ইতিহাস আমাদের বলে,
উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার সংকটের ফল হিসেবে, কখনই এঅঞ্চল থেকে মুসলিমরা সামনে থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের নের্তৃত্ব ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
বরাবরই উত্তর প্রদেশ বা পাঞ্জাবের মুসলিমদের লেজুড়বৃত্তির ফলাফল হিসেবে আজ উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমরা হিন্দুবেস্টিত অবস্থায় কোনঠাসা হয়ে আছে। আসামে সরাসরি হিন্দুদের হাতে মার খাচ্ছে তো, বাংলাদেশে হিন্দুদের একনিষ্ঠ দালালদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসাম ও বাংলাদেশের মুসলিমদের আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত প্রায় প্রতিযোগিতামূলক!
সম্প্রতি আসামের দারাং জেলায় প্রায় ১০০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করে শিব মন্দির নির্মাণের জন্য বিজেপি সরকারের তৎপরতার মুখে প্রতিবাদ করায়, পুলিশের হাতে দুজন মুসলিম নিহত হয়েছেন।
বিজয় বানিয়া নামক এক মালাউন সরকারি ফটোগ্রাফার মইনুল ইসলাম নামক নিহত মুসলিমের লাশের উপর লাফিয়েছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন....
এগুলো কি কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা....? নাকি দীর্ঘদিনের সুপরিকল্পিত চিন্তাধারা ও কর্মসূচীর ফসল?
আসামের ৩৪টি জেলার মাত্র ৯টিতে মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দারাং জেলা। এই জেলায় ১০লক্ষাধিক জনসংখ্যার প্রায় ৬৫শতাংশই মুসলিম।
তাই বিজেপি প্রশাসনের কয়েক হাজার মুসলিমকে উচ্ছেদের মাধ্যমে শিব মন্দির বানানোর ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন কিছু মনে করার কোনো কারণ নেই।
বহুদিন থেকেই আসামে উগ্রবাদী হিন্দুদের মুখপত্র আরএসএস-বিজেপি এবং আসু মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর জন্য পাশাপাশি মুসলিমদের ভূমি কুক্ষিগত করতেও প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে, যেন আগ্রাসন ও আক্রমণের বৈধতা আদায় হয়ে যায়।
আসামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেসব প্রচার খুব চালু, তার মধ্যে অন্যতম হলাে,
ক) তারা জোরপূর্বক অন্য সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। উপরন্তু এই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা চারটি করে বিয়ে করে। যে কারণে তাদের জন্মহার বেশি।
এই প্রচারণা সেখানে রীতিমতাে স্লোগান আকারে চালানাে হয় যে হিন্দুদের বেলায় ‘হাম দো, হামারা দো', আর মুসলমানদের বেলায় 'হাম পাঁচ, হামারা পাচিশ'।
অর্থাৎ হিন্দুরা যেখানে একটি বিয়ে করে দুটি সন্তান নেয়, সেখানে মুসলমানরা পাঁচটি বিয়ে করে ২৫টি সন্তানের পিতা হয়।
খ) মুসলমানদের মৃত্যুর পর যে কবর দেওয়া হয়, এটাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের একটা কারণ।
এটাকে ভূমি দখল প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করে হিন্দুত্ববাদীরা।
সামগ্রিকভাবে এসব প্রচারণার ব্যাখ্যা হিসেবে দিল্লির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা পরেশ বাজাজ বলে,
"ভারতের মুসলমানরা হলাে দুধে পাথরের মতাে। তারা ভিন্ন। তারা বিশ্বাস করে ইসলামি জাতীয়তাবাদে। তারা দার-উল-ইসলাম কায়েম করতে চায় ভারতে। বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা অভিবাসীরা এরই অংশ।"
____
১৯৪৬ এর অক্টোবরে আর.এস.এস আসামে প্রথম সাংগঠনিক কাজ শুরু করে তিনটি শাখা গঠনের মাধ্যমে। এবং সর্বশেষ ২০১৭ এর এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, আসামে এখন আরএসএসের ৯০৩টি শাখা আছে।
আর তারই রাজনৈতিক প্রকাশ হিসেবে ২০১৬ সালে বিজেপি আসামে প্রথমবারের মত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।
আসামে বিজেপির এই সফলতা গুজরাট, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের সফলতার মতো করেই ঘটেছে।
সর্বশেষ ২০১৯ এর নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, 'বাংলাদেশি মুসলমান'দের আসামছাড়া করার অঙ্গীকার দিয়ে বিজেপি রাজ্যটির হিন্দু ভোটের ৭০ভাগ নিজের দিকে টেনে নিতে পেরেছে!
