Announcement

Collapse
No announcement yet.

পিনাকিজম, মজহারবাদঃ পপুলিজমের প্রবঞ্চনা।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পিনাকিজম, মজহারবাদঃ পপুলিজমের প্রবঞ্চনা।


    ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা নিম্ন মানের, একথা ইসলামের আলেম ও চিন্তাবিদগণ চিহ্নিত করেছেন; একইভাবে চিহ্নিত করেছে সুবিধাবাদী, পপুলিস্ট সেক্যুলার রাজনীতিবিদ ও এক্টিভিস্টরাও।
    .
    অতিসরলতা, উদাসীনতা ও অন্যান্য অনিবার্য জটিলতার প্রভাবস্বরূপ,
    ইসলামপন্থীদের কাছে কেবল "ইসলামী শা'আয়ের, পরিভাষার সাথে জড়িত বিষয়"গুলোই কেবল প্রাসঙ্গিক সাব্যস্ত হয়। অর্থাৎ, দাড়ি, টুপি, কুরআন, সংবিধান বা বিসমিল্লাহ ইত্যাদি ইস্যুতেই ইসলামপন্থীদের অবস্থান জানা যায়। এটা অপরিহার্য ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্য সন্দেহ নেই।
    .
    কিন্তু আমরা দেখি,
    রাজনৈতিক ইতিহাসের জবরদস্তিমূলক অপব্যাখ্যা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সাধারণ মানুষের উপর নিপীড়ন, শত্রুরাষ্ট্রের (যেমন, ভারত, আমেরিকা) সাথে দীর্ঘমেয়াদী আত্মঘাতি চুক্তি ইত্যাদিসহ বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ইসলামপন্থীদের নিরবতা মোটামুটি দৃশ্যমান।
    .
    অথচ, বাস্তবতা হচ্ছে,
    মানুষের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও জাতীয় সমস্যার সমাধানও তো ইসলামী বিষয়। অন্যথায় শরিয়াহর শাসন, আল ওয়ালা ওয়াল বা'রার মতো বিষয়গুলো এত গুরুত্বপূর্ণ কেন!?
    .
    .
    প্রাত্যাহিক ও জাতীয় জীবনের ঘটনাবলী মানুষ ও জাতিকে সরাসরি প্রভাবিত করে। ফলত, সরকারী ও পোষা মিডিয়ার গৎবাঁধা বক্তব্যের বাইরে গিয়ে, জনসাধারণ সঠিক বাস্তবতা ও বিশ্লেষণ জানতে চায়, বুঝতে চায়।
    .
    শূণ্যস্থান পূরণে তাই সাধারণ মুসলিমদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয় #পপুলিস্ট এক্টিভিস্টগণ; অর্থাৎ, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জণগণের আবেগ ও উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ইতিহাস ও রাজনীতির প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ ও ধারাবিবরণী সাজিয়ে উপস্থাপন করেন।
    .
    ফলত দেখা যায়, ফরহাদ মজহার, পিনাকী ভট্টাচার্য, মাহমুদুর রহমান বা আসিফ নজরুলরা একারণেই নিপীড়িত সাধারণ মুসলিম জনতার অন্যতম আশ্রয়!

