Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ১৫ || আল কুদসের প্রহরী ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || শেষ পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ১৫ || আল কুদসের প্রহরী ।। উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ || শেষ পর্ব


    আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
    আল কুদসের প্রহরী ।।
    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ
    এর থেকে || শেষ পর্ব


    ========================================
    ===============


    মুসলিম ভাইয়েরা আমার !


    এখন সময় আমাদের পরীক্ষার মহান আল্লাহ পাকের বিধানাবলী আজ আমাদেরকে আহবান করছে, আমরা প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবো আমেরিকার দাপট, ইসরাইলের দখলদারিত্ব, নাস্তিক-কাফিরদের বিশ্বশক্তি এবং আমাদের অসহায় অবস্থা। এ সকল অবস্থার প্রেক্ষিতে পরীক্ষা অন্য কারো নয়, বরং আমাদের মুসলিমদেরই! শুধু বাইতুল মুকাদ্দাসই নয়, বরং পুরো ফিলিস্তিন মুক্ত করা, সকল মাজলুম মুসলমানদের সাহায্য করা এবং আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করা হচ্ছে একটি দ্বীনী ও শরয়ী জিম্মাদারী। এর জন্য জিহাদ-কিতাল করা প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির উপর ফরজ, যে কালিমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়েছে। আমাদের এটাও মনে রাখা জরুরী যে, অধিকাংশ লোকদের পথ না দেখে, আল্লাহর বিধানাবলী ও শরীয়তের চাহিদা দেখা জরূরী। অধিকাংশ লোকদের দেখে নিজের পথ নির্ধারণ করা ও নিজের মতামত স্থির করা বোকামী ও ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নয়। যখন আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করার লোক অল্প সংখ্যক-ই হোক না কেন! তাহলে তুমি আল্লাহর নিকট সফলকামীদের মাঝে একজন বলে গণ্য হবে।


    ইমাম বাগাভী রহ. বলেন, “বনী ইসরাইলের কাছ থেকে যখন বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রবেশের কথা বলা হল, তখন তাদের সংখ্যা ছয় লাখ ছিল। তাদের ছয় লাখের মধ্য থেকে মাত্র দুইজন যেন আল্লাহর হুকুমের ডাকে সাড়া দিল এবং জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিল। ছয় লাখ মানুষের মাঝে মাত্র দুইজন!...”


    মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন

    قَالَ رَجُلَانِ مِنَ الَّذِينَ يَخَافُونَ


    “তিনি বলেন- যারা ভয় করতেছিল তাদের মধ্যে দুইজন

    أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمَا


    “যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন”


    এখানে তাঁদের গুণ কি বর্ণনা করা হয়েছে? ‘আল্লাহর ভয়’ তাদের গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁরা আল্লাহর ভয়ের উপর অন্য কোন ভয়কে প্রাধান্য না দেয়াটা এমন গুণ ছিল, যার ভিত্তিতে আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে আনুগত্যের তাওফিক দিলেন। যার মাধ্যমে আল্লাহ পাক তাঁদেরকে পুরস্কৃত করলেন। এ জন্য তাঁরা বলল-


    ادْخُلُوا عَلَيْهِمُ الْبَابَ فَإِذَا دَخَلْتُمُوهُ فَإِنَّكُمْ غَالِبُونَ وَعَلَى اللَّهِ فَتَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ

    .
    অনুবাদ: “তোমরা তাদের মুকাবিলা করে দ্বারে প্রবেশ কর, প্রবেশ করলেই তোমরা জয়ী হবে এবং তোমরা মুমিন হলে আল্লাহর উপরই নির্ভর কর” আজো এই উম্মতের জন্য এমন তাওয়াক্কুল করা আবশ্যক।


    মুসলিম ভাইয়েরা আমার !


    আজও সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে। সেই ফিলিস্তিন, যেখানে কাফিররা ঐ ভাবেই দখল করে আছে। পূর্বের ন্যায় দখলদার কাফিররাও জালিম ও ক্ষমতাধর। এখন আমাদের জন্যও সেই জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর হুকুম-ই বলবৎ রয়েছে...


    যেমনিভাবে বনী ইসরাইলের অধিকাংশ লোক জিহাদ থেকে বিমুখতা দেখিয়েছিল, এমনিভাবে আজও একটি শ্রেণী জিহাদ ও আত্মত্যাগের ভূমিকা থেকে অস্বীকার করছে। ইলম ও জ্ঞানের নামে মনগড়া ব্যাখ্যা পেশ করা হচ্ছে। এই শ্রেণীর লোকেরা হককে বাতিল ও বাতিলকে হকরুপে দেখানোর জন্য অনমনীয়। তারা মুজাহিদীনকে জঙ্গী, স্বার্থবাদী ও কাফির বলার ক্ষেত্রে একগুঁয়েমীর শিকার। অত:পর এ সমস্ত লোকেরা জিহাদ ও কিতালকে বাদ দিয়ে অনৈসলামী শরিয়াহ দ্বারা উম্মাতে মুসলিমার ক্ষতগুলিকে সুস্থ করার পরামর্শ দিচ্ছে। তাদের দর্শন আবারও ঠুনকো প্রমাণিত হল।


