দিকভ্রান্ত জাতির সাথে কেমন হবে আমাদের আচরণ
একটি অবুঝ শিশু যখন হাতে ধারালো কোন বস্তু বা ব্লেড নেয় তখন তার হাত থেকে এটি উদ্ধারের জন্য তিনটি কৌশল অবলম্বন করতে হয়।
১:ধারালো বস্তুর বিপরীতে আকর্ষণীয় কোন জিনিস শিশুটির সামনে প্রদর্শন করা।
২:মুখে হাসি এবং শান্ত কোমল আচরণের মাধ্যমে শিশুটির মাইন্ড নিজের প্রতি দুর্বল করা।
৩:কৌশলে শিশুটিকে তার হাতের বস্তু সম্পর্কে অমনোযগী করে তোলা, যাতে করে সে উদ্ধারকারীর উদ্দেশ্য বুঝতে না পারে।
যদি এর বিপরীতে চিৎকার, চেচামেচী আর চোখ রাঙ্গানী দেওয়া হয়, তাহলে অবুঝ শিশু তার হাতের ধারালো বস্তুটি আরো শক্ত করে চেপে ধরবে।
এতে করে যা হবার তাই হবে।
যখন তাওহীদে বিশ্বাশী কোন মুমিন বিষাক্ত আকীদাহ বা ভ্রান্ত মতবাদে জড়িয়ে যায় তখন তাকে রক্ষা করার জন্য সর্বাাত্নক সতর্কতা অবলম্ববন করতে হয়।
ভ্রান্ত পথে পা বাড়ানো লোকটি বুঝের দিক দিয়ে কোন অংশেই শিশুর চেয়ে কমনা।
তার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
যেমনঃ
# তার ভ্রান্ত আক্বীদাহ বা ভুলগুলো প্রকাশের পূর্বে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ তার সামনে তুলে ধরা। যাতে সে নিজেই নিজের ভুল শোধরাতে সক্ষম হয়।
আপনি যদি শুরুতেই তার ভুলগুলো উপস্থাপন করেন তাহলে সে আপনার সহীহটা গ্রহন করবেনা।
#আপনার উত্তম আচরণ ও হামদর্দীর মাধ্যমে আপনার প্রতি তাকে আকর্ষিত করে তুলতে হবে।
#এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাকে ব্যস্ত রাখা যাতে করে সে তার ভ্রান্ত মতবাদ থেকে অমনোযোগী হয়ে পড়ে এবং সে বুঝতে না পারে যে আপনি তাকে তার ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন।
তাওহীদবাদী কোন জাতির বিশাল অংশ বা ব্যক্তি যখন ভ্রান্ত পথে পা বাড়ায় তখন তাদের রক্ষা করার জন্য হাজারো কৌশল অবলম্বন করতে হয়। তাদের প্রতি সহমর্মিতা রেখে তাদের সংশোধন করা আবশ্যক।
যদি এর বিপরীতে ভ্রান্ত মতবাদে জড়িয়ে পড়া জাতি বা ব্যক্তির প্রতি বিদ্বেষ,কঠোরতা,ঘৃণা প্রদর্শন করে বাড়াবাড়ি করা হয় তাহলে ঐ জাতি বা ব্যক্তি ভ্রান্ত মতবাদে আরো মারাত্নকভাবে জড়িয়ে যায়। যেখান থেকে ফিরিয়ে আনা এক দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
আর যাদের বাড়াবাড়ির কারণে এই ক্ষতি হবে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তাদের ছাড়বেননা।
Comment