মানুষের চিন্তা-চেতনায় ও নীতি-নৈতিকতায় এবং আখলাক-আফকারের পরিবর্তনে সোহবত বা সাহচর্যের গভীর প্রভাব রয়েছে। শত পৃষ্ঠা পড়ে যা অর্জন হয়না এক সোহবতের মাধ্যমেই অনেক সময় তার চেয়ে ঢের বেশী অর্জন হয়।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোহবতের কারণেই জাহিলিয়্যাতের পঙ্কে ডুবে থাকা মানুষগুলো পৃথীবির সর্বোত্তম মানুষে পরিণত হতে পেরেছেন। এবং তাঁদের সোহবতের বরকতে তাবেয়ীগণ সাহাবীদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ ইনসানে পরিণত হয়েছেন। এভাবে তাবীয়ীদের সোহবতে কারণে তাবে তাবেয়ীগণ শ্রেষ্ঠ হয়েছেন- আর এই তিন যুগের ব্যাপারেই যবানে নবুওয়াতে সুসংবাদ ঘোষিত হয়েছে শ্রেষ্ঠ যুগের। এ ফযীলত ও মর্যাদা তো মূলত সর্বপ্রথম ইমান ও তারপর সোহবতের কারণেই!
বর্তমানযুগে কারো নামের শুরুতে যদি ইমাম, ফকীহ, মুফতী বা এ জাতীয় সম্মান সূচক কোন উপাধী না থাকে তাহলে চেনা যায়না যে, সে কে। কি তাঁর পরিচয় বা মর্যাদা।পক্ষান্তরে সাহাবায়ে কেরামের মর্যদা, সম্মান, ইলম, আমল তাকওয়া, যুহদ ইত্যাদী বুঝাতে প্রয়োজন হয়না নামের শুরুতে কোন গুরুগম্ভীব বা আড়ম্বরপূর্ণ উপাধীর। নামের শুরুতে শুধু মাত্র ‘সাহাবী’ শব্দ যোগ হওয়ায় তাঁদের সম্মান, মর্যাদা ও ইলমের যে চিত্র আমাদের সামনে অঙ্কিত হয়, অন্য হাজারো শব্দ যোগে তা সম্ভবনা।
কর্মে ও চিন্তায় ভালো ও সঠিক মানুষ হতে যেমন সোহবতের প্রভাব রয়েছে, তেমনই প্রভাব আছে খারাপ মানুষে রুপান্তর হতে। আল্লাহ তায়ালা খারাপ সোহবতের প্রভাব সম্পর্কে বলেন,
وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا} {يَا وَيْلَتَى لَيْتَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا} {لَقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءَنِي وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْإِنْسَانِ خَذُولًا} [الفرقان:
'আর সেদিন যালিম নিজ হাত দুটো কামড়িয়ে বলবে। "হায় আমি যদি রাসূলের সাথে কোন পথাবলম্বন করতাম। হায় অমুককে যদি আমি বন্ধুরুপে গ্রহণ না করতাম। অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশ বাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল তা আমার কাছে আসার পর।" আর শয়তান তো মানুষের জন্যে চরম প্রতারক'
আয়াতটি নাযিল হয়েছে ওকবা বিন আবু মুয়াইতের ব্যাপারে।এই আয়াতগুলোতে আমরা দেখতে পাই যে, খারাপ সোহবতের প্রভাব কতটা মন্দ হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত মানুষকে কুফর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
অপরদিকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অন্য আয়াতে আমাদেরকে সৎ লোকদের সাহচর্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁদের মাঝে যা কিছু ভালো আছে তার কিছু অংশ আমাদের ভাগ্যেও জুটে। তিনি বলেন, يا ايها الذين امنوا اتقوا الله وكونوا مع الصدقين
অর্থাৎ হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং ‘সাদীকীনদের সাহচর্য গ্রহণ করো।’ এ আয়াত থেকে এও বুঝা যায় যে, তাকওয়া অবলম্বন করার জন্যেও সাহচর্যের গভীর প্রভাব ও প্রয়োজন রয়েছে। অন্য আয়াতে রব্বে কারীম বলেন, واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم با الغداة والعشي يريدون وجهه।
আর তুমি নিজেকে ধৈর্যশীল রাখো তাঁদের সাথে, যারা আপন রবের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সকাল-স
কবি বলেন, “আল্লাহ ওয়ালাদের সামান্য সময়ের সোহবত একশত বছরের রিয়ামুক্ত ইবাদতের চেয়েও উত্তম!’”