    আগেই বলা হয়েছে,
    #পপুলিস্ট চিন্তাধারা হচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের আবেগ-অনুভূতিকে উত্তেজিত না করে, তাদের সমর্থন আদায়কে সামনে রেখে রাজনীতি ও এক্টিভিজম করা। যেখানে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে পপুলিস্টরা মুসলমদের স্বার্থ-চাহিদাকে প্রাধাণ্য দেয়, যেখানে হিন্দু বা খ্রিস্টানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে হিন্দু বা খ্রিস্টানদের প্রাধান্য দেত।
    .
    ব্রিটেনের টোরি পার্টি, আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টি, ভারতের বিজেপি ইত্যাদি পপুলিস্ট সেক্যুলার ধারার রাজনৈতিক দল।
    আমাদের দেশে পিনাকী ভট্টাচার্য, ফরহাদ মাজহার ও বিএনপি-এরশাদপন্থীরা এঘরানার এক্টিভিজম ও রাজনীতিতেই লিপ্ত।
    .
    .
    স্রোতের বিপরীতে গিয়ে আরা শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতা করছেন; এটা প্রশংসনীয়, সন্দেহ নেই।
    .
    কিন্তু, জানা/ স্মরণ করা প্রয়োজন,
    আওয়ামীলীগের পতন তো ইসলামপন্থীদের মূল লক্ষ্য না; ইসলামের মূল উদ্দেশ্য তো সেক্যুলার শাসনব্যবস্থার ক্ষয়করণ ও প্রতিস্থাপন।
    কিংবা অন্তত, আপামর জনসাধারণের কাছে ব্রিটিশ শাসনের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে পাওয়া, এই বিষাক্ত চিন্তাধারার অসারতা স্পষ্টকরণ!
    .
    .
    এধারার বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিবিদ ও এক্টিভিস্টরা জানেন-
    ক) ইসলামপন্থীদের ব্যাপক জনমত লাভ ব্যাতীত- গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হোক, সামরিক প্রক্রিয়ায় হোক কিংবা জনআন্দোলনের আকারে হোক; ক্ষমতার পরিবর্তন ও সুসংহতকরণ সম্ভব না।
    .
    খ) যে প্রক্রিয়াতেই (গণতান্ত্রিক, সামরিক বা গণআন্দোলন) ক্ষমতার কাঠামোর পুনর্বিন্যাস হোক না কেন; অসংগঠিত, অসচেতন, মধ্যবিত্ত মানসিকতায় আচ্ছন্ন ও বাগাড়ম্বরে অভ্যস্ত নের্তৃত্বের অনুগত ইসলামপন্থীদের পক্ষে ক্ষমতার পরিবর্তনে নিয়ামক ভূমিকা রাখা সম্ভব হলেও, ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়ার মতো সক্ষমতা তারা রাখে না।
    চূড়ান্ত ফলাফল যাবে বিএনপি, সামরিক বাহিনী, ভিপি নূর-রেজা কিবরিয়া গং ইত্যাদির মতো কোনো পশ্চিমাপন্থী, পপুলিস্ট সেক্যুলার গ্রুপের পক্ষেই, যারা ডানপন্থীও বলে চিহ্নিত হয় প্রায়শই।
    .
    হ্যা, এনাম অথবা কৌশল হিসেবে আপসকামী ইসলামপন্থীদের কাউকে কাউকে শিল্প, কৃষি, সমাজকল্যাণ বা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আলংকরিক পদ হয়তো দেয়া হবে; কিন্তু সাধারণত উক্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর কিছু করার সক্ষমতা থাকবে না, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়োজিত কোনো প্রভাবশালী সেক্যুলার সচিবের প্রভাবে।
    .
    কথাগুলো ঘোলাটে বা জটিল লাগলেও; সংক্ষেপে সম্ভাব্য সংকটের বাস্তব চিত্র এমনটাই।
    .
    এ দুটি মৌলিক বিষয় জানেন বলেই,
    পপুলিস্ট সেক্যুলার বুদ্ধিজীবি, এক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদগণ ইসলামপন্থীদের আবেগ, অনুভূতি ও আকাঙ্ক্ষাকে এত বেশী গুরুত্ব দেন।
    হতে পারে, তারা নিজ ইচ্ছা বা আদর্শের প্রতি আন্তরিক হয়েই তা করেন; তবে তারা যে সেক্যুলার ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে গিয়ে কিছু ভাবেন কিংবা ইসলামী শাসনব্যবস্থার আশা/কল্পনা করেন, এমনটা আমরা কখনো দেখিনি, দেখিনা।
    .
    অতএব, ইসলামপন্থীদের জন্য উচিৎ হবে না,
    i) প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বা ইতিহাসের সঠিক বয়ান জানতে গিয়ে, সেক্যুলারদের আদর্শিক গোলামে পরিণত হওয়া।
    .
    ii) হিন্দুত্ববাদ ও উগ্র সেক্যুলারিজমের বিরোধিতা করতে গিয়ে, ইসলামপন্থা বাদ দিয়ে নিজের অজান্তেই পপুলিজমের মোড়কে আবৃত সেক্যুলারিজমকে আঁকড়ে ধরা বা শক্তিশালী করা।
    .
    এছাড়াও, ইসলামপন্থীদের মধ্যে অগ্রগামী ও আন্তরিক ভাইদের কর্তব্য হচ্ছে,
    প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক জাতীয়-আন্তর্জাতিক ইতিহাস ও ঘটনাপ্রবাহের বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ জাতির সামনে সামর্থ্য অনুযায়ী তুলে আনা; অন্যথায়, পুনরায় একটি সম্ভাবনাময় ইসলামী প্রজন্মের অপমৃত্যু ঘটবে '৪০ ও '৮০র দশকের ন্যায়।
    .
    যেভাবে পপুলিজমের প্রতারণার শিকার হয়ে সেসময়কার ইসলামপন্থীদের উন্মেষ ছিনতাই হয়েছিল জিন্নাহ-জিয়া-এরশাদের মতো অপরচুনিস্ট, সেক্যুলার ক্ষমতালোভীদের হাতে,
    যেভাবে হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছিল তাদের দ্বারা প্রবঞ্চিত বা প্রলুব্ধ 'ইসলামী' নের্তৃবৃন্দ্ব-
    ঠিক একই ঘটনা আবারো মঞ্চস্থ হতে পারে- যদি না ইসলামপন্থীরা যুগের দাবী মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়!

