চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন একটি উন্মুক্ত হাটবাজার। রোদে পুড়ছে চারদিক, দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে তীব্র গতিতে এগিয়ে চলছে সময়, সেসময় কিছু মানুষ তাদের মাথার উপর ছাউনি দেয়ার চেষ্টা করেছে সূর্যের প্রখরতা থেকে বাঁচার জন্য। কেউ একজন একটি অস্থায়ী ছাউনি গেড়েছেন এমন একটি জায়গায়, যা তার নিজের জায়গা নয়—বরং একটু সরে দাঁড়িয়ে অন্যের দিক ঘেঁষে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছাউনির ছায়া পড়ছে ঠিক তার মাথার উপর, কারণ সূর্য পশ্চিমের দিকে হেলে পড়েছে। একটু দূরে আরেকজন—সে পরিশ্রম করে নিজ মাথার উপর ছাউনি তৈরি করেছে, কিন্তু ছায়া তার গা ছুঁয়েও যায়নি; সূর্যের তীব্র আলোয় সে এখনো পুড়ছে।
এই সাধারণ দৃশ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি গভীর প্রতীকী সত্য—ছাউনির অবস্থান নয়, সূর্যের দিকই নির্ধারণ করে কে ছায়া পাবে। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়, যেখানে নিজের জায়গায় বিনিয়োগ করেও ফল পাওয়া যায় না, আবার অন্যের ছাউনিরও সুফল কেউ পেতে পারে, যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে।
এই প্রতীক আমাদের নিয়ে আসে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায়। এখন দেশজুড়ে চলছে একটি আন্দোলন—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন। বহু মতাদর্শের মানুষ এতে অংশ নিচ্ছে, তবে উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাচ্ছে ইসলামপন্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি। ইতিহাসে আমরা বহুবার দেখেছি, ইসলামপন্থীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে সামনে থেকেছে, কিন্তু আন্দোলনের পর সেকুলার গোষ্ঠী তাদের ছুড়ে ফেলেছে, রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিয়েছে এককভাবে।
এই ইতিহাসের কারণে অনেকেই এখন ইসলামপন্থীদের নিরুৎসাহিত করছে—বলছে, “আবারও ব্যবহার হয়ে যাবে। আন্দোলনের ফল সেকুলাররাই ভোগ করবে, তোমাদের কোনো স্বীকৃতি দিবে না।” এই আশঙ্কা অমূলক নয়, তবে রাজনীতি সবসময় সরল অঙ্কের মতো চলে না—এখানে সূর্যের অবস্থান মানে হলো সামগ্রিক রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করেছে/করে/করবে। এই শক্তির পতন মানেই ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের পতন, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামপন্থী শক্তির জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কৃতিত্ব বা ক্ষমতা মিলবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে ক্ষমতা বা প্রভাব অর্জনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
এই মুহূর্তে ইসলামপন্থীরা যদি আন্দোলনে অংশ না নেয়, তাহলে হয়তো আন্দোলন দুর্বল হবে, কিংবা সফল হলেও তাদের কোনো ভূমিকা গণনায় আসবে না। কিন্তু অংশ নিলে—এমনকি অন্যের জায়গায় ছাউনি তুললেও—ছায়া পড়তে পারে ঠিক নিজের মাথায়। এটা একপ্রকার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, যেখানে স্বল্পমেয়াদী অপমানকে মেনে নিলে দীর্ঘমেয়াদী সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এখানে আবার ফিরে আসি সেই হাটবাজারের দৃশ্যে—যেখানে একজন অন্যের জায়গায় ছাউনি দিয়েছে, কিন্তু সুফলটা সে-ই পাচ্ছে। আরেকজন নিজের পরিশ্রমে নিজ মাথার উপর ছাউনি তুলেছে, কিন্তু বাহ্যিক বাস্তবতা—সূর্যের দিক—তাকে ছায়া দিতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশের রাজনীতিও এখন সেই মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে, যেখানে “কে নেতৃত্ব দিচ্ছে” তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে “এই আন্দোলনের সফলতা ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা বয়ে আনবে”। ইসলামপন্থীদের তাই এই সময়ে কৌশলী হতে হবে, আবেগপ্রবণ নয়। কখনো কখনো অন্যের জায়গায় ছাউনি তুলেও ছায়া পাওয়া যায়—শর্ত একটাই, সূর্য কোন দিকে তাকিয়ে আছে সেটা বোঝার মতন দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে।
