Announcement

Collapse
No announcement yet.

" উত্তর জানার জন্য" ভাইয়ের পোস্টকৃত ইমারা সম্পর্কে নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ: এর ফতোয়ার স

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • " উত্তর জানার জন্য" ভাইয়ের পোস্টকৃত ইমারা সম্পর্কে নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ: এর ফতোয়ার স

    আলবানী রহ:কে আল্লাহ ক্ষমা জরুন।সারা জীবন তিনি জামাআা গঠনের বিরোধিতা করে গেছেন।অথচ এর উপর যে দলীল তিনি উল্লেখ করেছেন সেটা তার যথাস্হানে প্রয়োগ না করে ভুল জায়গায় প্রয়োগ করেছেন।কোন জিহাদী দাওয়াতী অথবা কল্যাণমূলক কাজের জন্য দল গঠন করতে গেলে এসব দলীল তিনি খুব বয়ান করতেন,কিন্তু যখন ফতোয়া দিতেন প্রত্যেক মুসলিম রাষ্ট্রের জনগণের উপর ওয়াজিব সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করা,কারণ সে ফাসিক হলেও মুসলিম।তখন আর তার মনে পড়তো না যে হাদীসে একই সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বাইআত ও আনুগত্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।এই দুই রাস্ট্রপ্রধানের মাঝে ভৌগোলিক দূরত্ব যতই বেশি হোক।আর আলবানী রহ. এবং তার মতাদর্শীদের ফতোয়া অনুযায়ী ফলাফল কি দাঁড়াচ্ছে?
    ফলাফল দাড়াচ্ছে মুসলিম উম্মাহর উপর একই সময়ে ৯০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রাধানকে বাইআত দেওয়া ও আনুগত্য করা।যাদের মাঝে কেউ সেকুলার কেউ কম্যুনিস্ট কেউ বাতেনী কেউ খারেজী কেউ রাফেজী কেউ মহিলা এবং সবাই গণতান্ত্রিক ও সেকুলার, কাফের মুর্তাদদের সহযোগী এবং আল্লাহর বিধান বাতিলকারী।যখন তিনি এবং তার অনুসারীরা মুসলমান শাসকদের আনগত্য ওয়াজিব ও বিদ্রোহ হারাম বলে ফতোয়া দেয় তখন আর মনে থাকেনা তাদের ফতোয়া অনুযায়ী মুসলিম উম্মাহর উপর নব্বইয়েরও বেশি দলে বিভক্ত হওয়া ওয়াজিব হয়ে যাচ্ছে।কারণ মুসলিম রাষ্ট্রের সংখ্যা ৯০ টিরও বেশি।
    তাদের মনে পড়ে না তাবেয়ী সাইদ ইবনুল মুসাইয়াব রা: একই সময়ে খলিফা আব্দুল মালেক বিন মারওয়ানের এর দুই পুত্রের হাতে বাইয়াত দেননি-অথচ তারা একই সময়ে খেলাফত চায়নি-তারা চেয়েছিল একভাইয়ের মৃত্যুর পর আরেকভাই খলিফা হবে।তারপরও ইবনুল মুসাইয়াব বাইয়াত দেননি-আর এজন্য খলিফার গভর্ণরের আদেশে তাকে ৬০ টি দোররা মারা হয়েছে, মাথান্যাড়া করে গাধার পিঠে চড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে।
    আলবানী রহ: এর অনুসারীদের মনে থাকেনা-উম্মাহ কোনোদিনই একই সঙে দুইটা খিলাফাহকে এবং দুইটা রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি।কেন্দ্রীয় খিলাফাহ থেকে বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রটির দূরত্ব যতই বেশি হোক,যোগাযোগ ব্যবস্হা যতই দূর্গম হোক।অথচ উমাইয়া খিলাফত থেকে শুরু থেকে করে উসমানী খেলাফত পর্যন্ত প্রতিটু খিলাফার সময়েই কিছু বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র ছিল।কিন্তু উম্মাহর উলামায়ে কেরাম কখনই বলেননি সেসব দেশের অধিবাসীদের উপর সেই রাষ্ট্রের আনুগত্য ওয়াজিব।বরং উবাইদী বা ফাতেমী,কারামেতাহ,তাতারী,তৈমুর সাম্রাজ্য যারাই আল্লাহর বিধানের বিরোধিতা করেছে তাদেরকে কাফের ফতোয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দিয়েছেন।
    এভবেই তারা উম্মাহর উপর সেকুলার কম্যুনিস্ট দলে বিভক্ত হওয়া ওয়াজিব করেন আবার হক জামাতের সাথে ঐকবদ্ধ হতে নিষেধ করেন।খলিফা না থাকলে কোন দলে যোগ দেয়া যাবেনা মর্মে ফতোয়া দেয়ার সময় তাদের মনে থাকেনা যে মক্কায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেও মুসলিমরা একটা জামাত ছিল,নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন আমীর।
    তারা ভুলে যান হযরত আবুবাসীর রা: আবু জান্দাল রা: প্রমুখ গেরিলা সাহাবীরাও মদীনা রাষ্ট্রের ভৌগোলিক আওতার বাইরে একটা জামাত ছিলেন,আবুবাসীর রা:তাদের আমীর ছিলেন এবং সকলে আল্লাহর রাসুল সা: এর প্রতি মনে প্রানে কাজে কর্মে আনুগত্যশীল ছিলেন।
    এখনকার আফগানিস্তান সোমালিয়া আর চেচনিয়া মদীনার মডেলেই প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের ভৌগোলিক আওতার বাইরের গেরিলা দলগুলো তাদের প্রতি অানুগত্যশীল।এবং সবাই একজন আমীরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ।
    খিলাফা প্রতিষ্ঠা ও কিতাল করে খেলাফত ফিরিয়ে আনার জন্য হকজামাত গঠন করা যাবেনা বলে যারা ফতোয়া দেন তারা জানেননা যে খেলাফত থাক বা না থাক জামাআহ মুসলমানদের সার্বজনীন সুন্নাহ।খেলাফাহ থাকলে খলিফার অধীনে একটা জামাত হবে আর না থাকলে শোনা, মানা, জামাত গঠন, হিজরত ও কিতালের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় খেলাফাহ ফিরিয়ে আনতে হবে।তারা যেন এই হাদীসটি শুনেনইনি

