Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৯ || ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ || উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন || ২য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৯ || ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ || উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন || ২য় পর্ব


    আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া পরিবেশিত
    বাংলায় অনূদিত আস-সাহাবের মুক্তিপ্রাপ্ত ভিডিও
    ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ
    -শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্যের অনুলিখন||

    এর থেকে = ২য় পর্ব
    ==================================================
    =====

    আমরা আমাদের প্রথম সারির নেতৃত্বের আসল রুপ চিনি আর কুফ্ফারদের প্রতি তাদের নত:শীর মনোভাবের সাথেও ভালোমতই পরিচিত, কিন্তু সবচেয়ে খারাপ এবং তিক্ততর ঘটনা হচ্ছে তারা তাদের পরে হাল ধরার জন্য আরও কিছু নেতা তৈরী করে ফেলেছে। যতদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় সারির নেতাগন এবং তাদের কাছের লোকেরা এই সব নেতৃবর্গের মননকে এবং মিষ্ট কথাকে এই মিথ্যার বিরুদ্ধে পুত:পবিত্র না করবে বা তাদেরকে পরিবর্তন করে নতুন নেতৃত্ব না আনবে, এই উম্মাহ ততদিন পর্যন্ত আল-আকসা কে মুক্ত করার জন্য কিছুই করতে পারবে না, কারণ তারা উম্মাহর এই অদ্ভুত অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা একটি রেল লাইনের মত যাতে বছরের পর বছর একটি ট্রেন স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে যার মাথায় রয়েছে প্রথম সারির নেতৃবর্গ, আর তার পরে দ্বিতীয় সারির এবং কাছের লোকেরা, আর তারা যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    কাজেই আল-আকসাকে মুক্ত করতে হলে একটাই পথ খোলা আছে, আর তা হল আমাদের পথ থেকে এই ট্রেন গুলোকে সরিয়ে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে; কিন্তু তা খুবই কঠিন পথ যদি না মুসলিমদের অধিকাংশ তাদের ঘুম থেকে জেগে না উঠে এবং নিন্দনীয় জাতয়তা ও ব্যক্তি কেন্দ্রিকতার মায়াজাল থেকে বের না হয়ে আসতে পারে। তারা যাই হোক না কেন, শাসক, আলেম, ইসলামিক নামধারী দলের প্রধান এদের সবাইকেই ত্যাগ করে তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে হলেও তাদের উপদেশ দিতে হবে এবং সত্যকে তাদের উপর প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যদি মুসলিমরা তা না করে, তবে তাদের এই কাজ তাদেরকে পূর্ববর্তীদের মতই ধ্বংস করে দিবে, আর এই কারণেই উম্মাহ অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুল ভাঙ্গতে যুগ যুগ ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে, আর মনে হচ্ছে তারা আল্লাহ রাসূলের সা: সেই বাণীর অর্থ অনুধাবন করতে পারেনি, “আল্লাহর কসম, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমা চুরি করত, তবে আমি তার হাত কেটে দিতাম।” [সম্মতিক্রমে]


    প্রজন্মের আত্মশুদ্ধির জন্য কুরআন হাদিসের পরামর্শগুলো আমাদের মধ্যে প্রয়োগ করতে হবে, আর আমাদের বুঝতে হবে যে সত্যই সব কিছুর উপরে, আর মাতৃভুমি, ব্যক্তি এবং দলের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার চেয়ে সত্যের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা অধিক জরুরী। পৃথিবীর আর সকল মানুষের কথা গ্রহনযোগ্যও হতে পারে, বা অগ্রহনযোগ্যও হতে পারে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ব্যতীত, যিনি বলেছেন, “নসিহত করাই আমাদের দ্বীন” [তিরমিযি, নাসা’ঈ, আহমাদ]। কাজেই আমরা যদি তাতে অবহেলা করি, তবে আমরা আমাদের দ্বীন থেকে বিচ্যুত হয়ে যাব। এটাই আমাদের বাস্তবতা, আর উমার রা: বলেছেন, “আমরা হচ্ছি সেই জাতি যাকে আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন, কাজেই আমরা যখনই অন্য কোন কিছুতে সম্মান খুঁজব, আল্লাহ আমাদের অপমানিত করবেন।” সুতরাং যারা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, তারা উপদেশ গ্রহন কর।

