Announcement

Collapse
No announcement yet.

মূল বই||সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - বিপ্লব এবং গেরিলা কৌশল || শাইখ সাইফ আল-আদ্‌ল (হাফিঃ) || রিভিউ পর্ব-১

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মূল বই||সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - বিপ্লব এবং গেরিলা কৌশল || শাইখ সাইফ আল-আদ্‌ল (হাফিঃ) || রিভিউ পর্ব-১

    ইসরাইলি একটি ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর কাউন্টার টেররিজম কর্তৃক প্রকাশিত রিভিউ এর অনুবাদ
    সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - বিপ্লব এবং গেরিলা কৌশল
    ( Struggle and Winds of Change – Revolution and Guerrilla Strategies )
    সাইফ আল-আদ্‌ল

    রিভিউ লেখকঃ জেএমজি ডেস্ক , প্রকাশ তারিখঃ জুন ২৩, ২০১৬, ক্যাটাগরিঃ গ্লোবাল জিহাদ
    সূত্রঃ শেষে দ্রষ্টব্য

    সাইফ আল-আদ্‌ল ( "বিচারের তরবারি"), মোহাম্মদ বিন সালাহ আল-দিন যায়দানের ছদ্মনাম, যিনি আল-কায়েদার সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা প্রজন্মের অন্যতম একজন মিশরীয় কৌশলবিদ। শাইখ যায়দান, বিন লাদেনের [ রাহিঃ] নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এবং সংগঠনের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসাবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন । ১৯৯৮সালে কেনিয়া এবং তানজানিয়ায় আমেরিকান দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনায় তিনি জড়িত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর অবস্থান নিয়ে বেশ রহস্য রয়েছে, সেপ্টেম্বর ২০১৫ তে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সবাই মনে করে তিনি ইরানে গৃহবন্দি ছিলেন এবং একসময় ছাড়া পেয়েছেন।

    যায়দান আল-কায়েদার একজন শীর্ষ কৌশলবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার লেখাগুলি অত্যন্ত দূরদর্শিতা সম্পন্ন এবং আল কায়েদার ভবিষ্যতের পরিকল্পনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে লেখা। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, যায়দানের যে বইটি নিয়ে এখানে আলাপ হচ্ছে সেটিও তার ব্যতিক্রম নয়। "আল-কায়েদা - সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - রাজনৈতিক এবং সামরিক কোর্স" দীর্ঘ শিরোনাম ওয়ালা এ বইটি ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে তিনটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। দ্বিতীয় খণ্ডটিতে একই সাথে সশস্ত্র এবং অহিংস উভয়ধরনের বিদ্রোহ (বিপ্লব) নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে তৃতীয় খণ্ডের পুরোটিই গেরিলা যুদ্ধের উপরে লেখা (জুন ২০১৬ পর্যন্ত বইটির প্রথম খণ্ড এখনও প্রকাশিত হয়নি)। যাইহোক, বইটিতে লেখকের উপসংহার দেখে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে অন্তত একটি অধ্যায় ( 'কৌশল' / Strategy নিয়ে যেটি লেখা) সেটি ডিসেম্বর ২০১৩ তেই লেখা হয়ে গিয়েছিল।

    যায়দানের বইটি কেবল গভীর চিন্তা, ঐতিহাসিক জ্ঞান এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞাই নয়, বরং আমেরিকান কৌশল - "আপনার শত্রুকে জানুন" - এর অবস্থান থেকে এর সাথে ব্যাপক সাযুজ্যতাও প্রদর্শন করে। বইটির একটি বড় অংশ জুড়ে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিপ্লব এবং বিদ্রোহের ঐতিহাসিক উদাহরণ সমূহ নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা রয়েছে, যার লক্ষ্য হল অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং ইসলামী বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক বিদ্রোহের প্রস্তুতিতে শেখা শিক্ষাগুলি প্রয়োগ করা।

    বইয়ের জ্যাকেট (প্রচ্ছদ) - বিন লাদেন (রাহিমাহুল্লাহ) এবং কালো পতাকা


    দ্বিতীয় খণ্ড - "কৌশলগত বিপ্লব "

    বইটির এই খণ্ডে শিরোনাম সহ পাঁচটি অধ্যায় রয়েছেঃ
    বিপ্লব,
    সশস্ত্র গণ-বিপ্লব,
    অহিংস গণ-বিপ্লব,
    প্রতিবিপ্লব (বিপ্লব রোধ) এবং
    কৌশল সম্পর্কে আলোচনা।

