Announcement

Collapse
No announcement yet.

পর্ব ১ || বাংলাদেশে জঙ্গি ন্যারেটিভ পুনর্গঠনের চেষ্টা: আমাদের করণীয় কী?

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পর্ব ১ || বাংলাদেশে জঙ্গি ন্যারেটিভ পুনর্গঠনের চেষ্টা: আমাদের করণীয় কী?

    ||পর্ব ১||
    বাংলাদেশে জঙ্গি ন্যারেটিভ পুনর্গঠনের চেষ্টা: আমাদের করণীয় কী?

    "নীরবতা নয়, এখন প্রতিরোধের সময়"

    ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিভাজক রেখা—যেখানে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ মুখোমুখি হয়েছিল এক নতুন সংঘাতে। সেদিন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফর শেষে চীন থেকে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছিলো, তা মুহূর্তেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে-কানাচে। "রাজাকারের নাতি-নাতনি" এই শব্দবন্ধ যেন ঢুকে যায় হাজারো তরুণ-তরুণীর আত্মায়, জন্ম দেয় ক্ষোভ, অপমান আর প্রতিবাদের আগুন।

    রাত তখন গভীর। ঢাকার আকাশে যেন অদ্ভুত এক চাপা গর্জন। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে শুরু হয় নতুন করে ইতিহাস লেখার প্রস্তুতি। শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হতে থাকে এক স্লোগান, যার প্রতিটি শব্দ যেন একেকটি বিস্ফোরণ—"আমি কে? তুমি কে? রাজাকার! রাজাকার!" এটা শুধু স্লোগান ছিল না—ছিল চাপা ক্ষোভের বিস্ফোরণ, এ ছিল দীর্ঘশ্বাসে মোড়া প্রতিবাদ, ছিল ইতিহাসের ঘুম ভাঙানো এক চিৎকার।

    ১৫ জুলাইয়ের গভীর রাতে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া সেই ঐতিহাসিক ঘটনার পর, আমি অনুভব করেছিলাম—হাসিনার পতন শুধু সম্ভাবনা নয়, তা এক অনিবার্য বাস্তবতা এবং তা অতিশীঘ্রই। কারণ, হাসিনার শাসনক্ষমতার ভিত্তি সে রাতেই কেঁপে উঠেছিল। যে ন্যারেটিভের উপর দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ বছরের পর বছর ধরে ক্ষমতার প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল, ১৫ জুলাইয়ের গভীর রাতে সেই প্রাসাদের ভিত্তি (ন্যারেটিভ) ভেঙে পড়ে শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ধ্বনিত হওয়া এক অগ্নিঝরা স্লোগানে। সেই মুহূর্তে শব্দ শুধু প্রতিবাদ ছিল না, ছিল ক্ষমতার মূল ভিত্তিমূলে আঘাত হানা এক ঐতিহাসিক বিস্ফোরণ।

    অতঃপর, হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়তে থাকে তাদের শাসনব্যবস্থা এবং ক্ষমতাকে ঘিরে গড়ে ওঠা অন্যান্য ন্যারেটিভও। যে ভিত্তির ওপর সেইসব বয়ান দাঁড়িয়ে ছিল, তা একে একে দুর্বল হয়ে পড়ে, চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় বিশ্বাসের খোলস। বিলীন হতে থাকে সেই নির্মিত ইতিহাস, নিঃশব্দে ভেঙে পড়ে তাদের অস্তিত্বের চিহ্ন।

    ঘটনার ধারা কখনো সরল পথ ধরে চলে না। পতনের মুহূর্ত যতই চূড়ান্ত মনে হোক না কেন, ক্ষমতার ছায়া সহজে বিলীন হয় না। হাসিনা ও আওয়ামী শাসনব্যবস্থার পতনের পর, শুরুতে মনে হয়েছিল সব ভেঙে পড়েছে—যে ন্যারেটিভগুলো তাদের শাসনের ভিত্তি ছিল, সেগুলোর অস্তিত্ব যেন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে, তত স্পষ্ট হতে থাকে—সবকিছু শেষ হয়নি। ডিপ স্টেটের নীরব ইশারায়, সেই পুরনো বয়ানগুলো আবারও ধীরে ধীরে পুনর্জন্ম নিতে শুরু করে।
    বিশেষ করে, "জঙ্গি ন্যারেটিভ"—যেটি এক সময় ক্ষমতার অপব্যবহারের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র ছিল, তা আবারও ফিরে আসতে শুরু করে নতুন মুখোশে, নতুন ভাষায়, কিন্তু সেই পুরনো উদ্দেশ্যেই।

