Announcement

Collapse
No announcement yet.

আসাম, বাংলাদেশ ও উপমহাদেশঃ ইতিহাস ও বাস্তবতার দাবী!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আসাম, বাংলাদেশ ও উপমহাদেশঃ ইতিহাস ও বাস্তবতার দাবী!

    ইতিহাস আমাদের বলে,
    উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার সংকটের ফল হিসেবে, কখনই এঅঞ্চল থেকে মুসলিমরা সামনে থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের নের্তৃত্ব ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।

    বরাবরই উত্তর প্রদেশ বা পাঞ্জাবের মুসলিমদের লেজুড়বৃত্তির ফলাফল হিসেবে আজ উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমরা হিন্দুবেস্টিত অবস্থায় কোনঠাসা হয়ে আছে। আসামে সরাসরি হিন্দুদের হাতে মার খাচ্ছে তো, বাংলাদেশে হিন্দুদের একনিষ্ঠ দালালদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
    কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসাম ও বাংলাদেশের মুসলিমদের আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত প্রায় প্রতিযোগিতামূলক!

    সম্প্রতি আসামের দারাং জেলায় প্রায় ১০০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করে শিব মন্দির নির্মাণের জন্য বিজেপি সরকারের তৎপরতার মুখে প্রতিবাদ করায়, পুলিশের হাতে দুজন মুসলিম নিহত হয়েছেন।
    বিজয় বানিয়া নামক এক মালাউন সরকারি ফটোগ্রাফার মইনুল ইসলাম নামক নিহত মুসলিমের লাশের উপর লাফিয়েছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন....

    এগুলো কি কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা....? নাকি দীর্ঘদিনের সুপরিকল্পিত চিন্তাধারা ও কর্মসূচীর ফসল?

    আসামের ৩৪টি জেলার মাত্র ৯টিতে মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দারাং জেলা। এই জেলায় ১০লক্ষাধিক জনসংখ্যার প্রায় ৬৫শতাংশই মুসলিম।

    তাই বিজেপি প্রশাসনের কয়েক হাজার মুসলিমকে উচ্ছেদের মাধ্যমে শিব মন্দির বানানোর ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন কিছু মনে করার কোনো কারণ নেই।

    বহুদিন থেকেই আসামে উগ্রবাদী হিন্দুদের মুখপত্র আরএসএস-বিজেপি এবং আসু মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর জন্য পাশাপাশি মুসলিমদের ভূমি কুক্ষিগত করতেও প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে, যেন আগ্রাসন ও আক্রমণের বৈধতা আদায় হয়ে যায়।

    আসামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেসব প্রচার খুব চালু, তার মধ্যে অন্যতম হলাে,

    ক) তারা জোরপূর্বক অন্য সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। উপরন্তু এই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা চারটি করে বিয়ে করে। যে কারণে তাদের জন্মহার বেশি।
    এই প্রচারণা সেখানে রীতিমতাে স্লোগান আকারে চালানাে হয় যে হিন্দুদের বেলায় ‘হাম দো, হামারা দো', আর মুসলমানদের বেলায় 'হাম পাঁচ, হামারা পাচিশ'।

    অর্থাৎ হিন্দুরা যেখানে একটি বিয়ে করে দুটি সন্তান নেয়, সেখানে মুসলমানরা পাঁচটি বিয়ে করে ২৫টি সন্তানের পিতা হয়।

    খ) মুসলমানদের মৃত্যুর পর যে কবর দেওয়া হয়, এটাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের একটা কারণ।
    এটাকে ভূমি দখল প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করে হিন্দুত্ববাদীরা।

    সামগ্রিকভাবে এসব প্রচারণার ব্যাখ্যা হিসেবে দিল্লির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা পরেশ বাজাজ বলে,
    "ভারতের মুসলমানরা হলাে দুধে পাথরের মতাে। তারা ভিন্ন। তারা বিশ্বাস করে ইসলামি জাতীয়তাবাদে। তারা দার-উল-ইসলাম কায়েম করতে চায় ভারতে। বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা অভিবাসীরা এরই অংশ।"
    ____
    ১৯৪৬ এর অক্টোবরে আর.এস.এস আসামে প্রথম সাংগঠনিক কাজ শুরু করে তিনটি শাখা গঠনের মাধ্যমে। এবং সর্বশেষ ২০১৭ এর এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, আসামে এখন আরএসএসের ৯০৩টি শাখা আছে।
    আর তারই রাজনৈতিক প্রকাশ হিসেবে ২০১৬ সালে বিজেপি আসামে প্রথমবারের মত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।

    আসামে বিজেপির এই সফলতা গুজরাট, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের সফলতার মতো করেই ঘটেছে।
    সর্বশেষ ২০১৯ এর নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, 'বাংলাদেশি মুসলমান'দের আসামছাড়া করার অঙ্গীকার দিয়ে বিজেপি রাজ্যটির হিন্দু ভোটের ৭০ভাগ নিজের দিকে টেনে নিতে পেরেছে!

    অতএব, স্পস্ট হলো যে, হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক উইং বিজেপির দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক, সুপরিকল্পিত ও ক্লান্তিহীন প্রকল্পের অংশ হিসেবেই মুসলিমদের উপর নিয়মিত বিরতিতে দমন-পীড়ন চালানো হয়। আর এর বৈধতা আদায়ে প্রচার-প্রোপাগান্ডার আশ্রয় তারা নিয়ে থাকে ব্যাপকভাবেই!

    পক্ষান্তরে, আরএসএস-বিজেপির গেরুয়া উপমহাদেশ তত্ত্বের বিপরীতে মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুপস্থিত। অথচ, বাস্তবতার দাবী হলো দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত ষড়যন্ত্র রাতারাতি প্রতিহত করাই সম্ভব না। প্রতিস্থাপন তো আরও দুঃসাধ্য!

    আল্লাহ তা আলা বিষয়টি আমাদের বোঝার তাওফিক দিন।

    আসাম কেন আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক?