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খায়রান, ভাই।

    আল্লাহ্ আপনার মেধাকে আরো শানিত করুন, উপলব্ধিতে আরো গভীরতা দান করুন। সর্বোপরি আপনার ছায়াকে আমাদের উপর আরো দীর্ঘায়িত করুন। আপনার আমালে ইখলাস দান করুন।

    অনেক দিন ফোরামে আসি শুধু এ ব্যাপারে আপনাদের দিকনির্দেশনা জানার জন্য। অবশেষে আপনি হৃদয়ের সেই তৃষ্ণা মেটালেন, আলহামদুলিল্লাহ্!

    Comment


    • #3
      আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় ভাইয়েরা আল্লাহ আপনাদের সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন । আমি ফোরামে নতুন, আর ফোরামে একটি নিরাপদ আইডি খুলতে পেরে অনেক আনন্দিত । আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। কিন্তু ফোরামে কিভাবে পোস্ট করব বুঝতে পারছিনা। ভাইয়েরা একটু জানালে উপকৃত হতাম। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
      Last edited by kubaib; 01-16-2022, 09:28 PM.

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান। হে প্রিয় ভাই আমার,আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে ও হায়াতে বারকাহ দান করুন। আমিন।
        ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
        =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী হাঃফিঃ

        Comment


        • #5

          জাযাকাল্লাহু খাইরান। হে প্রিয় ভাই আমার,আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমে ও হায়াতে বারকাহ দান করুন। আমিন।


          ইসলামের জন্যে এমন লোকদের প্রয়োজন, যারা এই দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে থাকবে।
          =আল্লামা জুনাঈদ বাবুনগরী রাহিমাহুল্লাহ
          ভাই শাইখ ইন্তেকাল করেছেন।

          Comment


          • #6

            হ্যাঁ সেটাই, ভট্টাযার্য্য বাবু নতুন কোন সংবিধানে 'ন্যায়' বা 'ইনসাফ' কথাটি রাখার মাধ্যমে 'সেকুলারিজম' এচিভ করতে চান (কোন একটি ভিডিওতে দেখলাম)। অর্থাৎ, সকল ধর্মের সহাবস্থান ও সমান সম্মান প্রাপ্তি হবে। নাগরিক সুবিধাধিও একই হবে সকলের - মানুষ হিসাবে হবে - কে কোন ধর্মের তা তার নাগরিক সুবিধা বা সামাজিক সম্মান এমনকি রাষ্ট্রীয় কার্যাবলী বা যন্ত্রাংশে অংশগ্রহণের জন্য মাপকাঠি/বা ধর্তব্যের বিষয় হবে না। তিনি, 'সেক্যুলার' শব্দটি আলাদা করে সংবিধানে যুক্ত করারই বরং বিরোধী।

