আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
“এই তো গাযা…
যা মানবাধিকারের
লজ্জাজনক সুর তুলে ধরেছে
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহ”
।।সালেম আল শরীফ||
এরথেকে – শেষ পর্ব
ইহুদীদেরকে রাজনৈতিক, সামরিক ও আর্থিকভাবে সমর্থনকারী পশ্চিমা দেশগুলোতে বসবাসরত উম্মাহর বীর সন্তান ও লোন উলফ মুজাহিদদের প্রতি আহ্বান জানাই:
উপরে যা কিছু বলা হলো এ জাতীয় লক্ষ্যবস্তুতে তারাও যেন হামলার চেষ্টা করেন।
পাশাপাশি (যেসব পশ্চিমারা) গাজার বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে ইহুদীদেরকে স্বেচ্ছায় সাহায্য করতে চায়, অর্থ ও জীবন দিয়ে ইহুদীদের পাশে থাকতে চায়; এমনকি যারা (ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে) নেতিবাচক বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ইসলামের প্রতি অবমাননামূলক; মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে ইহুদীদের সাহায্য করছে এমন প্রত্যেককে হত্যার উদ্দেশ্যে এবং এদের স্বার্থে আঘাত হানার উদ্দেশ্যে হামলা করা আপনাদের টার্গেটের অংশ হতে পারে।
এক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদক্ষেপ—যা তিনি কাব ইবনে আশরাফ, আবদুল্লাহ ইবনে খাতাল এবং তার গায়িকাদের বিরুদ্ধে গ্রহণ করেছিলেন।
এই শ্রেণিটির প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছে বর্তমান সময়ের মুনাফিকেরা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইসলাম, মুসলিম ও মুজাহিদীন বিরোধী অনুষ্ঠান সম্প্রচারকারী আরব দেশগুলোর (লিবারেল) স্যাটেলাইট চ্যানেল; এমনকি পশ্চিমা স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোও।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পবিত্র আল কুরআন পুড়িয়েছে কিংবা পোড়ানোর ইচ্ছা পোষণ করে; এমন প্রত্যেককে হত্যা করা মুসলিম উম্মাহর প্রাণের দাবি পূরণ করবে এবং উম্মাহকে আনন্দিত করবে।
তালিকার তৃতীয় বিষয়: সর্বশক্তিমান আল্লাহর বাণী অনুসারে ইহুদীদেরও সেই একই পরিমাণ শাস্তি দেয়া হবে, যা আমাদের উপর করা হয়েছে:
وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُم بِهِ ۖ وَلَئِن صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِّلصَّابِرِينَ ﴿١٢٦﴾
অর্থ: “আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।” [সূরা নাহল 16: ১২৬]
হে একাকী শিকারি তথা লোন উলফ বীর মুজাহিদ ভাইয়েরা! ইহুদীবাদী স্বার্থের উপর সর্বত্র আক্রমণ করুন!
ইহুদীদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী উম্মাহর সন্তানদের অধিকার আছে নিজেদের ভূখণ্ডে ইহুদীবাদী স্বার্থের উপর আক্রমণ করার। বিশেষ করে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জাযীরাতুল আরবে। একইভাবে ফিলিস্তিন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে। এই ইউরোপ ইহুদীদের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ। এদের নেতৃত্বে রয়েছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি।
আমরা তিউনিসিয়ার জনগণকে তাদের সন্তান ‘সাইফুল্লাহ’ রহিমাহুল্লাহুর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তিনি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও একটি সীমিত বাজেটের মাধ্যমে আজ থেকে ২০ বছরেরও বেশি সময় আগে জারবা’র মন্দির উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ইহুদী সেনাবাহিনীর অবকাঠামোতে আক্রমণ করাও আমাদের টার্গেটের অন্তর্ভুক্ত। তালিকাটি ইহুদীদের ব্যাপারে উন্মুক্ত।
উপরে উল্লেখিত সবই তানযীম আল-কায়েদা ও তাদের শাখাগুলির জন্য এবং সাধারণভাবে যেকোনো অঞ্চলের উম্মাহর সন্তান মুজাহিদীনের জন্য বৈধ টার্গেট। অধিকৃত ফিলিস্তিনে নিজেদের ভাইদের সাহায্যে মুজাহিদীনের অবশ্যই অবদান থাকা উচিত। আমি তাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তাদের সামনে এমন কিছু অপারেশন রয়েছে, যেগুলোর জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতির দরকার। আবার সীমিত খরচে সহজ ও দ্রুত অপারেশনও তাদের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে।
সাময়িকভাবে যে সব ভূখণ্ড ও অঞ্চলে আক্রমণ না করা কাম্য:
যুদ্ধের ব্যবস্থাপনাগত কৌশল ও প্রজ্ঞা, ইনসাফ ও উত্তম সচেতনতার দাবি হচ্ছে: যে সমস্ত দেশ ইহুদীবাদী সত্তার বিরুদ্ধে নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে, সেখানে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযান না চালানো। একইভাবে যে সমস্ত অঞ্চলের জনগণ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের পক্ষে অবস্থানকারী নিজেদের শাসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, সে সমস্ত অঞ্চলেও কোনো সুনির্দিষ্ট আক্রমণ না করা। যুদ্ধের চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতে ও কিছুক্ষণ আগে একটি আমেরিকান শহর (রিচমন্ড) গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে। এ জাতীয় শহরগুলো মুজাহিদীনের আক্রমণ-সীমার বাইরে থাকা উচিত। কারণ আল্লাহর রহমতে ইহুদীবাদী টার্গেটই তো অনেক বেশি। তাই সেগুলোর উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করা উচিত।
অভ্যন্তরীণ স্ট্র্যাটেজির প্রতিও মনোনিবেশ করুন!
আমি ভাবছি, বোমা হামলায় নিহত বন্দীদের সংখ্যা উল্লেখ করার মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ না রাখা, যদি আমার মুজাহিদ ভাইদের কল্যাণে এসে থাকে। বরং প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ হবে- অভ্যন্তরীণ শত্রু ফ্রন্টকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে স্বার্থসিদ্ধি করা। সৈন্যদেরকে তাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়া। জনসাধারণ, রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর মাঝে ফাটলের বীজ বপন করা। এই কৌশলের আলোকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর বোমা হামলায় নিহত কয়েকজনের ছবি ও নাম প্রকাশ করলে উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তখন নিহত ব্যক্তিদের পরিবার জানতে পারবে ‘নেতানিয়াহু’ এবং তার ঘৃণ্য হায়েনারা তাদের সন্তানদের সাথে কী করেছে। হ্যানিবল আইন (Hannibal Directive) এবং এটার খসড়া তৈরিকারীদেরকে পরিবারগুলো অভিশাপ দেবে।
অষ্টম মূল্যায়ন: পশ্চিমা মিডিয়া, পেশাদার সংশয়বাদী গোষ্ঠী, বাজিমাতের অভিলাষ এবং হিংসার গোলক ধাঁধা প্রসঙ্গে:
পেশাদার অপরাধী জায়নবাদী-ক্রুসেডার প্রোপাগান্ডা প্রচারকারীরা মানুষকে সত্য দেখতে দেবে—তা কেমন করে হতে পারে? তাই এরা সর্বদা সন্দেহ উত্থাপন করে এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীদের সম্বোধন করে। অতঃপর তাদের বিভ্রমকে সুড়সুড়ি দেয় এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ অবারিত করে দেয়। এভাবেই তারা কন্সপিরেসি থিওরি আরও অধিক প্রচার প্রসারের পথ প্রস্তুত করে। হে আল্লাহ! মুসলিম উম্মাহর আপনি একমাত্র সহায়।
আমেরিকার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ফাঁস:
সংশয় ছড়াবার সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আমেরিকানরা আজ গাজায় বোমা হামলায় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। আল্লাহর শোকর! ডাক্তাররা আমেরিকানদের জন্য বিব্রতকর তালিকা প্রকাশ করে, তাদেরকে বিব্রত করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আমরা জানি যে, আমেরিকানদের মুখ মলিন হয়ে গিয়েছে; লজ্জায় এমন লাল হয়েছে, যা বলার মতো নয়। আমাদের কাছে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, তারা এ কথা মেনে নিয়েছে কি নেয়নি। কিন্তু উম্মাহ তাদের সংশয় মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল এটাই বড় কথা।
আমি আশা করি, আল্লাহ্ আমাদের বাকি সদস্যদের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য এভাবেই প্রস্তুত থাকার তাওফীক দান করবেন। তাদের জন্য হৃদয় থেকে অভিবাদন, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা! জীবন উৎসর্গকারীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
উদ্ধার কাজে যে সমস্ত ব্যক্তি ও সংস্থা অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছে, নাগরিক প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা খাতে যারা শ্রম ব্যয় করছে— যাদের মধ্যে প্যারামেডিকস, ড্রাইভার, নার্স, রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, প্রশাসক, ডাক্তার এবং রক্তের ডোনার- আপনারা সবাই যুদ্ধাঙ্গনের প্রাণমূলে এক একটি শক্তিশালী দালানের মতো। আপনারা দুর্ভেদ্য এক প্রাচীর। আল্লাহর কাছে আমরা প্রার্থনা করি, যেন তিনি আপনাদেরকে পুরোপুরি প্রতিদান দান করেন এবং বিনা হিসাব ও বিনা শাস্তিতে আপনাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করান!
