আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
“এই তো গাযা…
গাজা সংঘাত সীমান্ত নির্ধারণী সংঘাত নয় বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই (4)
”
।।সালেম আল শরীফ||
এর থেকে– ৪র্থ পর্ব
“এই তো গাযা…
গাজা সংঘাত সীমান্ত নির্ধারণী সংঘাত নয় বরং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই (4)
”
।।সালেম আল শরীফ||
এর থেকে– ৪র্থ পর্ব
উত্পাদন:
পুলিশি কর্তৃত্বাধীন দেশগুলোতে অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক এবং এমনকি ড্রোন কেনা কঠিন হতে পারে, তবে অনেক জিহাদী সরঞ্জাম তৈরির তথ্য পাওয়া যেতে পারে সহজে। সৃজনশীল মস্তিষ্কের অধিকারীরা কিছু সাধারণ সরঞ্জামকে প্রাচীন অস্ত্রে উদ্ভাবন বা রূপান্তর করতে পারেন।
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই দৃঢ়সংকল্পের অধিকারী, যারা অজ্ঞতা পরিহার করছেন। তারা নিষ্ক্রিয়তা কিংবা অবহেলার অজুহাত খোঁজ করছে না; বরং তারা পরিশ্রমী। গোটা বিশ্ববাসীকে মানব-সভ্যতার সঠিক রাজপথে ফিরিয়ে আনার জন্য বৈশ্বিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই উম্মাহর নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণে তারা কাজ করে যাচ্ছে। মানবজাতি তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে নিজেদের সৃজনশীল ধারণা দিয়ে অনুপ্রাণিত করে, বিশেষ করে সামরিক শিল্পায়নে। সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে এই উম্মাহর সন্তানেরা অবরোধের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও আমাদের শাসকদের দ্বারা প্রচারিত ইহুদী ট্যাঙ্কের বিভ্রমকে উড়িয়ে দিয়ে আল-ইয়াসিন 105 ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। অথচ কাপুরুষ রাষ্ট্রনায়কেরা অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে ফিলিস্তিনে এবং বিশ্বের সর্বত্র আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াবার ব্যাপারে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে তাদের কিছুই করার নেই একথা মুসলিম উম্মাহর সামনে তুলে ধরার জন্য কত উপায় অজুহাত খোঁজ করে যাচ্ছে। এমনকি যদি তারা তাদের সম্পদকে অনৈতিক বিনোদন খাতে ব্যয় না করতো যেমনটা করেছে মুনাফিক বিন সালমান এবং তার দালাল শায়খের পুত্র (তাদের উভয়ের উপর আল্লাহর অভিশাপ!) ; তার পরিবর্তে সামরিক শিল্পায়নের খাতে ব্যয় করতো, তাহলে এই উম্মাহ্ আরো বেশি শক্তিশালী, বিশ্বের মানচিত্রে আরো অধিক প্রভাব বিস্তারকারী এবং শত্রুদের অন্তরে আরো অধিক ভীতিসঞ্চারকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকতো।
গাজা ভূখণ্ডে আপনাদের ভাইয়েরা ম্যানুফ্যাকচারিং ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক, যেন আমরা তাদের পথে চলতে পারি।
গোটা বিশ্বে উম্মাহর সন্তানদের সামনে অবারিত সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র, সরঞ্জাম, উপকরণ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণে তৈরি ও সংরক্ষণ করে রাখার। এই কার্যক্রম চলতে থাকবে যতদিন এগুলো বের করার এবং ব্যবহার করার প্রয়োজন দেখা না দেবে।
আল্লাহ তাআলা শায়খ উসামা বিন লাদেনের পিতা মুহাম্মাদ বিন লাদেনের ওপর রহম করুন, যিনি জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহর জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার জমা করে রেখেছিলেন। আফগানিস্তানে যখন জিহাদের ডাক এলো, মুজাহিদদের হাতে সর্বপ্রথম যা তিনি দিয়েছিলেন তা ছিল সেই ১০ মিলিয়ন ডলার।
***
স্টোরেজ (ডিপো/গুদাম/অস্ত্র ভাণ্ডার):
এমনকি আজও ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার বিস্তৃত সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগগুলো নষ্ট করা উচিত নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীন প্রতিটি ব্যক্তির উচিত এমন অস্ত্র কিনে রাখা, যা দুর্নীতিবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণশত্রু এবং জালিম শাসকদেরকে প্রতিহত করবে। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এটি সশস্ত্র জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার একটি পদক্ষেপ। সরকারগুলো যদি প্রজা ও জনসাধারণের ব্যাপারে নিষ্ঠাবান হতো তাহলে তাদেরকে সশস্ত্রভাবে গড়ে তোলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করতো। তাই আমি বিশ্বাস করি ইসলামী আকীদা-বিশ্বাসের পর আমাদের শত্রুদেরকে সবচেয়ে বেশি ভীত সন্ত্রস্ত করে যে বিষয়টা, তা হলো এই উম্মাহর সন্তানদের হাতের অস্ত্র। এ কারণেই শত্রুরা সর্বপ্রথম যে বিষয়টার সুযোগ সন্ধান করতে থাকে, তা হলো আমাদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়া, আমাদের দেশগুলোতে সামরিক শিল্পায়ন কার্যক্রম ব্যাহত করা এবং সামরিক প্রযুক্তির পথে যেকোনো প্রচেষ্টা বিনষ্ট করে দেয়া। এ কারণে তারা বিভিন্নভাবে তাদের তাবেদার নামধারী মুসলিম শাসকদেরকে চাপ সৃষ্টি করে এবং হুকুম দিতে থাকে। শাসকেরা তাদের হুকুম মতোই কাজ করতে থাকে। এভাবেই শত্রুরা মুসলিমদের জাতীয়তা ও সার্বভৌমত্বের পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং মুসলিমরা সম্ভাব্য দীর্ঘ সময় যাবৎ দুর্বলই থেকে যায়।
অতএব, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনা প্রয়োজন এবং উপযুক্ত সময়ে ব্যবহারের আগ পর্যন্ত এগুলো সংরক্ষণ করা জরুরি। নিষ্ঠাবান লোকেরা কীভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংরক্ষণ করা যায়, সে সম্পর্কে অনেক তথ্য ইন্টারনেটে খুঁজে পাবে। আমাদের দেশের লোকদের মধ্যে এমন দক্ষ কর্মী খুঁজে বের করতে হবে, যারা কৃত্রিম দেয়াল, গোপন কক্ষ এবং গুপ্ত আস্তানা তৈরিতে পারদর্শী। সরঞ্জামাদির ভাণ্ডার ভূগর্ভস্থ হলে আর্দ্রতা বা ভূগর্ভস্থ জল থেকে সরঞ্জাম সমূহ এবং গোটা এরিয়া রক্ষা করার জন্য কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সেগুলোর ব্যাপারেও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
এই বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি উম্মাহর সন্তানদের জন্য বাধ্যতামূলক, বিশেষ করে পরিবর্তনকামীদের জন্য। এই ক্ষেত্রে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা এবং সর্বাত্মক শ্রম ব্যয় করাটা পরিবর্তনমুখী অনিবার্য শক্তি তৈরি ও প্রস্তুতি গ্রহণের পূর্ব শর্ত ও সূচনা স্বরূপ।
জরুরি বিষয়গুলো আমরা আরেকবার দেখে নেই:
অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জাম থাকা... সেগুলো যথাস্থানে সংরক্ষণ এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা... সেগুলো কাজের উপযুক্ত করে তৈরি ও মানোন্নয়নের জন্য কাজ করা।
লোহা, আগুন এবং প্রযুক্তিতে ভালো দখল থাকার কারণে ইহুদীবাদ এতদিন ধরে যা ইচ্ছা করতে পেরেছে। যখন আমাদের জনগণের হাত অস্ত্র শূন্য হয়ে গিয়েছে তখন এই উম্মাহ সামরিক ও রাজনৈতিকভাবে আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
***
মুক্তির ধারণা:
(গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি নিজের কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করবেন অথবা জান বাঁচিয়ে পালিয়ে যাবেন) এই ধারণার সাহায্যে মানুষের সঠিক নৈতিক মূল্যবোধ বিকৃত করে দেয়া হয়েছে এবং লজ্জার পোশাক জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুক্তি লাভ কখনো মূল লক্ষ্য হতে পারে না; প্রকৃত লক্ষ্য তো হচ্ছে ইকমাতে হক বা সত্য প্রতিষ্ঠা। আর আত্মত্যাগ ও আত্মোৎসর্গ হলো সত্য প্রতিষ্ঠার পথ ও পন্থা। গৌরব আর মর্যাদা হচ্ছে এই কাজের জন্য প্রাপ্ত আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিদান ও পুরস্কার। এতটুকু বিষয় যদি সততার সাথে কেউ গ্রহণ করতে পারে তাহলেই মুক্তি। এ পথেই মানবজাতি মুক্তি লাভ করবে। স্বার্থ হাসিলের জন্য সুবিধাবাদী হওয়া এবং অন্যের সমস্যার তোয়াক্কা না করা খুবই বাজে একটা রোগ। এটা যেকোনো ভাইরাসের চেয়ে ভয়ংকর। এটাই বখাটে লোকদের কাজের রূপরেখা। কারণ তারা যেকোনো পন্থায় মুক্তি লাভ করার জন্য চেষ্টা করে আর এ ক্ষেত্রে অন্যদের সমস্যার কথা তারা চিন্তা করে না। তাদের কাছে মাধ্যম কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বরং উদ্দেশ্যটাই আসল। তাদের কাছে সেই উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘মুক্তি’। এ কারণেই তারা বেঁচে থাকার মায়ায় নিজেদেরকে, তাদের জিহ্বা, কলম এবং দেহকে ক্ষণস্থায়ী পণ্যের বিনিময়ে অত্যাচারী শাসকদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এভাবে তুচ্ছ জিনিসের কারণে তারা জীবনের মূল মর্ম থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে দুনিয়াতে তারা লাঞ্ছনার জীবনযাপন করে, আখিরাতের জীবনও তাদের ধ্বংস হয়। এটি এমন একটি কলঙ্ক যা কখনো মোছা যায় না। এটা থেকে তারা মুক্তি পেতে পারে না। যার সঙ্গে এই কলঙ্ক লেগে যায় সে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার বংশধরেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তুচ্ছ লোকেরা কি এ কথা জানে?
