Announcement

Collapse
No announcement yet.

মক্কী যিন্দেগী এবং আমাদের বর্তমান দুর্বল অবস্থার মধ্যকার একটি বিশেষ লক্ষ্যণীয় ব্যব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মক্কী যিন্দেগী এবং আমাদের বর্তমান দুর্বল অবস্থার মধ্যকার একটি বিশেষ লক্ষ্যণীয় ব্যব

    মক্কী যিন্দেগী এবং আমাদের বর্তমান দুর্বল অবস্থার মধ্যকার একটি বিশেষ লক্ষ্যণীয় ব্যবধান!
    মক্কী যিন্দেগী নিয়ে ব্যাপক ফেতনা ছড়ানো হচ্ছে। বিশেষত তাবলীগ জামাতের মাঝে এ ফেতনা বেশি। তারা বলে থাকে, ‘আমরা মক্কী যিন্দেগিতে অবস্থান করছি। মক্কী যিন্দেগিতে মুসলমানরা দুর্বল ছিল, তাই তাদের উপর জিহাদ ফরয করা হয়নি। তদ্রূপ, আজ আমরা দুর্বল। তাই আমাদের উপর জিহাদ ফরয নয়।’

    এই ধ্যান-ধারণা সম্পূর্ণই গলদ। মক্কী যিন্দেগী আর আমাদের বর্তমান অবস্থার মাঝে অনেক বড় ব্যবধান। মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ ফরয করা হয়নি, বরং এর অনুমতিও দেয়া হয়নি। তাই তখন জিহাদ নিয়ে ভাবার দরকার ছিল না। কিন্তু নামায ফরয ছিল, তাই নামায নিয়ে ভাবতে হত। প্রকাশ্যে নামায পড়লে কাফেরদের নজরে পড়বে আশঙ্কা থাকলে গোপনে হলেও পড়তে হতো। নামায ছাড়ার অবকাশ ছিল না। কিন্তু মদীনায় যখন জিহাদ ফরয করা হল, তখন থেকে নামাযের ন্যায় জিহাদ নিয়েও ভাবতে হবে। আপাতত জিহাদের সামর্থ্য না থাকলে, সামর্থ্য অর্জনের ফিকির করতে হবে। এখানেই ব্যবধানটা।

    মক্কী যিন্দেগিতে জিহাদ যেহেতু ফরয ছিল না, তাই জিহাদের সামর্থ্য অর্জন ও ই’দাদের ফিকির সাহাবায়ে কেরামকে করতে হতো না। কিন্তু মদীনায় আসার পর যখন জিহাদ ফরয হল, তখন সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে- আমার উপর জিহাদ ফরয। যদি সামর্থ্যের অভাবে আপাতত জিহাদ করতে না পারি, তাহলে ফিকির করতে হবে- কিভাবে সামর্থ্য অর্জন করা যায়। অতএব, তখন থেকে ই’দাদের চিন্তা ও ফরজিয়্যাতের আকীদা সর্বাবস্থায় রাখতে হবে।

    যেমন- একজন লোক দারুল হরবে মুসলমান হল। সে জানে, নামায ফরয। কিন্তু দারুল হরবে চতুর্দিকে কাফের। নামায পড়তে দেখলে জীবনের রক্ষা নাই। তখন সে আপাতত নামায ছেড়ে দিতে পারবে। কিন্তু তাকে মনে রাখতে হবে- তার উপর নামায ফরয। এই ফরয আদায়ের ফিকির করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে। কিভাবে, কোথায় গেলে বা কোন সময়ে কাফেরদের চক্ষু ফাঁকি দিয়ে নামায আদায় করা যায়- সে চেষ্টা তাকে করতে হবে। আপাতত সুযোগ নেই বলে বসে থাকার অনুমতি নেই। জিহাদের অবস্থাও তেমনি। সর্বাবস্থায় তার ফরজিয়্যাতের আকীদা রাখতে হবে। সামর্থ্য না থাকলে ই’দাদ যে ফরয তা স্মরণ রাখতে হবে। ই’দাদের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা ব্যয় করতে হবে। বসে থাকার সুযোগ নেই। কিন্তু মক্কী যিন্দেগিতে যখন জিহাদ ফরয ছিল না, তখনকার অবস্থা সম্পূর্ণই ভিন্ন। কাজেই, মক্কী যিন্দেগির বাহানা ধরে জিহাদ তরক করার সুযোগ নেই। অতএব, হে ভাই! সাবধান! ধোঁকায় যেন না পড়ি।