সারকথা হচ্ছে, দীনে ইসলামে সোহবতের অনেক মর্যাদা রয়েছে । এবং ব্যক্তিত্ব গঠন ও সমাজ পরিবর্তনে রয়েছে এর সীমাহীন গভীর প্রভাব। তাই, যারা জিহাদী কাজের দায়িত্বশীল রয়েছেন, তারা যদি আপন অনুসারীদেরকে সোহবত থেকে বঞ্চিত করেন তাহলে বলতেই হবে যে, তাঁদের অনুসারীরা বহুবিধ কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পারবেননা যে , এটা অনেকটা নিশ্চিত!
আর যারা সোহবত দিবেন তারা যদি সোহবত দেয়ার উপযুক্ত না হন, অর্থাৎ তাঁদের আমল, আখলাক, আফকার ও জঝবায় যদি সঠিকতার মিশ্রণ না থাকে, তারা যদি কোরআন সুন্নাহর আলোয় আলোকিত না হন, তাহলে তাঁর অনুসারীরা তাঁর থেকে কি নিবেন?!! তাই, প্রথমে সোহবতদাতাদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে হবে। আমল, আখলাকে ও চিন্তা চেতনায় অনুসরণীয় ব্যক্তি হতে হবে, তাহলেই তাঁর থেকে মধু ও ঘ্রাণ নিচের পাত্রে গড়িয়ে পড়বে ও আশপাশে সুঘ্রাণ ছড়াবে।
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোহবতের কারণেই জাহিলিয়্যাতের পঙ্কে ডুবে থাকা মানুষগুলো পৃথীবির সর্বোত্তম মানুষে পরিণত হতে পেরেছেন। এবং তাঁদের সোহবতের বরকতে তাবেয়ীগণ সাহাবীদের পরে সর্বশ্রেষ্ঠ ইনসানে পরিণত হয়েছেন। এভাবে তাবীয়ীদের সোহবতে কারণে তাবে তাবেয়ীগণ শ্রেষ্ঠ হয়েছেন- আর এই তিন যুগের ব্যাপারেই যবানে নবুওয়াতে সুসংবাদ ঘোষিত হয়েছে শ্রেষ্ঠ যুগের। এ ফযীলত ও মর্যাদা তো মূলত সর্বপ্রথম ইমান ও তারপর সোহবতের কারণেই!