    ঐতিহাসিকভাবেই পূর্ব বাংলা (আজকের বাংলাদেশ) ও আসাম ছিল একীভূত প্রশাসনিক কেন্দ্র। উনবিংশ শতকের গোড়া থেকেই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীনে আসাম ও পূর্ব বাংলা একসাথে শাসিত হতো।

    যার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়। সেসময় নতুন প্রদেশটির নামকরণ করা হয় “পূর্ব বঙ্গ ও আসাম”।
    .
    যার*রাজধানী*নির্ধারিত হয় ঢাকা এবং অনুষঙ্গি সদর দফতর নির্ধারিত হয় চট্টগ্রাম।
    এর আয়তন দাড়ায় ১,০৬,৫০৪ বর্গ মাইল (বর্তমান বাংলাদেশ মাত্র ৫৬০০০ বর্গমাইল)।

    কিন্ত, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশটির অগ্রসরতা ও সম্ভাবনাময় উত্থান ঠেকাতে, হিন্দুদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে ১৯১১তে বঙ্গভঙ্গ রদের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসামকে পৃথক করা হয়।
    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রদে ভূমিকা রাখতে 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রচনা করে, যা পরবর্তীতে এদেশের জাতীয় সংগীত সাব্যসত হয়! কি নিদারুণ পরিহাস!

    এছাড়াও, ১৯৪৭ সালে মুসলিম উলামা-নেতাদের ব্যাপক মতবিরোধ ও অদূরদর্শীতার ফলে সিলেট ব্যাতীত আসামের বাকি অংশ হিন্দুদের অধীনস্থ হয়। দ্রস্টব্য, বাংলাদেশের সিলেট জেলাও মূলত আসামের অন্তর্গত ছিল।

    অতঃপর সারকথা হলো,

    হিন্দু শাসকগোষ্ঠী ভারতের দুই প্রান্তে- কাশ্মীর ও আসামে- মুসলিম দমন ও গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাস্তবায়ন ঘটাতে যাচ্ছে রামরাজ্যের ইউটোপিয়ার! কিন্তু মুসলিমরা যদি বাস্তবতা উপলব্ধি করে শরীয়তের আলোকে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণ করে, তাহলে হিন্দু শাসকগোষ্ঠীর এই নীলনকশাকে উল্টে দিয়ে তাদের অবস্থানকে দুর্বল ও নড়বড়ে করে ফেলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্*।

    সুতরাং, ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে ইসলামী উপমহাদেশের বাস্তবতা যদি আমরা সচক্ষে দেখতে চাই, তবে প্রাথমিকভাবে উপমহাদেশের পূর্ব অংশে বাংলাদেশের পাশাপাশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ আসামের ব্যাপারেও আমাদের চিন্তাচেতনা ও কর্মসূচী থাকা অত্যন্ত জরুরী।



  • #2
    খুবই গুরুত্বপূর্ণ লেখনি। আল্লাহ আমাদের ভাইদের হেফাজত করুন। আমিন।
    দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, সুচিন্তিত লেখা। বারাকাল্লাহু ফিকুম। আমীন
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আসাম ও পূর্ব বাংলার মানচিত্র (১৯০৭ ঈসায়ী মোতাবেক)

        Comment


        • #5
          গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। জাজাকাল্লাহ মুহতারাম।

          Comment


          • #6
            মা শা আল্লাহ, প্রিয় ভাইয়ের লেখাটা ফোরাম সচল হতেই নজর কেড়ে নিল। মনে মনে যখন এমন একটি আলোচনাই ফোরামের ভাইদের সাথে করা ঠিক হবে কিনা ভাবছিলাম ঠিক তখনই আপনিও দিয়ে দিয়েছেন ( সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান) । কাকতাল থামছেই না...

            ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে কিছু শেখার আশায় অংশগ্রহণ করছি।

            দুটি লাইন মা শা আল্লাহ পুরো লেখার নির্যাস বহনকারীঃ
            ১ঃ
            পক্ষান্তরে, আরএসএস-বিজেপির গেরুয়া উপমহাদেশ তত্ত্বের বিপরীতে মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুপস্থিত। অথচ, বাস্তবতার দাবী হলো দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত ষড়যন্ত্র রাতারাতি প্রতিহত করাই সম্ভব না। প্রতিস্থাপন তো আরও দুঃসাধ্য!
            বিশেষ খেয়াল করে - " মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুপস্থিত"
            ( এটি কেউ কেউ মেনে নাও নিতে পারেন । আল কায়েদা উপমহাদেশ (AQIS) একটি পুরো দস্তুর শাখা ঘোষণা হয়েছে, অথচ তার সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য নেই ! যা হোক, হয়ত আছে, আমরা জানিনা। )

            প্লাটফর্ম হিসাব দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরাম উন্মুক্ত স্থান হলেও এধরনের আলোচনা হয়ত কিছুটা হতেই পারে - বৃহৎ আইডিয়া আকারে। বাস্তবায়ন কি হবে না হবে - উমারাগণের সিদ্ধান্ত ও সক্ষমতার উপর ন্যাস্ত আছে / থাকুক। বাকি আমাদের মস্তিষ্ক কর্ষণ হতেই পারে, হতে হবেও হয়ত । এসব থেকে কোন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হতেও পারে, বি ইযনিল্লাহ।
            বলার লোকের অভাব হবে না জানি - সক্ষমতার খবর কি ভায়া? এর উত্তরে মাঝে মাঝে বলি - সক্ষমতা অর্জনের পথে কত দূর তক গিয়েছি ভাই আমরা? আর অনেক সময় যৌক্তিক 'লক্ষ্য' ই বরং সক্ষমতা অর্জন ত্বরান্বিত করে। আপাততঃ %৫০ সক্ষমতা আছে ধরে নিচ্ছি ( মস্তিষ্ক কর্ষণের সুবিধার্থে ) ।