    আল্লাহর কসম! তাদের চেয়ে বেশী দলীলহীন কথা-বার্তা এবং সত্য বলা থেকে মাহরুম আর কেহ নেই। তাদের দৃষ্টান্তও তীহ প্রান্তরে উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরতে থাকা বনী ইসরাইলিদের মতই। তারা রাস্তা চিনে না এবং তাদের গন্তব্যে পৌছাঁর বিশ্বাসও নেই। হায়! যদি তাদের জবানগুলো বন্ধ হয়ে যেতো... যদি আজ তারা অন্তত তাদের গোমরাহী ও ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি দিত!



    মুসলিম ভাইয়েরা আমার!


    মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট আমার ও আপনার জবাবদিহি করতে হবে...আমি ও আপনি এ সমস্ত মাসআলায় ও মুসিবতে কি ভুমিকা রেখেছি? আমরা তার কারণগুলি থেকে কোন কারণ হয়েছি নাকি তার সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছি? আমরা উম্মাতের এ দূর্যোগে তাদের ক্ষতগুলো আরো বাড়িয়ে দিয়েছি নাকি তা উপশমে আমরা আমাদের নাম লিখিয়েছি...? যদি আমরা এ সমস্ত গাদ্দার শাসক ও আমেরিকার গোলাম সেনাপ্রধানদেরকে শরয়ী উলুল আমর বলি ও হাতে হাত রেখে জিহাদকে মুলতবি ঘোষনা করি, তাহলে আমাদের ভাল করে বুঝা উচিত- আমরাও এই অপমান-অপদস্ততার একটি কারণ বলে বিবেচিত হবোআমরা আমাদের দুনিয়াদারী ও স্বীয় স্বার্থ রক্ষাকে নিজেদের দ্বীন বানিয়ে ফেলেছি। জিহাদ ও কুরবানীকে উগ্রবাদিতা ও নির্বুদ্ধিতা নাম দিয়েছি। তাই আমরা স্বীকার করি, উম্মতের এ সমস্ত সমস্যার একটি কারণ আমরাও। কুফরের তল্পিবাহক গণতন্ত্রকে যদি আমরা সঠিক বলি, আর দাওয়াত ও জিহাদের খালিস নববী তরীকাকে যদি উগ্রবাদিতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ বলে নামকরণ করি, তাহলে উম্মতের এ সমস্ত ক্ষতগুলির একটি কারণ আমরাও... কিন্তু যদি আমরা শরীয়তের অনুসরণ করি, আল্লাহর হুকুমের সামনে মাথা অবনত করি, দাওয়াত ও জিহাদের সমর্থন করি, জান ও মাল দিয়ে জিহাদ ও মুজাহিদকে সাহায্য করি, জবান ও কলম দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধকারী এ সমস্ত মুমিনদের পক্ষে প্রচারণা চালাই- তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা আল্লাহর নিকট সফলকাম ও সার্থক বলে বিবেচিত হবো


    এখানে আমরা সারা দুনিয়ার মুজাহিদদেরকে লক্ষ্য করে বলতে চাই- বাইতুল মুকাদ্দাসকে স্বাধীন করতে হোক বা দুনিয়ার মাজলুম মুমিনদেরকে সাহায়্য করতে হোক অথবা জমিনে আল্লাহর মহান দ্বীনকে বিজয়ী করতে হোক, এ সব কিছু করা কেবল একমাত্র জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ দ্বারা-ই সম্ভব। কিন্তু এখানে ঐ সমস্ত মুজাহিদীন-ই শুধু উম্মাতের প্রতিশেধক/উপকারী হিসাবে বিবেচিত হবে, যাদের জিহাদের উদ্দেশ্য হবে শরীয়াহ ব্যবস্থার রাষ্ট্র কায়েম করা। তথাপি তারও আগে এই শরীয়াহ অন্যের উপর প্রয়োগ করার আগে নিজের উপর প্রয়োগ করা এবং যারা আল্লাহর শত্রু কাফিরদের বিরুদ্ধে কঠোর ও নিজ মুসলিম ভাইদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবে, তারাই সফলকাম মুজাহিদ বলে গণ্য হবে। এই মাজলুম উম্মতের সাহায্য ঐ সমস্ত মুজাহিদীন দ্বারাই হবে, যারা দাওয়াত ও জিহাদের মাঝে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার প্রতীক হবে। জিহাদের দুর্নামকারী হবে না, বরং নিজ প্রতিভার দ্বারা জিহাদের ভালবাসা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সচেষ্ট হবে।