            পক্ষান্তরে ইসলাম বা শরিয়াহ দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রে 'ইসালাম' ই ধর্ম হিসাবে সুপেরিয়র / প্রাইম / সর্বোচ্চ / বা ১ নং এ থাকবে, বাকিগুলো নিচে থাকবে, নতি স্বীকার করে থাকবে বা সাব-ডিউড ( Sub-dued) থাকবে। বাকিরা বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এক্সট্রা কর/ট্যাক্স দিয়ে চলবে, নিজেদের ধর্মের লোক বৃদ্ধি বা দাওয়াহ কাজ করতে পারবে না এবং রাষ্ট্রের সকল কিছুতে সমান ভাবে অংশ নাও পেতে পারে। সামাজিক ভাবেও তাদের কে 'সালাম' না দেওয়ারও কথা রয়েছে।

            [ * অন্য আকিদার / বা সিস্টেম এর সাথে মোটা পার্থক্য এটা যে, এসব কিছু ইসলাম করে আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য, কোন কওম কে শোষণ বা সম্পদ আহরণ করে কোন জনপদকে দাবিয়ে রাখা তার উদ্দেশ্য নয়।]

            এমনই তো বিষয়টি তাই না @ hasan-abdus-salam ভাই? ভাইয়ের বিশ্লেষণে বরাবরই মুগ্ধ হই। মা শা আল্লাহ। আল্লাহ তালা আপনার ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘ করুন। আমিন।

            অর্তাৎ ইসলাম সেকুলার নয় / বা ধর্ম নিরপেক্ষ নয় / বা না সে সকল ধর্মকে সমান ভাবে, আর না বাকি সকল ধর্মগুলোকে সত্য ভাবে।

            এক্ষণে আমাদের আক্বিদাকে আরও সুসংহত করতে আপনার নিকট আরজ, অনুগ্রহ করে একটি বিশ্লেষণ দেখানো প্রাসঙ্গিক কিনা, যে, শরিয়াহ কায়েম হলে পর বাকি ধর্মের মানুষরা ইসলামি শাসনের ছায়াতলেঃ
            ১। নিজেদেরকে মার্জিনালাইজড/বঞ্চিত ভাববে কিনা। (বা ভাববে না কেন??) তারা শান্ত / শান্তিতে থাকবে নাকি মনে মনে একটা বিদ্রোহ পুষবে? ( উলটো ভাবে, শরিয়াহ ব্যাবস্থার এহেন আচরণ তাকে বিদ্রোহী হতে সাহায্য, উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করবে কিনা? )
            * কেন তাদের বিদ্রোহী হওয়া উচিত হবে না?
            ২। ভবিষ্য শরিয়াহ'র এহেন আচরণের আশঙ্কার মাঝেই কি মুসলিম নিধন বা 'মুসলিমদেরকে আর বাড়তে দেওয়া যাবে না' এই মনোভাব লুকিয়ে আছে? ক্রুসেডার স্ট্রাটেজি লুকিয়ে আছে? যে কারণে তারা অংকুরেই মুসলিমদেরকে বা তাদের খিলাফাহ কায়েমের আকাঙ্ক্ষা বিনষ্ট করতে চায়?
            * কেন এই আশঙ্কা অমূলক?
            ৩। শরিইয়াহ পূর্ন প্রতিষ্ঠার পর হারানো ভূমি গুলো ফিরে পাবার পর, নতুন ভূমিতে (বছরে একটি হলেও) দাওয়াহ মিশন (তরবারি সহ) / সারিয়া যাওয়ার কথা। এটিও কি তাদের একটি আশঙ্কা? এ আশঙ্কা থেকেই কি তারা মসুলিমদের প্রতি আরও বেশি বৈরি? এই আক্রমনাত্বক সারিয়ার কনসেপ্ট কি পৃথিবীকে সবসময় যুদ্ধের দিকে ঠেলে রাখে?
            * এহেন প্রশ্নে মুসলিম দের প্রজ্ঞাপূর্ন উত্তর কি হওয়া উচিত? ( বা তার নিজের বুঝটাই বা কেমন হাওয়া বাঞ্ছনীয়? নন সেকুলার কনসেপ্ট কেন সুপেরিয়র? নন সেকুলার সমাজ কিভাবে সেকুলার সামাজের চেয়ে ভাল এর কোন তুলনামূলক / Comparative analysis দেওয়া সম্ভব কি? ইসলামের ইতিহাস থেকে কোন উদাহরণও আনা যাবে কি ছোট করে? )
            "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
            আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
            "