            এখন উদ্ধৃত প্রথম বাক্যে "মুসলিমরা" বলতে কাদেরকে সামনে রেখে ভাবব ?
            - ভারতের না বাংলাদেশের?
            - উভয় দেশের ডেমোক্রেটিক সিস্টেমের মধ্য থেকেই নিজেদের চাল চুলোর দাবি দাওয়া আদায়ের রাজনৈতিক দল ( যেমন AIMIM, AIUDF) এর মুসলিমদেরকে ধরব নাকি যারা তালেবানের বিজয়ে খুশি হয়েছেন তাদেরকে ?
            আলোচনা ছোট করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের উভয় মুসলিমদেরকেই ধরছি এমনকি পাকিস্তান, খোরাসান এর ও। আর রাজনৈতিক লক্ষ্য খুঁজতে চেষ্টা করছি উপমহাদেশ জুড়ে 'তালেবানদের বিজয়ে যারা খুশি' তাদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

            সম্ভব্য রাজনৈতিক লক্ষ্য ১।
            ম্যানেজমেন্ট অফ স্যাভেজারি তে যেমন বলা - অবশিষ্ট রাষ্ট্রসমূহে ( সাপোর্টিং ল্যান্ডে) প্রথমে আসবে ‘তটস্থঃকরণ ও ক্রমঃশক্তিক্ষয়করণ’ পর্ব। তারপর আসবে ‘ক্ষমতা অর্জন ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা’ পর্ব। এ রাষ্ট্রগুলোতে বিজয় ও ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা বাইরে থেকে আসবে।

            এই কনসেপ্ট এর বর্ধিত ভাবনা - খোরাসান যদি হয় বিজয়ী দল এর স্টার্ট পয়েন্ট তাহলে একটি এক্সিস অফ এ্যাডভান্স ( axis of advance operation - অগ্রাভিযান অক্ষ ) কল্পনা করা যায় কি? যে সম্ভাব্য এক্সিস বরাবর খোরাসান এর বিজয়ী বাহিনী ভূমি জয় করতে করতে অগ্রসর হতে পারেন। ম্যাপে এই এক্সিস টি লাল তীর দিয়ে দেখানো হল।

            [IMG][/IMG]

            কেন এই বরাবর এক্সিসটি অগ্রাধিকার পেল?
            ক। এই বরাবর স্টেট গুলোতে মুসলিম জনসংখ্যার পরিসংখ্যান গুলো লক্ষ্য করুন।
            খ। এক্সিস টি ঐতিহাসিক, অর্থাৎ প্রাথমিক মুঘোল বিস্তারটাও এই বরাবর ই হয়েছিল।
            যত গাড় সবুজ তত বেশি সংখ্যক মুসলিম। সেই উপরে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ধরে ধরে যদি আসি একদম আসাম পর্যন্ত গাঢ় সবুজের আধিক্য লক্ষণীয় যা ভারতের অন্য অংশে নেই, এমন কন্টিনিউয়াসলি নেই। ( কেরালা একাকী পড়েছে) । তো এক্সিস টি পুরোটা হলঃ জম্মু ও কাশ্মীর এর আরও পশ্চিমে খোরাসান থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তান হয়ে আসাম পর্যন্ত। মাঝে সবুজের গাঢ়ত্ব একটু হালকা হয়েছে ভারতীয় পাঞ্জাব অংশ ও হিমাচল প্রদেশে। অর্থাৎ রাজ্য দুটিতে মাত্র ৫ % মুসলিম । সুবৃহৎ এক্সিসের দৈর্ঘের তুলনায় এই অংশটুকু ছোটই বলা যায়, যুদ্ধের গতি ধরে রাখতে এগুলোতে প্রভাব বিস্তার বা বিজয় সম্ভব ধরার একটি অন্যতম এ্যানালজি হল রাজ্য দুটি এক সময় বর্তমান পাকিস্তানি পাঞ্জাব অংশের এর সাথে মিলে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠের পাঞ্জাবই ছিল, যে পাঞ্জাবের মুসলিমরা এক সময় লিড দিয়েছেন।
            এখন এই যে এক্সিস বা অক্ষ আইডেন্টিফাই করা গেল, এই অক্ষ বরাবর কি মুজাহিদরা ঘোড়া ছুটিয়ে আসবেন? না নিশ্চয়ই। ইনফ্যান্ট্রি, আর্মার্ড সাপোর্টেড বাই আর্টিলারি বা এয়ার স্ট্রাইক ও আশাকরি না। বরং সিভিল ওয়ার / গণ যুদ্ধের সুরতে চিন্তা করাটা বেশি বাস্তব সম্মত। হতে পারে গেরিলা যুদ্ধ, যদিও সকল সিভিল ওয়ার ই গেরিলা যুদ্ধ নয়।

            গুরত্বপূর্ন ২য় লাইনটিঃ
            কিন্তু মুসলিমরা যদি বাস্তবতা উপলব্ধি করে শরীয়তের আলোকে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণ করে, তাহলে হিন্দু শাসকগোষ্ঠীর এই নীলনকশাকে উল্টে দিয়ে তাদের অবস্থানকে দুর্বল ও নড়বড়ে করে ফেলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্*।
            এই অক্ষে অবস্থিত রাজ্য গুলোকে কেন্দ্র করে যা করা যেতে পারেঃ
            ক। ম্যাসিভ দাওয়াহ কাজ বাস্তবায়ন করতে পারে এবং মুসলিমদের মাঝে গণজগরণ ও অভ্যুত্থান স্পৃহা জাগ্রত করতে পারে,
            খ। এই অক্ষ বরাবর পশ্চিম থেকে পূর্বে সিভিল ওয়ার / গেরিলা যুদ্ধের ঢেউ প্রবহমান করতে পারে,
            গ। এই অক্ষ বারাবর রাজধানী দিল্লীও পড়েছে, অতএব ঢেউ দুই দিক থেকে এসে দিল্লীতে মিলতে পারে, যেমন
            পাঞ্জাব-> হারিয়ানা -> উত্তর প্রদেশ -> দিল্লী বরাবর একটি ঢেউ এবং
            অপর দিকে আসাম - > বাংলাদেশ - > পশ্চিম বংগ -> বিহার -> উত্তর প্রদেশ -> দিল্লী বরাবর একটি ঢেউ।
            ঘ। একটি রাজ্য থেকে ওপর একটি রাজ্যে যে একের পর এক সরল রেখায় ( linearly) এই ঢেউ যেতে হবে এমন নয় একই সাথে কয়েকটি রাজ্যে যুগপৎ ( Simultaneously ) এই ঢেউ কাজ করতে পারে এবং সুযোগমত পরস্পর কানেক্ট হয়ে পুরো খোরাসান থেকে আসামের শেষ মাথা পর্যন্ত গাঢ় সবুজ করে দিতে পারে ইনশাআল্লাহু তা'আলা।
            আর এ কাজটির মেয়াদ হতে পারে ২০, ৩০ কিংবা ৫০ বছর !
            ঙ। এক পর্যায়ে এই এক্সিস বরাবর মুসলিম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা বি ইযনিল্লাহ। ( যদিও তা বর্তমান ফেডারেল সিস্টেম অনুযায়ী সকল রাজ্য একত্রে একই ছাতার নিচে নাও হয়)

