Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১১ || “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”|| ‘গণতন্ত্র মুসলিমদের যা ছিনিয়ে নিল...’ ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ৪র্থ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১১ || “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”|| ‘গণতন্ত্র মুসলিমদের যা ছিনিয়ে নিল...’ ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ৪র্থ পর্ব

    আন-নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”|| তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও!|| দ্বিতীয়পর্ব।।‘গণতন্ত্র মুসলিমদের যা ছিনিয়ে নিল...’।।উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ এর থেকে || ৪র্থ পর্ব

    ==================================================
    =====




    প্রিয়ভাই ও বন্ধুগণ!

    অতঃপর গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কথা হচ্ছে: গণতন্ত্র পাশ্চাত্যের হোক বা প্রাচ্যের হোক, পাকিস্তানের হোক বা হিন্দুস্থানের হোক; তার মেরুদন্ড কেন্দ্র কিন্তু কখনো আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগী করা নয়, নয় আল্লাহ তাআলার গোলামী করাও বরং তা হচ্ছে: তাঁর পবিত্র সত্ত্বার গোলামীর স্থলে মানুষের গোলামী করা এখানে সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে প্রতাপশালী শ্রেনীর অভিলাষগুলো পূরণ করা। এক কথায় গণতন্ত্র হলো: لاالہ الاالانسان অর্থাৎ ‘মানুষ ছাড়া কোন মাবুদ নাই’ এর বাস্তব নমুনা। কেননা, এখানে মানুষরূপী শয়তানদের অভিলাষ ও কামনার ইবাদত করা হয়। অথচ ইসলামের মূল মর্মবাণীই হচ্ছে: মানুষ সম্পূর্ণভাবে মহান আল্লাহ তা‘আলার সামনে ঝুঁকে যাবে, আত্মসমর্পন করবে। এই কালিমা لاالہ الااللہ সেই সকল ইচ্ছা এবং সেই সকল অভিলাষ থেকে বিরত থাকার ওয়াদা, যা আল্লাহ সুবহানাহু তাআলার অপছন্দ

    মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন-

    وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ.


    আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী তাদের মাঝে বিচার নিষ্পত্তি কর তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না(অর্থাৎ তাদের অভিলাষ এবং নাজায়ে আকর্ষণের প্রতি ঝুঁকে যেও না)এবং তাদের সম্বন্ধে সতর্ক হও, যাতে আল্লাহ যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন, তারা তার কিছু হতে তোমাকে বিচ্যুত না করে।”(সূরা মায়েদা-৪৯)

    মুহতারাম ভাইয়েরা আমার!

    এটাই হচ্ছে ইসলামের আসলরূপ এটাই হচ্ছে আল্লাহর দ্বীনের প্রকৃত স্বরূপ যেখানে আল্লাহ তায়ালার বিধানাবলীর ক্ষেত্রে অজ্ঞ লোক সংকীর্ণমনা মানুষদের নাজায়ে অভিলাষের উপর উৎসর্গিত হওয়া যায় না বরং সকল অভিলাষ মানুষের খালিক-সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সেই পবিত্র দ্বীনের অনুগামী হয়ে থাকে; যে দ্বীন শুধুমাত্র প্রজ্ঞা উপকার দান করে থাকেএ সকল আসমানী হিদায়াতের বিপরীতে গণতন্ত্র ঘোষণা করে থাকে যে, মানুষদের বিষয়াবলী তাদের মর্জি মোতাবেক পরিচালনা কর। তাদের সকল বৈধ-অবৈধ অভিলাষের অনুগামী হও এবং সর্বদা সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখ যাতে তাদের কোন চাহিদার বিরোধিতা করা না হয়, যার কারণে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়! বিষয়টা কেমন জানি এমন হয়ে গেল যে, আল্লাহ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হলে হোক কিন্তু তারা(জনগণ) যাতে অসন্তুষ্ট না হয়!! (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

    প্রিয় ভাইয়েরা আমার!