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ ভাই

              Comment


              • #8
                @আব্দুল মুকাদ্দিম ভাই-

                ​​​​​প্রথমত, পিনাকি ভট্টাচার্য জনমুখী হতে সংশোধবাদী সেক্যুলার হিসেবে নিজেকে হাজির করছেন, সাধারণ মুসলিমদের প্রতারিত করতে নিজেদের সেক্যুলার বলার বিরোধিতা করছেন।
                একইভাবে, বিজেপি বা আমেরিকান কনজার্ভেটিভরাও নিজেদের ইহুদি-খ্রিস্টান (Judeo-Christian) সভ্যতার অনুসারীই বলে থাকে।

                জেমস ম্যাডিসনের যে সংবিধানকে লেফটিস্ট সেক্যুলাররা সেক্যুলার সংবিধান বলে, কনজার্ভেটিভরা একই সংবিধানকে Judeo-Christian ধারার সংবিধান বলে।

                কিন্তু বাস্তবতা তো এটাই যে, উভয়েই ক্ল্যাসিকাল লিবারেলিজমের উত্তরাধিকার।

                তফাৎ হচ্ছে,
                ইসলামোফোবরা ইসলামের বিলুপ্তি চায়, পিনাকি বা ফরহাদরা চায় ইসলামের সেক্যুলারাইজেশন। প্রয়োগের ময়দানে পার্থক্য থাকলেই তো আর মূলনীতি পালটে যায় না।


                পরের কথা হচ্ছে, ইসলামপন্থীরা যেমন সেক্যুলার বা অন্যদের এডমিনিস্ট্রেশন বা নীতিনির্ধারণী স্তরে রাখে না; একই কথা কি সেক্যুলারদের ক্ষেত্রে খাটে না!?

                যেমন,
                জাতিয়তাবাদী সীমানার আলোকে পাকিস্তান বা ভারতীয় মুসলিমদের উপর বাংলাদেশী হিন্দুদের অগ্রাধিকার দেয়ার আকিদা না রাখলে সেক্যুলার সিস্টেমে কোনো মুসলিম ভূমিকা রাখতে পারবে!?

                সেক্যুলার লিবারেল মূল্যবোধের কোর আকিদাসমূহ (যেমন, সাম্য, নারীবাদ, গণতন্ত্র, বিয়ের সময়সীমা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতিপালন ইত্যাদি) এর কোনো একটি লংঘিত করলে, কোনো মুসলিম কি অন্যান্যদের মতো সুবিধা পাবে!? সচিব, এমপি বা সেনা অফিসার হতে পারবে?!

                আধুনিকতার ফেরিওয়ালা ইউরোপে কি সেন্ট অগাস্টিনের City of God, City of Man থিওরি চলেনি?

                স্টালিন কি শুধুমাত্র কমিউনিস্ট না হওয়ায় গুলাগে কোটি কোটি লোক বন্দী করেনি!?

                তাহলে, বিশেষভাবে মুসলিমদের দোষ দেয়া সংগত হবে!? আদর্শের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ দুনিয়ার কেউই করেনি, করে না, করবেও না। অজ্ঞ, বেওকুফ ও আত্মঘাতী মানসিকতাসম্পন্নদের কথা আলাদা।

                যদি সেক্যুলারিজম, ডেমোক্রেসি, কমিউনিজম, ক্রিশ্চিয়ানিটির শাসনে অন্য আদর্শের মানুষ সমস্তরের আসন পায় না, sub-dued থাকে; তাহলে ইসলামী শাসনে কেন তা আশা করা ইনসাফ হবে!? বরং এটা আশা করাই সাম্য, ইনসাফ ও সুস্থ আকলের খেলাফ।

                আপনার উল্লেখিত তিনটি পয়েন্টে সাধারণ মুসলিম তো বটেই, ইসলামপন্থী এমনকি তাদের নেতাদের মাঝেও রয়েছে আশ্চর্যজনক উপলব্ধির সংকট!!

