আমি একটি বিষয় খেয়াল করলাম,
‘জাতীয়তাবাদ’ বা ‘অ্যাসাবিয়া’ কি শুধু দেশের জন্যই বিবেচ্য??
যেমন,
বাংলাদেশিরা বলে, আমরা বাঙালি, আমরাই শ্রেষ্ঠ। বাকি সব ফাউল;
আরবরা বলে, আমরা অনারবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;
অনারবরা বলে, আমরা আরবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;
প্রাচ্যের লোকরা পাশ্চাত্যের লোকদের পছন্দ করে না;
পাশ্চাত্যের লোকেরা প্রাচ্যের লোকদের পছন্দ করে না;
................ইত্যাদি
তাছাড়া আমি আমেরিকান, আমি বৃটিশ, আমি পাকিস্তানী, আমি বাংলাদেশী, আমি সৌদি ইত্যাদি
** তবে আমরা কি কখনো এভাবে চিন্তা করেছিঃ
ফর্সা মানুষরা, কালো মানুষদের দেখতে পারেনা;
কালো মানুষরা, ফর্সাদের ঘৃণা করে;
প্রকৌশল, মেডিকেলের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;
আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা কওমিদেরকে পছন্দ করে না, তারা কওমিদেরকে খারেজি মাদ্রাসা বলে;
কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা আলিয়াদেরকে পছন্দ করে না, তারা আলিয়াদেরকে ব্রিটিশি মাদ্রাসা বলে;
কট্টর আহলে হাদিসরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;
কট্টর আহলে হক্বরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;
দেওবন্দিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;
মাদানিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;
তাবলিগরা মনে করে এই জামাতটাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
শিবিররা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
চরমোনাইরা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
ছেলেরা নিজেদের, মেয়েদের থেকে উত্তম মনে করে;
মেয়েরা নিজেদের, ছেলেদের থেকে উত্তম মনে করে;
বড় কর্মকর্তারা, ছোট কর্মকর্তাদের নিচু জাতি মনে করে;
ছোট কর্মকর্তারা, বড় কর্মকর্তাদের ঘৃণা করে;
...........এরকম উদাহরণ আমাদের মুসলিম সমাজে অহরহ আছে।
[তবে সবাই এরকম না, ব্যতিক্রম কিছু আছে]
এখন আমার প্রশ্ন এগুলো কি ‘অ্যাসাবিয়ার’ মধ্যে গণ্য হয় না?????
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلا تَفَرَّقُوا
তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিভক্ত হয়ো না। [সূরা আলে ইমরান: ১০৩]
রাসূল (সা) বলেন,
"যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়"। [আবু দাউদ]
তিনি (সা) আরো বলেন,
"এটা (জাতীয়তাবাদ) ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই এটা পঁচে গেছে"। [বুখারী]
আল্লাহর নবী (সঃ) সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে-
“যারা সাম্প্রদায়িকতার ডাক দেবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর লড়াই করবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর মরা যাবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবু দাউদ)”
সহীহ হাদীস গ্রন্থ মিশকাত আল মাসাবিথ এ এরশাদ হয়েছে,
“যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে যেন তার পিতার যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরে আছে।” (মিশকাত আলমাসাবিথ)।
‘জাতীয়তাবাদ’ বা ‘অ্যাসাবিয়া’ কি শুধু দেশের জন্যই বিবেচ্য??
যেমন,
বাংলাদেশিরা বলে, আমরা বাঙালি, আমরাই শ্রেষ্ঠ। বাকি সব ফাউল;
আরবরা বলে, আমরা অনারবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;
অনারবরা বলে, আমরা আরবদের থেকে শ্রেষ্ঠ;
প্রাচ্যের লোকরা পাশ্চাত্যের লোকদের পছন্দ করে না;
পাশ্চাত্যের লোকেরা প্রাচ্যের লোকদের পছন্দ করে না;
................ইত্যাদি
তাছাড়া আমি আমেরিকান, আমি বৃটিশ, আমি পাকিস্তানী, আমি বাংলাদেশী, আমি সৌদি ইত্যাদি
** তবে আমরা কি কখনো এভাবে চিন্তা করেছিঃ
ফর্সা মানুষরা, কালো মানুষদের দেখতে পারেনা;
কালো মানুষরা, ফর্সাদের ঘৃণা করে;
প্রকৌশল, মেডিকেলের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্যান্যদের গণ্য করে না, এরা মনে আমরাই শ্রেষ্ঠ;
আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা কওমিদেরকে পছন্দ করে না, তারা কওমিদেরকে খারেজি মাদ্রাসা বলে;
কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা আলিয়াদেরকে পছন্দ করে না, তারা আলিয়াদেরকে ব্রিটিশি মাদ্রাসা বলে;
কট্টর আহলে হাদিসরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;
কট্টর আহলে হক্বরা মনে করে আমরাই হক্ব, বাকি সব ভ্রষ্ট;
দেওবন্দিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;
মাদানিরা মনে করে আমরাই শ্রেষ্ঠ, বাকিদের থেকে;
তাবলিগরা মনে করে এই জামাতটাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
শিবিররা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
চরমোনাইরা মনে করে আমরাই উত্তম, অন্যান্য জামাত থেকে;
ছেলেরা নিজেদের, মেয়েদের থেকে উত্তম মনে করে;
মেয়েরা নিজেদের, ছেলেদের থেকে উত্তম মনে করে;
বড় কর্মকর্তারা, ছোট কর্মকর্তাদের নিচু জাতি মনে করে;
ছোট কর্মকর্তারা, বড় কর্মকর্তাদের ঘৃণা করে;
...........এরকম উদাহরণ আমাদের মুসলিম সমাজে অহরহ আছে।
[তবে সবাই এরকম না, ব্যতিক্রম কিছু আছে]
এখন আমার প্রশ্ন এগুলো কি ‘অ্যাসাবিয়ার’ মধ্যে গণ্য হয় না?????
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা বলেন,
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلا تَفَرَّقُوا
তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকড়ে ধর এবং পরস্পর বিভক্ত হয়ো না। [সূরা আলে ইমরান: ১০৩]
রাসূল (সা) বলেন,
"যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়"। [আবু দাউদ]
তিনি (সা) আরো বলেন,
"এটা (জাতীয়তাবাদ) ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই এটা পঁচে গেছে"। [বুখারী]
আল্লাহর নবী (সঃ) সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে-
“যারা সাম্প্রদায়িকতার ডাক দেবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর লড়াই করবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয় এবং যারা সাম্প্রদায়িকতার উপর মরা যাবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। (আবু দাউদ)”
সহীহ হাদীস গ্রন্থ মিশকাত আল মাসাবিথ এ এরশাদ হয়েছে,
“যে জাতীয়তাবাদের দিকে আহ্বান করে সে যেন তার পিতার যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরে আছে।” (মিশকাত আলমাসাবিথ)।
Comment