            সম্ভব্য রাজনৈতিক লক্ষ্য ২।
            ইসরাইল ও আমেরিকার দোসর ভারতকে কয়েকটি ফ্রন্টে সিভিল ওয়ার এর মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধের ফাঁদে জড়িয়ে বিভাজিত করে দূর্বল করে ফেলা এবং আমেরিকার ভাগ্য বরন করে নেওয়ানো এবং মুসলিম শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
            ভারতের ১৪ লাখের মত সৈন্য রয়েছে- ৩৪/৩৫ টি ডিভিশন মিলে । যারা ৬ টি অপারেশনাল কমান্ড ও একটি প্রশিক্ষণ কমান্ডের আওতায় কাজ করে।
            একটি ফ্রন্ট হতে পারে কাশ্মীর - যা ইতিমধ্যেই উপযুক্ত হয়ে আছে। আর একটি হতে পারে সেভেন সিস্টারস। তৃতীয়টি হতে পারে উত্তর প্রান্তের বর্ডার বরাবর কয়েকটি ফ্রন্টের সমন্বয়ে - লাদাখ, সিকিম, ডোকলাম, অরুণাচল।
            চতুর্থটি হতে পারে দক্ষিণে কেরলা কেন্দ্রিক।
            ৩য় টি সহ সব গুলোতেই মুজাহিদিন দের 'নুসরাহ' প্রয়োজন হবে। যাদের কমন শত্রু ভারত এমন কোন কোন দেশ নুসরাহ দিতে বা প্রক্সি ওয়ার এ আগ্রহী হতেও পারে ।

            ভারত এখন তার সব চেয়ে দুর্বলতম সময় পার করছে তার ১০ টি অন্যতম করনঃ

            ১। করোনার কারণে তার জিডিপি নেমে গেছে - অর্থনৈতিক মন্দায় আছে
            ২। তালেবান ক্ষমতায় আসা - আফগানে ভারতের বিলিয়ন ডলার বাজেট অনিশ্চিত, কাশ্মীরে গেরিলা যুদ্ধে গতি সঞ্চার,
            ৩। কাশ্মীরের দিকে মুজাহিদদের আগমন - বিশেষ করে আফগানে জিহাদ কিছুটা কমে আসার কারণে মুজাহিদগণ কেউ কেউ কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছেনঃ
            যাদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লঞ্চ প্যাডগুলোতে অপেক্ষায় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। এদের সঙ্গে এবার তালেবান জঙ্গিদের একাংশও ভারতে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এখন কাশ্মিরে প্রায় শ’ দুয়েক জঙ্গি সক্রিয়। যাদের অধিকাংশ উপত্যকার বাসিন্দা। কিন্তু আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের একটি বড় অংশ এখন কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মির দিয়ে ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে খবর।
            ৪। চায়না তার পার্লস অফ স্ট্রিং থিওরি অনুযায়ী প্রায় ঘিরে ফেলেছে ভারতকে - বি আর আই মেগা প্রোজেক্ট - করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতকে বাদ দিয়ে ভারতের প্রতিবেশী ৬ দেশের সাথে জোট , বাংলাদেশ কে কোয়াড থেকে সফলতার সাথে বিরত রাখতে পারা,
            ৫। চীনের সাথে সিকিম সীমান্তে নতুন করে ঢাক-গুড়্গুড় । আগে লাদাখ, ডোকলাম, অরুনাচল নিয়ে তো ছিলই,
            ৬। বিভিন্ন কারণে ভারতের ২০ কোটি মুসলিম একধরনের বিভাজন এর দ্বারপ্রান্তে,
            ৭। বাংলাদেশ বিভিন্ন ভাবে ভারতের বলয় থেকে বের হয়ে চায়নার বলয়ে ঢুকে যাচ্ছে অথচ চিকেন নেক ধরে রাখা এবং ধরে রাখতে না পারলে বিকল্প পথ হিসাবে 'বাংলাদেশ' ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুতপূর্ন,
            ৮। উত্তর-পূর্বের সাত টি অঙ্গরাজ্যের স্বাধীনতা আন্দোলনে গতি,
            ৯। মিয়ানমারে জনগণ কর্তৃক যুদ্ধ মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে ঘোষণা - এতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত তার উত্তর পূর্বাঞ্চল গেরিলাদের আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যাবহার হতে দিবে কি দিবেনা নিয়ে ইতিমধ্যে জোরামথাঙ্গার সাথে মন কষাকষি, যুদ্ধের ঢেউ সেভেন সিস্টারসে লাগতে পারে,
            ১০। ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা - বিবদমান। ( ভারতের শিক্ষিত জনগণ বিজেপির কাণ্ড কির্তিতে মনে মনে লজ্জা পায় বিশ্বের কাছে, যা তাদের বিভিন্ন লেখা, গবেষণায় উঠে আসে। । )