    বিপ্লব নিয়ে আলোচনার অধ্যায়ে, যায়দান দাবি করেছেন যে বিশ্বের সমস্ত জাতির সদস্যদের মাঝে একটি জন্মগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদেরকে সরকারের ( শাসনযন্ত্রের ) অবিচার এবং শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে দেয় - যদিও আজ কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্যটি বিকৃত হয়ে গেছে বা বছরের পর বছর ধরে তার শক্তি হারিয়েছে। যায়দান বিপ্লবকে "নির্মাণের উদ্দেশ্যে ধ্বংস" হিসাবে উপস্থাপন করেছেন এবং এর সাথে আসা সহিংস দিকটির উপর বেশি জোর দিয়েছেন। যায়দান খুব স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যদিওবা একটি বিপ্লব তার প্রাথমিক পর্যায়ে পরোক্ষ কার্যক্রম বা প্যাসিভ অ্যাক্টস ( যেমন ধর্মঘট, রাস্তা অবরোধ ইত্যাদি) দিয়ে শুরু হয়, তাহলেও যদি কোনো বাস্তব পরিবর্তন আনতে হয় পরবর্তীতে সহিংস ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ই হবে। আর বিপ্লব সফল হওয়ার পরে, অর্জনগুলি ধরে রাখা নিশ্চিত করার জন্য একটি সামরিক-নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন তো অবশ্যই করতে হবে।

    একটি দারুণ জিনিস লক্ষণীয় - যায়দান দাবি করেছেন যে একটি সরকার বিরোধী বিদ্রোহ প্রথমে একটি সাধারণ বিদ্রোহ হতে পারে, যার আপাততঃ কোন ইসলামী বৈশিষ্ট্য নাও থাকতে পারে। এরপর যখন কোন ইসলামী আন্দোলন সেই বিদ্রোহের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে সফল হবে যা তারা পরিকল্পনা করেনি, তখন সেই ইসলামি আন্দোলন কে অবশ্যই আন্দোলন এবং বিদ্রোহী জনগণের দাবিগুলির সাথে একটি সাধারণ সমর্থন বা বুঝবাট্টা প্রদর্শন করতে হবে এবং তাদের নিজস্ব এজেন্ডা জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা যাবেনা। এসময় বাকি সমস্ত জনগণকে এর পক্ষ নিতে উৎসাহিত করার জন্য, ইসলামী আন্দোলনকে দ্রুত দাওয়াহ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করতে হবে এবং স্কুল ও আদালতগুলোকে ইসলামী প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতিস্থাপন বা ইসলামি ভাবধারায় প্রাতিষ্ঠানিকিকরণ করতে হবে।

    আক্রমণের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসাবে, যায়দান সরকারী সংস্থার নিরাপত্তা বাহিনী (সেনাবাহিনী, পুলিশ) এবং "শাসকরুপি গুণ্ডাদের" (সিরিয়াতে শাবিহা বা মিশরের বালতাগিয়া) এর মধ্যে পার্থক্য করে, দাবি করেন যে প্রথম পক্ষটিকে প্রভাবিত করা সম্ভব, তাদের সহানুভূতি বোধ অর্জন করা সম্ভব এবং অবশেষে লাইন (সরকারি বাধা) অতিক্রম করে বিপ্লবীদের সাথে যোগ দেওয়ানো সম্ভব (বিশেষ করে যদি তারা বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীর সদস্য হয়), বাকি দ্বিতীয় গ্রুপের ("শাসকরুপি গুণ্ডাদের") লোকজন অবধারিতভাবে অযোগ্য এবং তাদের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তির সাথে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। .

