Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহর অধঃপতনঃ কষ্টে বুকটা ফেঁটে যায়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহর অধঃপতনঃ কষ্টে বুকটা ফেঁটে যায়

    উম্মাহর অধঃপতনঃ কষ্টে বুকটা ফেঁটে যায়

    বর্তমানে মুসলিম উম্মাহ ভয়াবহ এক সময় অতিক্রম করছে ৷ পঙ্গপালের মতো জাহান্নামের দিকে ছুটছে উম্মাহর যুবক যুবতীরা ৷ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে হারামের দিকে ৷

    অভিভাবকগণও উদাসীন হয়ে আছে ৷ সন্তানের ব্যাপারে তেমন ভাবার সময় নেই ৷ সন্তানকে মানুষ করতে হবে ৷ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এ নিয়ে ভাবনার শেষ নেই ৷ তিলে তিলে কষ্টে অর্জিত সম্পদ ব্যয় করছে সন্তানের পিছনে ৷ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে,নিজেদের সুখকে বিসর্জন দিয়ে; শুধুমাত্র সন্তানকে মানুষ করতে দুনিয়ার সুখকে পিছনে ফেলে সম্পদ অর্জন করতে ব্যধিব্যস্ত ৷

    সন্তানকে প্রতি মাসে টাকা পাঠানো হচ্ছে লেখাপড়ার জন্য ৷ সন্তান নিজের মত করে চলছে ৷ জবাবদিহীতা নেই কারো কাছে ৷ স্বাধীন দেশে পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে বেড়াচ্ছে ৷

    সন্তান ছোটকাল থেকে দ্বীনি শিক্ষা একেবারে পায়না বললেই চলে ৷ ইসলাম সম্পর্কে না জেনেই বড় হয় সন্তান ৷ বন্ধুদের সাথে মিশে কত যে পাপাচারও অন্যায়ে লিপ্ত হয় তা বুঝানো মুশকিল ৷

    কষ্টে বুকটা ফেঁটে যায় উম্মাহর বর্তমান হালত দেখে ৷ মূল সমস্যা কেথায়?

    মূল সমস্যা হলো গোঁড়ায় ৷ আমরা খিলাফত হারিয়েছি ৷ রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামের প্রয়োগ নেই ৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে বেখবর ৷

    রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম নেই ৷ তাই চেষ্টা করলেও সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা যাচ্ছে না ৷

    এই যে থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন, ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন, ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি দিবসে সমাজে কনসার্টের আয়োজন করা হয় ৷ কেউবা শুধু বক্স বাজায় ৷ নাচ-গানসহ হারাম অনেক বিষয় থাকে ৷
    এগুলো কি ব্যক্তি বা পরিবার কেন্দ্রীক হয়?
    না ৷ বরং এতে প্রতিবেশীর হক নষ্ট করা হয় ৷ গানের আওয়াজে ঘুমানো যায় না,অসুস্থ ব্যক্তির কষ্ট হয়,শিশুরা ভয়ে কেঁপে উঠে ইত্যাদি ৷
    আপনি নিজেও এগুলো সহ্য করতে পারছেন না ৷ আবার কিছু বলতেও পারছেন না ৷ যদি ইমানি জযবায় সরাসরি কিছু বলতে যান কিংবা অনুষ্ঠান ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টার করেন ৷ তবে আপনি নিজেই অপমানিত তো হবেনই ৷ বরং কুফুরি আইনে আপনি অন্যায়কারী,স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী সাব্যস্ত হবেন ৷ দেশের অধিকাংশ জায়গায় একই অবস্থা বিরাজমান ৷ ইচ্ছে করলেও প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না ৷

    আপনিই যতই লিফলেট বিতরণ করুন না কেন! যতই বুঝান ও দাওয়াত দিন; দিনশেষে ফলাফল কিন্তু শূণ্য (অবশ্য দায়িগণ আল্লাহর কাছে প্রতিদান পাবেন এবং অনেকে হারামে যাবে না,তবে এর পরিমাণ অতি নগণ্য) ৷

    সম্মানিত খতিবগণ,দ্বীনের দায়ি বক্তাগণ,তাবলিগের মেহনতকারীগণ,বিভিন্ন সংগঠনের ভাইয়েরা সবাই মেহনত করে যাচ্ছে ৷ আল্লাহ সবাইকে উত্তম জাযা দিন এবং সঠিক পন্থায় দাওয়াহর কাজ করার তাউফিক দান করুন ৷

    অনেক দায়িগণ মনে করেন, যদি প্রকাশ্যে সব বলি,তাহলে আমাদের দ্বারা উম্মাহ উপকৃত হবে না ৷ কারণ দাওয়াহর পথ বন্ধ হয়ে যাবে ৷

    কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো! যতই দাওয়াহর কাজ করা হচ্ছে,দিন দিন ফিতনা কি বাড়ছে নাকি কমছে ৷
    অবশ্যই বলবেন ফিতনা বেড়েই চলেছে ৷ তাহলে মূল সমস্যা কোথায়?