    আপনারা নির্বাচনে দেখেছেন যে, তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও টার্গেট কি ছিল? সাধারণ জনগণকে অসৎকাজ থেকে বিরত রাখা কি তার উদ্দেশ্য ছিল? তাদেরকে সৎকাজের দিকে আহবান করা এবং সৎকাজের রক্ষনাবেক্ষনের নিমিত্তে উৎসর্গিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা কি উদ্দেশ্য ছিল? নাকি ভাল-মন্দ পার্থক্য করা ব্যতিরেকেই ভাল-মন্দ সকল ধরনের লোকদেরকে সন্তুষ্ট করা এবং তাদের সহযোগিতা হাসিল করার জন্যই এখানে সকল প্রয়াস ব্যয় করা হয়েছে?

    মুহতারাম ভাইয়েরা আমার!

    মহান রাব্বুল আলামীনের ঘোষণা হলো-إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ অর্থাৎ আদেশ আইন একমাত্র আল্লাহর চলবে কিন্তু এর বিপরীতে গণতন্ত্র ঘোষণা করেছে যে, ان الحکم إِلَّا للشعب অর্থাৎ আদেশ বা আইন শুধুমাত্র জনগণের চলবে! গণতন্ত্র বলে: People are the supreme power অর্থাৎ জনগণের অভিলাষ ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন চলবে! অধিকাংশ জনগণের অভিলাষ ইচ্ছা অনুযায়ী চলবে, যাদের (জনগণের) সরলতার অবস্থা হলো: যে ব্যক্তি সবচেয়ে বেশী ভালভাবে জালিয়াতি করতে পারবে; তারা তার পিছনেই ছুটে চলবেঅথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের অধিকাংশ লোকদের ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন-
    وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَمَنْ فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنْ يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّايَخْرُصُونَ.


    যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে(তা এই জন্যে যে) তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে” (সূরা আনআম-১১৬)

    এখন আপনি যদি একলক্ষ বার সংবিধানে আল্লাহর হাকিমিয়্যাত তথা হুকুমতের একটি ধারা লিখে দেন বা একলক্ষ বার এই নাপাক গণতন্ত্রের সাথে ইসলামী হুকুমতের আদান-প্রদান শুরু করে দেন, তাহলে বাস্তবে এটা কেমন হবে? তখন কার বিধানুয়ায়ী ফায়সালা করা হবে? দুইটির মাঝে কোন ফায়সালাগুলোর একেকটি ধারাকে দলীল হিসাবে পেশ করা হবে? দলীল হিসাবে পেশ করার মত মর্যাদা আল্লাহর নাযিলকৃত শরীয়াহর আছে কি? না, তাদের কাছে নেই! তা শুধু কতিপয় সেই সকল লোকদের জন্য-ই, যারা ভীতি প্রদর্শন, ধান্ধাবাজি ও ধোঁকাবাজির মাধ্যমে নিজেই নিজেকে জনগণের প্রতিনিধি হিসাবে দাবি করে এবং তথাকথিত জনগণের এই প্রতিনিধি যখন নির্বাচিত হন, তখন তার অভিলাষগুলোই গণতন্ত্রের ‘পবিত্র’ আইন হিসেবে প্র্রণয়ন করে থাকে!




    অতঃপর প্রিয় ভাইয়েরা!

    এখানে আরেকটি বিষয়ের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজনতা হলো: গণতন্ত্রকে লক্ষ লক্ষ জনতার শাসন বলা হয়, অথচ কক্ষনো এটা জনগণের শাসন নয়, বরং বাস্তবতা হচ্ছে: গণতন্ত্র ঐ সমস্ত লোকদের ক্ষমতার নাম, যা জনগণকে ক্ষমতা, মিথ্যা ও প্রতারণার মাধ্যমে পথভ্রষ্ট করে দেয় আপনি পাকিস্তানে দেখুন! এ সমস্ত ক্ষমতা দ্বীনের দুশমন সেনাবাহিনী এবং ধর্মহীন মিডিয়ার ধনী লোকদের হাতে বিদ্যমান রয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রের শক্তি আর মিডিয়ার মিথ্যাচার ও জাদুর মত ক্ষমতা থাকার দরুন এই উভয়টি জনগণকে কাবু করে ফেলে তাই এসেম্বলিতে যদি কোন সিট পাওয়া যায়, ক্ষমতার প্রাসাদের স্বাদ যদি কিছু দিনের জন্য ভোগ করতে হয় অথবা যদি কমপক্ষে ক্ষমতার মসনদে থাকতে হয়, তাহলে সেনাবাহিনী ও মিডিয়াকে সন্তুষ্ট রাখা জরুরী আজ আপনাদের সামনে এসব কিছুই বিদ্যমান রয়েছে প্রধানমন্ত্রী কে হয়েছেন? কিভাবে হয়েছেন? সেনাবাহিনীর অস্ত্র আর মিডিয়ার জাদুর মত ক্ষমতা ব্যতীত এই নাট্যমঞ্চ সাজানো কি সম্ভরপর ছিল? এই বাস্তবতা বুঝার পর; সম্প্রতি পাকিস্তানে আমাদের রাজনৈতিক দ্বীনি ভাইয়েরা সেনাবাহিনী ও ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়াকে সন্তুষ্ট রাখাকে নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য স্থির করে নিয়েছেন আর এ কারণেই সেনাবাহিনীর নির্লজ্জ অত্যাচার, ইসলামী শরীয়াহর সাথে তাদের শক্রতার প্রচন্ড যুদ্ধক্ষেত্র অথবা ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়ার নির্লজ্জতা ও ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণের ক্ষেত্রসহ সকল ক্ষেত্র বিদ্যমান থাকার পরও আমাদের রাজনৈতিক দ্বীনি ভাইয়েরা এই শ্রেণীর লোকগুলির সাথে তাদের সন্তুষ্টির বহির্প্রকাশ করতে দেখা যায়!