    এক ভয়াবহ ঝড় আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। এই ঝড় শুধু বাতাসের নয়, এটি এক ছায়াময় বয়ানের—যা ইতিহাসের গলিপথ থেকে বারবার ফিরে আসে, বদলায় রূপ, বদলায় নাম, কিন্তু বদলায় না তার বিষাক্ততার কিছুই। আজ আবার সেই পুরোনো "জঙ্গি ন্যারেটিভ" ফেরানোর চেষ্টা চলছে—আরও ধূর্তভাবে, আরও সংগঠিত ছদ্মবেশে। এই সেই পুরোনো ‘জঙ্গি ন্যারেটিভ’—যা রক্তে রাঙিয়েছে অতীত, এখন ফের ছড়িয়ে দিতে চায় ভয়ের বিষ। তাদের লক্ষ্য—সত্যকে আচ্ছন্ন করা বিভ্রান্তির কুয়াশায়, আর বাংলার জমিনে ইসলামের নবজাগরণকে রুদ্ধ করে দেওয়া।

    ইতিহাস আমাদের শিখিয়েছে এমতাবস্থায় নীরবতা কখনো কৌশল হতে পারে না। যে বয়ান একবার বুকে আগুন ধরিয়েছিল, তা যদি আমরা থামাতে না পারি, তবে সে আগুন আবার জ্বলবে—আরও তীব্র হয়ে। আজ তাই, আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলোর মধ্য থেকে অন্যতম একটি—এই বিকৃত বয়ানকে প্রতিহত করা। আমাদের থামিয়ে দিতে হবে সেই বয়ানকে, যেটির উদ্দেশ্য: ভয় ছড়িয়ে নাগরিক মনকে বশে আনা এবং চিন্তার স্বাধীনতায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া।

    আমাদের জেগে উঠতেই হবে—প্রতিটি কণ্ঠ, প্রতিটি কলমকে হতে হবে প্রতিরোধের দীপ্ত প্রতীক। কারণ, যদি আমরা আজ দাঁড়াতে না পারি, যদি আমরা নীরব থাকি, তবে আমাদের কণ্ঠস্বর হারিয়ে যাবে ইতিহাসের শূন্যতায়, আর ভবিষ্যৎ গড়ে উঠবে ভয়ের অন্ধকারে।

    এটাই সময়—সত্যের পাশে দাঁড়ানোর।
    এটাই সময়—বাংলার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল প্রতিরোধরেখা টানার।


    ভয়ের নির্মাতা কারা: জঙ্গি ন্যারেটিভের কারিগর ও তাদের ছদ্মবেশী কৌশল

    ১৫ জুলাইয়ের অগ্নিঝরা রাত কেবল একটি প্রতিবাদ ছিল না, ছিল এক দুঃস্বপ্নের ভাঙন। সেই রাতে কেঁপে উঠেছিল রাষ্ট্রীয় বয়ানের ভিত। কিন্তু প্রতিটি ভাঙনের মধ্যেই থাকে পুনর্গঠনের চেষ্টা—আর যারা ক্ষমতা হারায়, তারাই সবচেয়ে আগ্রহী পুরনো অস্ত্রকে নতুন মোড়কে ফিরিয়ে আনতে। আজ, আমরা সেই চেনা অস্ত্রের ফিরে আসা দেখছি—আরও ছায়াময়, আরও ছলনাময় এক ছদ্মবেশে। এটি সেই পুরোনো “জঙ্গি ন্যারেটিভ”, যার মুখোশে বারবার দেখানো হয় নিরাপত্তার মুখ, কিন্তু যার প্রকৃত উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল—ইসলামকে দমন করা, মুসলিম পরিচয়কে সন্দেহের চশমায় উপস্থাপন করা, এবং ইসলামী নবজাগরণকে পথেই থামিয়ে দেওয়া।

    কিন্তু প্রশ্ন হলো—বর্তমানে কারা এই ন্যারেটিভ পুননির্মাণের সাথে জড়িত?