এই সাধারণ দৃশ্যের মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি গভীর প্রতীকী সত্য—ছাউনির অবস্থান নয়, সূর্যের দিকই নির্ধারণ করে কে ছায়া পাবে। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়, যেখানে নিজের জায়গায় বিনিয়োগ করেও ফল পাওয়া যায় না, আবার অন্যের ছাউনিরও সুফল কেউ পেতে পারে, যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে।
এই প্রতীক আমাদের নিয়ে আসে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায়। এখন দেশজুড়ে চলছে একটি আন্দোলন—আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন। বহু মতাদর্শের মানুষ এতে অংশ নিচ্ছে, তবে উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাচ্ছে ইসলামপন্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি। ইতিহাসে আমরা বহুবার দেখেছি, ইসলামপন্থীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে সামনে থেকেছে, কিন্তু আন্দোলনের পর সেকুলার গোষ্ঠী তাদের ছুড়ে ফেলেছে, রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিয়েছে এককভাবে।
এই ইতিহাসের কারণে অনেকেই এখন ইসলামপন্থীদের নিরুৎসাহিত করছে—বলছে, “আবারও ব্যবহার হয়ে যাবে। আন্দোলনের ফল সেকুলাররাই ভোগ করবে, তোমাদের কোনো স্বীকৃতি দিবে না।” এই আশঙ্কা অমূলক নয়, তবে রাজনীতি সবসময় সরল অঙ্কের মতো চলে না—এখানে সূর্যের অবস্থান মানে হলো সামগ্রিক রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করেছে/করে/করবে। এই শক্তির পতন মানেই ভারতের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবের পতন, যা দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসলামপন্থী শক্তির জন্য একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। হয়তো তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কৃতিত্ব বা ক্ষমতা মিলবে না, কিন্তু ভবিষ্যতে ক্ষমতা বা প্রভাব অর্জনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
এই মুহূর্তে ইসলামপন্থীরা যদি আন্দোলনে অংশ না নেয়, তাহলে হয়তো আন্দোলন দুর্বল হবে, কিংবা সফল হলেও তাদের কোনো ভূমিকা গণনায় আসবে না। কিন্তু অংশ নিলে—এমনকি অন্যের জায়গায় ছাউনি তুললেও—ছায়া পড়তে পারে ঠিক নিজের মাথায়। এটা একপ্রকার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, যেখানে স্বল্পমেয়াদী অপমানকে মেনে নিলে দীর্ঘমেয়াদী সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এখানে আবার ফিরে আসি সেই হাটবাজারের দৃশ্যে—যেখানে একজন অন্যের জায়গায় ছাউনি দিয়েছে, কিন্তু সুফলটা সে-ই পাচ্ছে। আরেকজন নিজের পরিশ্রমে নিজ মাথার উপর ছাউনি তুলেছে, কিন্তু বাহ্যিক বাস্তবতা—সূর্যের দিক—তাকে ছায়া দিতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশের রাজনীতিও এখন সেই মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে, যেখানে “কে নেতৃত্ব দিচ্ছে” তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে “এই আন্দোলনের সফলতা ভবিষ্যতের জন্য কী বার্তা বয়ে আনবে”। ইসলামপন্থীদের তাই এই সময়ে কৌশলী হতে হবে, আবেগপ্রবণ নয়। কখনো কখনো অন্যের জায়গায় ছাউনি তুলেও ছায়া পাওয়া যায়—শর্ত একটাই, সূর্য কোন দিকে তাকিয়ে আছে সেটা বোঝার মতন দৃষ্টিশক্তি থাকতে হবে।
Comment