    প্রিয় ভাইয়েরা!

    সম্প্রতি পাকিস্তানে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা ইসলামী জীবনাচারকে তার গোঁড়া থেকে উপড়ে ফেলছে এবং ইসলামের উপর সকল দিক থেকে আক্রমণ করে যাচ্ছে কিন্তু তাদের সম্মুখে আমাদের রাজনৈতিক দ্বীনি ভাইয়েরা মাথানত অবস্থায় নিজেদের পরিচ্ছন্নতা পেশ করছে! তারা ঐ সমস্ত ধর্মহীনদের সামনে এমনভাবে উজর-আপত্তি পেশ করে থাকে যে, নাউযুবিল্লাহ তাদের এই দ্বীনদারীর পরিচয় যেন মারাত্মক অপরাধের বিষয় যে, তাকে গোপন করার মাঝেই সফলতা নিহিত! তাদের প্রয়াস হচ্ছে: কিভাবে এই ধর্মনিরপেক্ষ ও দ্বীনের দুশমনেরা তাদেরকে নিজেদের পৃষ্ঠপোষক ভাববে অর্থাৎ যাদেরকে তাদের দাওয়াত দেয়া উচিত ছিল, যাদের অনিষ্টতাকে তাদের মুকাবিলা করা উচিত ছিল; আজ তারা তাদের থেকেই নিজেদের দাওয়াতকে লুকায়িত রাখে ও তাদের অসুন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে এবং তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করাকে নিজেদের সফলতার পথ বলে বিবেচনা করে থাকে!! কিছুদিন পূর্বে এক দ্বীনি জামাতের প্রধানের কাছ থেকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান সাক্ষাৎকার গ্রহন করে। সাক্ষাৎ গ্রহনকারী প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন: সেক্যুলারিজম তথা ধর্মনিরপেক্ষতা কি? তখন সেই মুহতারাম এভাবে জবাব প্রদান করেন যে, আমার জনগণের সমস্যা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়। বরং আমার জনগণের মৌলিক সমস্যা হচ্ছে: অসচ্ছলতা, বেকারত্ব এবং মৌলিক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে বঞ্চিত হওয়া। হায় আল্লাহ! বিশ্বাস হচ্ছিল না যে, একজন দ্বীনি নেতা এমন কথা কিভাবে বলতে পারেন!!! একটি সময় এমন ছিল, যখন ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মহীনতার মোকাবিলা করাই দ্বীনি দলগুলোর প্রধান টার্গেট হত এবং তারা আল্লাহ তা‘আলা থেকে দুরত্ব অবলম্বন এবং দ্বীনের দুশমনদের এই ক্ষমতাকেই অসচ্ছলতা, বেকারত্ব ও নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ হিসাবে বিবেচনা করতেনকিন্তু বর্তমানের অবস্থা দেখুন! স্বয়ং দ্বীনি দলগুলোর প্রধানরা পর্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষতাকে একটি সমস্যা বলতেও নারাজ! এই কারণেই উল্লেখিত নেতার কাছ থেকে যখন পাকিস্তানে বিদ্যমান সমস্যাগুলির সমাধান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন তিনি বলেছিলেন “আইনের শাসন, সম্পদের সুষম বন্টন এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ”!! বর্তমানে এই সমস্ত কথা-বার্তা সকল ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিই বলে থাকেতাহলে এখন বলুন! দ্বীনি দল ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির উদ্দেশ্যের মাঝে আর কোন মৌলিক পার্থক্য বাকি থাকলো কি?!