অতএব, স্পস্ট হলো যে, হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক উইং বিজেপির দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক, সুপরিকল্পিত ও ক্লান্তিহীন প্রকল্পের অংশ হিসেবেই মুসলিমদের উপর নিয়মিত বিরতিতে দমন-পীড়ন চালানো হয়। আর এর বৈধতা আদায়ে প্রচার-প্রোপাগান্ডার আশ্রয় তারা নিয়ে থাকে ব্যাপকভাবেই!
পক্ষান্তরে, আরএসএস-বিজেপির গেরুয়া উপমহাদেশ তত্ত্বের বিপরীতে মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুপস্থিত। অথচ, বাস্তবতার দাবী হলো দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত ষড়যন্ত্র রাতারাতি প্রতিহত করাই সম্ভব না। প্রতিস্থাপন তো আরও দুঃসাধ্য!
আল্লাহ তা আলা বিষয়টি আমাদের বোঝার তাওফিক দিন।
ঐতিহাসিকভাবেই পূর্ব বাংলা (আজকের বাংলাদেশ) ও আসাম ছিল একীভূত প্রশাসনিক কেন্দ্র। উনবিংশ শতকের গোড়া থেকেই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীনে আসাম ও পূর্ব বাংলা একসাথে শাসিত হতো।
যার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়। সেসময় নতুন প্রদেশটির নামকরণ করা হয় “পূর্ব বঙ্গ ও আসাম”।
.
যার*রাজধানী*নির্ধারিত হয় ঢাকা এবং অনুষঙ্গি সদর দফতর নির্ধারিত হয় চট্টগ্রাম।
এর আয়তন দাড়ায় ১,০৬,৫০৪ বর্গ মাইল (বর্তমান বাংলাদেশ মাত্র ৫৬০০০ বর্গমাইল)।
কিন্ত, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশটির অগ্রসরতা ও সম্ভাবনাময় উত্থান ঠেকাতে, হিন্দুদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে ১৯১১তে বঙ্গভঙ্গ রদের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসামকে পৃথক করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রদে ভূমিকা রাখতে 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রচনা করে, যা পরবর্তীতে এদেশের জাতীয় সংগীত সাব্যসত হয়! কি নিদারুণ পরিহাস!
এছাড়াও, ১৯৪৭ সালে মুসলিম উলামা-নেতাদের ব্যাপক মতবিরোধ ও অদূরদর্শীতার ফলে সিলেট ব্যাতীত আসামের বাকি অংশ হিন্দুদের অধীনস্থ হয়। দ্রস্টব্য, বাংলাদেশের সিলেট জেলাও মূলত আসামের অন্তর্গত ছিল।
অতঃপর সারকথা হলো,
হিন্দু শাসকগোষ্ঠী ভারতের দুই প্রান্তে- কাশ্মীর ও আসামে- মুসলিম দমন ও গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাস্তবায়ন ঘটাতে যাচ্ছে রামরাজ্যের ইউটোপিয়ার! কিন্তু মুসলিমরা যদি বাস্তবতা উপলব্ধি করে শরীয়তের আলোকে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণ করে, তাহলে হিন্দু শাসকগোষ্ঠীর এই নীলনকশাকে উল্টে দিয়ে তাদের অবস্থানকে দুর্বল ও নড়বড়ে করে ফেলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্*।
সুতরাং, ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে ইসলামী উপমহাদেশের বাস্তবতা যদি আমরা সচক্ষে দেখতে চাই, তবে প্রাথমিকভাবে উপমহাদেশের পূর্ব অংশে বাংলাদেশের পাশাপাশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ আসামের ব্যাপারেও আমাদের চিন্তাচেতনা ও কর্মসূচী থাকা অত্যন্ত জরুরী।
উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার সংকটের ফল হিসেবে, কখনই এঅঞ্চল থেকে মুসলিমরা সামনে থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের নের্তৃত্ব ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি।
বরাবরই উত্তর প্রদেশ বা পাঞ্জাবের মুসলিমদের লেজুড়বৃত্তির ফলাফল হিসেবে আজ উপমহাদেশের পূর্বাংশের মুসলিমরা হিন্দুবেস্টিত অবস্থায় কোনঠাসা হয়ে আছে। আসামে সরাসরি হিন্দুদের হাতে মার খাচ্ছে তো, বাংলাদেশে হিন্দুদের একনিষ্ঠ দালালদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে আসাম ও বাংলাদেশের মুসলিমদের আক্রান্ত হওয়ার অনুপাত প্রায় প্রতিযোগিতামূলক!