    এর পেছনে রয়েছে দুই প্রধান শক্তি: একটি হলো ডিপ স্টেট—যারা প্রশাসনের অদৃশ্য ছায়াপথে বসে ক্ষমতার চাকা ঘোরায় এবং অন্যটি হলো এদেশের সেকুলার এলিট গোষ্ঠী—যারা নিজেদের ‘প্রগতিশীল’ দাবি করে এবং চলাফেরা করে পশ্চিমা এজেন্ডার ছায়াকে লক্ষ্য করে। এই দুই শক্তিই মূলত এক অভিন্ন প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে, যার উৎস পশ্চিমা নিরাপত্তা নীতিমালা ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা।

    বাংলাদেশের গণমাধ্যম, শিক্ষাব্যবস্থা, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলস্থানে আজ অবস্থান করছে সেকুলার এলিটদের অনুসারীরা। তারা 'জঙ্গি' শব্দটির এমন এক নির্মাণ উপস্থাপন করেছিল এবং আবারও করতে চায়—যার ফলে ইসলামের প্রতি আন্তরিকতা, শুদ্ধ জীবনযাপন কিংবা পরিশীলিত চিন্তাচর্চাও যেন হয়ে ওঠে সন্দেহের বিষয়, বিপদসংকেত। এইভাবে, একটি গোটা প্রজন্মকে তারা ঠেলে দিতে চায় আত্মসংকোচে; এমন এক মানসিক বন্দীত্বে, যেখানে নিজের ধর্ম ও পরিচয়ই হয়ে ওঠে অপরাধবোধের উৎস।

    অতীতে তারা স্বল্পমেয়াদে কিছুটা সফল হলেও, আজ তারা ব্যর্থ। আর আমরা—যদিও এই প্রক্রিয়ায় সাময়িক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে গিয়েছি—তবু এখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—তারা যখন ব্যর্থতার ধুলো ঝেড়ে আবার নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন আমরা কী করছি? এই সামান্য স্বস্তিই কি আমাদেরকে হেলান দিয়ে বসে পড়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে? নাকি এটাই সময় আরও সজাগ, সচেতন এবং সক্রিয় হবার?

    "কাদরউদ্দীন শিশির"

    কাদরউদ্দিন শিশির এএএফপি'র ঢাকা ব্যুরোর একজন সম্পাদক এবং এএএফপি ফ্যাক্ট চেকের বাংলা সংস্করণের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। এএএফপিতে যোগ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের বুম লাইভ এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছে কাদরউদ্দিন শিশির। ৫ আগস্টের পর জঙ্গি ন্যারেটিভ পুননির্মাণের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছে কাদরউদ্দিন শিশির।

    ৬ মার্চ ২০২৫, কাদরউদ্দিন শিশির তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করে, যার শিরোনাম ছিল—"তৌহিদী জনতার আড়ালে কারা?"—সেখানে সে শেখ হাসিনার শাসনামলে যাদের ভিত্তিহীন অভিযোগে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেই ঘটনাগুলোর উদাহরণ টেনে দেখানোর চেষ্টা করে যে, বর্তমানের বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নেওয়া দাড়ি-টুপিওয়ালা ব্যক্তিরা এবং তাদের নেতৃত্বদানকারীরা আসলে জঙ্গি ও কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত।

    এরপর, ৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে The Business Standard কাদরউদ্দিন শিশিরের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল—"Unmasking the 'Tawhidi Janata': Faces behind it"। আমার পর্যবেক্ষণে, ৫ আগস্টের পর জঙ্গি ন্যারেটিভ পুননির্মাণের ক্ষেত্রে এটিই ছিল সেকুলার মহলের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় ও আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ।

    ১৩ মে ২০২৫ তারিখে, কাদরউদ্দিন শিশির "Introducing The Dissent!" শিরোনামে একটি ফেসবুক পোস্টে জানায় যে, তার এবং আরও কয়েকজন সাংবাদিকের যৌথ উদ্যোগে একটি নতুন মিডিয়া আউটলেট—"The Dissent"—আসছে।

    সেই পোস্টে সে লেখে —

    "তরুণ ও উদ্যোমী কয়েকজন ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টকে নিয়ে আমরা ছোট একটি টিম গঠন করেছি। বাংলাদেশে ট্রাডিশনাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিম এবং ডিজিটাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের মিশেলে স্বাধীন একটি মিডিয়া আউটলেট এর যাত্রা শুরু করার চেষ্টা। এখনও প্রস্তুতি পর্যায়ে থাকলেও কার্যক্রম ভালভাবেই এগোচ্ছে। ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষায় এটি প্রকাশিত হবে।"