    ভাইয়েরা আমার!

    আফসোস লাগে! কারণ, একটা সময় এমন ছিল যে, যখন ধর্মনিরপেক্ষবাদ ও ধর্মহীনতা খতম করাই আমাদের দ্বীনি দলগুলোর মূল টার্গেট হতঅথচ আজ এই গণতন্ত্রেরই ফলাফল যে, স্বয়ং আমাদের দ্বীনদার ভাইয়েরা ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের শিকারে পরিণত হওয়ার দৃশ্য সামনে আসছে। আরো আফসোসের কথা হচ্ছে; এ জাতীয় সকল চাটুকারিতা দ্বীনের নুসরতের নামে চলছে! এ জাতীয় সকল বাতিল রাজনীতির জন্য “দাওয়াতি মাসলাহাত”অর্থাৎ ‘দাওয়াতী স্বার্থ’ পরিভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে! অথচ বাস্তবতা হলো: যে মাসলাহাতের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তার সাথে দ্বীনের কোন সম্পর্ক নেই!! এই স্থানে ‘তাফসীর ফি যিলালিল কুরআন’এর লেখক শহীদ মুফাসসির সায়্যিদ কুতুব রহ. এর কথা উদ্ধৃত করা ফায়েদা থেকে খালি হবে না, ইনশা আল্লাহ। তিনি শরীয়াহর সীমারেখা ও বিধিনিষেধ থেকে উর্ধ্বে উঠার এই দাওয়াতী মাসলাহাতের ব্যাপারে বলেন:

    “দাওয়াতি মাসলাহাত”নামের এই পরিভাষা দাঈর নিজস্ব অভিধান থেকে মুছে ফেলে দেয়া উচিত কেননা, তার মাধ্যমেই শয়তান আত্রুমণ করে থাকে তার মাধ্যমেই দাঈকে ফাঁসানো ও অধ:পতিত করা হয় তার মাধ্যমেই শয়তান তাকে দাওয়াত ও দ্বীনের ফায়েদার নামে প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং লাভের রাস্তা দেখায়। পরবর্তীতে “দাওয়াতি মাসলাহাত”এমন একটা মূর্তিতে পরিবর্তিত হয়ে যায় যে, ফলশ্রুতিতে দ্বীনদার ব্যক্তিরা তার আরাধনা/পূজা করা শুরু করে। আবার কখনো কখনো সে প্রকৃত দাওয়াত ও সুষ্পষ্ট মানহাযকে পর্যন্ত ভুলে যায়! দ্বীনের দাঈীদের জন্য আবশ্যক হলো: দ্বীনের এই দাওয়াত তার আসল তরীকার সাথে জুড়ে দেওয়া; যা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে প্রেরিত হয়েছেতাদের উপর আরো আবশ্যক হলো: সে এই সুষ্পষ্ট মানহাযের উপর দৃঢ় থাকবে। তবে তাকে এ দিকে লক্ষ্য রাখার কোন প্রয়োজন নেই যে, তার দাওয়াতের ফলাফল কি হবে? তা এই জন্য যে, এই গণতন্ত্রের রাস্তায় চলার দ্বারা সবচাইতে আশংকাজনক বিষয় হলো: দাঈী এর দ্বারা দাওয়াতের সহীহ মানহায থেকে পথচ্যুত হয়। আর এই পথচ্যুতিই প্রকৃত ধ্বংসের কারণ হয়। চাই তা ছোট হোক বা বড় হোক অথবা অন্য যেকোন কারণেই হোক না কেন। কেননা, দাওয়াতের উপকারিতা ও অপকারিতা আল্লাহ তা‘আলার কব্জায়। তিনি কোন দাঈীকে এমন কোন উপকারিতা পৌছাঁনোর দায়িত্ব অর্পণ করেননি, যার হুকুম তিনি তাকে দেননি। বরং দাঈীকে আল্লাহ তা‘আলা একটি বিষয়েরই জিম্মাদার নিযুক্ত করেছেন এবং দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটা হলো: দাওয়ার পথে সে যাতে প্রকৃত রাস্তা থেকে বিচ্যুত না হয়ে যায় এবং এক মূহুর্তের জন্যও যাতে প্রকৃত রাস্তা থেকে পৃথক না হয়ে যায়


    প্রিয় ভাইয়েরা আমার!

    গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাথে জড়িত ভাইয়েরা নিজেদের এই যাত্রার ক্ষেত্রে কিছু উপকারিতার কথা বলে থাকেন এবং কতিপয় কীর্তিকলাপও উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা কি কীর্তিকলাপ! যদি ধরে নেয়াও হয় যে, তা কীর্তিকলাপ, তাহলে কি তার কারণ রাজনৈতিক নির্বাচন? এই বিষয়ের উপর সামনের পর্বে আলোচনা করা হবে, ইনশা আল্লাহ
    وآخر دعوانا أنِ الحمدُ للهِ ربِ العالمين .والسلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه


    আরও পড়ুন
    তৃতীয় পর্ব ----------------------------------------------------------------------------------------------- ৫ম পর্ব



    Last edited by tahsin muhammad; 12-28-2023, 09:17 PM.

  • #2
    আফসোস লাগে! কারণ, একটা সময় এমন ছিল যে, যখন ধর্মনিরপেক্ষবাদ ও ধর্মহীনতা খতম করাই আমাদের দ্বীনি দলগুলোর মূল টার্গেট হতঅথচ আজ এই গণতন্ত্রেরই ফলাফল যে, স্বয়ং আমাদের দ্বীনদার ভাইয়েরা ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের শিকারে পরিণত হওয়ার দৃশ্য সামনে আসছে। আরো আফসোসের কথা হচ্ছে; এ জাতীয় সকল চাটুকারিতা দ্বীনের নুসরতের নামে চলছে! এ জাতীয় সকল বাতিল রাজনীতির জন্য “দাওয়াতি মাসলাহাত”অর্থাৎ ‘দাওয়াতী স্বার্থ’ পরিভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে! অথচ বাস্তবতা হলো: যে মাসলাহাতের কথা এখানে বলা হচ্ছে, তার সাথে দ্বীনের কোন সম্পর্ক নেই!!
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের দ্বীনি ভাইদেরকে সহীহ মানহাযে ফিরে আসার তাওফীক দান করুন।
    দাওয়াত ও জিহাদের পথে নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়ার অনুপ্রেরণা দান করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      গণতান্ত্রিক ইসলামী রাজনীতির নামে কত ভাইকে আজ গোমরাহির দিকে চালিত করা হচ্ছে। আহ !
      এই দলগুলোর নেতারা আল্লাহ্‌র কাছে কি জবাব দিবেন এতো এতো মুসলিমকে বিভ্রান্তির দিকে পরিচালিত করার জন্য।
      তারা কি তাদের কর্মপদ্ধতিকে নবীজি সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহের সাথে একবারও মিলিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করেন না?
      সারাবিশ্বে অন্য ইসলামী গণতান্ত্রিক দলগুলোর ক্ষমতা লাভের পর ইসলামী আইন বাস্তবায়নের ব্যর্থতার ইতিহাস কি তারা পর্যালোচনা করেন না?
      আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা ইসলামী দলগুলোর নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের হিদায়াতের পথে চালিত করুন।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আপনাদের পাঠচক্রকে কবুল করুন। আপনাদেরকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          গণতন্ত্রকে লক্ষ লক্ষ জনতার শাসন বলা হয়, অথচ কক্ষনো এটা জনগণের শাসন নয়, বরং বাস্তবতা হচ্ছে: গণতন্ত্র ঐ সমস্ত লোকদের ক্ষমতার নাম, যা জনগণকে ক্ষমতা, মিথ্যা ও প্রতারণার মাধ্যমে পথভ্রষ্ট করে দেয়
          আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের পথভ্রষ্ট 'আল মালা' সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করুন, আমীন

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আপনাদের পাঠচক্রকে কবুল করুন। আপনাদেরকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
            আমীন সুম্মা আমীন।

            Comment

            Working...
            X