সম্প্রতি আসামের দারাং জেলায় প্রায় ১০০০ মুসলিম পরিবারকে উচ্ছেদ করে শিব মন্দির নির্মাণের জন্য বিজেপি সরকারের তৎপরতার মুখে প্রতিবাদ করায়, পুলিশের হাতে দুজন মুসলিম নিহত হয়েছেন।
বিজয় বানিয়া নামক এক মালাউন সরকারি ফটোগ্রাফার মইনুল ইসলাম নামক নিহত মুসলিমের লাশের উপর লাফিয়েছে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন....
এগুলো কি কেবলই বিচ্ছিন্ন ঘটনা....? নাকি দীর্ঘদিনের সুপরিকল্পিত চিন্তাধারা ও কর্মসূচীর ফসল?
আসামের ৩৪টি জেলার মাত্র ৯টিতে মুসলিমদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দারাং জেলা। এই জেলায় ১০লক্ষাধিক জনসংখ্যার প্রায় ৬৫শতাংশই মুসলিম।
তাই বিজেপি প্রশাসনের কয়েক হাজার মুসলিমকে উচ্ছেদের মাধ্যমে শিব মন্দির বানানোর ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন কিছু মনে করার কোনো কারণ নেই।
বহুদিন থেকেই আসামে উগ্রবাদী হিন্দুদের মুখপত্র আরএসএস-বিজেপি এবং আসু মুসলিমদের সংখ্যা কমানোর জন্য পাশাপাশি মুসলিমদের ভূমি কুক্ষিগত করতেও প্রচার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে, যেন আগ্রাসন ও আক্রমণের বৈধতা আদায় হয়ে যায়।
আসামে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যেসব প্রচার খুব চালু, তার মধ্যে অন্যতম হলাে,
ক) তারা জোরপূর্বক অন্য সম্প্রদায়ের নারীদের ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। উপরন্তু এই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা চারটি করে বিয়ে করে। যে কারণে তাদের জন্মহার বেশি।
এই প্রচারণা সেখানে রীতিমতাে স্লোগান আকারে চালানাে হয় যে হিন্দুদের বেলায় ‘হাম দো, হামারা দো', আর মুসলমানদের বেলায় 'হাম পাঁচ, হামারা পাচিশ'।
অর্থাৎ হিন্দুরা যেখানে একটি বিয়ে করে দুটি সন্তান নেয়, সেখানে মুসলমানরা পাঁচটি বিয়ে করে ২৫টি সন্তানের পিতা হয়।
খ) মুসলমানদের মৃত্যুর পর যে কবর দেওয়া হয়, এটাও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের একটা কারণ।
এটাকে ভূমি দখল প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করে হিন্দুত্ববাদীরা।
সামগ্রিকভাবে এসব প্রচারণার ব্যাখ্যা হিসেবে দিল্লির বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা পরেশ বাজাজ বলে,
"ভারতের মুসলমানরা হলাে দুধে পাথরের মতাে। তারা ভিন্ন। তারা বিশ্বাস করে ইসলামি জাতীয়তাবাদে। তারা দার-উল-ইসলাম কায়েম করতে চায় ভারতে। বাংলাদেশ থেকে আসামে আসা অভিবাসীরা এরই অংশ।"
____
১৯৪৬ এর অক্টোবরে আর.এস.এস আসামে প্রথম সাংগঠনিক কাজ শুরু করে তিনটি শাখা গঠনের মাধ্যমে। এবং সর্বশেষ ২০১৭ এর এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, আসামে এখন আরএসএসের ৯০৩টি শাখা আছে।
আর তারই রাজনৈতিক প্রকাশ হিসেবে ২০১৬ সালে বিজেপি আসামে প্রথমবারের মত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়।
আসামে বিজেপির এই সফলতা গুজরাট, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের সফলতার মতো করেই ঘটেছে।
সর্বশেষ ২০১৯ এর নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, 'বাংলাদেশি মুসলমান'দের আসামছাড়া করার অঙ্গীকার দিয়ে বিজেপি রাজ্যটির হিন্দু ভোটের ৭০ভাগ নিজের দিকে টেনে নিতে পেরেছে!