            ওকে আক্রমণ করার এখনি সময় ইনশাআল্লাহু তালা।

            ভারতকে বলতে চাই, যুদ্ধ শুরু হলে পুরো অঞ্চলেরই শান্তি বিনষ্ট হবে। সবার হাড়িতেই টান পরবে - সত্য মানি । কিন্তু আমরা তো নিরুপায় দাদা - তুমি শুধু শুধু কাশ্মীর দখল করে রেখেছ! বাঁচতে চাইলে ছেড়ে দাও। কুইক।
            "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
            আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
            "

            Comment


            • #7
              সম্মানিত আব্দুল মুকাদ্দিম ভাই। আল্লাহ তা আলা আপনাকে কবুল করেন। শুধুমাত্র সহমত আর প্রশংসা বাক্যের মাধ্যমে কোনো আলোচনা অগ্রসর হতে পারেনা। আর একটি ফোরাম প্রাণবন্ত হওয়া কিংবা সুস্থ ও সঠিক চিন্তাধারার বিকাশ তো আরো কঠিন বিষয়। সামগ্রিকভাবে না হলেও, ব্যাক্তি পর্যায়ে চিন্তার কাঠামো বিনির্মানেও এমন আলোচনা জরুরী বটে।

              তাই বারাকাল্লহু ফিক আখি। আপনার লেখার প্রতিটি অংশের উপরই কিছু আলোচনার নিয়ত রয়েছে। তার পূর্বে ডেমোগ্রাফিক কিছু আলোচনা আপনার খেদমতে পেশ করছি পরবর্তী আলোচনার সুবিধার্থে। মা শা আল্লাহ জিওগ্রাফিক্যালি আপনি চমৎকার আলোচনা করেছেন। তবে পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক কাঠামোর ধারণা (যা আপনার যথেষ্ট আছে বোধ করি) সামনে থাকলে ফায়দা দিবে। সময় করে ফিরে আসার আগে আগে এই চারটি লেখা পড়ে ফেলতে পারেন ভাইঃ-

              ১/ https://www.india-seminar.com/2006/5...r_h_malik.html

              ২/ Misreading Partiton Road Signs - Hamza Alavi

              ৩/ আওয়ামী লীগঃ উত্থানপর্ব (ভূমিকা ও দেশভাগ, বিশেষত দেশভাগে পূর্ব বাংলার ভূমিকা অংশটুকু)

              ৪/ http://www.tufts.edu/~ajalal01/Articles/epw.piece.pdf
              ইন শা আল্লাহ তাওফিকপ্রাপ্ত হলে বিস্তারিত আলোচনার আশা রাখি।

              Comment


              • #8
                এই সেরেছে !
                পড়েছি মুঘলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে !
                লাস্ট বেঞ্চের ফাঁকিবাজের জন্য বাড়ির কাজ খানিকটা বেশিই হয়ে গেল কিনা, মানে কবে নাগাদ পড়ে ফিরে আসতে পারব তাই ভাবছি।
                মাঝে আপনি কিছু লিখলে এসে পড়ে পড়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
                জাজাকাল্লাহু খাইরান @ মুহতারাম Hasan Abdus Salam ভাই ।
                "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
                আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
                "

                Comment


                • #9
                  আমরা আসছি হে হিন্দ! রাসুলের(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওয়াদা আমরাই বাস্তবায়ন করব বি ইযনিল্লাহ

                  Comment


                  • #10
                    ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাজনের অনেক আগে থেকেই ভারতের প্রায় সর্বত্র মুসলিমদের উপর অত্যাচার, দমন-পীড়ন, আক্রমণ, বিতাড়ন - সহজ ভাষায় "মুসলিম নিধন" কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই অত্যাচার আর জুলুম অনেক বেড়েছে। প্রতিটা আক্রমণ সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে হলেও কট্টর হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় প্রশাসন ও মিডিয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই দাঙ্গাগুলোকে ভিনদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের অবস্থান হিসেবে প্রচার করছে।

                    দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ভারতের মুসলিমরাও হিন্দুদের এই প্রোপাগান্ডাকে সত্য বলে ধরে নিয়েছে। তাই মুসলিমরা দ্বীনের জন্য নয় বরং তারা নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাত প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এবং স্বাভাবিকভাবে এটাই ইনসানী ফিতরাত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ উর্ধে চিন্তা করতে পারে না। এটাও এক ধরনের দাসত্ব। যা তৈরি হয় দীর্ঘমেয়াদী অত্যাচার, বঞ্চনা ও অপমানের মধ্যে শাসিত হলে।

                    এই ধরনের দাসত্ব থেকে বের করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লার দাসত্বের প্রবেশের জন্য শুধুমাত্র দাওয়াতের ব্যাপকতা কোন একক পদ্ধতি হতে পারেনা। এর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছেঃ

                    এক, এটা স্পষ্ট সুন্নাহ পরিপন্থী। রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ১৩ বছরের মক্কার দাওয়াতে ইসলামের প্রচার আর মদীনায় বদর ও উহুদ যুদ্ধের পর দাওয়াতের প্রচারের ব্যাপকতার পরিসংখ্যান দেখলে আমরা সহজেই অনুধাবন করতে পারবো যে ইসলামের ব্যাপকতার মুদ্রার এক পিঠ হচ্ছে "দাওয়াত"; অন্য অন্য পিঠ হচ্ছে "শক্তি"

                    দুই, যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো বিকল্প শক্তি তৈরি না হয় (অল্প পরিসরে হলেও); ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তার উপর চেপে বসা অত্যাচারী শক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেবে না। প্রকাশ্যে হোক আর সংগোপনে হোক!! আর এভাবেই একটি বিকল্প শক্তির প্রয়োজনীয়তা পাওয়া যাচ্ছে।


                    তাই এখানে অপারেশন মূলক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে। দাওয়াতি কাজে বিরোধিতা করা বা বিকল্প কোন পথকে প্রাধান্য দেওয়া বা অবলম্বন করা এখানে মূল উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু দাওয়াতী কার্যক্রমের পাশাপাশি অপারেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুবা দাওয়াতি কার্যক্রম তানজিম বা সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনে পরিণত হবে। আর আমরা উদ্দেশ্য থেকে অনেক দূরেই থেকে যাব।

