Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৫

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৫


    আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
    কর্তৃক প্রকাশিত
    আচরণবিধি
    আল-কায়েদা উপমহাদেশ.

    এর থেকে
    পর্ব- ০

    ==================================================
    ===============================
    তৃতীয় ভাগঃ
    ভারত, বাংলাদেশ এবং আরাকানে (বার্মায়) লক্ষ্যবস্তু



    ১। ভারত এবং বাংলাদেশে আমেরিকান ও ইসরায়েলী লক্ষ্যবস্তুর পর আমাদের অগ্রগণ্য লক্ষ্যবস্তু হলো, ভারতীয় সরকার। কারণঃ

    ভারত সরকার অনবরত কাশ্মীর ও ভারতের মুসলমানদের উপর অত্যাচার, তাদের বসতবাড়ি ধ্বংস, সামাজিকভাবে তাদেরকে দুর্বল করা এবং তাদেরকে জোরপূর্বক হিন্দু বানানোর মতো জঘন্য কর্ম চালিয়ে আসছে। কাশ্মীর ও ভারতে মুসলমানদের উপর চলমান অত্যাচার-নির্যাতন এর সুস্পষ্ট প্রমাণ।

    ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র নীতির একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে ইসলাম বিদ্বেষ ও ধর্মহীনতার প্রসার এবং ইসলামের শত্রুদের পৃষ্ঠপোষকতা। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভারতের এই কৌশলের প্রভাব পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান।

    ভারত এই পুরো ভূখণ্ডে (কাশ্মীর, ভারত, বাংলাদেশ ও বার্মায়) ইসলামী ও জিহাদি জাগরণের বিরুদ্ধে আমেরিকা, রাশিয়া ও ইসরাইলের বিশ্বস্ত বন্ধু।

    বাংলাদেশের ধর্মহীন সরকার এবং ধর্মহীন আন্দোলনগুলোর সবচেয়ে বড় রক্ষক ভারত এবং এই ভারতই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননাকারী ও মুলহিদদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে।

    বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা নানা অপরাধে জড়িত। পানি কব্জা করে তাদের চাষাবাদ ধ্বংস করা এবং তাদের শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্য দখল করার মত অপরাধ করে যাচ্ছে ভারত। ইতিহাস সাক্ষী– ভারত সবসময় চায়, বাংলার মুসলমানরা তার দাস হয়ে থাকুক।

    ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থা ইসলামী ভারত প্রতিষ্ঠার পথে মূল প্রতিবন্ধক। অথচ ইসলাম এই ভারতকে দীর্ঘ এক হাজার বছর শাসন করেছে। এদিক থেকে ইসলামের এই ভূখণ্ডকে আবার ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসা এবং ইসলামী শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা আমাদের উপর ফরজ।

    কাজেই ভারত ও বাংলাদেশে আমাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তু নিম্নরূপঃ

    - সরাসরি আমেরিকা ও ইসরাইলের স্বার্থ।
    - ভারতের ঐসব রাষ্ট্রীয় সংস্থা, যেগুলো ভারত বিভক্তির পর থেকে মুসলিম নিধনের কৌশলকে অব্যাহত রেখেছে, বিশেষভাবে ভারতীয় পুলিশ, সশস্ত্রবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নেতৃত্ব।
    - কট্টর হিন্দুপন্থী দলগুলোর ঐসব নেতা, যারা মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়া, মুসলমানদের হত্যা করা, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন ও ধ্বংস করা এবং জোরপূর্বক হিন্দু বানানোর মতো জঘন্য কর্মে জড়িত।
    - ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর ঐসব অফিসার, যাদের হাত আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের রক্তে রঞ্জিত।
    - রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননাকারী।

    ২। বার্মায় মুসলমানদের উপর নির্যাতনকারী সশস্ত্রবাহিনী এবং সশস্ত্র বৌদ্ধ গ্রুপগুলো আমাদের লক্ষ্যবস্তু। এর উদ্দেশ্য–
    • বার্মার মজলুম মুসলমানদের সাহায্য এবং তাদের প্রতিরক্ষা
    • মাজলুম মুসলমানদের পক্ষ থেকে বার্মার জালেম সরকারের উপর প্রতিশোধ নেয়া
    • ইসলামী আরাকানকে বার্মার সশস্ত্র বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করা

    ৩। ভারত উপমহাদেশের কোনো জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনসাধারণ, তাদের বসতবাড়ি এবং উপাসনালয় আমাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। কারণ আমাদের যুদ্ধ এসব ধর্মীয় গোষ্ঠীর সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সাথে, যারা মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে।

    আরও পড়ুন
    ৪র্থ পর্ব -------------------------------------------------------------------------- ৬ষ্ঠ পর্ব
    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 08-09-2023, 09:12 AM.

  • #2
    ভারত উপমহাদেশের কোনো জায়গায় হিন্দু, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর জনসাধারণ, তাদের বসতবাড়ি এবং উপাসনালয় আমাদের লক্ষ্যবস্তু নয়। কারণ আমাদের যুদ্ধ এসব ধর্মীয় গোষ্ঠীর সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সাথে, যারা মুসলমানদের উপর নির্যাতন করছে।
    আল্লাহ্‌র শত্রুরা তাদের মিডিয়ায় এই প্রচারণাই চালায় যে, মুজাহিদরা সাধারণ জনগণের শত্রু। অথচ, মুজাহিদদের নীতিই হল জনগণকে জালিম খোদাদ্রোহী শাসনব্যবস্থা থেকে মুক্ত করে ইসলামের চির-শান্তির পথে নিয়ে আসা।

    Comment

    Working...
    X