অতএব, স্পস্ট হলো যে, হিন্দুত্ববাদী আরএসএস এবং তাদের রাজনৈতিক উইং বিজেপির দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক, সুপরিকল্পিত ও ক্লান্তিহীন প্রকল্পের অংশ হিসেবেই মুসলিমদের উপর নিয়মিত বিরতিতে দমন-পীড়ন চালানো হয়। আর এর বৈধতা আদায়ে প্রচার-প্রোপাগান্ডার আশ্রয় তারা নিয়ে থাকে ব্যাপকভাবেই!
পক্ষান্তরে, আরএসএস-বিজেপির গেরুয়া উপমহাদেশ তত্ত্বের বিপরীতে মুসলিমদের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য অনুপস্থিত। অথচ, বাস্তবতার দাবী হলো দীর্ঘমেয়াদী ও বিস্তৃত ষড়যন্ত্র রাতারাতি প্রতিহত করাই সম্ভব না। প্রতিস্থাপন তো আরও দুঃসাধ্য!
আল্লাহ তা আলা বিষয়টি আমাদের বোঝার তাওফিক দিন।
আসাম কেন আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক?
ঐতিহাসিকভাবেই পূর্ব বাংলা (আজকের বাংলাদেশ) ও আসাম ছিল একীভূত প্রশাসনিক কেন্দ্র। উনবিংশ শতকের গোড়া থেকেই বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীনে আসাম ও পূর্ব বাংলা একসাথে শাসিত হতো।
যার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময়। সেসময় নতুন প্রদেশটির নামকরণ করা হয় “পূর্ব বঙ্গ ও আসাম”।
.
যার*রাজধানী*নির্ধারিত হয় ঢাকা এবং অনুষঙ্গি সদর দফতর নির্ধারিত হয় চট্টগ্রাম।
এর আয়তন দাড়ায় ১,০৬,৫০৪ বর্গ মাইল (বর্তমান বাংলাদেশ মাত্র ৫৬০০০ বর্গমাইল)।
কিন্ত, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশটির অগ্রসরতা ও সম্ভাবনাময় উত্থান ঠেকাতে, হিন্দুদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে ১৯১১তে বঙ্গভঙ্গ রদের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসামকে পৃথক করা হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রদে ভূমিকা রাখতে 'আমার সোনার বাংলা' গানটি রচনা করে, যা পরবর্তীতে এদেশের জাতীয় সংগীত সাব্যসত হয়! কি নিদারুণ পরিহাস!
এছাড়াও, ১৯৪৭ সালে মুসলিম উলামা-নেতাদের ব্যাপক মতবিরোধ ও অদূরদর্শীতার ফলে সিলেট ব্যাতীত আসামের বাকি অংশ হিন্দুদের অধীনস্থ হয়। দ্রস্টব্য, বাংলাদেশের সিলেট জেলাও মূলত আসামের অন্তর্গত ছিল।
অতঃপর সারকথা হলো,
হিন্দু শাসকগোষ্ঠী ভারতের দুই প্রান্তে- কাশ্মীর ও আসামে- মুসলিম দমন ও গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাস্তবায়ন ঘটাতে যাচ্ছে রামরাজ্যের ইউটোপিয়ার! কিন্তু মুসলিমরা যদি বাস্তবতা উপলব্ধি করে শরীয়তের আলোকে সঠিক কর্মপন্থা গ্রহণ করে, তাহলে হিন্দু শাসকগোষ্ঠীর এই নীলনকশাকে উল্টে দিয়ে তাদের অবস্থানকে দুর্বল ও নড়বড়ে করে ফেলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্*।
সুতরাং, ইতিহাস ও বাস্তবতার আলোকে ইসলামী উপমহাদেশের বাস্তবতা যদি আমরা সচক্ষে দেখতে চাই, তবে প্রাথমিকভাবে উপমহাদেশের পূর্ব অংশে বাংলাদেশের পাশাপাশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ আসামের ব্যাপারেও আমাদের চিন্তাচেতনা ও কর্মসূচী থাকা অত্যন্ত জরুরী।
Comment