Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১১ || “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”|| গণতন্ত্রের নর্দমা থেকে উত্তরণের “কাঙ্খিত সহজ কর্মপন্থা…!” ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ৯ম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১১ || “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”|| গণতন্ত্রের নর্দমা থেকে উত্তরণের “কাঙ্খিত সহজ কর্মপন্থা…!” ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || ৯ম পর্ব

    আন-নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    “ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান”||
    তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও!|| চতুর্থপর্ব।।
    গণতন্ত্রের নর্দমা থেকে উত্তরণের “কাঙ্খিত সহজ কর্মপন্থা…!”।।
    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ এর থেকে || ৯ম পর্ব


    ==================================================
    =====




    মুহতারাম ভাইয়েরা!

    বর্তমানে জিহাদ ফরযে আইন এখানে আল্লাহ তা‘আলার বান্দাদেরকে অপর বান্দার ইবাদত-উপাসনা করা থেকে বের করার জন্য এবং আল্লাহ তা‘আলার নাযিলকৃত শরীয়ত ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বর্তমানে জিহাদ নিঃসন্দেহে একটি শরয়ী ফরয দায়িত্ব কিন্তু প্রিয় দ্বীনি ভাইয়েরা আমার! আপনারা যদি বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে অস্ত্র ধারণ করা উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন অথবা এখানে জিহাদ করার মত আপনাদের সক্ষমতা নেই বলে মনে করেন, তাহলে আমরাও আপনাদের উপর সেই বোঝা চাপিয়ে দিতে রাজী নই, যা আপনারা উঠাতে চাচ্ছেন না আর তাই আপনাদের যদি সশস্ত্র জিহাদ করার শক্তি-সামর্থ না থাকে, তাহলে আপনারা করবেন না কিন্তু এই সশস্ত্র জিহাদের প্রস্তুতি নেওয়াও ফরয সুতরাং এই ফরয তো আদায় করা চাই অতঃপর আল্লাহ তা‘আলার দিকে আহবান করার দাওয়াত, এই বাতিল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে মনের ভিতরে ঘৃণা সৃষ্টি করার দাওয়াত, আল্লাহ তা‘আলার জন্য ভালবাসা এবং আল্লাহ তা‘আলার জন্য শক্রতার দাওয়াত, প্রত্যেক মু‘আমালাতের/মোকদ্দমার ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলার হাকিমিয়্যাত তথা আইনের ক্ষেত্রে আল্লাহর একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাওয়াত ও একমাত্র শরীয়ত অনুসরণ করার দাওয়াত, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের ‍উপর অটল-অবিচল থাকার দাওয়াত এবং পূর্ণাঙ্গ শরয়ী ইসলামী ইমারাত প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন গড়ে তোলার দাওয়াত; এই সবকিছুর দাওয়াত দেওয়াও ফরয তাই এই দাওয়াতের হকও তো আদায় করা চাই





    এই সকল দাওয়াত ও প্রস্তুতির মধ্য থেকে কোন ফরযটি আদায় করার সক্ষমতা আপনাদের নেই! অথবা এই আমলগুলোর মাঝে কোন আমলটি আপনাদের নিকট শরীয়তের খেলাফ/বিপরীত মনে হয়? আসলে এসবগুলোই শরয়ী আমল এগুলোর আদেশ আপনারা কুরআন ও সুন্নাহর মাঝে পড়েছেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাতের প্রত্যেকটি অধ্যায় এই আমলগুলোর গুরুত্ব ও ফরয হওয়ার উপর সাক্ষ্য প্রদান করে থাকে সুতরাং এগুলোর মাঝে কোন আমলটি এমন আছে যেটা পালন করা আপনাদের জন্য কষ্টকর? এই বাতিল শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অন্তরে ঘৃণা পোষণ করা কি কঠিন কাজ? অথবা তার ‍বিরুদ্ধে কলম ও বক্তৃতার মাধ্যমে কথা বলা কি আপনাদের জন্য কঠিন কাজ? অসৎ কাজকে অসৎ বলা, তাকে ঘৃণা করা এবং তার পথ রোধ করা কি বর্তমানে অসম্ভব?!


