Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৮

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৩ || আচরণবিধি আল-কায়েদা উপমহাদেশ || আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ || পর্ব- ০৮

    আস-সাহাব মিডিয়া উপমহাদেশ
    কর্তৃক প্রকাশিত
    আচরণবিধি
    আল-কায়েদা উপমহাদেশ.

    এর থেকে
    পর্ব- ০

    ==================================================
    ===============================

    নবম অনুচ্ছেদঃ বন্দী ও আত্মসমর্পণকারী শত্রুদের বিষয়াদি




    ১। বন্দী ও আত্মসমর্পণকারী শত্রুদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা শুধু জামাআতের আমীর ও নায়েবে আমীরের। তাঁরা ব্যতীত অন্য কারো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই। তবে জামাআতের আমীর এবং নায়েবে আমীর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই শরীয়াহ বিভাগ এবং সামরিক বিভাগের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে মাশোয়ারা করবেন।

    ২। আছলি হারবি কাফেরদের (যেমন, হিন্দু, শিখ, খৃস্টান, ইহুদী ও অন্যান্য বিধর্মীদের) মধ্য থেকে যে ব্যক্তি কয়েদি হয়ে আসবে, তার ব্যাপারে জামাআতের নিম্নোক্ত চারটি অধিকার থাকবেঃ

    - এসব বন্দীর সাথে মুসলিম বন্দী বিনিময় করা যেতে পারে
    - অথবা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া যেতে পারে
    - অথবা অনুগ্রহ করেও তাদের ছেড়ে দেয়া যেতে পারে
    - অথবা তাদের হত্যা করা যেতে পারে

    ৩। হারবি আছলি কাফের বন্দী, যদি মুসলমান হয়ে যায়, তাকে হত্যা করা জায়েয নয়, বরং তার বিনিময় এই শর্তের উপর জায়েয যে, এই বিনিময়ে বন্দীর সম্মতি থাকবে এবং তার আবার কাফের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

    ৪। মুরতাদদের মধ্য থেকে যারা গ্রেপ্তার হয়ে যায়, তাদের ব্যাপারে নিম্নে উল্লেখিত কোনো একটি ব্যবস্থা নেয়া হবেঃ
    i. এই বন্দীকে মুসলমান বন্দীর সাথে বিনিময় করা যেতে পারে অথবা
    ii. এই বন্দীকে শাস্তি (تعزير) বা দণ্ড (حَدّ) স্বরূপ হত্যা করা যেতে পারে। অথবা
    iii. এই বন্দীর বিনিময়ে তার সম্পদ নেয়া যেতে পারে। শুধুমাত্র জামআতের আমীর বা নায়েবে আমীর শরীয়া বিভাগের রায়ের আলোকে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন। অন্য কারও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নেই।

    ৫। জামাআত শত্রুদলে অন্তর্ভুক্ত লোকদেরকে শত্রুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে জামাআতের কাছে আত্মসমর্পণে উৎসাহিত করে এবং মুসলমানদেরকে আহ্বান জানায়– “আপনারা শত্রুদের সারিতে থাকা আপনাদের কাছের মানুষদেরকে দাওয়াত দিন, যেন তারা শরীয়তের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছেড়ে দেয়।” এরকম লোক যদি জামাআতের অন্তর্ভুক্ত হতে চায়, তাহলে জামাআত তাদেরকে জিহাদি কাজে শামিল করতে পারে।

    ৬। শত্রু দলের যারা জামাআতের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরও শত্রুদের মাঝে অবস্থান করবে, তারা জামাআতের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা পাবে এবং তাদের তথ্য গোপন রাখা হবে।


    দশম অনুচ্ছেদঃ জিহাদি দলগুলোর ব্যাপারে আমাদের কর্মকৌশল





    ১। ঐসব দল বা জামাআত, যেগুলো উপমহাদেশে কুফরি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে পুরোপুরি সক্রিয় এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক হলো ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব এবং تعاونوا على البر والتقوى অর্থাৎ সৎকাজ ও তাকওয়ায় সহযোগিতার। আমরা তাদেরকে আমাদের শরীরের অংশ মনে করি, তাদের দুঃখে আমরা দুঃখিত হই এবং তাদের সুখে আমরা খুশি হই।