ইসলাহী অঙ্গনের লোকেরা বলেন, যারা ধ্বংস হয়েছে তাদের বিষয়টা আশ্চর্যজনক নয় যে, তারা কিভাবে ধ্বংস হয়েছে! বরং আশ্চর্যজনক হলো মুক্তি লাভকারীদের বিষয়টা; যে, তারা কীভাবে মুক্তি লাভ করেছে? এই কথা থেকে মুক্তি লাভের প্রকৃত মর্ম উঠে আসে এবং আমাদের সামনে পরিস্ফুট হয়ে ওঠে। কারণ জান্নাতীরা দুনিয়াতে নিজেদের রবের সন্তুষ্টির জন্য চেষ্টা পরিশ্রম করে কাজ করেছে আর কেবল তারাই জাহান্নামে ধ্বংস হবার হাত থেকে মুক্তি লাভ করেছে— চাই তাদের দুনিয়ার জীবন সংক্ষিপ্ত হোক কিংবা দীর্ঘায়িত। আমাদের সকলেরই তো মৃত্যু অবধারিত। ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক প্রতিটি দিন আমরা একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি। তাই প্রকৃত মুক্তি লাভকারী হলো ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর জন্য দুনিয়াকে ব্যয় করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য কাজ করে।
***
প্রতিরোধ:
প্রতিরোধের দিগন্ত উন্মুক্ত। এই পথ সীমাবদ্ধ করার কোনো উপায় নেই। শত্রু যেই হোক না কেন, তাকে প্রতিহত করার কোনো না কোনো উপায় অবশ্যই রয়েছে। এক সময় ছোরা ও তরবারি একটি প্রতিরোধক অস্ত্র ছিল। তখন ঘাতকেরা তাদের রাজনীতিবিদ ও রাজকুমারদের ঘাড়ে সেগুলো ব্যবহার করত। একসময় আবার পারমাণবিক বোমা হলো একটি প্রতিরোধক অস্ত্র। তখন সেই অস্ত্র দিয়ে জাপানের শহরগুলিতে আঘাত করা হয়েছিল— সেই জাপান আজও স্বাধীনতা হরণকারীদের কাছে পরাধীন রয়েছে। সব যুগেই দেখা গিয়েছে শত্রুদেরকে ভীতসন্ত্রস্ত করার কোনো না কোনো অস্ত্র অবশ্যই বিদ্যমান ছিল, আর সাহসিকতার সঙ্গে সেই অস্ত্র ব্যবহার করে তার কার্যকারিতা দেখানো, ময়দানের উপর কর্তৃত্ব বিস্তার করা এবং শত্রুপক্ষের শক্তি ধ্বংস করা সম্ভব ছিল।
কার্যকারিতা দেখানোর জন্য ওই জিনিসগুলো লাগবে যা শত্রুকে প্রতিহত করবে। এগুলো ব্যবহার করতে হবে সাহসিকতার সাথে। আর প্রভাব বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে আমাদের জনগণকে দীক্ষিত প্রশিক্ষিত ও অস্ত্রসজ্জিত করার মাধ্যমে। আর শত্রুর শক্তি ধ্বংস করতে হবে শুধু অগ্র অভিযানের মাধ্যমে। আর এই বিষয়গুলো কিছুতেই আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না, যতক্ষণ আমরা আমাদের দীন ইসলাম, ইতিহাস-ঐতিহ্য, আচার-আচরণ ও ইসলামী ভাবধারায় ফিরে না আসব। এ বিষয়গুলো ছাড়া আমরা অচিরেই সকল প্রতিদ্বন্দ্বীর গ্রাসে পরিণত হব।
আমাদের ভূখণ্ডে থাকবে সশস্ত্র উম্মাহ। শত্রুর অস্তিত্বের গভীরে আঘাত করবে একাকী নেকড়ে। শত্রু ভূমিতে বসানো হবে অপারেশনাল সেল, মুজাহিদীন গোষ্ঠী ও সংগঠনগুলোকে, তাদের বিচিত্র অপারেশন, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডমূলক অপারেশন, যুগের প্রযুক্তিকে অপ্রত্যাশিতভাবে ধ্বংসাত্মক অস্ত্রে রূপান্তর করা, স্ট্র্যাটেজিক টার্গেটে শহীদি তথা আত্ম-উৎসর্গমূলক অপারেশন, বিস্ফোরকের শক্তির সদ্ব্যবহার। এগুলি সবই প্রতিরোধক অস্ত্র, যা শত্রুর কার্যকারিতা সীমিত করে, তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে তোলে এবং তার উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে ছিন্ন করে দেয়। সশস্ত্র উম্মাহ্ এমন একটি জাতি, যার সংকল্প প্রতিহত বা পরাজিত করা যায় না — যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অস্ত্র বহন করে আছে; সেগুলো সোপর্দ করে না দিচ্ছে, যতক্ষণ সেগুলো তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া না হচ্ছে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যতক্ষণ তারা জিহাদের পথে টিকে থাকছে। তবেই ইনশাআল্লাহ বিজয় এক সময় না একসময় অবশ্যই আমাদের পদচুম্বন করবে।