    আর নেতৃত্বের প্রশ্নে যদি ফেরত আসি, আল-আকসাকে স্বাধীন করার জন্য দরকার একটি সত্যিকার, ন্যয়পরায়ন, স্বাধীন, শক্তিশালী, বিশ্বাসী নেতৃত্বের যা এই বিশাল বিস্তৃত ঘটনাগুলো সামাল দিতে সক্ষম, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সম্বন্ধে যারা ফিকহি জ্ঞানে জ্ঞানী, শারিয়াহর ফিকহ সম্বন্ধে যারা জ্ঞাত, যিনি বিশ্বের সকল ইসলামিক দেশগুলোতে শাখা সহ শুরা গঠন করবে যা সব জায়গায় সময়মত তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করবে, উম্মাহর মধ্যে আইনগত ও রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে তুলবে, তখনই উম্মাহ মনন অজ্ঞতা ও অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাবে, আর উম্মা আত্মা সেইসব শাসকদের দাসত্ব এবং নতী স্বীকার করা থেকে মুক্তি পাবে যারা নিজেরাই উম্মাহর শত্রুদের নিকট মাথা নত করে দাসত্ব স্বীকার করে নিয়েছে।

    আমরা বর্তমান যে অবস্থায় বেঁচে আছি তার ভয়াবহতা অনুধাবন করা এবং এই পরিস্থিতির পিছনে আমাদের শাসকদের ও তাদের সহযোগীদের ভুমিকা বুঝতে পারাই এই অন্ধকার অধ্যায় থেকে বের হবার জন্য উম্মাহর প্রেরণার প্রাথমিক ৎস এই বাস্তবতার সাথে এখানে অবশ্যই শারিয়ার ফিকহি সিদ্ধান্তগুলো প্রয়োগ করতে হবে, আর তাহলেই আমাদের এই আন্দোলন সরল পথে পরিচালিত হবে, অপমানজনক অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে এবং আমাদের শত্রুদের কাছে নতশীল শাসকগোষ্ঠীর শোষণ থেকে মুক্তি মিলবে।

    এই শুরা কমিটিকে অবশ্যই শাসকদের কাউন্সিলের যে কোন ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে, তাদেরকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে এবং তাদের এই শুরাতে তাগুতী দুষ্টু আলেমদের মাধ্যমে গোপনে প্রবেশ করার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকতে হবে, যেমনটি আমাদের বেশ কিছু দেশের শুরা কমিটিতে আমরা লক্ষ্য করেছি। আমাদের আর একটি কর্তব্য হচ্ছে এই বিষয়ক যত শারিয়ী হুকুম আছে তার দালীল সবার মধ্যে প্রচার করা, যেমন: যথেষ্ট পরিমান সামর্থ্য না হওয়া পর্যন্ত জিহাদ করা সবার জন্য ফরয হয়ে যায়, গাজা চলমান ঘটনাগুলো নিয়ে বিভিন্ন আলেমের প্রকাশিত ফাতওয়াগুলোর প্রচার করা যাতে বলা হয়েছে যে, কেউ যদি ইসলামের শত্রুদের মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাহায্য সহযোহিতা করে তবে সে ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে যায়, আর এই ফাতওয়া থেকে অন্যান্য হুকুমের যে শাখা প্রশাখা গুলো বের হয়েছে।

    আমি আলেম এবং দায়ী’দের সামনেও কিছু প্রস্তাব রাখতে চাই, তাদের অনুরোধ করতে চাই তারা যেন এগুলোকে পরিপূর্ন এবং যথার্থ করার জন্য সম্ভব সকল প্রচেষ্টাকে চালু রাখে। এই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে:

    প্রথমত, উম্মাহকে পরামর্শ দেবার মত আলেম, দায়ী’, চিন্তাবিদ এবং লেখকদের একটি লিস্ট তৈরী করা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ন ও পরিচিত লেখাগুলোরও লিস্ট তৈরী করে তা উম্মাহর জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। আর তাদের কাজের বা লেখার কিছু অনৈচ্ছিক ভুল থাকতে পারে যেগুলো কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো উচিত নয়: বরঞ্চ এই ভুলগুলো নোট কর তার ব্যাপারে পরামর্শ করা যেতে পারে; তা না হলে আমাদের মধ্যে আর কোন আলেমকেই অবশিষ্ট পাবো না, তাদের কথা নাই বা বললাম যারা পুরোপুরি আলেম হিসেবে স্বীকৃত নন। আর ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক যারা নেতৃত্ব দিতে চায় তাদের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

    উম্মাহর জীবনে এবং চিন্তা চেতনায় আইনী বিষয় নিয়ে ধ্যান ধারনার পরিবর্তন ঘটাতে হবে, এই সম্বন্ধে বেশ কিছু উপকারী বই পাওয়া যায় যার মধ্যে:
    • শায়েখ আব্দ আল-রহমান বিন হাসান আল শাঈখ এর “Achievement of the Glorious”, যাতে তাওহীদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করা হয়েছে এবং শিরক সম্বন্ধে সতর্ক করা হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কবরের শিরক এবং রাজপ্রাসাদের শিরক।
    • শায়েখ মুহাম্মাদ কুতুব এর দুটি বই, “Concepts which must be corrected”, “Are we Mulsims”
    • মুজাহিদ শায়েখ নাসির বিন হামদ আল ফাহাদ (আল্লাহ তাকে রিয়াদের কারাগার থেকে মুক্ত করুন) এর “The Clarification of the Unbelief of He Who Aids the Americans”

