তারা, বড় কর্মকর্তাদের ঘৃণা করে;

    ...........এরকম উদাহরণ আমাদের মুসলিম সমাজে অহরহ আছে।

    [তবে সবাই এরকম না, ব্যতিক্রম কিছু আছে]

    এখন আমার প্রশ্ন এগুলো কি ‘অ্যাসাবিয়ার’ মধ্যে গণ্য হয় না?????

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,
    وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلا تَفَرَّقُوا
    তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিভক্ত হয়ো না। [সূরা আলে ইমরান: ১০৩]

    রাসূল (সা) বলেন,
    "যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়"। [আবু দাউদ]
    তিনি (সা) আরো বলেন,
    "এটা (জাতীয়তাবাদ) ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই এটা পঁচে গেছে"। [বুখারী]

    আল্লাহর নবী (সঃ) সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে-
    “যারা সাম্প্রদায়িকতার ডাক দেবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর লড়াই করবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর মরা যাবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবু দাউদ)”

    সহীহ হাদীস গ্রন্থ মিশকাত আল মাসাবিথ এ এরশাদ হয়েছে,
    “যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে যেন তার পিতার যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরে আছে।” (মিশকাত আলমাসাবিথ)।

  • #2
    আমার প্রশ্ন এগুলো কি ‘অ্যাসাবিয়ার’ মধ্যে গণ্য হয় না?????

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ আখি । আপনার কথাগুলো সুন্দর ,তবে এখানে কিছু কথা আছে । যেমন আপনি বিভিন্ন এলাকার নাম বলেছেন , বাঙ্গালি ,পাকিস্তানি , ইন্ডিয়ান , এগুলো হলো জায়গা ভিত্তিক নাম এর দ্বারা পরিচয় প্রকাশ পায় ।
      এ ছাড়া যত কিছু আমাদের ভেতরে আছে সবই বেজাল ।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        جزاك الله خيرا
        اللهم ارنا الحق حقاواتباعاوارناالباطل باطلا واجتنابا

        Comment


        • #5
          Originally posted by ইসহাক সাহা View Post
          আমার প্রশ্ন এগুলো কি ‘অ্যাসাবিয়ার’ মধ্যে গণ্য হয় না?????
          দলীল-প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু বা কারো পক্ষ নেয়াই আসাবিয়্যাহ’র ব্যাপক অর্থের মধ্যে শামিল হতে পারে। এর একটি উচ্চস্তর হল জাতীয়তাবাদ, যাকে ‘ক্বউমিয়্যাহ্’ বা ‘ওয়াতানিয়্যাহ্’ বলা হয়। দলীল-প্রমাণ ছাড়া যে কোন আসাবিয়্যাহ-ই শরীয়তে নিষিদ্ধ, চাই তা ব্যক্তি পর্যায়ে হোক, কি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হোক।

          Comment

          Working...
          X