হরেক রকমের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ব্যাপারে সচেতনতা কাম্য:
আগামী দিনে ইহুদীরা ঘটনার গতিপথ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলবে যে, মুজাহিদীন ৭ই অক্টোবরে যা করেছিলেন, সে সম্পর্কে তারা আগেই জানতো। তারা এ কাজ করার সুযোগ দিয়েছে যেন পরবর্তীতে ফিলিস্তিনিদেরকে নির্মূল করতে পারে। এটা কি অতীতে ১১ই সেপ্টেম্বরের পরে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে আচ্ছন্ন একদল মানুষের বিশ্লেষণ ও প্রচারণার পুনরাবৃত্তি নয়?
এবারও সেই শ্রেণির মানুষেরা নিজেদের বিশ্লেষণ দিয়ে বিশ্ববাসীকে বলতে চেষ্টা করবে, ফিলিস্তিনে ইহুদীবাদী সরকার হামাসকে নির্মূল করতে এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করতে সক্ষম। কিন্তু তাদের সেটা করার ইচ্ছা নেই। তারা শুধু হামাস ও ফিলিস্তিনিদেরকে দুর্বল করে রাখতে চায়। কারণ হামাসের উপস্থিতি ইহুদী ব্যবস্থার ঐক্য নিশ্চিত করে(!) ঠিক যেমন বিশ্বের বাকি সংস্থা ও সরকারগুলো শত্রুর ব্যাপারে বিভ্রম তৈরি করে তাদের জনগণের বশ্যতা নিশ্চিত করে। এগুলোর মাধ্যমেই তারা জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাস্তবতা হল, শত্রুদের যদি আসলেই সব কিছু করার ক্ষমতা থাকতো, তবে তারা অনেক আগেই তা করে ফেলত। কিন্তু তারা বিভ্রম তৈরি করে তাদের ব্যর্থতা ঢেকে রাখে।
তারা উম্মাহর সংকল্পকে দুর্বল করার জন্য সন্দেহের বীজ বপনের কৌশল অবলম্বন করে। তারা বোঝাতে চায়, ইহুদীবাদী ও পশ্চিমারা সবসময় উম্মাহর চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে। এক কথায়, তারা বিভ্রম তৈরি করে সেগুলো বাজারজাত করে। দুর্ভাগ্যবশত কিছু মুসলিম লেখক, বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীও তাদের পেছনে দৌঁড়ে হাঁপাতে থাকেন। সেই জায়গায় ইহুদীবাদী সদস্য ও এজেন্টদের অবস্থা কি হবে তা তো বলাই বাহুল্য।
এ জাতীয় ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু সেলিব্রেটিকে ব্যবহার করা হয়। সেলিব্রেটিরা এ ধরনের চিন্তা প্রচার করে যে, শত্রুপক্ষের প্রযুক্তি, টেকনোলজি ও গোয়েন্দা তৎপরতা এত বেশি ও শক্তিশালী যে, মুজাহিদীনের কার্যক্রম ও প্রস্তুতি তাদের চোখ এড়ানো খুবই কঠিন। শত্রুদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিজেদের ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনের জন্য মুজাহিদীনের পরিচালিত এ জাতীয় অপারেশন নিজেরাই চাচ্ছিল এবং তার সুবিধা নেয়ার কথা ভাবছিল। তাই মুজাহিদীন এই অপারেশন করতে পেরেছেন।
তারপর তারা ঘটনা বিশ্লেষণ এবং তাদের দুর্বল দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করার জন্য একটি ধারাবাহিক প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করতে শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী নয়, কিন্তু খুবই জনপ্রিয় ও বিখ্যাত- এমন বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তারা পরিচয় করিয়ে দিবে তাদের দুর্বল দৃষ্টিভঙ্গি জোরালো করার জন্য। এদের মাঝে আবার অনেক সাংবাদিক থাকে, যারা দলান্ধ জায়নবাদী। এই অনুসারে তারা কিছু গবেষণা ও প্রকাশনা তৈরি করে। এগুলো স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, বড় কোম্পানি এবং এ জাতীয় মানব সমাবেশে পাঠানো হয়, যাতে একটি ভ্রষ্ট জনমত তৈরি করা যায়।