    আল্লাহর কসম করে বলছি- এ জাতীয় ফরযগুলো আদায় করা সম্ভব এবং তা করা একেবারেই কঠিন কোন বিষয় না তবে হ্যাঁ, কঠিন যদি কিছু থাকে, তাহলে তা হলো: গণতান্ত্রিক রাজনীতির আবর্জনা থেকে নিজেদের আঁচলকে বাঁচানো আরো কঠিন কোন বিষয় যদি থাকে...তা হলো: বাতিলদের পক্ষপাতিত্ব ও ফায়দা (সুবিধা) নেয়া থেকে আপনারা নিজেদেরকে দূরে রাখা বর্তমানে বাতিলরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে, আপনাদেরকে গাইরুল্লাহর সামনে মাথা নত করার এবং ধর্মহীনতার পথে ঠেলে দেওয়ার নিমিত্তে বিশেষাধিকার দরজা ও ধনভান্ডার উন্মুক্ত করে রেখেছে এই বিশেষাধিকার দরজা ও ফায়দা (সুবিধা) গ্রহন করাকে জুতার এক প্রান্তে রেখে এবং শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলার উপর তাওয়াক্কুল করে ইসলাম বিজয়ের আন্দোলন গড়ে তোলা কিছুটা কঠিন ও জটিল কাজ বটে। কিন্তু এই কঠিন কাজটিও সহজ, কোন জটিল বিষয় নাতবে তা ঐ ব্যক্তির জন্য সহজ; যে দুনিয়ার জীবনের উপর আখেরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিয়েছে এবং দুনিয়ার জীবনের এই কয়েক দিনের মেলবন্ধনকে ক্ষণস্থায়ী মনে করে।


    অতঃপর প্রিয় ভাইয়েরা!


    আমাদের এটাও মনে রাখা উচিত যে, মহান আল্লাহ তা‘আলার এক অমোঘ নীতি হলো পরিবর্তনের/প্রতিস্থাপনের নীতি এজন্যই যদি কোন ব্যক্তি দ্বীনকে সাহায্য-সহযোগিতা করার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও দ্বীনের চাহিদা অনুযায়ী কাজ না করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার কাছ থেকে দ্বীনের খেদমত করার তাওফিক ছিনিয়ে নেন তখন সে আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে জীবন যাপন করার নিয়তি বরণ করে নিতে বাধ্য হয় অন্যদিকে আল্লাহ তা‘আলা তার স্থলে অন্য সম্প্রদায়ের মাঝ থেকে এমন কাউকে নির্বাচন করে নেন, যাকে তিনি ভালবাসেন এবং সেও তাঁকে ভালবাসে। আর সে ব্যক্তিই হয় আল্লাহভীরুদের সৌভাগ্যবান ইমাম ও মহান নেতা। এমনিভাবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে আল্লাহ তা‘আলার দয়া ও রহমতের হকদার বলে বিবেচিত হয়এখন কথা হলো সেই সম্প্রদায়ের গুণাবলী কী? আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত নিজেই তা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন-
    يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِ فَسَوْفَ يَأْتِي اللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُ أَذِلَّةٍ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى الْكَافِرِينَ يُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَائِمٍ ذَٰلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ ﴿المائدة: ٥٤﴾






    হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (সূরা মায়েদা: ৫৪)

    আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে এই সমস্ত গুণে গুণান্বিত হওয়ার এবং দ্বীনের সাহায্য-সহযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। পাশাপাশি আমাদেরকে সেই সকল কাজসমূহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন, যার দরুন আল্লাহ তা‘আলার তাওফিক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।


    প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ!

    আপনারা দাওয়াত ও জিহাদের পথ অবলম্বন করুন এবং বর্তমানে পাকিস্তানে দাওয়াত, ই‘দাদ তথা প্রস্তুতি, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের পথ চয়ন করে নিন আল্লাহ তা‘আলা আপনাদেরকে এই বরকতময় পথ অবলম্বন করার ও তার যথাযথ হক আদায় করার তাওফিক দান করুন(আমীন)

    আরও পড়ুন
    ৮ম পর্ব ---------------------------------------------------------------------------------------------------- শেষ পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 01-08-2024, 07:16 PM.

  • #2
    mashaa allah barakallah

    Comment


    • #3
      আমাদের এটাও মনে রাখা উচিত যে, মহান আল্লাহ তা‘আলার এক অমোঘ নীতি হলো পরিবর্তনের/প্রতিস্থাপনের নীতি এজন্যই যদি কোন ব্যক্তি দ্বীনকে সাহায্য-সহযোগিতা করার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও দ্বীনের চাহিদা অনুযায়ী কাজ না করে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার কাছ থেকে দ্বীনের খেদমত করার তাওফিক ছিনিয়ে নেন তখন সে আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে উদ্দেশ্যহীনভাবে জীবন যাপন করার নিয়তি বরণ করে নিতে বাধ্য হয়
      আল্লাহ্‌ আমাদের হিফাজত করুন

      Comment


      • #4
        বিষয়গুলো বুঝার এবং আমল করার তাওফিক আল্লাহ্‌ তাআলা আমাদের দান করুন, আমীন

        Comment

        Working...
        X