                    একটা উদাহরন এখানে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে, ২০১৫-১৬ সালে' আনসারুল্লাহ বাংলা টিম'-এর " খতমে মুলহিদিন আন্দোলন" (শাতিমে রাসূল ব্লগার, প্রকাশক, লেখকদের হত্যা)। দাওয়াতি কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাপক অপারেশন কার্যক্রম এবিটি-কে জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক করে তুলেছিল। ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও সমর্থন হাসিল হয়েছিল। এমনকি সংসদে এই আন্দোলনের আদর্শ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

                    তাই যে সকল জায়গায় বা [u]প্রদেশে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা[/u] রয়েছে বা যে সকল জায়গায় বা প্রদেশে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন প্রকট সেই সকল স্থানকে প্রাথমিক টার্গেট এরিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এর এই সকল স্থানে অপারেশন মূলক কর্মসূচি দাওয়াতি কার্যক্রম ব্যাপকতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে হিন্দুদের অত্যাচারে নিষ্পেষিত আমাদের মুসলিম ভাইদের জন্য বিকল্প শক্তি তৈরি করবে; যা মুসলিমদের আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

                    Comment


                    • #11
                      Abdullah Aref ভাইকে অনুরোধ করব পোস্টটি আলাদাভাবে পোস্ট করুন।

                      Comment


                      • #12
                        মা শা আল্লাহ, Abdullah Aref ভাই চমৎকার বলেছেন। বিশেষ করে শেষের প্যারাগ্রাফ টি। আমাদের শত্রু ও শত্রুতার কারণ ইত্যাদি অলরেডি চিহ্নিত আলহামদুলিল্লাহ। এখন শুধু দরকার দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধ / অপারেশনাল প্ল্যান এবং এক্সিকিউশন ইনশাআল্লাহু তা'আলা।

                        হ্যাঁ ভাই Sa'd Ibn Abi Waqqas , " উপমহাদেশে একিউআইএস এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক লক্ষ্য " শিরোনামে একটি আলাদা পোস্ট আকারে দিলে কি ভাল হবে ?
                        ( ভাইরা পরামর্শ দিবেন অনুগ্রহ করে)
                        "যতদিন পৃথিবীতে ফিতনা আছে, ততদিন জিহাদ প্রাসংগিক।
                        আর যুগে যুগে কিছু মানুষের ফিতরাতই হচ্ছে ফিতনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, তাঁদের কোন যুক্তির প্রয়োজন পড়ে না
                        "

                        Comment


                        • #13
                          Assam, Bangladesh & Subcontinent : History & Reality - By Ustad Hasan Abdus Salam







                          Assam, Bangladesh & Subcontinent : History & Reality

                          By Ustad Hasan Abdus Salam



                          History testifies us,

                          Muslims in the eastern part of the subcontinent never been able to lead or provide the security to the Muslims and Islam due to their lacking in political thought.

                          The Muslims in the eastern part of the subcontinent are cornered by the Hindu states due to the bootlicking attitude of the Muslims living in Utter Pradesh and Punjab. On one side, the Muslims are being beaten by the Hindu extremists in Assam. And on the other side in Bangladesh they are being targeted intentionally by their loyal flatterers.

                          In some cases, the proportion of being affected in Assam and Bangladesh is almost competitive.

                          Almost a thousand Muslim families are evicted from their land for the construction of 'Shiva Temple' in Darang district of Assam. And two Muslims have been killed by the police for the protestation against this declaration which made by the BJP government.

                          Vijay Bania, a photographer jumped over a dead body of Mainul Islam, Innalillahi wa inna ilaihi rajiun...

                          Are these events really isolated? Or it is the consequences of a long term well-planned program?

                          There are 34 districts in Assam in which 9 are the Muslim majority districts. And Darang is one of those nine districts. The population of this district is around 1 million and 65% of them is Muslim.

                          So, building the Shiva temples through the eviction of thousands of Muslims from their land by the BJP administration is not an isolated event.

                          The spokesperson of the extremist BJP and RSS in Assam have made huge propaganda to lower the Muslim population and to occupy their lands so that they can get the legitimacy for their aggressive behavior towards the Muslims.



                          Facts that are widely promoted against the Muslims of Assam are-

                          A) The Muslims forcibly marry with other women outside their community by converting them into theirs (Islam). Also the men of this community are polygamy. Even they have made a slogan on this and promotes this widely which is- for us "Hum do, hamara do", (We are two, we have two) and for Muslims "Hum panch, hamara panchis" (We are five, we have twenty-five).

                          Which means the Hindus tend to marry one and take two children. Whereas the Muslims tend to marry four and take twenty-five children.



                          B) They also have the hatred towards the Muslims grave. They consider this practice as the process of possess lands.

                          As a result of this campaigns, Paresh Bajaj, the leader of the Viswa Hindu Parishad of Delhi says- "The Muslims are like the 'Milk stones'. They are different. They believe in Islamic nationalism. They want to establish Dar-ul-Islam in India. The Bangladeshi immigrants in Assam is nothing but a part of this."



                          In October 1946, the RSS started their first organizational work by forming three branches in Assam. And a report of April 2017 says that they now have 903 branches in there. And through this, in 2016, BJP first came into the power in Assam politically.

                          BJP got success in Gujarat and Utter Pradesh and they have got success in Assam following the same strategy. They had a campaign of evicting the Muslims from their land in Assam.

                          The analysis of the 2019 election shows us that the BJP draws 70 percent of the Hindu votes to them through this strategy.

                          Therefore, it becomes clear that the oppression against the Muslims is the part of a long term well-planned project by the Hindutva RSS and their political wing BJP. And to get the legitimacy they promote massive propaganda.

                          On the contrary to RSS-BJP's theory a strong political goal is absent to the Muslims. But in reality, it is not possible to resist a long term conspiracy overnight. Also, it is way more difficult to replace.

                          May Allah make us understand this matter.



                          Why Assam is a topic to us?

