Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৭

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৭

    আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
    কর্তৃক প্রকাশিত
    আচরণবিধি
    আল-কায়েদা উপমহাদেশ.

    এর থেকে
    পর্ব- ০

    ==================================================
    ===============================

    সপ্তম অনুচ্ছেদঃ
    রাফেযী, কাদিয়ানী ও ইসমাইলীদের ব্যাপারে কর্মকৌশল


    ১। জামাআত শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে রাফেযী, কাদিয়ানী এবং ইসমাইলীদের কাফের মনে করে এবং মুসলমানদের মাঝে এসব ফিরকাগুলোর গোমরাহি স্পষ্টভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে।

    ২। জামাআতের কৌশল হলো, জালেম কুফরি শাসনব্যবস্থা এবং তার রক্ষক সশস্ত্র শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো পার্শ্বযুদ্ধে জড়িত না হওয়া। এজন্য রাফেযী, কাদিয়ানী কিংবা ইসমাইলীরা যদি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ না করে, তাদের বিরুদ্ধে জামাআতও যুদ্ধে জড়িত হয় না, বরং নিজেদের সম্পূর্ণ মনযোগ নিবিষ্ট করে কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যা এসকল ফিরকাসহ দ্বীনের সকল দুশমনের প্রতিরক্ষা করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করে।

    ৩। রাফেযী, কাদিয়ানী এবং ইসমাইলীদের কেউ যদি আহলুস সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে আগ্রাসনে লিপ্ত হয়, তাহলে এই আগ্রাসনকে বন্ধ করার জন্য তাদের নেতাদের ও যোদ্ধাদের পূর্ণ জবাব দেয়া হবে। যদিও এক্ষেত্রেও কুরআনের বাণী “فقاتلوا ائمة الكفر”-এর ভিত্তিতে এটিই অগ্রগণ্য বিবেচ্য হবে যে, প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং ক্ষমতায় থাকা রাফেযী ও কাদিয়ানী নেতৃত্বকে দৃষ্টান্তমূলক জবাব দেয়া, যারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

    ৪। যতক্ষণ পর্যন্ত কুফরি শাসনব্যবস্থার পরাজয় না হবে, এসব ফিরকাগুলোর ব্যাপারে আমরা উপরোল্লেখিত কৌশলের ভিত্তিতে কাজ করবো। বিজয়ের পর উম্মতের উলামায়ে

    5। রাফেযী, কাদিয়ানী এবং ইসমাইলীদের ঐসব লোক, যারা পঞ্চম অনুচ্ছেদে উল্লেখিত, জামাআতের মূল লক্ষ্যবস্তুর কোনো একটির অন্তর্ভুক্ত, তাদেরকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র প্রতি বিদ্বেষের জন্য নিশানা বানানো হবে।

    অষ্টম অনুচ্ছেদঃ ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর সাথে আচরণবিধি



    ১। ব্যাখ্যাঃ ধর্মনিরপেক্ষ (ধর্মহীন) দল বলতে ঐসব দল উদ্দেশ্য, যারা নিজেদের আচরণবিধি ও মেনুফেষ্টোতে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বিষয়াদি থেকে বিচ্ছিন্ন করায় বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করে। ধর্মনিরপেক্ষ দল ক্ষমতায়ও থাকতে পারে এবং ক্ষমতার বাইরেও থাকতে পারে। তাদের মাঝে কিছু দল মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, যুদ্ধে প্রেরণা দেয়। আবার কিছু দল যুদ্ধে অংশ নেয় না। একইভাবে কিছু দল রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের জন্য কখনও কখনও সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করে। তাই এদের সবাইকে একই পাল্লায় মাপা সম্ভব নয়, বরং প্রত্যেক দলের সাথে তাদের কার্যকলাপ অনুযায়ী আচরণ করা হবে।