    *عَنْ الْحَارِثَ الْأَشْعَرِيَّ, أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ اﷲ امر ْيَىحي بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ يَعْمَلَ بِهَا وَيَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا ....,..,....
    َ:*وَأَنَا آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ اللَّهُ أَمَرَنِي بِهِنَّ:*السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ وَالْجِهَادُ وَالْهِجْرَةُ وَالْجَمَاعَةُ*فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ, وَمَنْ ادَّعَى دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنَّهُ مِنْ جُثَا جَهَنَّمَ, فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ؟ قَالَ: وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ, فَادْعُوا بِدَعْوَى اللَّهِ الَّذِي سَمَّاكُمْ الْمُسْلِمِينَ الْمُؤْمِنِينَ عِبَادَ اللَّهِ ".*
    قَالَ أَبُو عِيسَى(الترمذي): هَذَا حَدِيثٌ حسن
    এখন প্রশ্ন হলো কারা সেকুলারিজম গণতন্রের মতো জাহেলী মতবাদের দাওয়াত দেয়?আলবানী প্রমুখ যাদের অনুগত্য ওয়াজিব মনে করেন সেইসব রাষ্ট্রপ্রধান নাকি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় চেষ্টারত হক জামাতগুলো?

    আর যদি খলিফাও না থাকে জামাতও না থাকে তখন সেকুলার গণতন্ত্রী ও জাহেলী দলগুলোর আওতার বাইরে থেকে একা একা ইবাদত করতে হবে।এতে যত কষ্টই হোকনা কেন।
    আসলে এই সহজ মাসআলা বোঝানোর জন্য এতকথা খরচ করার প্রয়োজন হয়না এটাতো ফিতরী বিষয়,খেলাফত না থাকলে কি মুসলমানরা দলবেধে সফর করতে পারবেনা,সফরের আমীর বানাতে পারবেনা?জামাতে নামাজ পড়তে পারবেনা?পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজকর্মের সুবিধার জন্য দলগঠন ও নেতা নির্ধারণ করতে পারবেনা?
    আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন।হ্যা,এই কথা সত্য যে খিলাফাবিহীন সময়ে প্রতিষ্ঠিত কোন দল নিজেদের জন্য খিলাফাতে কুবরা ও ইমামাতে উজমার দাবী করতে পারবেনা(যেমনটা আজকাল দায়েশ করছে)।
    ওয়াল্লাহু আলাম।
    ফোরামের ভাইদের প্রতি অনুরোধ আমার লেখায় ভুল থাকলে যেন ধরিয়ে দেন।আল্লাহ সবাইকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।
    আমীন।

  • #2
    আখি, আপনাকে ধন্যবাদ। প্রিয় আখি, কিয়ামত অবধি একটি দল হক্বের উপর থেকে কিতাল করবে। সেই হাদিসটির ইবারতসহ আমাকে কমেন্ট এ একটু দিলে ভালো। আমি শাইখের এ বিষয়ে বয়ান শুনেছি, ওনি স্পষ্ট করে বলেছেন জিহাদের জন্য খলিফা শশর্ত নয়। যারা খলিফা শর্তারুপ করে তারা ভুলের মধ্যে আছেন।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      عن جابر بن سمرة عن النبي صلي الله عليه و سلم انه قال لن يبرح هذا الدين قاءما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعه :رواه مسلم