                ইসলাম অন্যদের তো দাবিয়ে রাখেই না, বরং প্রত্যেকের প্রাপ্য সবচেয়ে ভালোভাবেই ইসলাম প্রোভাইড করে। পুত্র পিতার সমান সম্মান পায় না। এটা বে ইনসাফি না।
                তাই যে আল্লাহর দীনকে সীকার করে না, সে সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতার বিচারে পিছিয়ে থাকলে, তা কিভাবে ইনসাফের খেলাফ হতে পারে!?

                সমান পাওয়া মানেই ইনসাফ নয়।

                সাম্য ও সাধীনতার ম্যক্সিমাইজেশন যে শান্তি ও ইনসাফ আনেনা; বিগত দুশ বছরের অসংখ্য লিবারেল রাস্ট্রগুলোর ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও আন্তর্জাতিক, সকল স্তরে অধঃপতন কি তা প্রমাণ করছে না!?
                ​​​​​​
                ভাই,​​​​​​
                মানবতার জন্য ইসলামের সমাধান সবচেয়ে বাস্তবসম্মত, উদার ও দ্রুতগামী। অতএব, আপনার উল্লেখিত তিনটি প্রসঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া উচিত।

                জাযাকাল্লাহু খাইর ভাই।।

                *আসাম ইস্যুতে আপনার মন্তব্যের বিপরীতে মন্তব্য করা প্রয়োজন। কিন্তু প্ল্যাটফর্ম বিচারে কিছুটা জটিলতাবোধ করছি। আল্লাহ তাওফিক দিন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by Hasan Abdus Salam View Post
                  আদর্শের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ দুনিয়ার কেউই করেনি, করে না, করবেও না। অজ্ঞ, বেওকুফ ও আত্মঘাতী মানসিকতাসম্পন্নদের কথা আলাদা।
                  সমান পাওয়া মানেই ইনসাফ নয়।
                  মানবতার জন্য ইসলামের সমাধান সবচেয়ে বাস্তবসম্মত, উদার ও দ্রুতগামী।
                  ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের সবাইকে বুঝার ও মানার তাওফীক দিন।
                  “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                  Comment


                  • #10
                    পিনাকি সাহেব যে বিষয়ে কথা বলছেন সেখানে যে ইসলামপন্থীদের একটা শূন্যতা ও দৈন্যতা বিরাজ করছে সেটা মুহতারাম হাসান আব্দুস সালাম ভাই স্বীকার করেছেন এবং এ আশংকাও ব্যক্ত করেছেন যে, আমরা যদি এ শূন্যতা পূরণ করতে না পারি তাহলে ইসলামপন্থীদের বহু বছরের প্রচেষ্টার ফসল সেক্যুলারদের ঘরে চলে যেতে পারে।

                    আমি মনে করি, মুহতারাম ভাই যথার্থই বলেছেন। যদি আমরা শুধু পিনাকি সাহেবদের প্রচ্ছন্ন সেক্যুলারিজমের ব্যাপারে সতর্ক করি আর তাদের বিপরীতে আমাদের দিক থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন বুদ্ধিভিত্তিক রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক আলোচনা ও দিকনির্দেশনা দিতে না পারি তাহলে এ ধরনের সমালোচনা খুব একটা ফলপ্রসূ হবে না। বরং আমাদের প্রতি একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরী হতে পারে।

                    তাই শুধু আবেগের বিস্ফোরণ নয়, বরং দরকার বুদ্ধিভিত্তিক জাগরণ।

                    আমি স্মরণ করতে চাই সেসকল ভাইদের যারা ফোরামের শুরু থেকে এ ধরনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছিলেন। বিশেষভাবে মুহতারাম আবু আনোয়ার হিন্দি ভাই। মুহতারাম হাসান আব্দুস সালাম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ থাকবে, আপনি আমাদের ভুলে যাবে না। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি যেন, আল্লাহ্ আপনাকে অবিচল রাখেন এবং নফসের কুমন্ত্রনা থেকে হিফাযত করেন।

                    যদি পারেন, তাহলে আপনার অধীনে এধরনের একটি টিম গঠন করতে পারলে উত্তম হয়। আপনারা ম্যাটেরিয়ালগুলো দিয়ে দিলেন। ভাইয়েরা সেগুলো দেখে সারনির্যাস আপনাদের বলে দিলো। তারপর আপনারা সেটিকে আরো উত্তমরুপে গুছিয়ে উপস্থাপন করলেন।