    মূল সমস্যা হলো আমরা খিলাফাহ হারিয়েছি ৷ আমরা যদি খিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে পারি,রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম কায়িম হয়; তখন আর এত কষ্ট করতে হবে না ৷ গোঁড়া থেকে ফিতনা নির্মূল হবে ৷ ইনশাআল্লাহ

    সবাই যদি এ দিকে মনোযোগ দেই,তবে কতইনা ভালো হবে ৷
    আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং নববি মানহায অনুসারে চলার তাউফিক দান করুন ৷ আমিন

    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

  • #2
    মূল সমস্যা হলো আমরা খিলাফাহ হারিয়েছি ৷
    আমরা যদি খিলাফাহ ফিরিয়ে আনতে পারি,রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম কায়িম করতে পারি ৷ তাহলেই গোঁড়া থেকে ফিতনা নির্মূল হবে ৷ ইনশাআল্লাহ

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন এবং নববি মানহায অনুসারে চলার তাউফিক দান করুন ৷ আমিন

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          এদেশে দাওয়াতের ময়দানে আমাদের প্রয়োজনে রক্ত ঝরাতে হবে, এই দুরাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য।

          Comment


          • #6
            বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

            Comment


            • #7
              "বর্তমান যে রাষ্ট্র কাঠামো বিদ্যমান, তার মধ্যে ইসলাম কায়েম সম্ভব কি?"

              এ প্রশ্ন আজকের যুগে প্রতিটি ঈমানদার মনের গভীরে একটি আগ্নেয়গিরির মতোই জ্বলছে—চাপা, কিন্তু সক্রিয়। কিন্তু আমাদের উচিত, এই প্রশ্নকে শুধুই চিন্তার চৌকাঠে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবতার নির্মম ময়দানে ফেলে তার জবাব খোঁজা।

              এই রাষ্ট্র কাঠামো—জাতি-রাষ্ট্র ব্যবস্থা—এর ভিত্তি কি? এর শিকড় গেথে আছে পাশ্চাত্যের সেক্যুলার চিন্তাধারায়, যার মূলমন্ত্র “Sovereignty belongs to the nation.” অর্থাৎ, এখানকার বিধান আসে জনগণের মনোনীত সংসদ থেকে, না যে কিতাবুল্লাহ থেকে, না যে সুন্নাহ থেকে।

              এখানে আলেমরা শাসন করেন না; বরং আইনের হাতুড়ি ধরেন এমন লোক, যাদের ফতোয়া আসে ভোটের বাক্স থেকে, ওহির নয়। এখানে শরিয়াহ নয়, সংবিধান পবিত্র। এখানে ইসলামের উদ্দেশ্য—তাওহিদের প্রতিষ্ঠা, শিরকের নির্মূল—অগ্রাহ্য; বরং ধর্মকে সীমাবদ্ধ রাখা হয় ব্যক্তিগত পরিসরে।

              তাহলে প্রশ্ন করি—এই কাঠামোর মধ্যেই কি ইসলাম কায়েম সম্ভব?
              সত্যি বলি, এটা এমন এক কাঠামো যার ভিত গড়ে উঠেছে ইসলাম-বিমুখতায়। আপনি এখানে ইসলাম “প্রয়োগ” করতে চাইলে, আপনাকে ইসলামের মূলনীতি ছেঁটে ফেলতে হবে, কম্প্রোমাইজ করতে হবে। কিছু রূপ, কিছু ছায়া হয়তো থাকবে, কিন্তু আত্মা থাকবে না। আপনি নামাজ রাখতে পারবেন, কিন্তু রিবা নিষিদ্ধ করতে পারবেন না। আপনি হিজাবের আইন আনতে পারবেন না যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না চায়।

              তাহলে কি করণীয়?

              আমাদের দাওয়াহর অপরিহার্য অংশ হওয়া উচিত—এই কাঠামোর ভ্রান্তি উন্মোচন করা। এটি যে ইসলামের বিরুদ্ধে নকশা করা এক শত্রু কাঠামো, তা স্পষ্ট ভাষায় বলা। জাতি-রাষ্ট্র, সংবিধানবাদ, গণতন্ত্র—এসবের অন্তর্নিহিত শিরক ও জাহেলিয়াতকে উন্মোচন করা।

              ধ্বংস মানেই কি বোমা-গুলির কথা বলছি? না।

              আমরা বলছি চিন্তার বিপ্লব, আকীদার রদবদল, ব্যাখ্যার ফাঁদ থেকে মুক্ত হওয়া। “মুসলিম রাষ্ট্র” নামক ভেলকির চশমা খুলে ফেলা। আমরা চাই—ফিরে যাক খিলাফতের চিন্তা, ইমারাহর বাস্তবতা, শরিয়াহর পূর্ণ প্রয়োগ।

              আমরা যে কাঠামোতে বন্দি, তা শুধুমাত্র ইসলামকে "সহ্য" করতে পারে—ইসলামকে "শাসন" করতে দেয় না।​
              فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

              Comment


              • #8
                "কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো! যতই দাওয়াহর কাজ করা হচ্ছে,দিন দিন ফিতনা কি বাড়ছে নাকি কমছে ৷ অবশ্যই বলবেন ফিতনা বেড়েই চলেছে ৷"