      Comment


      • #4
        Originally posted by ubada ibnus samit View Post
        عن جابر بن سمرة عن النبي صلي الله عليه و سلم انه قال لن يبرح هذا الدين قاءما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعه :رواه مسلم
        জাযাকাল্লাহ আখি।
        والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

        Comment


        • #5
          Originally posted by ubada ibnus samit View Post
          عن جابر بن سمرة عن النبي صلي الله عليه و سلم انه قال لن يبرح هذا الدين قاءما يقاتل عليه عصابة من المسلمين حتي تقوم الساعه :رواه مسلم
          ভাই, ধন্যবাদ, আল্লাহ আপনার মেহনত কবুল করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            হাদিসটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে খলিফার কোনো শর্ত করা হয়নি।
            আল্লাহ আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করে নিন আমীন।

            Comment


            • #7
              জাজাকাল্লাহ।
              হাদিস টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

              Comment


              • #8



                *عَنْ الْحَارِثَ الْأَشْعَرِيَّ, أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِنَّ اﷲ امر ْيَىحي بْنَ زَكَرِيَّا بِخَمْسِ كَلِمَاتٍ أَنْ يَعْمَلَ بِهَا وَيَأْمُرَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يَعْمَلُوا بِهَا ....,..,....
                َ:*وَأَنَا آمُرُكُمْ بِخَمْسٍ اللَّهُ أَمَرَنِي بِهِنَّ:*السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ وَالْجِهَادُ وَالْهِجْرَةُ وَالْجَمَاعَةُ*فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ, وَمَنْ ادَّعَى دَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ فَإِنَّهُ مِنْ جُثَا جَهَنَّمَ, فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ؟ قَالَ: وَإِنْ صَلَّى وَصَامَ, فَادْعُوا بِدَعْوَى اللَّهِ الَّذِي سَمَّاكُمْ الْمُسْلِمِينَ الْمُؤْمِنِينَ عِبَادَ اللَّهِ ".*
                قَالَ أَبُو عِيسَى(الترمذي): هَذَا حَدِيثٌ حسن
                এখন প্রশ্ন হলো কারা সেকুলারিজম গণতন্রের মতো জাহেলী মতবাদের দাওয়াত দেয়?আলবানী প্রমুখ যাদের অনুগত্য ওয়াজিব মনে করেন সেইসব রাষ্ট্রপ্রধান নাকি খিলাফত প্রতিষ্ঠায় চেষ্টারত হক জামাতগুলো?
                ভাই! উপরের হদিসে "জামাআত" বলতে খেলাফতের জামাআত কে বুঝানো হয়েছে। আমার পড়া-মতে সকল মুহাদ্দিসগন এটাই বলেছেন শরাহ গ্রন্থে। কেউ খেলাফত ব্যতীত কোন দলের অর্থ করেন নি, বুঝান নি। আপনি এ কেমন ব্যখ্যা আমরা করতেছেন সালাফদের উদৃতি ব্যতীত হাদিসকে ভিন্ন অর্থে নিয়ে বুঝালে কি সথিক হবে ভাই?!
                দেখুন আপনার দেওয়া হাদিসেই বলা আছে فَإِنَّهُ مَنْ فَارَقَ الْجَمَاعَةَ قِيدَ شِبْرٍ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ مِنْ عُنُقِهِ إِلَّا أَنْ يَرْجِعَ
                এটা খেলফত এর বায়াতের ভিত্তিতে জামাতবদ্ধ হওাকে বঝানো হয়েছে। খেলাফতের জামাত থেকে পৃথক হওয়া জায়েজ নেই।বাকি এছারা কোন দল করার পক্ষ্যে আমি কোন স্পশট দলিল পাই নি। সালাফদের কেউ সফরের হাদিস দিয়ে কেউ দল করার পক্ষ্যে দলিল দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। আল্লাহু আ'লাম।
                আলবানী রহ: যে হাদীস টা দিয়ে দলীল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন স্বয়ং সেই হাদীসটাই খেলাফত শূন্য অবস্হাতেও জামাত গঠন জায়েজ হওয়ার দলীল।
                দেখুন হাদীসে বলা হচ্ছে-
                تلزم جماعة المسلمين وإمامهم"، قلت: فإن لم يكن لهم جماعة ولا إمام؟ قال: "فاعتزل تلك الفرق كلها،*
                হুজাইফা রা: প্রশ্ন করেছেন-"যদি মুসলমানদের খলিফাও না থাকে,জামাতও না থাকে?"
                পাঠক,কোটেশন করা অংশটুকু আবারো পড়ুন,হাদীসের সাথেও মিলান- "، قلت: فإن لم.يكن لهم جماعة ولا إمام؟ قال:
                যদি খলিফা না থাকলে জামাতবদ্ধ না হওয়া যায় তাহলে তো একথা বললেই যথেষ্ট ছিল-মুসলমানদের যদি খলিফা না থাকে?
                উত্তর আসতো তাহলে সব দলকে পরিত্যাগ করো।
                কিন্তু হাদীস থেকে বোঝা যাচ্ছে-খলিফা থাকলে তার সঙে থাকতে হবে,তার দলকে পরিত্যাগ করার কোন সুযোগ নেই।খলিফা না থেকে যদি মুসলমানদের জামাত থাকে(যেমনটা মক্কায় খেলাফতের আগে ছিল) এবং তারা শ্রবণ আনুগত্য জামাত হিজরত ও জিহাদের মূলনীতির উপর থাকে তবে সেই জামাতকেও পরিত্যাগ করার সুযোগ নেই।বরং তাদের সঙে মিলে দ্বীন কায়েমের চেষ্টা করে যেতে হবে।আর যদি খলিফাও না থাকে জামাতও না থাকে তখন সেকুলার গণতন্ত্রী ও জাহেলী দলগুলোর আওতার বাইরে থেকে একা একা ইবাদত করতে হবে।এতে যত কষ্টই হোকনা কেন।
                ভাই!
                আপনি জেভাবে ব্যখ্যা করেছেন সেভাবে কি কোন সালাফ বিষোয়টার ব্যখ্যা করেছেন? দয়া করে এই হাদিসগুলোর শরাহ সহ উল্লখে করুন। তাফসীর বিহিন আয়াত ও শরাহ বিহিন হাদিসের ব্যখ্যা করলে বিষোয়গুলোর হাকিকত বুঝা অনেক মুশকিল।
                আমি আমার ক্ষুদ্র মুতায়ালায় উপরের হাদিসগুলোর কয়েকটা শরাহ দেখেছি। সেখানে আপনি জেরকম বলেছেন সেরকম বুঝানো হয় নি।