    "আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে আশা করছি পুরোদমে কাজ শুরু করা যাবে। ওয়েবসাইট লাইভ হতে কিছুটা সময় লাগবে। তার আগেই আমাদের টিমের সদস্যরা একটা ভালো স্টোরি পেয়েছেন এবং গত দুই সপ্তাহ এটা নিয়ে কাজ করেছেন। যেহেতু স্টোরিটি প্রকাশযোগ্য হয়েছে তাই আমরা ওয়েবসাইটের অপেক্ষা না করে এটি আমাদের ফেসবুক পেইজেই পোস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

    এরপর, ১৫ মে ২০২৫ তারিখে The Dissent তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করে প্রতিশ্রুত সেই "ভালো স্টোরি", যার শিরোনাম ছিল—"তালেবানের হয়ে পাক-আফগান সীমান্তে যুদ্ধ করছেন বাংলাদেশি তরুণরা"।

    এই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় একেবারেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে—বাংলাদেশে জঙ্গি ন্যারেটিভ পুননির্মাণের প্রক্রিয়া এবার ঘোষণা দিয়েই, পূর্ণাঙ্গভাবে ও সংগঠিতভাবে শুরু হলো। সেই রিপোর্টের বিস্তারিত আলোচনায় যাচ্ছি না; আশা রাখি আপনারা নিজ দায়িত্বে পড়ে দেখবেন।

    শুধু এটুকু বলতে চাই—এখন সময় গভীর মনোযোগের, ভেবে দেখা ও জাগরণের। কারণ, যা ঘটছে তা কেবল মতপার্থক্যের আলাপ নয়—এটি আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয় ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পরিচালিত এক নিঃশব্দ, সুপরিকল্পিত আঘাত। এই আঘাতের মুখে নীরব থাকা মানেই আত্মবিস্মৃত হওয়া। প্রতিরোধ এখন দায়িত্বই নয়, অপরিহার্যতা। এই লড়াই—আমাদের করতেই হবে, করতেই হবে, এবং করতেই হবে

  • #2
    এ লড়াইআমাদের করতেই হবে, করতেই হবে এবং করতেই হবে। যে ন্যারেটিভে তারা ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে, সে ন্যারেটিভই তাদের ধ্বংস করবে - ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর সাহায্য সর্বদা মুমিনদের ঘিরে রাখে।
    Last edited by Rakibul Hassan; 4 days ago.

    Comment


    • #3
      খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
      হে আল্লাহ! আমাদেরকে তাদের কর্মপদ্ধতিগুলো বুঝে তাদের মোকাবেলা করার তাওফিক দাও। আমীন।



      Last edited by Rakibul Hassan; 4 days ago.

      Comment


      • #4
        শের খাঁ ভাই,
        আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

        মাশাআল্লাহ ভাই, আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আপনাকে এই বিষয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করার, তা সুসংগঠিতভাবে ভাইদের সামনে উপস্থাপন করার এবং এর মাধ্যমে উম্মাহর পথনির্দেশনার একটি কার্যকর মাধ্যম হওয়ার তাওফিক দান করেন।

        দাওয়াত ও জিহাদ—দুটিই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর মক্কী জীবন ছিল দাওয়াতি সংগ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, আর মাদানী জীবন ছিল রাষ্ট্র গঠন ও সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা ও বাস্তবায়নের একটি আদর্শ নকশা। তাই এ দুইটি উপাদান একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু এগুলোর মধ্যে যথাযথ সময় ও পর্যায়ে পার্থক্য না করলে তা আন্দোলনের জন্য কল্যাণ নয়, বরং বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

        বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কিছু জিহাদি তানজিম বা সংগঠন দাওয়াত ও সামরিক উদ্যোগকে একই কাঠামোর অধীনে পরিচালনা করতে চাচ্ছে বা করছে। এই প্রবণতা কৌশলগতভাবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র এবং গণমাধ্যম এ ধরনের মিশ্র কাঠামোকে সহজেই "উগ্রবাদ", "সহিংসতা", কিংবা "সন্ত্রাসবাদ" ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে পুরো দাওয়াতি প্রচেষ্টাকে জনমনে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ দাওয়াতকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে এবং সত্য-সন্ধানী অনেক হৃদয় দ্বীনের আলো থেকে দূরে সরে যায়।