    সুতরাং আসুন! আমরা আমাদের কাজ দ্বারা তা প্রমাণিত করি যে, মুজাহিদীন এই উম্মতের সংরক্ষণকারী এবং প্রকৃত হিতাকাঙ্খী... আমরা স্বীয় জাতির উপর জুলুম চাপিয়ে দেই না বরং প্রত্যেক জুলুমকে প্রতিহত করি। আমরা মুসলমানের শাসনকর্তা হওয়ার জন্য বের হইনি বরং তাদেরকে তাদের হক বুঝিয়ে দিতে বের হয়েছি। অত:পর .... কেউ যেন আমেরিকানদের হত্যার ব্যাপারে কোন ধরণের শলা-পরামর্শ না করে।


    শাইখ উসামা রহ. এর এই নসীহত মনে রাখি, ‘তোমরা আমেরিকানদের মারার ব্যাপারে কাউকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করবে না।সাপের মাথা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেয়া আমাদের জিহাদের টার্গেট। তাই আসুন! আমাদের জিহাদী আন্দোলনের মাধ্যমে আমেরিকাকে তার প্রাপ্য শাস্তি বুঝিয়ে দিই এবং এই ঘোষনা করে দিই যে, শুধু খোরাসান, উপমহাদেশ, ইয়েমেন, মালি, সোমালিয়া ও শামে নয় বরং পুরো দুনিয়ায় আমরা যে যুদ্ধ করছি, তার গন্তব্যস্থল হলো: বাইতুল মুকাদ্দাস। সাথে সাথে এ ঘোষনাও আমরা করে দিব যে, বাইতুল মুকাদ্দাসের সংরক্ষক এই গাদ্দার শাসকেরা নয়, টাকা-পয়সার গোলাম সেনাপ্রধানরা নয়, উম্মাতে মুসলিমাহর গাদ্দার ও আহলে সুন্নাতকে হত্যাকারী রাফেজীরাও নয়... বরং আমরা মুজাহিদরা-ই তাঁর প্রহরী এবং আমরা জিহাদীরা-ই তাঁর সংরক্ষক ও ওয়ারিশ। আমরা বাইতুল মুকাদ্দাসের জন্যই বাচঁবো, তাঁর জন্যই মরবো এবং তার দিকেই আমাদের জিহাদী সফর বাকী রাখবোইনশাআল্লাহ


    আল্লাহর কসম করে বলছি, অচিরেই সেই দিন আসছে, যখন উম্মতের এই জিহাদী বাহিনী বিজয়ী বেশে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। মসজিদুল আকসার উপর কালিমা খচিত পতাকা উড়াবে এবং সেই দিন শুধুমাত্র আল্লাহর দিন বিজয়ী থাকবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেই মুবারক জামাতে শরীক হওয়ার তাওফিক দান করুন... আমাদেরকে এই সময়ে স্বীয় যোগ্যতা ও রক্ত দিয়ে এই জামাতে শরীক হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ও শক্তি যোগানোর তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।


    পরিশেষে ফিলিস্তিনের সাধারণ মুসলমান ও মুজাহিদীন ভাইদের কাছে আরজ পেশ করছি, এই মুবারক রণাঙ্গনে আপনাদের অবস্থান, বিভিন্ন মসীবতে জর্জরিত হওয়া এবং মাথানত না করার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা এক মহান ইবাদতই বটে। এই মুবারক জিহাদ ও আন্দোলনকে অব্যাহত রাখা, বাতিলের সামনে মাথানত করা ও শরয়ী অবস্থান থেকে পিছিয়ে পড়ার রাজনৈতিক পরিণতি আমরা দেখেছি। তাই এখন এ রণাঙ্গনে শুধু আল্লাহর সামনে মাথা নত করা ফলপ্রসু হবে। এখন জিহাদের ঝান্ডা আগের তুলনায় শক্তহাতে ধারণ করতে হবে, যার মাধ্যমে পূর্বপশ্চিমের সকল মুজাহিদীন আপনাদেরকে মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে সাহায্য ও তাওফিক দান করুন...! আমিন।


    آمین یا رب العالمین، وصلی اللہ تعالی علی خیرخلقہ محمد وآلہ وسلم، والسلام علیکم و رحمۃ اللہ و برکاتہ


    আরও পড়ুন

  • #2
    আল্লাহর কসম করে বলছি, অচিরেই সেই দিন আসছে, যখন উম্মতের এই জিহাদী বাহিনী বিজয়ী বেশে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করবে। মসজিদুল আকসার উপর কালিমা খচিত পতাকা উড়াবে এবং সেই দিন শুধুমাত্র আল্লাহর দিন বিজয়ী থাকবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সেই মুবারক জামাতে শরীক হওয়ার তাওফিক দান করুন... আমাদেরকে এই সময়ে স্বীয় যোগ্যতা ও রক্ত দিয়ে এই জামাতে শরীক হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার ও শক্তি যোগানোর তাওফিক দান করুন। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
    আল্লাহ্‌ কবুল করুন, আমীন

    Comment


    • #3
      শাইখ উসামা রহ. এর এই নসীহত মনে রাখি, তোমরা আমেরিকানদের মারার ব্যাপারে কাউকে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করবে না।
      আল্লাহ
      তাআলা মুহতারাম শাইখ উসামা রাহিমাহুল্লাহকে জান্নাতের আলা মাকাম দান করুন। আমীন​
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X