                فإن لم يكن لهم جماعة ولا إمام এর শরাহ তে ফাতহুল বারি এর ১৩/৩৬ এ আল্লামা বাইজাবী কি বলেছেন দেখুনঃ-
                قال البيضاوي المعنى إذا لم يكن في الأرض خليفة فعليك بالعزلة والصبر على تحمل شدة الزمان وعض أصل الشجرة كناية عن مكابدة المشقة
                "আল্লামা বাইযাবী রাহ বলেনঃ এর অর্থ হলোঃ পৃথিবীতে যদি খলিফা না থাকে তাহলে তখন তোমার উপর আবশ্যক সকল দল/ফেরকা থেকে দুরে থাকা। ফেতনার এই জমানার কঠিন হালতে সবর করা।......।"
                ভাই এর চেয়ে আর কি স্পষ্ট দলিল দরকার আছে??!! আর আমরা দেখতেছি যে, খেলাফত না থাকলে দল বা জামাতের অভাব থাকে না। কেউ কাউকে মানে না। দলাদলি এমন রুপপরিগ্রহ করে যে, এক মুজাহিদ আরেক মুজাহিদকে তাকফির ও হত্যা পর্যন্ত করছে। তাই শেষ যমানায় নবীর নির্দেশনা হচ্ছেঃ ফিতনা থেকে বেচে থাকা।দল থেকে দুরে ত্থেকে কোরআন হাদিসের উপর আমল করা। সামর্থের মধ্যে থকা দ্বীনের কাজগুলো তায়াউন এর ভিত্তিতে (ইমারাহ ও দল ব্যতীত) করে যাওয়া। আল্লাহু আ'লাম।
                আখি! অল্লাহি! আমি আপনাদের বিরোধী কেঊ নই ।
                আখি! সত্যকে গ্রহন করাই মুমিনের পরিচয়। অন্ধভাবে একদিকে ঝুকে থাকলে হবে না।
                স্মর্তব্য যে, সত্য আপনার মতের বিপরীত পাশেও থাকতে পারে।
                আমরা যেন সালমান ফারসির মত সন্ধানী হই।
                হে আল্লাহ আপনি আমাদের হক যেদিকে সেদিকে পথ দেখান। আমি ভুল হলে আমাকেও ইসলাহ করে দিন। আমীণ।

                Comment

                Working...
                X