    ২। জামাআতের প্রচেষ্টা হবে الدين النصيحة অর্থাৎ ‘কল্যাণ কামনাই দ্বীন’-এর আলোকে জিহাদি দলগুলোর পরস্পরে গঠনমূলক সমালোচনা ও সংশোধনের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরী করা। এরই ধারাবাহিকতায় একে অন্যের গোপন দোষত্রুটি সংশোধনের জন্য গোপনে প্রচেষ্টা চালানো এবং প্রকাশ্য ভুলের বিষয়ে সব মুজাহিদ ও সাধারণ মুসলমানদের সামনে বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য প্রকাশ্যে আলোচনা করা হবে। একইভাবে শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড অথবা এমন অপারেশন, যার ফায়দার চেয়ে ক্ষতি বেশি অথবা শরঈ সিয়াসাত ও কর্মকৌশলের সুস্পষ্ট বিপরীত– সেগুলো থেকে নিজেদের ‘বারাআত’ ও সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হবে।

    ৩। পাকিস্তানে সক্রিয় জিহাদি দলগুলো, সামরিক অপারেশনে, লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু সুস্পষ্ট নীতির উপর একমত হলেই কেবল এখানকার জিহাদি কার্যক্রম ইতিবাচক গতিতে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। কাঙ্ক্ষিত এই ঐক্যমত তৈরির জন্য, সংগঠন আলাদা হওয়া সত্ত্বেও একই কর্মকৌশলের উপর একত্র হওয়ার জন্য জামাআত তাদের প্রতি সবিনয় আবেদন করে। এরই ধারাবাহিকতায় জামাআত ভ্রাতৃস্থানীয় অন্য জিহাদি দলগুলোর সাথে সম্মত নীতিগুলোর উপর চুক্তির আওতায় জোট গঠন করতে চেষ্টারত এবং তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

    ৪। বিবৃত ৩ নম্বর পয়েন্টের আওতায়, আমরা ভারত উপমহাদেশে কর্মরত জিহাদি জামাআতগুলোকে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের বাইআতের দাওয়াত দেই। কারণ এই ভূখণ্ডে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের বাইআত, জিহাদি বিষয়াদিতে শরীয়তের অনুসরণ এবং শরঈ রাজনীতির ভিত্তিতেই একটি ফলপ্রসূ ও সুসংগঠিত জোট গঠিত হওয়া সম্ভব।

    ৫। জামাআত ভ্রাতৃস্থানীয় অন্য জিহাদি সংগঠনগুলোকে উল্লেখিত ‘আচরণবিধি’ মোতাবেক, সম্মিলিত অপারেশনেরও দাওয়াত দেয়। দ্বীনের বিজয় ও জিহাদকে শক্তিশালী করার জন্য এই বিষয়ে জামাআত প্রত্যেক সংগঠনকে খোলামনে সাহায্য করে।

    ৬। জামাআত উল্লেখিত ৩ নম্বর পয়েন্টের আওতায়, সকল জামাআতের মাঝে দাওয়াতি, আদর্শিক, তারবিয়াতি, শরঈ এবং সামরিক বিষয়গুলোতে পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।

    ৭। বিপদসঙ্কুল ও প্রতিকুল পরিস্থিতিতে এসব জামাআতের সাথে সব ধরনের সহানুভূতি ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখে।

    ৮। সকল জামাআতকে সমানভাবে প্রভাবিত করে, এমন বিষয়ে আমাদের মাশোয়ারার দরজা সবার জন্য সর্বদা উম্মুক্ত এবং এধরনের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্তে সকল জামাআতকে সঙ্গে নিয়ে এক নীতিতে চলার চেষ্টায় আমরা সদা সচেষ্ট ইনশাআল্লাহ।

    ৯। যদি কোনো দল বা সংগঠন, মানহায বা পদ্ধতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে আল-কায়েদা উপমহাদেশের সাথে একত্রিত হতে চায়, তাহলে তাদের জন্যও আমাদের দরজা খোলা।