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে খুনি (নেতানিয়াহু) যখন পুরোপুরি পরাস্ত হবে, তখন বাইডেন, তার পরিবার এবং তার বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাটিক বন্ধু অপমানিত হবে, তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তাদের মাঝে থাকবে ঐ সমস্ত লোকের জন্য শিক্ষা ও উপদেশ, যারা ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। পরবর্তী নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে হত্যা করা ছাড়া বাইডেনের সামনে আর কোনো উপায় নেই। তারপরে মুক্তিকামী টেক্সাস নিজের এলাকাগুলো নিয়ে স্বাধীন হবে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথা পশ্চিমের মিথ ভেঙ্গে যাবে। এরপর থেকে পুনরায় আর কখনোই আমরা আমেরিকানদের সম্পর্কে বড় বড় কথা শুনবো না। যেমনিভাবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কারণে কাবুলের পুতুল সরকার আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তেমনি অচিরেই ইহুদীবাদী সত্তা ইসলামিক আগ্রাসনের গলনাধারে গলে যাবে। আমরা ফিরে পাব কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা ও শান্তি।
এটা গণহত্যামূলক লড়াই। এ লড়াইয়ে শুধু তারাই বাঁচতে পারবে, যারা শত্রুর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য, তার অগ্রগতি ব্যাহত করার জন্য, ময়দানকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং শেষ পর্যন্ত শত্রুর বাহিনীকে নির্মূল করার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত থাকবে। একই সময়ে এবং তার আগে ও পরে ইসলামের দাওয়াতের ময়দান উন্মুক্ত থাকবে; এমন এক বিশ্বে এমন একটা সময়ে দাওয়াতের ময়দান কখনোই বন্ধ করা যাবে না, যেখানে যোগাযোগ ও গণসংযোগই হলো গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও প্রাধান্য প্রাপ্ত বিষয়। সর্বকালের জ্ঞানী ব্যক্তিরা সময়োপযোগী এক্সিট স্ট্রাটেজি (Exit strategy) উদ্ভাবন করেছে, তবে ফিলিস্তিন দখলকারী ইহুদীদের ব্যাপারে সর্বোত্তম এক্সিট স্ট্রাটেজি (Exit strategy) অনুমোদন দিয়েছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ইহুদীদের ব্যাপারে হযরত সাদ ইবনে মুআজ রাযিয়াল্লাহু আনহুর সিদ্ধান্ত সঠিক বলে ঘোষণা করেছিলেন। সাদ ইবনে মুআজ রাযিয়াল্লাহু আনহু বনু কুরাইযার ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন “তাদের যুদ্ধক্ষম ব্যক্তিদেরকে হত্যা করা হবে, তাদের ঘরের নারীদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের সম্পদ গনীমত হিসাবে নিয়ে যাওয়া হবে।” মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন: “আপনি তাদের ব্যাপারে সাত আসমানের উপর থেকে মহান মালিকের বিচার অনুযায়ী ফয়সালা করেছেন।”
জীবনের ব্যাপারে ইতিবাচকতা এবং জীবনমুখী নির্মাতাদের সঙ্গে মৃত্যুর কারিগরদের বিস্তর পার্থক্য রয়েছে।
***
আরও পড়ুন
Comment