  • #2
    ইসলামের দাবী হচ্ছে ঈমান আনার পর ত্বাগুতকেও অস্বীকার করতে হবে। ঈমান আনা যেরকম জরুরী, টিক তেমনি জরুরী হচ্ছে ত্বাগুতকে অস্বীকার করা। এখানেই সমস্যাটা তৈরি হয়। কুফফর ও আহলে কুফফর উভয়কেই বর্জন করতে হবে। আর তাবলিগ একটি অপূর্ণাঙ্গ দ্বীন শিখার পদ্ধতি। যেখানে গেলে সর্বউচ্চ দ্বীনের কিছু কিছু আমন সম্পর্কে জানা যায়। যেমন, নামায রোজা, হজ্ব জাকাত। কিন্তু তাগুত কি, কী তাগুতের পরিচয় এগুলো সেখানে গেলে হয় না। আর শিখানোর / শিক্ষা করারও কোন ব্যবস্তা নেই। আপনার শুনে থাকবেন, ফরিদ উদ্দিন মাসউদকেও তাবলিগের শুরা সদস্যের ভেতরে রাখা হয়েছে। অনেকে তাবলিগে গেলে তার লিবাস চেঞ্জ হয়। অনেকে তাবলিগে তার আংশিক পরিবর্তন হয়। আগে যেমন গণতন্ত্র করত। এখনও করে। আগে যেমন ব্যাংকে টাকা জমা করত এখন্ব করে। আগে যেমন সুদ খাইত এখনও খায়!!! তবে আল্লাহ যাকে হিদায়ত দেন সে দেন সেই হিদায়ত পায়।
    বর্ত্তমান সময়কে মক্কি জিন্দেগির সাথে তুলনা করা এটি একটি ভাটপারি ছাড়া আর কিছুই নয়। মক্কি জিন্দেগি শুধু তার জন্য যে জিহাদ বিরত থাকতে চাই? এখনও তো অনেক লোক জিহাদের কাজ করছে। সারা বিশ্বেই তো কাজ হচ্ছে। কই তারা তো মক্কি জিন্দেগি বলে বসে থাকেনি।?
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      jajakallah

      Comment


      • #4
        মুহতারাম ভাইয়েরা! সাবধান! ধোঁকায় যেন না পড়ি।
        আল্লাহ আমাদেরকে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল-অবিচল রাখুন। আমীন
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
          মুহতারাম ভাইয়েরা! সাবধান! ধোঁকায় যেন না পড়ি।
          আল্লাহ আমাদেরকে সীরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল-অবিচল রাখুন। আমীন
          আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের কে বর্তমানের সকল ফেতনা থেকে হেফজত করুন।
          فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

          Comment


          • #6
            জিহাদ তো কঠিন সময়ের জন্যই। ৩১৩ এ-র বিপরীতে ৯০০-১০০জন। কীভাবে মক্কী জিন্দেগীর কথা বলি!! আল্লাহ হেফাজতে করুন। মক্কী জিন্দেগী,, তালেবান কীভাবে ইউএসের ও ন্যাটোর সাথে যুদ্ধ করলো। তালেবান সরকার তো এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ, পরবর্তী ১৯ বছরের জিহাদ হলো আমাদের জন্য শিক্ষা। তালেবান - আল কায়দার যুদ্ধ কৌশল সকলেই পড়া উচিত। কীভাবে এতো বিশাল বাহিনীকে পরাস্ত করেছে। আল্লাহর সাহায্য তাদের পাশে ছিলো,আল্লাহর সাহায্য কিন্তু ঘরে বসা থাকা লোকজনের জন্য আসে না। এক দিকে ইউএস,আরেক দিকে ন্যাটো,আর আরেক দিকে আছে মুনাফেক সেনারা( নাপাক) এতো বিশাল বাহিনী!!! আল্লাহর সাহায্যে বিজয় অর্জন। আমাদেরও এভাবে এগুতে হবে। আমাদের যা করতে হবে তা আমরা ফোরাম ও আমাদের ভাইদের থেকে জেনে নিবো।
            আল্লাহ, আমাকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন আমীন।

            Comment


            • #7
              তাবলীগে কালিমায়ে তাওহিদের হাক্বিকত শিক্ষা দেয়া হয় এই বলে- আমরা দু চুখে(চোখে) যা কিছু দেখি আর না দেখি আল্লাহ ছাড়া সবই মাখলোক(মাখলুক), আর মাখলোক(মাখলুক) কোন কিছু করতে পারেনা আল্লাহ ছাড়া কিন্তু আল্লাহ সব কিছু করিতে পারেন মাখলোক(মাখলুক) ছাড়া। যা তাওহিদে ররুবিয়্যাতের সাথে সম্পৃক্ত। অথচ কালিমায়ে তাওহিদ হলো উলুহিয়্যার অন্তর্ভোক্ত(অন্তর্ভুক্ত)। এবং আল্লাহ তায়ালা সকল নবী-রাসূলকে প্রেরণ করেছেন তাওহিদে উলুহিয়্যার দাওয়াত দিয়ে।

              Comment


              • #8
                মহান আল্লাহ আমাদেরকে সকল সংশয় থেকে হিফাযত করুন ও পোস্টকারী ভাইয়ের সকল খেদমতকে কবুল করুন। আমীন
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে মক্কি এবং মাদানী মূলত এক ব্যক্তিরি জিবনী । ব্যক্তিকে ভালোবেসে থাকলে এবং তার উপর ঈমান এনে থাকলে তার নিয়ে আসা সবকিছুরই উপর ঈমান আনতে হবে । সুতরাং সে হিসেবে মাদানী জিবনকে কেউ কোন বাহানায় অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে এবং এর উপর আমল না করলে বড় ধরনের গুনাহগার হবে।

                  Comment

                  Working...
                  X