    ১০। পাকিস্তান, কাশ্মীর, ভারত, বাংলাদেশ ও আরাকানে (বার্মায়), (সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবমুক্ত) জিহাদি জামাআতগুলোর সাথে এসব নীতির ভিত্তিতেই কাজ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    ১১। ঐসকল জিহাদি জামাআত, যেগুলো শরীয়তের শত্রু - গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে কোনো ভূখণ্ডে কর্মরত, আমরা তাদের দাওয়াত দেই– তারা যেন নিজেদেরকে এসব সংস্থার প্রভাব ও নির্ভরশীলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে। যাতে মাজলুম জনতার সাহায্য এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, তাগুতী সশস্ত্রবাহিনী এরকম জামাআতের জিহাদের ফলকে পরিশেষে ধ্বংস করে দেয়। কাশ্মীরের জিহাদ এর সুস্পষ্ট উদাহরণ।

    একাদশ অনুচ্ছেদঃ গণতান্ত্রিক ইসলামী দলগুলোর ব্যাপারে আমাদের কর্মকৌশল

    ১। গণতন্ত্রকে আমরা শরীয়তের আলোকে কুফরি মনে করি। এতে যে কোনো দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে যে কোনো দলের অন্তর্ভুক্তি শরীয়ত প্রতিষ্ঠায় সাহায্যের পরিবর্তে কুফরি শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে। তারপরও আমরা কখনোই গণতন্ত্রে অংশ নেয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে কাফের মনে করি না।

    ২। গণতন্ত্রে অংশ নেয়া ইসলামী দলগুলো ‘দ্বীনি ফায়দা’র জন্য গণতন্ত্রে অংশ নেয়ার অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দেয়। যেমন মাদরাসাগুলোর সুরক্ষা, পার্লামেন্টের মাধ্যমে ধর্মহীনতার বন্যাকে বাঁধ দেয়া অথবা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠা করা ইত্যাদি। দ্বীনের সেবা অথবা শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার এসব ব্যাখ্যাকে আমরা বাতিল মনে করি। কিন্তু এসব কারণে না আমরা তাদের তাকফির করি, না তাদেরকে সামরিক টার্গেট বানানো জায়েয মনে করি। তবে যেহেতু তাদের এই কাজ কুফরি শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, এজন্য আমরা দাওয়াতের মাধ্যমে তাদেরকে এই হারাম কাজ থেকে বিরত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করি।

    ৩। এসব জামাআতের ‘সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ’- এর মত নেক কাজগুলোকে আমরা খোলাখুলি উৎসাহিত করি এবং গণতান্ত্রিক খেল-তামাশা ও অন্যান্য ভুলত্রুটির বিষয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা ও নসিহত করি।


    আরও পড়ুন



    Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 08-09-2023, 09:06 AM.

  • #2



    يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا إِن تُطيعُوا الَّذينَ كَفَروا يَرُدّوكُم عَلىٰ أَعقٰبِكُم فَتَنقَلِبوا خٰسِرينَ

    হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি কাফেরদের অনুসরণ কর, তাহলে ওরা তোমাদেরকে পেছনে ফিরিয়ে দেবে( অর্থাৎ কাফের বানিয়ে দিবে), তাতে তোমরা ক্ষতির সম্মুখীণ হয়ে পড়বে।সূরা আল ইমরান।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      ঐসকল জিহাদি জামাআত, যেগুলো শরীয়তের শত্রু - গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তত্ত্বাবধানে কোনো ভূখণ্ডে কর্মরত, আমরা তাদের দাওয়াত দেই– তারা যেন নিজেদেরকে এসব সংস্থার প্রভাব ও নির্ভরশীলতা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে। যাতে মাজলুম জনতার সাহায্য এবং শরীয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়। কারণ ইতিহাস সাক্ষী, তাগুতী সশস্ত্রবাহিনী এরকম জামাআতের জিহাদের ফলকে পরিশেষে ধ্বংস করে দেয়। কাশ্মীরের জিহাদ এর সুস্পষ্ট উদাহরণ।
      সকল জিহাদি দলগুলো এক আমিরের অধীনে থেকে জিহাদ করলে সর্বাধিক ফায়দা তুলে আনা সম্ভব। আর এটা তখনি সম্ভব, যখন মুজাহিদরা প্রকৃতই আল্লাহ তাআলার জন্য জীবন উৎসর্গ করার দৃঢ় সঙ্কল্প করবে। নিজ খায়েশাত পূরণের জন্য যারা জিহাদ করতে চায়, তাদের দ্বারাই মুজাহিদদের কাতারে বিভক্তি আসে, ঐক্য তখন সুদূর পরাহত...

      Comment

      Working...
      X