এই প্রক্রিয়ায় তৈরি ভ্রান্ত জনমত মোকাবেলার জন্য বিরাট কর্ম প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। ভ্রান্ত জনমত গঠনের চেয়েও কখনো কখনো সেই প্রচেষ্টা আরো জোরালো হতে হয়। কারণ মানুষের মধ্যে ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করা ও সত্যকে অস্বীকার করার প্রবণতা থাকে। যদিও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভুলভাল আচার উচ্চারণ এবং লড়াইয়ের ময়দানে কোনো সুষ্ঠু রণকৌশল তৈরির ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, তারা যেটা প্রচার করছে, তা সঠিক নয়। একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার উপযুক্ত একটি প্রস্থান-স্ট্র্যাটেজি তৈরির ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা থেকেও আমরা সেটা বুঝতে পারি।
আল্লাহর কসম! মুসলিম উম্মাহর কিছু সাধারণ মানুষ, পশ্চিমা ভাইরাসে দূষিত হয়ে যাওয়া শিক্ষিত ও সুসভ্য দাবিদার অনেকের চেয়ে বেশি সচেতন ও পরিপক্ক। কথিত এই সুশীলরা তোতাপাখি ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের সামনে যা বলা হয়, তা সামান্য যাচাই না করেই তারা প্রচার করে বেড়ায়।
ইসলামী সকল অঙ্গনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীবৃন্দ!
আমি যেকোনো ইসলামী আন্দোলনে শামিল আমার ভাইদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার কথা ভুলতে পারি না যে, এখনই সময় মতবিরোধ ছেড়ে ঐক্য গড়ার। গাজায় আমাদের ভাইদের সমর্থন ও সহযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। দেখা যাবে, কে কত বেশি, কতটা উত্তম পন্থায় আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়াতে পারে! এই দিনগুলো আল্লাহর কাছে আমাদের ব্যাপারে সাক্ষী হয়ে থাকবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এক কাতারে শামিল দেখতে খুবই পছন্দ করেন। দীনের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য আমাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টা যেন সমন্বিত হয়, আল্লাহ সেটাই দেখতে চান।
আমরা (মুসলিমরা) সবাই ইহুদীবাদী-ক্রুসেডারদের বোমা হামলার পরিস্থিতিতে বসবাস করছি। দীন ইসলাম, পবিত্রতা, ইসলামিক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার, প্রথা এবং ঐতিহ্যকে ধ্বংস, মুসলিম পরিচয় ধ্বংস এবং নাস্তিকতা ও ধর্মহীনতার পথ প্রশস্ত করার লক্ষ্যে শত্রুপক্ষের পরিচালিত বৈশ্বিক আগ্রাসন মোকাবেলায় আমাদের একে অপরের পরিপূরক হতে হবে। যদি আমরা এই বিষয়টি বুঝতে না পারি, একইসাথে শত্রুদের মোকাবেলায় উত্তমরূপে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে না পারি, তাহলে আমরা নিজেদের হাতে নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাব - নাউযুবিল্লাহ!
لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
[আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই]
[আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই]
***
Comment