    আরবি-ইসলামী অঙ্গনে ২১ শতকের বেশিরভাগ বিপ্লব কেন কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি তার কারণ বিশ্লেষণ করার সময়, যায়দান উল্লেখ করেছেন যে তাদের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য নেতা কখনও ছিল না। যায়দান স্পষ্ট করেছেন যে নতুন বিপ্লবের শুরু থেকেই স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করতে হবে কে শত্রু এবং কারা এর সমর্থক। তদুপরি, একটি বিদ্রোহকে সফল মনে করার জন্য, একটি পুরানো শাসনকে পতন করা যথেষ্ট নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি নতুন শাসন ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিপ্লবের ফলে অর্জিত অর্জনগুলি অবশ্যই বজায় রাখতে হবে, যাতে এমন একটি পরিস্থিতি রোধ করার জন্য যেখানে দেশের "গভীরে প্রোথিত" প্রতিষ্ঠানগুলি "পাল্টা বিপ্লব" শুরু করে এবং পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয় - বা এমন পরিস্থিতির দিকে ফিরে যায় যা আরও খারাপ। অতএব, পুরানো সরকার ব্যবস্থার সমস্ত নিশানা মুছে ফেলতে হবে, এবং আগের শাসনের সামরিক বাহিনীর প্রতি যারা অনুগত ছিল তারা কোনমতেই আর ক্ষমতা সম্পন্ন পদে থাকতে পারবে না।

    অভ্যুত্থান কাঠামো (রূপরেখা) সংক্রান্ত বক্তৃতায়, যায়দান আরেকটি ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন তা হল "জনগণের উত্থান' । যায়দান বিপ্লবী প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার গুরুত্বকে অনেক বড় করে দেখেন এবং ব্যাখ্যা করেন যে একটি বিপ্লব শুধুমাত্র তখনই সফল হতে পারে যখন এটি জনগণের দ্বারা চালিত হয় (যারা এটিকে "কৌশলগত গভীরতা" দেয়) যারা কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত নয়। একটি বিপ্লবে নেতৃত্ব দানের জন্য এবং শাসন ও তার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার জন্য আসলে একটি স্বশস্ত্র অগ্রণী দল প্রয়োজন। তবে জনগণকে অবশ্যই এই অগ্রণী দালের পিছনে দাঁড়াতে হবে এবং তা আর্থিকভাবে এবং দলে যোগ দিয়ে উভয় ভাবেই সমর্থন করতে হবে। এই বিষয়ে, যায়দান বিপ্লবে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন - বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের - এবং জোর দিয়েছিলেন যে অর্থায়ন শুধুমাত্র তখনই অনুমোদিত হতে পারে যদি তা ইসলামী দেশগুলির সাধারণ জনগণ থেকে আসে। এই বিষয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করার জন্য, যায়দান ১৯২৪ সালে সংঘটিত এস্তোনিয়ায় ব্যর্থ বিপ্লব এর উপর প্রায় দশ পৃষ্ঠা জুড়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত করেছেন। পরে, যায়দান উল্লেখ করেছেন যে সশস্ত্র বিদ্রোহ স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর, যদিও আল-কায়েদা আঞ্চলিক লেভেলে অপারেশন পরিচালনা করে এবং এই দুটি একে অপরের পরিপূরক হিসাবেই কাজ করে।

    এরপর যায়দান বেসামরিক বিদ্রোহের বিষয়টিকে কভার করেছেন এবং তিনি এও নিশ্চিত যে পরিবর্তনের সূচনা করার উপায় হিসাবে এই মডেলটি ইসলামী দেশগুলিতে প্রযোজ্য নয়। যায়দান এমন অনুসিদ্ধান্ত পোষণ করেন যে একটি শাসনের পতন এবং একটি ইসলামী সরকার গঠনের জন্য পরোক্ষ, অহিংস প্রতিরোধ (বসা ধর্মঘট, সরকারী কার্যক্রমে ব্যাঘাত ইত্যাদি) যথেষ্ট নয়। যাইহোক, যায়দান ইরানী বিপ্লবের উপরও সুদীর্ঘ আলাপ করেছেন, এবং এটিকে অহিংস বিদ্রোহের জন্য একটি অসাধারণ মডেল হিসাবে উপস্থাপন করেছেন। যায়দান ২০১৩ সালের মিশরীয় সামরিক অভ্যুত্থানকে "প্রতিবিপ্লব" এর ধারণাটি ব্যাখ্যা করার জন্য উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করেছেন।

    বিপ্লবের অধ্যায়ের উপসংহারে, যায়দান বলেছেন যে বিপ্লবের ব্যর্থতার মূল কারণগুলির মধ্যে একটি ছিল - সামরিক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা - যখন প্রকৃতপক্ষে এটি একটি প্রতিপক্ষ ছিল। যায়দানের মতে, একটি ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার জন্য, জড়িত সকল দলকে অবশ্যই একটি "পঞ্চম কলাম" ধারণা ত্যাগ করতে হবে এবং একটি শক্তিশালী নেতৃত্বের ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।

