Announcement

Collapse
No announcement yet.

দিকভ্রান্ত জাতির সাথে কেমন হবে আমাদের আচরণ...

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দিকভ্রান্ত জাতির সাথে কেমন হবে আমাদের আচরণ...


    দিকভ্রান্ত জাতির সাথে কেমন হবে আমাদের আচরণ

    একটি অবুঝ শিশু যখন হাতে ধারালো কোন বস্তু বা ব্লেড নেয় তখন তার হাত থেকে এটি উদ্ধারের জন্য তিনটি কৌশল অবলম্বন করতে হয়।
    ১:ধারালো বস্তুর বিপরীতে আকর্ষণীয় কোন জিনিস শিশুটির সামনে প্রদর্শন করা।
    ২:মুখে হাসি এবং শান্ত কোমল আচরণের মাধ্যমে শিশুটির মাইন্ড নিজের প্রতি দুর্বল করা।
    ৩:কৌশলে শিশুটিকে তার হাতের বস্তু সম্পর্কে অমনোযগী করে তোলা, যাতে করে সে উদ্ধারকারীর উদ্দেশ্য বুঝতে না পারে।

    যদি এর বিপরীতে চিৎকার, চেচামেচী আর চোখ রাঙ্গানী দেওয়া হয়, তাহলে অবুঝ শিশু তার হাতের ধারালো বস্তুটি আরো শক্ত করে চেপে ধরবে।
    এতে করে যা হবার তাই হবে।


    যখন তাওহীদে বিশ্বাশী কোন মুমিন বিষাক্ত আকীদাহ বা ভ্রান্ত মতবাদে জড়িয়ে যায় তখন তাকে রক্ষা করার জন্য সর্বাাত্নক সতর্কতা অবলম্ববন করতে হয়।
    ভ্রান্ত পথে পা বাড়ানো লোকটি বুঝের দিক দিয়ে কোন অংশেই শিশুর চেয়ে কমনা।
    তার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
    যেমনঃ
    # তার ভ্রান্ত আক্বীদাহ বা ভুলগুলো প্রকাশের পূর্বে বিশুদ্ধ আক্বীদাহ তার সামনে তুলে ধরা। যাতে সে নিজেই নিজের ভুল শোধরাতে সক্ষম হয়।
    আপনি যদি শুরুতেই তার ভুলগুলো উপস্থাপন করেন তাহলে সে আপনার সহীহটা গ্রহন করবেনা।

    #আপনার উত্তম আচরণ ও হামদর্দীর মাধ্যমে আপনার প্রতি তাকে আকর্ষিত করে তুলতে হবে।

    #এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করে তাকে ব্যস্ত রাখা যাতে করে সে তার ভ্রান্ত মতবাদ থেকে অমনোযোগী হয়ে পড়ে এবং সে বুঝতে না পারে যে আপনি তাকে তার ভ্রান্ত পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছেন।

    তাওহীদবাদী কোন জাতির বিশাল অংশ বা ব্যক্তি যখন ভ্রান্ত পথে পা বাড়ায় তখন তাদের রক্ষা করার জন্য হাজারো কৌশল অবলম্বন করতে হয়। তাদের প্রতি সহমর্মিতা রেখে তাদের সংশোধন করা আবশ্যক।
    যদি এর বিপরীতে ভ্রান্ত মতবাদে জড়িয়ে পড়া জাতি বা ব্যক্তির প্রতি বিদ্বেষ,কঠোরতা,ঘৃণা প্রদর্শন করে বাড়াবাড়ি করা হয় তাহলে ঐ জাতি বা ব্যক্তি ভ্রান্ত মতবাদে আরো মারাত্নকভাবে জড়িয়ে যায়। যেখান থেকে ফিরিয়ে আনা এক দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
    আর যাদের বাড়াবাড়ির কারণে এই ক্ষতি হবে আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তাদের ছাড়বেননা।

    Last edited by tahsin muhammad; 05-03-2020, 11:21 AM.
    শামের জন্য কাঁদো.....

  • #2
    Originally posted by banglar omor View Post

    ভ্রান্ত পথে পা বাড়ানো লোকটি বুঝের দিক দিয়ে কোন অংশেই শিশুর চেয়ে কমনা।
    তার ক্ষেত্রেও ভিবিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
    বারাকাল্লাহ। অনেক শুকরিয়া।

    জি, এটাই আহলুস সুন্নাহ ও তাকফিরীদের মাঝে পা্র্থক্য মনে করি।

    আল্লাহ আমাদের সবাইকে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমীন।

    Comment


    • #3
      প্রীয় আখি: - আমার সামনে কেউ কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোনো মন্তব্য করলে, আমি কিন্তু আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে যাই, আমার জন্য দুয়া করবেন যেন আমি আমার বদ অভ্যাস পরিত্যগ করতে পারি । ওয়াস্সালাম

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ প্রিয় ভাই।শুরুর উদাহরণটি মন ছুয়ে গেছে।
        রাব্বে কারিম.!আমাদের সকল কাজে ইখলাস দান করুন।বান্দার বাহবাহ পাওয়ার সুপ্ত কামনা থেকে হিফাজত রাখুন।আমিন।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ, সুন্দর কথা ও উপকারী পোস্ট।
          আল্লাহ তা‘আলা কবুল করুন। আমীন
          “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তাআলা আমাদের বোঝার ও আমাল করার তৌফিক দান করুন।আমিন
            আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন, যারা তার পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।

            Comment


            • #7
              মাশা'আল্লাহ! নিয়মিত এই ধরনের নাসিহাহ চাই ভাই।
              বিবেক দিয়ে কোরআনকে নয়,
              কোরআন দিয়ে বিবেক চালাতে চাই।

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ ভাই। খুবই উপকারী পোস্ট। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।

                নীচের বানানগুলো খেয়াল করি প্রিয় ভাই।

                যখন তাওহীদে বিশ্বাশী কোন মুমিন বিষাক্ত আকীদাহ বা ভ্রান্ত মতবাদে জড়িয়ে যায় তখন তাকে রক্ষা করার জন্য সর্বাাত্নক সতর্কতা অবলম্ববন করতে হয়।
                এখানে হবে বিশ্বাসী, মারাত্মক, অবলম্বন

                তার ক্ষেত্রেও ভিবিন্ন কৌশল অবলম্বন করা উচিত।
                এখানে বিভিন্ন হবে।

                সহীহটা গ্রহন করবেনা।
                এখানে গ্রহণ হবে।

                মারাত্নকভাবে জড়িয়ে যায়।
                এখানে হবে মারাত্মকভাবে

                শুকরান আখি।

                জাযাকাল্লাহু খাইরান।
                হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

                Comment


                • #9
                  অল্প শব্দে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন, জাজাকাল্লাহ খইর

                  Comment


                  • #10
                    বহুত ই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, জাযাকাল্লাহ মুহতারাম ! উদাহরণের মাধ্যমে মুহতারাম ভাই বিষয়টিকে অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।

                    Comment

                    Working...
                    X