        তাই আজকের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে জরুরি করণীয় হলো—দাওয়াতি কর্মসূচিকে সামরিক কাঠামো থেকে পূর্ণরূপে পৃথক করা। যারা দাওয়াতি কাজ করবেন, তারা যেন দায়িত্বপ্রাপ্ত, পরিচ্ছন্ন, এবং নিরপেক্ষভাবে সমাজে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেন। তাদের মাঝে এমন কোনো ব্যক্তি যেন না থাকেন, যিনি পূর্বে সামরিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন বা যাদের নাম/পরিচিতি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা কাঠামোর নজরে এসেছে।

        এটি শুধু দাওয়াতকে নিরাপদ রাখে না, বরং জনগণের মনে আস্থা সৃষ্টি করে এবং ইসলামি চিন্তার একটি পরিচ্ছন্ন, চিন্তাশীল রূপ গঠনের সুযোগ করে দেয়। দাওয়াতকে জনমানুষের দরজায় পৌঁছাতে হলে, সেটি বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিনির্ভর হতে হবে—যেমনটি ছিল রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মক্কী দাওয়াত।

        একই সাথে, বর্তমান দাওয়াতি কাঠামোর আরেকটি দুর্বল দিক হলো—পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের অভাব। আমরা লক্ষ্য করি যে, যেসব ইসলামী প্রচেষ্টা বর্তমানে দাওয়াতি নামে কাজ করছে, সেগুলোর অধিকাংশই গোপনীয়, মুখবিহীন, কিংবা ভার্চুয়াল উপস্থিতির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর ফলে সমাজ বা রাষ্ট্র সহজেই এদের "আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠন" বলে আখ্যা দিতে পারে এবং জনমনে এদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি করে।

        এই সমস্যার উত্তরণে প্রয়োজন—পরিচিত চেহারা, বিশ্বাসযোগ্য মুখ এবং চিন্তাশীল নেতৃত্বের। আমাদের এমন কিছু মুখপাত্র থাকা দরকার, যারা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে যুক্তিনির্ভর বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন, সামাজিক পরিসরে গ্রহণযোগ্য। এই ধরনের ব্যক্তিত্ব থাকলে দাওয়াতি কাঠামো একটি মুখ, একটি আকার ও একটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারে—যা দাওয়াতকে সফলতার পথে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

        আল্লাহ আমাদের সকলকে হিকমাহ ও ধৈর্যের সাথে এই দ্বায়িত্ব পালনের তাওফিক দিন। আমীন।
        فَاَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَ انۡتَظِرۡ اِنَّهُمۡ مُّنۡتَظِرُوۡنَ

        Comment


        • #5
          আপনার ২২ তম প্যারায় -
          এই লড়াই—আমাদের করতেই হবে, করতেই হবে, এবং করতেই হবে।​
          আপনার ০৮ ম প্যারায় -
          আমাদের জেগে উঠতেই হবে—প্রতিটি কণ্ঠ, প্রতিটি কলমকে হতে হবে প্রতিরোধের দীপ্ত প্রতীক।
          তার মানে, কণ্ঠ ও কলম -এই দুইয়ের মাধ্যমে লড়াই করতে হবে, এমনটাই আপনি বলতে চাচ্ছেন। আমিও আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি।

          তবে, আমি মনে করি,
          • কণ্ঠ ও কলম - ৮০ শতাংশ
          • অস্ত্র - ১০ শতাংশ
          • অন্যান্য - ১০ শতাংশ
          যদি এই ৮০ শতাংশ কণ্ঠ ও কলমের সাথে ১০ শতাংশ অস্ত্র না থাকে, তবে এই ৮০ শতাংশ প্রকৃতপক্ষে তেমন কোন কার্যকর হবে না। বাতিলদের ন্যারেটিভ যতদূর যাবে, অস্ত্র ব্যতীত হকের ন্যারেটিভ ততদূর যাবে না। এই ১০ শতাংশ অস্ত্র ৮০ শতাংশ কণ্ঠ ও কলমকে নিরাপত্তা দিবে, যার ফলে এই ৮০ শতাংশ কণ্ঠ ও কলম অতি অল্প সময়ে অনেকদূর যেতে পারবে ইংশাআল্লাহ।

