Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৪

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৪

    আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
    কর্তৃক প্রকাশিত
    আচরণবিধি
    আল-কায়েদা উপমহাদেশ.

    এর থেকে
    পর্ব- ০

    ==================================================
    ===============================
    পঞ্চম অনুচ্ছেদঃ শত্রুর বিবরণ ও সামরিক কার্যক্রম



    আমাদের যুদ্ধক্ষেত্র, লক্ষ্যবস্তু ও শত্রু তিনভাগে বিভক্তঃ
    • প্রথম ভাগঃ ইসলামী ইমারাতের প্রতিরক্ষার জন্য আফগানিস্তানে যুদ্ধ করা।
    • দ্বিতীয় ভাগঃ পাকিস্তানে আমাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু।
    • তৃতীয় ভাগঃ ভারত, বাংলাদেশ এবং আরাকানে (বার্মায়) আমাদের শত্রু ও লক্ষ্যবস্তু।
    প্রথম ভাগঃ ইসলামী ইমারাতের প্রতিরক্ষা



    শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল-কায়েদা উপমহাদেশ, ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানকে শক্তিশালী করা এবং তার প্রতিরক্ষাকে নিজেদের মৌলিক লক্ষ্য মনে করে। এই লক্ষ্যে আফগানিস্তানের ভূমিতে, যেখানে আমেরিকার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের কাফের শয়তানের দল একজোট হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াইরত, সেখানে ইসলামী ইমারাতের অধীনে আর-রাহমানের সেনাবাহিনীও শরীয়তের এই শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইরত। আল-কায়েদা উপমহাদেশের মুজাহিদরাও ইসলামী ইমারাতের পতাকাতলে যুদ্ধের ময়দানে তৎপর এবং শরীয়তের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পুরোপুরি অংশগ্রহণ করছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, ইসলামী ইমারাতের হাতে আমেরিকা ও তার এজেন্টদের পরাজয় এই পুরো ভূখণ্ডে দ্বীনি শক্তিগুলোর বিজয় নিয়ে আসবে ইনশা আল্লাহ।
    দ্বিতীয় ভাগঃ পাকিস্তানে আমাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু



    শায়খ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)-এর সময় থেকেই জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ ইসলামের শত্রুদের ব্যাপারে কুরআনের এই নীতিঃ فقاتلوا ائمة الكفر ‘কুফর প্রধানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর’-কে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। একে শায়খ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) ‘সাপের মাথা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সুতরাং সব ধরনের শত্রুদের ব্যাপারে জামাআতের প্রথম মনোনিবেশ হলো, তাদের ঊর্ধ্বতন নেতা এবং ঐসব মেধা, যা থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের ধ্বংসের পরিকল্পনা তৈরি হয়। এই নীতি অনুযায়ী পাকিস্তানে ঐসব শক্তি জামাআতের প্রথম লক্ষ্যবস্তু, যারা সাপের মাথা আমেরিকা ও বৈশ্বিক কুফরি শক্তির প্রিয় ও আস্থাভাজন প্রতিনিধি এবং সবসময় বৈশ্বিক কুফরি শক্তির ফায়দার জন্য পাকিস্তানের মুসলমানদের সাথে ধোঁকাবাজি করে আসছে। কারণ স্থানীয় পর্যায়ে এদের শক্তি ধ্বংস করা ছাড়া পাকিস্তানের মুসলমানদেরকে আমেরিকা ও বৈশ্বিক কুফরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করা এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করা শুধু একটি স্বপ্নই থেকে যাবে।

    এই দৃষ্টিকোণ থেকে পাকিস্তানে জামাআতের লক্ষ্যবস্তুর অগ্রাধিকাভিত্তিক ক্রমান্বয় নিম্নরূপঃ

    ১। পাকিস্তানে উপস্থিত আমেরিকান কাফের এবং ওদের সরাসরি স্বার্থ আমাদের সবচেয়ে অগ্রগণ্য লক্ষ্যবস্তু, কারণঃ
    • আমেরিকা পুরো দুনিয়াতে মুসলমানদের উপর জুলুম ও বল প্রয়োগকারীদের সরাসরি সাহায্যকারী
    • বায়তুল মুকাদ্দাসকে মুক্ত করার পথে প্রথম অন্তরায়
    • বৈশ্বিক কুফরিব্যবস্থার সর্দার এবং
    • ইসলামী ও জিহাদি জাগরণের মোকাবেলায় সক্রিয় ও কেন্দ্রীয় শত্রু