                          Historically, East Bengal (Bangladesh at present) and Assam was a joint administrative center. From the beginning of the nineteenth century, these two area used to be ruled together under the Bengal Presidency.

                          In 1905, this institutional form came into discussion widely during the partition of Bengal. At that time, the state was named as 'East Bengal and Assam'.

                          Dhaka was set as the capital of the state whereas Chittagong was set as the secondary city. The size of the states became 106,504 square miles (and now Bangladesh is only 56,000 square miles).

                          But in 1911, East Bengal and Assam were separated due to the massive protestation of the Hindu's to prevent the progress and the potential emergence of this Muslim majority state. And at that time, Rabindranath Tagore wrote the song 'Amar sonar Bangla' which became our national anthem later. What a mockery!

                          In 1947, except the Sylhet, the rest of the part of Assam went under the control of Hindus due to the disagreement and the lack of farsightedness among the Muslim Ulama and leaders. For the record, Sylhet used to be a part of Assam which is now a district of Bangladesh.



                          So the summary is,

                          For the establishment of the Utopia 'Ram Rajya', the Hindu regime is preparing for the Muslim holocaust. But their blueprint can be weakened and broken by the Muslims if they realize the fact and start to act in the light of Shariah law, Insha’Allah.

                          Therefore, it is important to have the programs ready for the Muslim majority state 'Assam' along with Bangladesh- the eastern part of the subcontinent, if we want to see the subcontinent in light of history and reality.

                          Read Link:










                          Last edited by আবু আব্দুল্লাহ; 10-20-2021, 02:11 PM.

                          Comment


                          • #14





                            آسام، بنگلہ دیش اور برصغیر: تاریخ اور حقائق
                            از استاذ حسن عبدالسلام



                            تاریخ گواہ ہے کہ برصغیر کے مشرقی حصے کے مسلمان کبھی اپنی سیاسی سوچ کے فقدان کی وجہ سے مسلمانوں اور اسلام کی حفاظت یا رہنمائی نہیں کر سکے۔
                            برصغیر کے مشرقی حصے کے مسلمان اتر پردیش اور پنجاب میں رہنے والے مسلمانوں کے خوشامدی رویے کی وجہ سے ہندو ریاستوں کے ہاتھوں گھیرے ہوئے ہیں۔ ایک طرف آسام میں ہندو انتہا پسندوں کے ہاتھوں مسلمانوں کو مارا جا رہا ہے تو دوسری طرف بنگلہ دیش میں انہیں ان کے وفادار چاپلوسوں کے ذیعے جان بوجھ کر نشانہ بنایا جا رہا ہے۔
                            کچھ معاملات میں ، آسام اور بنگلہ دیش میں متاثر ہونے کا تناسب تقریبا مساوی ہے۔
                            آسام کے ضلع درنگ میں تقریبا ایک ہزار مسلم خاندانوں کو 'شیو مندر' کی تعمیر کے لیے اپنی زمین سے بے دخل کیا گیا ہے۔ اور بی جے پی حکومت کے اس اعلان کے خلاف احتجاج کرنے پر پولیس نے دو مسلمانوں کو قتل کردیا ہے۔
                            ...جبکہ وجے بنیہ، ایک انتہاپسند ہندو فوٹوگرافر نے معین الاسلام کی لاش پر پولیس کی موجودگی میں چھلانگیں لگائیں۔ إنا لله وإنا إليه راجعون۔

                            کیا یہ واقعات واقعی الگ تھلگ ہیں؟ یا یہ طویل مدتی منصوبہ بندی کے نتائج ہیں؟
                            آسام میں ٣٤ اضلاع ہیں جن میں ۹ مسلم اکثریتی اضلاع ہیں اور درنگ ان ۹ اضلاع میں سے ایک ہے۔ اس ضلع کی آبادی تقریبا ایک لاکھ ہے اور ان میں سے ٦٥ فیصد مسلمان ہیں۔ لہٰذا، بی جے پی انتظامیہ کی طرف سے ہزاروں مسلمانوں کو ان کی زمین سے بے دخل کرکے شیو مندروں کی تعمیر کوئی الگ تھلگ واقعہ نہیں ہے۔

                            آسام میں انتہا پسند بی جے پی اور آر ایس ایس کے ترجمان نے مسلمانوں کی آبادی کو کم کرنے اور ان کی زمینوں پر قبضہ کرنے کے لیے وسیع پروپیگنڈا کیا ہے تاکہ وہ مسلمانوں کے ساتھ اپنے جارحانہ رویے کو قانونی جواز فراہم کرسکیں۔



                            وہ پروپیگینڈا جسے آسام کے مسلمانوں کے خلاف بڑے پیمانے پر فروغ دیا جاتا ہے۔
                            ١۔ مسلمان اپنی برادری سے باہر کی عورتوں کو زبردستی اپنی برادری (اسلام) میں لا کر کے شادی کرتے ہیں۔ نیز اس کمیونٹی کے مرد تعدد ازدواج رکھتے ہیں۔ یہاں تک کہ انہوں نے اس پر ایک نعرہ لگایا ہے اور اس کو بڑے پیمانے پر فروغ دیا ہے جو ہمارے لیے "ہم دو ، ہمارے دو"، (ہم دو ہیں ، ہمارے پاس دو ہیں) اور مسلمانوں کے لیے "ہم پانچ ، ہمارے پنچیس" (یعنی ہم پانچ ہیں ، ہمارے پچیس ہیں)
                            جس کا مطلب ہے کہ ہندو ایک شادی کرتے ہیں اور دو بچے جنتے ہیں۔ جبکہ مسلمان چار شادیاں کرتے ہیں اور پچیس بچوں کو جنم دیتے ہیں۔

                            ۲۔ انہیں مسلمانوں کے قبرستانوں سے بھی نفرت ہے۔ وہ اس عمل کو زمینوں پر قبضہ کرنے کا ایک طریقہ کار سمجھتے ہیں۔
                            اس مہم کے نتیجے میں، دہلی کی وشو ہندو پریشد کے رہنما پریش بجاج کہتے ہیں کہ "مسلمان دودھ کے پتھروں کی طرح ہیں، وہ مختلف ہیں اور وہ اسلامی قومیت پر یقین رکھتے ہیں۔ وہ ہندوستان کو دارالاسلام بنانا چاہتے ہیں اور آسام میں بنگلہ دیشی تارکین وطن اس کے سوا کچھ نہیں۔"