          Comment


          • #6
            Hafizur Rahman - প্রিয় ভাই, সংক্ষেপে বলতে গেলে—আমি এখানে বয়ান (ন্যারেটিভ) কেন্দ্রিক একটা আলোচনা করেছি, এর সাথে সামরিক (আউটপুট) বিষয় অবশ্যই জড়িত কিন্তু আমি সেটাকে এই আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিইনি—ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে সামরিক বিষয়েও লেখার ইচ্ছা আছে।

            আর—আমি এর আগে কখোনো নিজের লেখা (নিজের চিন্তা কেন্দ্রিক) পাবলিকলি প্রকাশ করিনি। আসলে একটা বিষয় সম্পর্কে যতটা সুন্দর ভাবে চিন্তা-কল্পনা করা যায়—সেটাকে লিখে প্রকাশ করা বাস্তবে অতটা সহজ না (আমার ক্ষেত্রে হচ্ছে এরকম, জানিনা অন্য সকলের ক্ষেত্রেও এমন হয় কিনা)।

            পাশাপাশি, আমার আগে থেকে সেরকম লেখালেখির অভ্যাস নেই—তাই প্রাথমিক ধাপেই আমার পক্ষে, অন্য কেউ আমার লেখা পড়ে, কী ম্যাসেজ পাচ্ছে সেটা অনুধাবন করা কষ্টকর, এজন্য পাঠকদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ—যা আমাকে সামনের লেখালেখিতে সাহায্য করবে।

            আপনার মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।

            আমি সামরিক বিষয়কে কম গুরুত্ব দিচ্ছি বিষয়টা আদতে এরকম না—যদি পুরো কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তাহলে লেখাটাও বড় হয়ে যায়—পাশাপাশি প্রতিটা বিষয়ের সাথে সামরিক দিকটাকে যুক্ত করে পরিষ্কার একটা বার্তা দেওয়া বেশ জটিল হয়ে পড়ে—এজন্যই আরকি এই লেখাতে সামরিক দিকটা প্রাধান্য দিইনি।

            Comment


            • #7
              Hafizur Rahman - প্রিয় ভাই, সংক্ষেপে বলতে গেলে—আমি এখানে বয়ান (ন্যারেটিভ) কেন্দ্রিক একটা আলোচনা করেছি, এর সাথে সামরিক (আউটপুট) বিষয় অবশ্যই জড়িত কিন্তু আমি সেটাকে এই আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিইনি
              যখন আপনার আলোচনার টাইটেল -
              পর্ব ১ || বাংলাদেশে জঙ্গি ন্যারেটিভ পুনর্গঠনের চেষ্টা: আমাদের করণীয় কী?
              তখন এটা ব্যাপক অর্থ প্রকাশ করে। তাই প্রথমেই এর নির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয়বস্তুকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা উচিত বলে আমি মনে করি। যেমন-- আমাদের করণীয় বিষয়বস্তুর সংখ্যা তো অনেক, কিন্তু আমি কলম-কণ্ঠ / বয়ান-ন্যারেটিভ / দাওয়াত-তালীম ইত্যাদিসব নিয়ে আলোচনা করবো ইংশাআল্লাহ। ---এর ফলে বিভিন্ন বিষয়বস্তুর মধ্যে ভারসাম্যতা রক্ষা পায় বলে আমি মনে করি।

              আবার আপনার একটি পর্ব পাঠ করেই কেউ বিরুধী মন্তব্য করবে এটাও উচিত নয়, বরং আপনার সবগুলো পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত। আর আমি আমার কমেন্টে আপনার লিখার বিরুধী কিছু লিখিনি, বরং আমি আমার পক্ষ থেকে একটি দৃষ্টিকোণ প্রকাশ করেছি, যা হয়ত পাঠককে আরও সুদূর চিন্তা-ফিকির করতে সাহায্য করবে ইংশাআল্লাহ। আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটের জন্য অস্ত্র ১০ শতাংশ লিখেছি, কিন্তু কেউ যদি লিখে- আমি মনে করি, অস্ত্র ২০ শতাংশ হওয়া উচিত, তবে এটা কোনো বিরুধী মন্তব্য নয়, বরং এটা আরেকটা দৃষ্টিকোণ, এর ফলে আমরা আরও উত্তমভাবে কোনো একটি বিষয়কে সব দিক থেকে দেখতে পারবো।