    পঞ্চম আর একটি বই আছে যা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের সকল রাজতন্ত্রের বিশ্লেষন করেছে, যদিও এর শিরোনাম হচ্ছে “The Saudi Regime on the Scales of Islam”এছাড়াও আরও অনেক সুন্দর এবং উপকারী বই এখন ইন্টারনেটেই পড়ার সুযোগ আছে, যেমন al-Tawheed wal-Jihad ওয়েবসাইটটি।

    দ্বিতীয়ত, উম্মাহকে এই সত্য ভালোমতো জানিয়ে এবং বুঝিয়ে দেয়া যে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে -যাতে উম্মাহ সতর্ক হতে পারে এবং সেই সকল বৈধ করে ফেলা পরিভাষাগুলোর মৃত্যু হয়ে যায় যার পিছনে আড়াল নিয়ে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ গুলে করা হচ্ছে। এই বৈধ করে ফেলা নামগুলোকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে এবং তা ছড়িয়ে দিতে হবে। এখানে কিছু উদাহরণ দেয়া হল:
    • হারাম সুদকে নতুন নাম দিয়ে হালাল করার চেষ্টা, সুদকে বলা হচ্ছে ‘মুনাফা’ বা ‘ইন্টারেষ্ট’, আর সুদি ব্যাংক গুলোকে বলা হচ্ছে ‘ব্যবসায়ী ব্যাংক’।
    • তারা হারাম মদকে ‘স্পিরিট’ বা অন্যান্য নাম দিয়ে হালাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
    • যখনই তারা আল্লাহর রাস্তায় কাউকে জিহাদরত দেখছে তখনই তারা ইসলামের এই ড়ার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে আর জিহাদকে বলছে ‘হিংস্রতা’ বা ‘সন্ত্রাসবাদ’।
    • যখন তারা আল্লাহর দুশমনদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করে ইসলামের গন্ডি থেকে বের হয়ে যায়, তখন যারা তাদের বিরুদ্ধাচরণ করে তাদেরকে তারা ‘তাকফিরি’ বলে ধর্ম ত্যাগীর শাস্তি প্রদান করে।


    আর তারা এখন বিভিন্ন আইনি ভাষার ব্যবহার করছে শুধু এই জন্য যে তারা কুফ্ফার, ধর্মত্যাগী, জিন্দিক এবং মুনাফিকদের অন্য নামে ডাকবে। যেমন তারা এখন ছলচতুরির আশ্রয় নিয়ে এমন সব শব্দমালা ব্যবহার করছে যেমন, ‘আন্ত:ধর্মীয় আলোচনা’, ‘মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা’, ‘কথার স্বাধীনতা’, ‘শান্তিপূর্ন সহাবস্থান’, ‘বন্ধু রাষ্ট্র’। একই সাথে তারা ক্রুসেডারদের যুদ্ধকে সহযোগীতা করার চুক্তিপত্র সাক্ষর করছে যখন ইহুদী এবং খ্রিষ্টানরা আমাদের ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করছে ফিলিস্তিনে, ইরাকে, আফগানিস্তানে, ওয়াজিরিস্তানে, সোমালিয়ায়, কাশ্মিরে, ফিলিপিনে এবং চেচনিয়ায়। কাজেই যারা এই বিশাল কর্মকান্ডকে সহনীয় করার জন্য বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন নামে এগুলোকে প্রচার করছে, তাদের উপর নজরদারী রাখতে হবে, তাদের সত্যগুলোকে সবার সামনে খুলে দিতে হবে এবং তার প্রচার করতে হবে।

    আরও পড়ুন
    ১ম পর্ব ------------------------------------------------------------------------------------------------ শেষ পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 12-01-2023, 11:09 AM.

  • #2
    al-Tawheed wal-Jihad এর সম্পূর্ণ লিংকটা দিবেন ভাই।

    Comment


    • #3
      Originally posted by ইবনে আদম View Post
      al-Tawheed wal-Jihad এর সম্পূর্ণ লিংকটা দিবেন ভাই।
      এটা অনেক পুরোনো একটা ওয়েবসাইট ভাই, এখন আর সচল নেই,
      তবে আপনি চাইলে আর্কাইভে সার্চ দিয়ে পুরোনো ব্যাকআপগুলো দেখতে পারেন।
      আর এই ফোরামের পিছনের পোস্টগুলো ভিজিট করলেও আপনি ঐ ওয়েবসাইটের অনেক আর্টিকেল বা পোস্টের অনুবাদ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
      এছাড়াও https://gazwah.net সাইটেও আপনি ঐ সাইটের অসংখ্য ম্যাটেরিয়াল পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ বাংলাতেই।

      Comment

      Working...
      X