    "কৌশল" সম্পর্কে অধ্যায়ে, যায়দান এই শব্দটির উপর বিভিন্ন গবেষকের দেওয়া বিভিন্ন সংজ্ঞা পর্যালোচনা দিয়ে শুরু করেছেন। যায়দান প্রাচীন সামরিক ইতিহাসবিদ এবং কৌশলবিদদের (যেমন লিডেল হার্ট এবং ক্লজউইৎজ) উদ্ধৃত করেছেন এবং একটি প্রত্যক্ষ কৌশল এবং পরোক্ষ পদ্ধতি অনুসরণকারী কৌশলগুলির মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উপরন্তু, অধ্যায়ের একটি বড় অংশ আমেরিকান কৌশল নিয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যয় করেছেন যে সম্পর্কে যায়দানের দক্ষতা মুগ্ধ করার মত । এটিও একটু উল্লেখ করা ভাল যে, তার এই অধ্যায়টি নাসের আল-আনসির কৌশল বিষয়ে একটি বক্তৃতার সাথে অনেকাংশে মিলে যায়, যা আরব উপদ্বীপে আল কায়েদার "জিহাদ একাডেমি" থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।

    সমাপনী অধ্যায়ে, যায়দান আবারও আরব বিশ্বের বিপ্লব নিয়ে কথা বলেছেন। যায়দান ব্যাখ্যা করেছেন যে বিপ্লবগুলো ফলপ্রসূ হতে পারেনি এবং বিপ্লবী ধারণাগুলি একটি সম্মিলিত সমন্বিত কাঠামো তৈরি করতে পারেনি যা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাওয়া সমস্ত দেশগুলোকে একতাবদ্ধ করতে পারত। বিপ্লবগুলো তাদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রকৃতি এবং তাদের মধ্যে আন্তঃ সংযোগের অভাবের কারণেও ব্যর্থ হয়েছিল।

    আল-কায়েদা সম্পর্কেও যায়দান স্পষ্ট করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার লক্ষ্য শুধুমাত্র দেশটিকে দুর্বল করা বা সরকার পতন নয়, বরং একটি 'বিপ্লব উৎসারি আদর্শ পরিবেশ' তৈরি করা যা ইসলামি জাতি- রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পৃক্ত মানুষগুলোকে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। যাইহোক, এব্যাপারে যায়দান আল-কায়েদারও সমালোচনা করতে দ্বিধা করেননি, তিনি বলেছেন যে সংগঠনটি বিপ্লবের সময় বিভিন্ন স্থানীয় ইসলামী আন্দোলনের বিপরীতে বিপ্লব সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট চেষ্টা-চরিত্র বিনিয়োগ করেনি। আল-কায়েদার উচিত ছিল সেই দলগুলোকে স্পষ্ট করে দেওয়া যে তাদের পরিকল্পনা কী এবং পরবর্তী বিদ্রোহে অংশ নিতে উৎসাহিত করা। আল-কায়েদার পক্ষ থেকে এই অপারগতার কারণে স্থানীয় জিহা দি গোষ্ঠীগুলির মধ্যে কিছু সমর্থন হয়ত হারিয়েছে - এবং কিছু ক্ষেত্রে বড় শত্রুতাও সৃষ্টি হয়েছে। অন্য ভাবে বললে, আল-কায়েদা এখানে ছেড়ে দিয়ে রেখেছিল এই ভেবে যে এটি স্থানীয় গোষ্ঠীগুলিকে আশান্বিত করবে এবং তারা "আল্লাহ'র ইচ্ছা বাস্তবায়নে" তাদের নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই গ্রহণ করবে।


    [ তৃতীয় খণ্ড - "গেরিলা ওয়ারফেয়ার - বিপ্লবী লড়াই" || রিভিউ পর্ব ২ এ লিঙ্ক কমেন্টে ]

    সূত্রঃ
    https://ict.org.il/struggle-and-wind...-saif-al-adel/
    Last edited by Abdul Muqaddim; 09-08-2022, 09:39 AM.
    "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
    আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
    "


  • #2


    এক এক সময় এক এক শব্দ সামনে আসে, এগুলোর অর্থের ব্যাপারে একটা সাধারণ মতৈক্য থাকলে মনে হয় ভাল হয়। আপাততঃ নিচের মত বঙ্গানুবাদ করা হল।
    ভাইরা অনুগ্রহ করে মতামত জানালে খুব ভাল হয় কোনটার কি অর্থ করলেঃ


