মক্কী যিন্দেগী এবং আমাদের বর্তমান দুর্বল অবস্থার মধ্যকার একটি বিশেষ লক্ষ্যণীয় ব্যবধান!
মক্কী যিন্দেগী নিয়ে ব্যাপক ফেতনা ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষত তাবলীগ জামাতের মাঝে এ ফেতনা বেশি। তারা বলে থাকে, ‘আমরা মক্কী যিন্দেগিতে অবস্থান করছি। মক্কী যিন্দেগিতে মুসলমানরা দুর্বল ছিল, তাই তাদের উপর জিহাদ ফরয করা হয়নি। তদ্রূপ, আজ আমরা দুর্বল। তাই আমাদের উপর জিহাদ ফরয নয়।’
এই ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণই গলদ। মক্কী যিন্দেগী আর আমাদের বর্তমান অবস্থার মাঝে অনেক বড় ব্যবধান। মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ ফরয করা হয়নি, বরং এর অনুমতিও দেয়া হয়নি। তাই তখন জিহাদ নিয়ে ভাবার দরকার ছিল না। কিন্তু নামায ফরয ছিল, তাই নামায নিয়ে ভাবতে হত। প্রকাশ্যে নামায পড়লে কাফেরদের নজরে পড়বে আশঙ্কা থাকলে গোপনে হলেও পড়তে হতো। নামায ছাড়ার অবকাশ ছিল না। কিন্তু মদীনায় যখন জিহাদ ফরয করা হল, তখন থেকে নামাযের ন্যায় জিহাদ নিয়েও ভাবতে হবে। আপাতত জিহাদের সামর্থ্য না থাকলে, সামর্থ্য অর্জনের ফিকির করতে হবে। এখানেই ব্যবধানটা।
মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ যেহেতু ফরয ছিল না, তাই জিহাদের সামর্থ্য অর্জন ও ই’দাদের ফিকির সাহাবায়ে কেরামকে করতে হতো না। কিন্তু মদীনায় আসার পর যখন জিহাদ ফরয হল, তখন সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে- আমার উপর জিহাদ ফরয। যদি সামর্থ্যের অভাবে আপাতত জিহাদ করতে না পারি, তাহলে ফিকির করতে হবে- কিভাবে সামর্থ্য অর্জন করা যায়। অতএব, তখন থেকে ই’দাদের চিন্তা ও ফরজিয়্যাতের আকীদা সর্বাবস্থায় রাখতে হবে।
যেমন- একজন লোক দারুল হরবে মুসলমান হল। সে জানে, নামায ফরয। কিন্তু দারুল হরবে চতুর্দিকে কাফের। নামায পড়তে দেখলে জীবনের রক্ষা নাই। তখন সে আপাতত নামায ছেড়ে দিতে পারবে। কিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে- তার উপর নামায ফরয। এই ফরয আদায়ের ফিকির করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে, কোথায় গেলে বা কোন সময়ে কাফেরদের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে নামায আদায় করা যায়- সে চেষ্টা তাকে করতে হবে। আপাতত সুযোগ নেই বলে বসে থাকার অনুমতি নেই। জিহাদের অবস্থাও তেমনি। সর্বাবস্থায় তার ফরজিয়্যাতের আকীদা রাখতে হবে। সামর্থ্য না থাকলে ই’দাদ যে ফরয তা স্মরণ রাখতে হবে। ই’দাদের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা ব্যয় করতে হবে। বসে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু মক্কী যিন্দেগিতে যখন জিহাদ ফরয ছিল না, তখনকার অবস্থা সম্পূর্ণই ভিন্ন। কাজেই, মক্কী যিন্দেগির বাহানা ধরে জিহাদ তরক করার সুযোগ নেই। অতএব, হে ভাই! সাবধান! ধোঁকায় যেন না পড়ি।
মক্কী যিন্দেগী নিয়ে ব্যাপক ফেতনা ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষত তাবলীগ জামাতের মাঝে এ ফেতনা বেশি। তারা বলে থাকে, ‘আমরা মক্কী যিন্দেগিতে অবস্থান করছি। মক্কী যিন্দেগিতে মুসলমানরা দুর্বল ছিল, তাই তাদের উপর জিহাদ ফরয করা হয়নি। তদ্রূপ, আজ আমরা দুর্বল। তাই আমাদের উপর জিহাদ ফরয নয়।’
এই ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণই গলদ। মক্কী যিন্দেগী আর আমাদের বর্তমান অবস্থার মাঝে অনেক বড় ব্যবধান। মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ ফরয করা হয়নি, বরং এর অনুমতিও দেয়া হয়নি। তাই তখন জিহাদ নিয়ে ভাবার দরকার ছিল না। কিন্তু নামায ফরয ছিল, তাই নামায নিয়ে ভাবতে হত। প্রকাশ্যে নামায পড়লে কাফেরদের নজরে পড়বে আশঙ্কা থাকলে গোপনে হলেও পড়তে হতো। নামায ছাড়ার অবকাশ ছিল না। কিন্তু মদীনায় যখন জিহাদ ফরয করা হল, তখন থেকে নামাযের ন্যায় জিহাদ নিয়েও ভাবতে হবে। আপাতত জিহাদের সামর্থ্য না থাকলে, সামর্থ্য অর্জনের ফিকির করতে হবে। এখানেই ব্যবধানটা।
মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ যেহেতু ফরয ছিল না, তাই জিহাদের সামর্থ্য অর্জন ও ই’দাদের ফিকির সাহাবায়ে কেরামকে করতে হতো না। কিন্তু মদীনায় আসার পর যখন জিহাদ ফরয হল, তখন সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে- আমার উপর জিহাদ ফরয। যদি সামর্থ্যের অভাবে আপাতত জিহাদ করতে না পারি, তাহলে ফিকির করতে হবে- কিভাবে সামর্থ্য অর্জন করা যায়। অতএব, তখন থেকে ই’দাদের চিন্তা ও ফরজিয়্যাতের আকীদা সর্বাবস্থায় রাখতে হবে।
যেমন- একজন লোক দারুল হরবে মুসলমান হল। সে জানে, নামায ফরয। কিন্তু দারুল হরবে চতুর্দিকে কাফের। নামায পড়তে দেখলে জীবনের রক্ষা নাই। তখন সে আপাতত নামায ছেড়ে দিতে পারবে। কিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে- তার উপর নামায ফরয। এই ফরয আদায়ের ফিকির করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে, কোথায় গেলে বা কোন সময়ে কাফেরদের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে নামায আদায় করা যায়- সে চেষ্টা তাকে করতে হবে। আপাতত সুযোগ নেই বলে বসে থাকার অনুমতি নেই। জিহাদের অবস্থাও তেমনি। সর্বাবস্থায় তার ফরজিয়্যাতের আকীদা রাখতে হবে। সামর্থ্য না থাকলে ই’দাদ যে ফরয তা স্মরণ রাখতে হবে। ই’দাদের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা ব্যয় করতে হবে। বসে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু মক্কী যিন্দেগিতে যখন জিহাদ ফরয ছিল না, তখনকার অবস্থা সম্পূর্ণই ভিন্ন। কাজেই, মক্কী যিন্দেগির বাহানা ধরে জিহাদ তরক করার সুযোগ নেই। অতএব, হে ভাই! সাবধান! ধোঁকায় যেন না পড়ি।
Comment