                    Comment


                    • #11
                      আলাপ উপস্থাপন করতে করতে সম্ভাব্য সমাধানের ৫ টি দিক / উপায় ভাবছিলামঃ
                      (ভাইরা আরও সুন্দর ভাবে হয়ত উপস্থাপন করবেন ইনশাআল্লাহ)
                      ১। তাওহিদবাদি / বা বিশ্বাসের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকেঃ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, আল্লাহ'র প্রেরিত সত্য রাসুল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেহেতু এভাবে শাসন কাঠামো সাজিয়েছিলেন, সেহেতু এটার মাঝেই খায়ের আছে। বুঝি বা না বুঝি এই আকিদা বিশ্বাস সামনে রাখা।
                      ২। ওরা করেছে / করে তাই আমরাও করতেই পারি (এটা একটু পাল্টাপাল্টি হয়ে যায়, তাও হয়ত ঠিক আছে),
                      ৩। গবেষণা করে এবং কিছু তত্ত্ব ও তথ্য উপাত্ত দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া - ইসলাম কে এক নম্বরে রেখে বাকি ধর্মগুলোকে পরের সিরিয়ালে রেখে শাসনকার্য পরিচালনা করলে কোন সমস্যা নেই বরং তা সমাজের জন্য ভাল হবে।
                      ৪। ইসলামে/ শরিয়াহ তে অন্য ধর্মের লোকদের 'আমান' রক্ষার নীতি রয়েছে। তাই তারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করা উচিত ।
                      ৫। যদি বিশেষ শ্রেণি উন্নতি বনাম পুরো কওম এর উন্নতির মানদণ্ডে দেখিঃ
                      সেকুলার ধারায় কোন দেশে ১০ লাখ হিন্দু এবং তাদের ৯ লাখই দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে - তথা বঞ্চিত, বাকি ৭৫ হাজার হয়ত মধ্যবিত্ত এবং ২৫ হাজার হয়ত রাষ্ট্রের উপরতলায় স্থান করে নেয়। এখানে ঐ ৯ লাখের জীবন মানের তেমন খোজ কমই রাখা হয় বরং শেষের ২৫ হাজারের রিপ্রেজেন্টেশন / বা সব খানে একটু একটু করে সরব উপস্থিতিতেই সবাই খুশি যে পুরো হিন্দু কওম এর লোক সেই দেশে মাছে ভাতে আছে।
                      অপরদিকে শরিয়াহতে কি এমন যে - শেষের ঐ ২৫ হাজার হয়ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে স্থান পাবে না, কিন্তু শরিয়াহর ন্যায্য ও ইনসাফপূর্ন নাগরিক সুবিধার কারণে তাদের পুরো কওম ( ১০ লাখ) মিলে একত্রে একটি মধ্যবিত্ত জীবন পেতে পারে ( কম সে কম ঘুষ বিহীন, স্বল্প মূল্যের বাজারদরের সিস্টেম পেতে পারে) । অর্তাত তারা উপরে যেতে পারবে না বটে আবার নিচের দিকে থাকলেও একেবারে নিগৃহীত জীবন যাপন করবে না (যেমনটা সেকুলার রাষ্ট্রে করত)।
                      ==
                      * প্রসঙ্গ 'আসাম' - ঠিক আছে ভাই সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। যেভাবে সুবিধা হয়... (জাজাকাল্লাহু খাইরান কাছিরান)
                      Last edited by Abdul Muqaddim; 01-23-2022, 02:22 PM. Reason: প্রসঙ্গ 'আসাম'
                      "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
                      আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
                      "

                      Comment


                      • #12
                        অনেক উপকারী এবং তাৎপর্যপূর্ণ পূর্ন আলোচনা আল্লাহ আপনাদের ইলমে বারাকাহ দান করুন এবং আপনাদের পরস্পর ভালোবাসা দেখেও আমি মুগ্ধ হই এবং আল্লাহ আপনাদের পরস্পর ভালোবাসায় ও অনেক বারাকাহ নসিব করুন।আমীন ।ইয়া রব্বাল আলামিন।

                        Comment

                        Working...
                        X