                তবে
                দাওয়াহ যদি হয়, "পরিপূর্ণ দ্বীনের, তাওহিদ ও জিহাদের, আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্যের" আর এই দাওয়াতের নিয়ন্ত্রণ যদি থাকে হক্বপন্থী ওলামায়ে-কেরামের ও মুজাহিদ নেতৃবিন্দের হাতে , তখন দাওয়াত শুধু যে ফিতনা কমাবে তা নয়,, বরং এই দাওয়াতই খেলাফাত প্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করবে, জনগণকে খেলাফাতের জন্য জান দিতে ও আসলিহা হাতে নিতে উদ্বুদ্ধ করবে। আর এই দাঈগণ তখন জিহাদি ময়দান তৈরীর কারণে সদাকায়ে জারিয়ার পেতেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ।

                অবশ্যই এই দাওয়াত হতে হবে সহীহ মানহাজ অনুসরণ করে, বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগ সৃষ্টি হয় এগুলো থেকে বেঁচে থেকে, উম্মতকে সাথে নিয়েই সামনে আগাতে হবে ইনশাআল্লাহ। উম্মত ছাড়া সামনে গিয়ে জিহাদ শুরু করলে শত্রু-বন্ধুর সীমারেখা নির্ধারণ অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। আর সফলতার সম্ভাবনাও তখন ক্ষীণ হয়ে পড়বে।
                তাই আমাদেরকে নিজ নিজ সাধ্যের সবটুকু দিয়ে ইসলামের বাণী প্রচার করে যেতে হবে, দ্বীন ইসলামের প্রকৃত রূপ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। খেলাফাতের গুরুত্ব ও প্রতিফল তাদের বুঝাতে হবে, এবং জিহাদ ছাড়া যে, খেলাফত প্রতিষ্ঠা সম্ভব না, আর আমাদের উপর জিহাদ যে ফরজ হয়ে আছে, প্রতিনিয়ত এই জিহাদ ছেড়ে দেয়ার কারণে সব আমল করার পরেও আমরা গুনাহগার হচ্ছি , হাদিসের ভাষ্য মুতাবিক আমাদের এই লাঞ্চণার মূল কারণ যে জিহাদ ছেড়ে দেয়া, এগুলো বুঝিয়ে দিতে হবে।

                এছাড়াও আল্লাহর সামনে জবাবদেহীতার ভয়ও তাদের মনে জাগ্রত করতে হবে, এজন্যে দ্বীনের দাঈ যারা হবেন, তাদেরকেও ইখলাস ও লিল্লাহিয়্যাত এবং তাআল্লুক মাআল্লাহর গুণে গুনান্বিত হতে হবে। আর প্রচুর ত্যাগ ও সীমাহীন ধৈর্যের অধিকারী হতে হবে।

                উলামায়ে কেরাম একটা কথা বলেন যে, মুখের কথা মুখে গিয়ে লাগে, আর যে কথা অন্তর থেকে আসে, তা অন্যের অন্তরেই গেঁথে যায়। আল্লাহ তাআলা আমাদের হক্ব বোঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন।
                আমীন

                Comment


                • #9
                  "কিন্তু একটু ভেবে দেখুন তো! যতই দাওয়াহর কাজ করা হচ্ছে,দিন দিন ফিতনা কি বাড়ছে নাকি কমছে ৷ অবশ্যই বলবেন ফিতনা বেড়েই চলেছে ৷"

                  এটাকে আমি ফিতনার বিস্তৃতি হিসেবে মানতে পারছি না। আমার মতে যতই দাওয়াত বাড়ছে হক্ব-বাতিলের পার্থক্য ততই স্পষ্ট হচ্ছে। এই দাওয়াতের ফলে মুমিনদের ঈমান বাড়ছে এবং কুফফার-মুনাফিকদের কুফর-নিফাক্ব প্রকাশিত হচ্ছে।

                  যারা নববী দাওয়াতের ডাকে সারা দিচ্ছে তাদের অবস্থান আজ সমাজে স্পষ্ট এবং যারা এই ডাক শুনে কানে তুলা দিচ্ছে তাদের অবস্থানও আজ স্পষ্ট। পূর্বের আমলে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের সাথে জোট বাধতে আমাদের বিবেকে বাধা দেয়নি, কিন্তু আজ লড়াইটা বিশুদ্ধ তাওহীদের সাথে কুফর এবং শিরকের। এবং এটা বিশুদ্ধ তাওহীদের দাওয়াতেরই ফসল।

                  ওলামা এবং দায়ীদের নির্বিচ্ছিন্ন দাওয়াহের ফলেই আজ এই দুই কাতারের পার্থক্য স্পষ্ট এবং তাওহীদবাদী শরীয়াহ শাসন প্রত্যাশী সাধারণ মুমিনদের কমফোর্ট জোন ভাঙার প্রবণতাও বেড়েছে এই দাওয়াতেরই ফলস্বরূপ। তাই এই দাওয়াহকে ফিতনা বৃদ্ধি না বলে বরং বৃহৎ বিজয়ের পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করাই আমার মতে অধিকতর যৌক্তিক।

                  Comment

                  Working...
                  X