    ২। ধর্মনিরপেক্ষ (ধর্মহীন) দলগুলোর ঊর্ধ্বতন নেতা, যারা প্রকাশ্যে শরীয়তের প্রতি নিজেদের শত্রুতা প্রকাশ করে এবং কুরআনের আইনের পরিবর্তে কুফরি আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে, তাদেরকে আমরা সুস্পষ্ট শরঈ দলীলের ভিত্তিতে ‘তায়েফায়ে মুরতাদ্দাহ’ তথা মুরতাদ দলের অন্তর্ভুক্ত গণ্য করি এবং তাদেরকে হত্যা করা জায়েয মনে করি। তবে তাদের কাকে হত্যা করা হবে, কখন হত্যা করা হবে এবং কাকে হত্যা করা হবে না –এসব বিষয় জামাআতের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে। জামাআতের নেতৃত্ব পরিবেশ পরিস্থিতি ও মাসলাহা-মাফসাদা (লাভ-ক্ষতি) বিবেচনা করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিবেন।

    ৩। যেসব ধর্মনিরপেক্ষ দল মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে অথবা লড়াইয়ে সহযোগিতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে আমরা অগ্রাধিকার দেই।

    ৪। শরীয়ত প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে সশস্ত্রবাহিনীর সাথে থাকা ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোর নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু বানানো আমাদের কাছে অগ্রগণ্য, চাই তারা বর্তমান সরকারের মাঝে থাকুক কিংবা অতীতে।

    ৫। কোনো ধর্মনিরপেক্ষ দলের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে এমন ব্যাপক করা হবে না যে, তার প্রত্যেক ভোটার এবং ছোট কিংবা বড় প্রত্যেক কর্মীকে নিশানা বানানো হবে, বরং শুধু ঐসব নেতা এবং ব্যক্তিকে নিশানা বানানো হবে, যারা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পক্ষান্তরে তাদের নারী, শিশু, আত্মীয় এবং সাধারণ কর্মীরা কখনই আমাদের লক্ষ্যবস্তু নয়।

    ৬। ধর্মনিরপেক্ষ দলের সাধারণ ভোটার, যারা ধোঁকায় পড়ে, রুটি-রুজি ইত্যাদির প্রলোভনে এসব ধর্মহীন দলগুলোর সঙ্গ দেয়, তাদেরকে আমরা তাকফিরও করি না, হত্যার চেষ্টাও করি না। তবে তাদের এসকল দলকে সহযোগিতা করা গুনাহ মনে করি। তাই আমরা সাধ্য অনুযায়ী তাদেরকে এটি বোঝানোর এবং সতর্ক করার চেষ্টা করি।

    ৭। আমরা আমাদের দাওয়াতে এটি সুস্পষ্ট করার চেষ্টা করি যে, ধর্মনিরপেক্ষ এই দলগুলোর সাথে আমাদের শত্রুতার কারণ ভাষা, জাতীয়তাবাদ বা অন্য কোনো বিষয় নয়, বরং ইসলামের প্রতি শত্রুতাই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কারণ।

    ৮। যেসব ক্ষেত্রে এসব দলগুলোকে নিশানা বানানোর কারণে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে অথবা মুসলিম জনসাধারণের সামনে এদের শত্রুতা অস্পষ্ট, সেসব ক্ষেত্রে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুনাফিকদের ব্যাপারে যে কৌশল অবলম্বন করেছিলেন, তা অনুসরণ করে ততক্ষণ পর্যন্ত এই দলগুলোকে নিশানা বানানোর ব্যাপারে বিলম্ব করি, যতক্ষণ না এদের বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যায় এবং সম্ভাব্য ক্ষতির কারণ দূর হয়ে যায়।


    আরও পড়ুন
    ৬ষ্ঠ পর্ব ---------------------------------------------------------------------- ৮ম পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 08-07-2023, 08:03 PM.

  • #2
    জামাআতের কৌশল হলো, জালেম কুফরি শাসনব্যবস্থা এবং তার রক্ষক সশস্ত্র শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো পার্শ্বযুদ্ধে জড়িত না হওয়া। এজন্য রাফেযী, কাদিয়ানী কিংবা ইসমাইলীরা যদি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহ’র বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ না করে, তাদের বিরুদ্ধে জামাআতও যুদ্ধে জড়িত হয় না, বরং নিজেদের সম্পূর্ণ মনযোগ নিবিষ্ট করে কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে, যা এসকল ফিরকাসহ দ্বীনের সকল দুশমনের প্রতিরক্ষা করে এবং তাদের প্রতিষ্ঠার জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করে।
    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সকল দিকনির্দেশনা গুলো মেনে গ্লোবাল জিহাদের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার তৌফিক দিন। আমীন

    Comment

    Working...
    X