বর্তমানযুগে কারো নামের শুরুতে যদি ইমাম, ফকীহ, মুফতী বা এ জাতীয় সম্মান সূচক কোন উপাধী না থাকে তাহলে চেনা যায়না যে, সে কে। কি তাঁর পরিচয় বা মর্যাদা।পক্ষান্তরে সাহাবায়ে কেরামের মর্যদা, সম্মান, ইলম, আমল তাকওয়া, যুহদ ইত্যাদী বুঝাতে প্রয়োজন হয়না নামের শুরুতে কোন গুরুগম্ভীব বা আড়ম্বরপূর্ণ উপাধীর। নামের শুরুতে শুধু মাত্র ‘সাহাবী’ শব্দ যোগ হওয়ায় তাঁদের সম্মান, মর্যাদা ও ইলমের যে চিত্র আমাদের সামনে অঙ্কিত হয়, অন্য হাজারো শব্দ যোগে তা সম্ভবনা।
কর্মে ও চিন্তায় ভালো ও সঠিক মানুষ হতে যেমন সোহবতের প্রভাব রয়েছে, তেমনই প্রভাব আছে খারাপ মানুষে রুপান্তর হতে। আল্লাহ তায়ালা খারাপ সোহবতের প্রভাব সম্পর্কে বলেন,
وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَى يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا} {يَا وَيْلَتَى لَيْتَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا} {لَقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءَنِي وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْإِنْسَانِ خَذُولًا} [الفرقان:
'আর সেদিন যালিম নিজ হাত দুটো কামড়িয়ে বলবে। "হায় আমি যদি রাসূলের সাথে কোন পথাবলম্বন করতাম। হায় অমুককে যদি আমি বন্ধুরুপে গ্রহণ না করতাম। অবশ্যই সে তো আমাকে উপদেশ বাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল তা আমার কাছে আসার পর।" আর শয়তান তো মানুষের জন্যে চরম প্রতারক'
আয়াতটি নাযিল হয়েছে ওকবা বিন আবু মুয়াইতের ব্যাপারে।এই আয়াতগুলোতে আমরা দেখতে পাই যে, খারাপ সোহবতের প্রভাব কতটা মন্দ হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত মানুষকে কুফর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
অপরদিকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অন্য আয়াতে আমাদেরকে সৎ লোকদের সাহচর্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন, যাতে তাঁদের মাঝে যা কিছু ভালো আছে তার কিছু অংশ আমাদের ভাগ্যেও জুটে। তিনি বলেন, يا ايها الذين امنوا اتقوا الله وكونوا مع الصدقين
অর্থাৎ হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং ‘সাদীকীনদের সাহচর্য গ্রহণ করো।’ এ আয়াত থেকে এও বুঝা যায় যে, তাকওয়া অবলম্বন করার জন্যেও সাহচর্যের গভীর প্রভাব ও প্রয়োজন রয়েছে। অন্য আয়াতে রব্বে কারীম বলেন, واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم با الغداة والعشي يريدون وجهه।
আর তুমি নিজেকে ধৈর্যশীল রাখো তাঁদের সাথে, যারা আপন রবের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সকাল-স
কবি বলেন, “আল্লাহ ওয়ালাদের সামান্য সময়ের সোহবত একশত বছরের রিয়ামুক্ত ইবাদতের চেয়েও উত্তম!’”
সারকথা হচ্ছে, দীনে ইসলামে সোহবতের অনেক মর্যাদা রয়েছে । এবং ব্যক্তিত্ব গঠন ও সমাজ পরিবর্তনে রয়েছে এর সীমাহীন গভীর প্রভাব। তাই, যারা জিহাদী কাজের দায়িত্বশীল রয়েছেন, তারা যদি আপন অনুসারীদেরকে সোহবত থেকে বঞ্চিত করেন তাহলে বলতেই হবে যে, তাঁদের অনুসারীরা বহুবিধ কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর ফলে তারা কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পারবেননা যে , এটা অনেকটা নিশ্চিত!
আর যারা সোহবত দিবেন তারা যদি সোহবত দেয়ার উপযুক্ত না হন, অর্থাৎ তাঁদের আমল, আখলাক, আফকার ও জঝবায় যদি সঠিকতার মিশ্রণ না থাকে, তারা যদি কোরআন সুন্নাহর আলোয় আলোকিত না হন, তাহলে তাঁর অনুসারীরা তাঁর থেকে কি নিবেন?!! তাই, প্রথমে সোহবতদাতাদের সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে হবে। আমল, আখলাকে ও চিন্তা চেতনায় অনুসরণীয় ব্যক্তি হতে হবে, তাহলেই তাঁর থেকে মধু ও ঘ্রাণ নিচের পাত্রে গড়িয়ে পড়বে ও আশপাশে সুঘ্রাণ ছড়াবে।
Comment