    ২। পাকিস্তানে ২য় পর্যায়ের টার্গেট, অমুসলিম দেশের ঐসব কাফের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, যারা পাকিস্তানের অধিবাসীদের লুটপাট করে এবং বৈশ্বিক কুফরি শক্তির দাস বানিয়ে রাখে। পাকিস্তানি মুসলমানদের গণহত্যার জন্য অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করে। যারা আফগানিস্তান থেকে কাশ্মীর, সিরিয়া ও ফিলিস্তিন পর্যন্ত মুসলিম উম্মতের উপর হামলাকারী। যেমন ভারত ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো, যেগুলো মুসলমানদের বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তিতে যুদ্ধে লিপ্ত।

    ৩। পাকিস্তানকে কব্জা করে থাকা অত্যাচারী বৃটিশ শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের কাছে অত্যন্ত অগ্রগণ্য বিষয়, কারণঃ
    • যতক্ষণ পর্যন্ত পাকিস্তানকে কব্জা করে থাকা জালেম শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জিহাদ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত না অত্যাচারী, সুদী ব্যবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে; না কাশ্মীর এবং ভারতের মাজলুম মুসলমানদের সাহায্য করা সম্ভব হবে; আর না এই ভূখণ্ডে শরীয়ত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নপূরণ সম্ভব হবে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গোপন ষড়যন্ত্র এবং সশস্ত্রবাহিনীর খোলাখুলি যুদ্ধের মোকাবেলায়, দ্বীনের অনুসারীদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া আর কোন পথ নেই। বরং বাস্তবতা হলো, শরীয়তের এই দুশমনদের বিরুদ্ধে জিহাদই আসলে ‘গাযওয়ায়ে হিন্দ’-এর দরজা। পাকিস্তানের উপর বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের চাপিয়ে দেয়া এই সশস্ত্রবাহিনী, শরীয়তের প্রথম শত্রু এবং আমেরিকা ও বৈশ্বিক কুফরিব্যবস্থার উত্তম রক্ষক। এ কারণেই, এই সশস্ত্রবাহিনী সবসময় বৈশ্বিক কুফরের ফায়দার জন্য ইসলামী আন্দোলনের পিঠে ছুরি মারে এবং ইসলাম ও ইসলামের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে, সম্মুখ বাহিনীর ভূমিকা পালন করে। আমেরিকার হাতে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের পতন এদের সহযোগিতার ফলেই সম্ভব হয়। জিহাদের নুসরত এবং শরীয়তের দাবি করার অপরাধে কাবায়েলী বা গোত্রীয় এলাকা, সোয়াত এবং জামিয়া হাফসার মাসুম ছাত্রীদের উপর এই সশস্ত্রবাহিনী আগুন ও বারুদ বর্ষণ করে। হাজার হাজার মুসলমানদের কারাগারে শহীদ করে এবং শত শত মুসলমানকে ফাঁসিতে ঝুলায়। কাজেই মুজাহিদদের কাছে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, শুধু পাকিস্তান নয়, পুরো এই ভূখণ্ডে ইসলামী আন্দোলনের সফলতার জন্য পাকিস্তানকে কব্জা করে রাখা এই শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে জিহাদ জরুরী।

    কাজেই, উপরোল্লেখিত লক্ষ্যবস্তুর পরে পাকিস্তানে আমাদের লক্ষ্যবস্তুগুলো নিম্নরূপঃ
    - শরীয়ত প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধক এবং আমেরিকার আধিপত্য বজায় রাখা রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র শক্তি, যা গুরুত্বের ক্রমানুসারে নিম্নরূপঃ

    ক. গোয়েন্দা সংস্থা, বিশেষভাবে আইএসআই, এমআই, এফআইএ, সিআইডি, আইবি প্রভৃতির অফিসার এবং কর্মী।
    খ. সশস্ত্র বাহিনীর (সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, এফসি) উচ্চপর্যায়ের অফিসার।
    গ. আইন প্রয়োগকারী সংস্থার (রেঞ্জার্স, কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট, পুলিশ) উচ্চপর্যায়ের অফিসার।