    Uprising = বিদ্রোহ
    Strategic Uprising = কৌশলগত বিপ্লব
    Movement = আন্দোলন
    Insurrection = বিদ্রোহ
    Armed Insurrection = সশস্ত্র বিদ্রোহ
    Struggle = সংগ্রাম
    Intifada = ইন্তিফাদা / বিদ্রোহ
    Revolution = বিপ্লব / অভ্যুত্থান
    War = Warfare = যুদ্ধ
    Guerrilla Warfare = গেরিলা যুদ্ধ
    "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
    আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
    "

    Comment


    • #3
      পিডিএপ নেই?
      💐💐নিরাপত্তা নামক রাস্তাটির সূচনা হয় আগ্রাসন উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।।💐💐

      _______❣️শহিদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❣️_______

      Comment


      • #4
        পর্ব - ২



        প্রাসঙ্গিক আর্টিক্যাল



        আন-নাসর মিডিয়া থেকে প্রকাশিত ২ইয় খণ্ডের ১ম অধ্যায় এর অনুবাদ ' বিপ্লবের রূপরেখা'

        "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
        আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
        "

        Comment


        • #5
          Originally posted by Allahor banda View Post
          পিডিএপ নেই?
          সম্মানিত ভাই, কোনটির পি ডি এফ যেন ভাই?

          [ সম্ভাব্য উত্তর দিচ্ছিঃ
          এই রিভিউ এর মূল ওয়েব পেজ এর লিঙ্ক তো সূত্রে দেওয়াই আছে তাই সেটির পি ডি এফ হয়ত চাচ্ছেন না। আর এর বাংলাটাতো দুই পর্বে সামনেই মজুদ, তাই এটারও পি ডি এফ হয়ত চাচ্ছেন না ধরে নিলাম।
          বাকি 'বিপ্লবের রূপরেখার' পি ডি এফ রয়েছে ভাই আলহামদ, আলাদা একটি কমেন্টে দিলাম অন্যান্য লিঙ্ক সহ একত্রে। জাজাকাল্লাহু খাইরান কাছিরান, আগ্রহের জন্য। ]
          "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
          আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
          "

          Comment


          • #6
            Originally posted by Abdul Muqaddim View Post

            সম্মানিত ভাই, কোনটির পি ডি এফ যেন ভাই?

            [ সম্ভাব্য উত্তর দিচ্ছিঃ
            এই রিভিউ এর মূল ওয়েব পেজ এর লিঙ্ক তো সূত্রে দেওয়াই আছে তাই সেটির পি ডি এফ হয়ত চাচ্ছেন না। আর এর বাংলাটাতো দুই পর্বে সামনেই মজুদ, তাই এটারও পি ডি এফ হয়ত চাচ্ছেন না ধরে নিলাম।
            বাকি 'বিপ্লবের রূপরেখার' পি ডি এফ রয়েছে ভাই আলহামদ, আলাদা একটি কমেন্টে দিলাম অন্যান্য লিঙ্ক সহ একত্রে। জাজাকাল্লাহু খাইরান কাছিরান, আগ্রহের জন্য। ]
            মাশা আল্লাহ,
            আপনার কথা ধরন টা খুবই ভালো লেগেছে,
            ভাইদের প্রতি আপনার ভাবনা অসাধারণ।।

            সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - বিপ্লব এবং গেরিলা কৌশল || শাইখ সাইফ আল-আদ্‌ল (হাফিঃ)

            জ্বি প্রিয় ভাই ☝️এটার বাংলাটা এক সাথে একটা পিডিএপে আছে কিনা জানতে চেয়েছিলাম।
            আলহামদুলিল্লাহ যেহেতু পর্ব আকারে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে তাই আর লাগবেনা।
            জাঝাকাল্লাহ খাইরান
            💐💐নিরাপত্তা নামক রাস্তাটির সূচনা হয় আগ্রাসন উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।।💐💐

            _______❣️শহিদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❣️_______

            Comment


            • #7
              Assalamu Alaikum,

              Muhtaram Abdul Muqaddim bhai,

              সংগ্রাম ও পরিবর্তনের হাওয়া - বিপ্লব এবং গেরিলা কৌশল || শাইখ সাইফ আল-আদ্‌ল (হাফিঃ)

              mul kitab er bangla onubad file ta available nei site gulote. kindly abar active link deya jabe.

              Jazakallahu khayr

              Comment

              Working...
              X