              মনে করি, একটা চেয়ারকে মাঝখানে রেখে এর ডানে-বামে-সামন-পিছন-উপর-নীচ থেকে ছয়জন ব্যক্তি দেখছেন। চেয়ারটির সম্পর্কে এই ছয়জনের প্রত্যেকের মতামতই কিন্তু ভিন্ন হবে, কিন্তু ভুল নয়, এবং প্রত্যেকই একে-অপরের বিরুধী নয় বরং ছয়জনের দৃষ্টিকোণ থেকে মতামত নিয়ে আমরা চেয়ারটির সম্পর্কে একটি উত্তম কাল্পনিক ছবি আঁকতে পারবো, চিন্তা করতে পারবো, যা আমাদেরকে একটি পরিষ্কার পথ চলতে সাহায্য করবে।​

              —ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে সামরিক বিষয়েও লেখার ইচ্ছা আছে।
              মাশাআল্লাহ। অপেক্ষায় রইলাম, কেননা সামরিক ও সামরিক কৌশলের প্রতি আমার আলাদা একটা টান রয়েছে।

              আর—আমি এর আগে কখোনো নিজের লেখা (নিজের চিন্তা কেন্দ্রিক) পাবলিকলি প্রকাশ করিনি। আসলে একটা বিষয় সম্পর্কে যতটা সুন্দর ভাবে চিন্তা-কল্পনা করা যায়—সেটাকে লিখে প্রকাশ করা বাস্তবে অতটা সহজ না (আমার ক্ষেত্রে হচ্ছে এরকম, জানিনা অন্য সকলের ক্ষেত্রেও এমন হয় কিনা)।
              আপনি একদম ঠিক বলেছেন। সকলের কথা জানি না, তবে আমারও এমনই হয়। যেমন আমি এখন যা বলতে চাচ্ছি, তা লিখলে হয়ত একটা বই হয়ে যাবে। কিন্তু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আর লেখার মধ্যে লেখকের এক্সপ্রেশান থাকে না, এটাও একটা সীমাবদ্ধতা। আসলে--- অস্থায়ী এই দুনিয়ার সবকিছুই অস্থায়ী। সীমাবদ্ধ এই দুনিয়ার সবকিছুই সীমাবদ্ধ। এর মধ্যে আবার আমাদের প্রত্যেকের চিন্তা-ভাবনার মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। আশা করি, আমাদের লিখনীগুলো আমাদের চিন্তা-ভাবনাগুলোর মধ্যের পার্থক্যকে কমিয়ে আনবে, ইংশাআল্লাহ।

              পাশাপাশি, আমার আগে থেকে সেরকম লেখালেখির অভ্যাস নেই—
              মাশাআল্লাহ। আমারও তেমন একটা অভ্যাস নেই। এখানে আমি যা লিখেছি বা যতটুকু লিখেছি, তা তো কেবল আমার একটি দৃষ্টিকোণ মাত্র, যা কয়েকটি বাক্যের মাধ্যে লিখা।

              যে পথ চলে, তারই ভুল হয়, তারই পদস্খলন হয়, তাকে নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা হয়। আপনার লিখনী হল ৫/৬ পৃষ্ঠার সমান, আর অপর দিকে আমার লিখনী হল কয়েকটা বাক্য মাত্র। লিখনির দিক থেকে এখানে আপনার পথ চলা আমার থেকে অনেক বেশি, সেই সাথে আপনি একটি লিখনীর শুরুকার আর আমি এর মাঝপথে কেবল একজন মন্তব্যকারী মাত্র। মন্তব্য গ্রহণযোগ্য হলে আল-হামদুলিল্লাহ, আর গ্রহণযোগ্য না হলে সালাম দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন--- এভাবেই জীবন চলে।

              তাই প্রাথমিক ধাপেই আমার পক্ষে, অন্য কেউ আমার লেখা পড়ে, কী ম্যাসেজ পাচ্ছে সেটা অনুধাবন করা কষ্টকর,
              একদম ঠিক বলেছেন, সেই সাথে এই বাক্যটির মাধ্যমে আপনার গভীর দৃষ্টি সম্পর্কেও অনুধাবন করা যাচ্ছে, মাশাআল্লাহ। কেননা, একই ব্যক্তি যখন একলাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পারে, তখনই কেবল সে লিখতে পারে, তখনই কেবল সে নেতৃত্ব দেওয়ার মত যোগ্য হয়ে উঠে, যা আপনার মাঝে আছে​ বলে মনে করি (এই বাক্যটিই তার প্রমাণ)।