    - ঐসব মন্ত্রী ও উচ্চ পর্যায়ের ব্যুরোক্র্যাট অফিসার, যারা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দ্বীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার এই যুদ্ধে সরাসরি সম্পৃক্ত।
    - ঐসব অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্রবাহিনীর অফিসার ও প্রাক্তন শাসক, যারা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার এই যুদ্ধে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছে।
    - নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননাকারী। আমাদের মা-বাবারা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য কুরবান হোক! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মানের জন্য যদি নিজেদের সবকিছুও কুরবান করতে হয়, তাতেও আমরা দ্বিধা করবো না এবং সর্বমূল্যে হলেও আমরা আমাদের প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মান রক্ষা করবো ইনশাআল্লাহ।
    - আমাদের বন্দী ভাইবোনদেরকে মুক্ত করার জন্য–
    ক. কারাগারে আক্রমণ করা
    খ. জেলখানার আইজি, সামরিক প্রতিষ্ঠানের অফিসার এবং পশ্চিমা দেশের নাগরিকদের অপহরণ

    - ভূখণ্ডে ধর্মহীনতার প্রচলনকারী মুলহিদ (ইসলামের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ ঐসব ব্যক্তি, যারা নিজেদের মুসলমান বলে দাবি করে)। কেননা আমাদের সমাজকে ধর্মহীনতা থেকে বাঁচানো আমরা ফরজ মনে করি। তবে কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের অনুমতি ব্যতীত নিজ থেকে এমন অপারেশন করার অনুমতি আমরা আমাদের মুজাহিদদেরকে দেই না। তাছাড়া জামাআত এমন বিষয়ে হক্বপন্থী উলামায়ে কেরাম থেকে ফাতওয়া নেয়াকে আবশ্যক মনে করে এবং এরপর সকল মাসলাহা-মাফসাদা (লাভ-ক্ষতি) যাচাই করে লক্ষ্যবস্তুর ব্যাপারে ফয়সালা দেয়।
    - দ্বীনদার শ্রেণীর মানুষদের হত্যাকারী। কেননা আমরা দ্বীনদার শ্রেণী ও হক্বপন্থী আলেমদেরকে রক্ষা করা আমাদের বিশেষ দায়িত্ব মনে করি এবং এক্ষেত্রেও লক্ষ্যবস্তু নির্ণয় করার জন্য জামাআতের আমীর এবং নায়েবে আমীরের অনুমতি নেয়া জরুরী।

    বিশেষ দ্রষ্টব্য



    ১। সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল সদস্য আমাদের লক্ষ্যবস্তু, তারা যুদ্ধরত এলাকায় থাকুক অথবা ব্যারাকে বা ছাউনিতে থাকুক। ছুটিতে থাকা সদস্যরাও এর ব্যতিক্রম নয়। কারণ শরীয়ত প্রতিষ্ঠার মোকাবেলায় যুদ্ধরত হওয়া এবং কুফরি শাসনব্যবস্থার রক্ষক হওয়ার বিচারে শরঈ দিক থেকে তাদের সবার হুকুম একই। তবে তাদের মাঝে যারা মুজাহিদদের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তাদের বিষয়টি ভিন্ন।

    ২। সাধারণ সিপাহীকে হত্যা করার চেয়ে আমরা অফিসারদেরকে হত্যা করার উপর অধিক গুরুত্ব দেই। এজন্য একশ সাধারণ সিপাহীর মোকাবেলায় একজন অফিসার হত্যা যদি আমাদেরকে আমাদের লক্ষ্যপানে এগিয়ে নেয়, তাহলে আমরা আল্লাহর তাওফীকে একজনকেই হত্যা করবো। শত্রু-অফিসার যত বড় পদাধিকারী হবে, তাকে হত্যা করা আমাদের কাছে তত বেশি অগ্রগণ্য হবে। সরকারি সশস্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অফিসারদের নিশানা বানানো আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি অগ্রগণ্য; এরপর সশস্ত্রবাহিনী, এফসি, ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ বাহিনী, রেঞ্জার্স, পুলিশ ও অন্যান্য।

    ৩। যেসব রাজনীতিবিদ ও অফিসার জনসাধারণ, মুজাহিদ এবং দ্বীনদার শ্রেণীর পরিবারের উপর জুলুম করে, তারা আমাদের অগ্রগণ্য নিশানাসমূহের অন্তর্ভুক্ত।


    আরও পড়ুন
    ৩য় পর্ব --------------------------------------------------------------------------------------------------------- ৫ম পর্ব

    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 08-09-2023, 09:13 AM.
Working...
X