                            اکتوبر ١۹٤٦ء میں آر ایس ایس نے آسام میں تین شاخیں تشکیل دے کر اپنا پہلا تنظیمی کام شروع کیا۔ اور اپریل ۲۰١٧ء کی ایک رپورٹ کہتی ہے کہ اب ان کی ۹۰٣ شاخیں ہیں اور اس کے ذریعے، ۲۰١٦ء میں، بی جے پی سب سے پہلے آسام میں سیاسی طور پر اقتدار میں آئی۔

                            بی جے پی کو گجرات اور اترپردیش میں کامیابی ملی اور انہوں نے اسی حکمت عملی پر چلتے ہوۓ آسام میں بھی کامیابی حاصل کی، انہوں آسام میں مسلمانوں کو اپنی زمین سے بے دخل کرنے کی مہم چلائی۔

                            ۲۰١۹ء کے انتخابات کا تجزیہ ہمیں دکھاتا ہے کہ بی جے پی ٧۰ فیصد ہندو ووٹ اسی حکمت عملی کے ذریعے اپنی طرف کھینچتی ہے۔

                            اس سے یہ واضح ہوتا ہے کہ مسلمانوں کے خلاف ظلم ہندوتوا آر ایس ایس اور اس کی سیاسی شاخ بی جے پی کے طویل مدتی منصوبے کا حصہ ہے، اور اس سب کے جواز کے لیے وہ وسیع پیمانے پر پروپیگینڈا کرتے ہیں۔

                            ...جب کہ اس کے برعکس مسلمانوں کے پاس آر ایس ایس کے خلاف مسلمانوں کے پاس کوئی واضح سیاسی مقصد اور اس کے لیے منصوبہ بندی نہیں ہے، اگرچہ اس طویل مدتی سازش کا راتوں رات مقابلہ کرنا آسان نہیں ہے اور اسے ختم کرنا تو اور بھی مشکل ہے۔
                            ...الله ہمیں ان معاملات کی سمجھ عطاء فرماۓ۔ آمین!



                            آسام ہمارے لیے ایک اہم موضوع کیوں ہے؟
                            تاریخی اعتبار سے مشرقی بنگال (موجودہ بنگلہ دیش) اور آسام ایک مشترکہ انتظامی مرکز تھا۔ انیسویں صدی کے آغاز سے یہ دونوں علاقے بنگال ایوان صدر کے ماتحت تھے۔
                            ١۹۰٥ء میں یہ ادارہ بنگال کی تقسیم کے دوران بڑے پیمانے پر زیر بحث آیا تب اس ریاست کا نام 'مشرقی بنگال اور آسام' تھا۔
                            ڈھاکہ کو ریاست کا دارالحکومت بنایا گیا جبکہ چٹاگانگ کو ثانوی شہر بنایا گیا۔ ریاستوں کا سائز ١۰٦,٥۰٤ مربع میل ہو گیا (اور اب بنگلہ دیش صرف ٥٦,۰۰۰ مربع میل ہے)۔

                            ...لیکن ١۹١١ء میں ، مشرقی بنگال اور آسام کو ہندوؤں کے بڑے پیمانے پر احتجاج کی وجہ سے الگ کر دیا گیا تاکہ اس مسلم اکثریتی ریاست کی ترقی اور ممکنہ ظہور کو روکا جا سکے۔ اور اس وقت، رابندر ناتھ ٹیگور نے گانا 'امر سونار بنگلہ' لکھا جو بعد میں ہمارا قومی ترانہ بن گیا۔ کیا مذاق ہے!

                            ١۹٤٧ء میں، سلہٹ کو چھوڑ کر، آسام کا باقی حصہ مسلم علماء اور رہنماؤں میں اختلاف اور دور اندیشی کی کمی کی وجہ سے ہندوؤں کے کنٹرول میں چلا گیا۔ ریکارڈ کے لیے ، سلہٹ آسام کا ایک حصہ ہوا کرتا تھا جو اب بنگلہ دیش کا ایک ضلع ہے۔



                            تو خلاصہ یہ ہے کہ، یوٹوپیا 'رام ریاست' کے قیام کے لیے، ہندو حکومت مسلمانوں کے قتل عام کی تیاری کر رہی ہے۔ لیکن ان کی منصوبہ بندیوں اور چالوں کا توڑ کیا جاسکتا ہے اگر مسلمان حقائق کا ادراک کریں اور شریعت کی روشنی میں حکمت عملی ترتیب دینا شروع کریں، إن شاء الله!

                            ...لہٰذا بنگلہ دیش اور مشرقی برِصغیر کے ساتھ ساتھ مسلم اکثریتی ریاست 'آسام' کے لیے منصوبوں کا تیار ہونا ضروری ہے۔

                            ...اگر ہم برصغیر کو تاریخ اور حقائق کی روشنی میں دیکھیں...!!!


                            Read Link:https://justpaste.it/8zhin

                            Comment


                            • #15
                              মাশা-আল্লাহ!
                              আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ভাইদের ইলমে ও আমলে আরো বহুগুন বারাকাহ দান করুন ও উম্মাহর কল্যাণের জন্য কবুল করুন, আমীন।

                              ভাইদের আলোচনাগুলো পড়ে -আলহামদুলিল্লাহ- অনেক কিছু জানতে পারলাম।
                              এভাবে মাঝেমধ্যে ফোরামে সম্মানিত ভাইদের আলোচনা জারি থাকলে আমাদের খুব উপকার হবে, ইনশা-আল্লাহ।

                              জাযাকুমুল্লাহু আহসানাল জাযা ফীদ্দারাঈন!
                              আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
                              জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
                              বিইযনিল্লাহ!

                              Comment

                              Working...
                              X