              আবার আমাদের লিখনীতে একদিকে লেখকের যেমন কমতি থাকে, ঠিক তেমনি পাঠকের মাঝেও কমতি থাকে--- এই যেমন অনেক পাঠকের কাছে এই ন্যারেটিভ​ শব্দটির অর্থই অজানা। আবার অনেক শব্দ রয়েছে, যার অর্থ বুঝতে বাক্যটি বুঝতে হয়, আবার অনেক সময় পুরা প্যারাটা বুঝতে হয়। যেমন বল শব্দটির কথাই ধরা যাক-
              • আমি বল খেলছি। - এখানে বল দিয়ে খেলার সরঞ্জম উদ্দেশ্য।
              • তুমি আমাকে এই বিষয়টি সম্পর্কে বল। - এখানে বল দিয়ে ক্রিয়া/কাজ উদ্দেশ্য।
              • ফল খেলে বল বাড়ে। আমার উপর তোমার বল প্রয়োগ বন্ধ কর। - এখানে বল দিয়ে শক্তি উদ্দেশ্য।

              এজন্য পাঠকদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ—যা আমাকে সামনের লেখালেখিতে সাহায্য করবে।
              একদম ঠিক। আমাদের উচিত উত্তম ও নমনীয় ভাষায় ভ্রাতৃত্ববোধ থেকে মন্তব্য করা। আবার যখন কোনো ভাই ভ্রাতৃত্ব্যবোধ থেকে কিছু বলে, তখন মাঝে মাঝে তাতে একটু তিক্ততা লাগতে পারে, কিন্তু মূলত এর মাঝেও মহব্বত থাকে (এমনটাই আমাদের ধরে/মনে করা উচিত)। যেমন মা-বাবা-পবিবারের শাসন যতই তিক্ত হউক না কেন, তা নিঃসন্দেহে মহব্বতেরই প্রতিফলন। (যদিও বর্তমান পরিবার ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাচ্ছে, এটা ভিন্ন আলোচনা)

              আপনার মন্তব্যের জন্য শুকরিয়া।
              আল-হামদুলিল্লাহ। মূলত আপনার পক্ষ থেকে তেমন ভুল নেই, তারপরও আমার মন্তব্যটি আমলে নিয়েছেন, এটা মূলত দায়িত্ববোধই প্রকাশ করে বলে আমি মনে করছি। সেই সাথে আপনি খুবই সুন্দরভাবে আপনার মতামতটি উপস্থাপন করেছেন আল-হামদুলিল্লাহ। মাশাআল্লাহ। আল্লাহ আপনার লিখায় বরকত দান করুন এবং আপনাকে আপনার চিন্তা-ভাবনা-দৃষ্টিকোণ প্রকাশ করার তাওফিক্ব দান করুন। আমীন।

              আমি সামরিক বিষয়কে কম গুরুত্ব দিচ্ছি বিষয়টা আদতে এরকম না—যদি পুরো কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে হয়, তাহলে লেখাটাও বড় হয়ে যায়—পাশাপাশি প্রতিটা বিষয়ের সাথে সামরিক দিকটাকে যুক্ত করে পরিষ্কার একটা বার্তা দেওয়া বেশ জটিল হয়ে পড়ে—এজন্যই আরকি এই লেখাতে সামরিক দিকটা প্রাধান্য দিইনি।​
              সীমাবদ্ধতার সম্পর্কে উত্তমভাবে জানা-শোনা থাকার পরও পথ চলাই হল একজন মুজাহিদের গুণ- এমনটাই আমি মনে করি। আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলা আপনাকে কবুল করুন। আমীন। আশাহীন হবেন না, আমরা আপনার সাথে আছি। তবে, মাঝে মাঝে মন্তব্য করবো আর মন্তব্যটি তিক্ত হলে কষ্ট নিবেন না। আর এটা খুব ভালো করে জেনে রাখুন যে, আল্লাহর জন্য আমি আপনাকে মহব্বত করি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মাআস্সালাম।

              Comment

              Working...
              X