তিন. বন্দী করে রাখা
এখানে জেলে বন্দী বা নিজ গৃহে নজরবন্দী উভয়টাই উদ্দেশ্য। কুরআন সু্ন্নাহয় এ উভয়টাই এসেছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا}
“তোমাদের নারীদের মধ্য হতে যারা অশ্লীল কাজ করবে, তাদের ব্যাপারে তোমাদের মধ্য হতে চার জন সাক্ষী রাখবে। তারা সাক্ষ্য দিলে সেসকল নারীকে গৃহে বন্দী করে রাখবে, যাবৎ না মৃত্যু তাদের তুলে নিয়ে যায় কিংবা আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা দেন।” [ নিসা: ১৫]
ইসলামের শুরু যামানায় যিনার নির্ধারিত কোন শাস্তি ছিল না। সে সময়ে ব্যবস্থা ছিল- যিনায় লিপ্ত নারীদের গৃহে বন্দী করে রাখা। পরবর্তীতে এ বিধান রহিত হয়ে গেছে। অবিবাহিতদের জন্য একশো বেত্রাঘাত আর বিবাহিতদের জন্য রজম করে হত্যা নির্ধারিত হয়েছে।
এ আয়াত যদিও মানসূখ হয়ে গেছে, তবে এ থেকে এতটুকু বুঝে আসে যে, যেসকল অপরাধের জন্য শরীয়তে নির্ধারিত কোন শাস্তি নেই, সেসবের ক্ষেত্রে বন্দী করে রাখা একটা শাস্তি হতে পারে।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮হি.) বলেন,
قوله تعالى: {فأمسكوهن في البيوت حتى يتوفاهن الموت أو يجعل الله لهن سبيلا} [النساء: 15] قد يستدل بذلك على أن المذنب إذا لم يعرف فيه حكم الشرع فإنه يمسك فيحبس حتى يعرف فيه الحكم الشرعي فينفذ فيه. اهـ
“আল্লাহ তাআলার বাণী: [সেসকল নারীকে গৃহে বন্দী করে রাখবে, যাবৎ না মৃত্যু তাদের তুলে নিয়ে যায় কিংবা আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা দেন।] এ থেকে এ বিষয়ে দলীল দেয়া যায় যে, অপরাধীর ব্যাপারে যদি শরীয়তের বিধান জানা না যায়, তাহলে তার ব্যাপারে শরীয়তের বিধান জানা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে আটক করে বন্দী করে রাখা হবে। বিধান জানা গেলে তখন বাস্তবায়ন করা হবে।” [ আলফাতাওয়াল কুবরা: ৫/৫২৭]
এক হাদিসে এসেছে,
عن بهز بن حكيم عن أبيه عن جده: (أن النبي صلى الله عليه وسلم حبس رجلا في تهمة ثم خلى عنه)
“হযরত বাহয ইবনে হাকিম তার পিতৃসূত্রে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন- অভিযোগের ভিত্তিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। এরপর (নির্দোষ প্রমাণিত হলে) তাকে ছেড়ে দেন।” [ তিরমিযি: ১৪১৭, আবু দাউদ: ৩৬৩০]
সাহাবায়ে কেরাম থেকে বন্দী করে রাখার অজস্র ঘটনা বর্ণিত আছে।
চার. প্রহার
প্রহার তা’যিরের অত্যধিক প্রসিদ্ধ পন্থা। বরং তা’যির বলতে যেন সাধারণত প্রহারকেই বুঝিয়ে থাকে। কুরআন সুন্নাহয় প্রহারের দ্বারা তা’যিরের কথা এসেছে। খুলাফায়ে রাশিদিনসহ পরবর্তী সকল যুগে প্রহারের মাধ্যমে তা’যিরের ধারা চলে আসছে।
কুরআনে কারীম থেকে সূরা নিসার পূর্বোল্লিখিত ৩৪ নং আয়াত এর দলীল। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا}
“যে সকল স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদেরকে (প্রথমে) বুঝাও এবং (তাতে কাজ না হলে) তাদের সাথে একই বিছানায় শয়ন ছেড়ে দাও এবং (তাতেও সংশোধন না হলে) তাদের প্রহার করতে পার। অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজো না। নিশ্চিত জেনো- আল্লাহ সবার উপরে, সবার বড়।” [ নিসা: ৩৪]
এক হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
(مُرُوا أولادَكم بالصلاة وهم أَبناءُ سبع ، واضربوهم عليها وهم أبناءُ عشْر ، وفرِّقُوا بينهم في المضاجع)
“তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বৎসরে উপনীত হয়, তখন তাদেরকে নামাজের আদেশ কর। আর দশ বৎসরে উপনীত হলে তাদেরকে নামাযের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা আলাদা করে দাও।” [ আবু দাউদ: ৪৯৫]
এখানে নাবালেগকে নামায তরক করার কারণে প্রহারের আদেশ দেয়া হয়েছে, অথচ নাবালেগের উপর শরীয়তের বিধি বিধান বর্তায় না; তাছাড়া নামায না পড়ার দ্বারা শুধু ব্যক্তির নিজেরই ক্ষতি হয়, অন্যের ক্ষতি হয় না। তাহলে বালেগ ব্যক্তিদের এবং ঐ সকল অপরাধ, যেগুলোর দ্বারা অন্যের ক্ষতি হয় বা হক নষ্ট হয়- সেগুলোতে এর আগেই প্রহার বৈধ হবে।
অন্য হাদিসে এসেছে,
(لا يجلد فوق عشر جلدات إلا في حد من حدود الله)
“আল্লাহ তাআলার কোন হদ ভিন্ন অন্য কোথাও দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে না।” [ সহীহ বুখারী: ৬৪৫৬]
এখানে হদ দ্বারা গুনাহ উদ্দেশ্য। অর্থাৎ গুনাহ নয় এমন বিষয়ে দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে না। অর্থাৎ আদব-কায়দা ও সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বৈধ রীতি-নীতির বিপরীত করলে, যদি তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে গুনাহের পর্যায়ে না পড়ে, তাহলে বেত্রাঘাত করা যাবে, তবে দশের অধিক নয়। আর কোন গুনাহে লিপ্ত হলে তখন মুনাসিব মতো দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে।
এক হাদিসে এসেছে, নিজ স্ত্রীর বাঁদিকে বৈধ মনে করে সহবাস করলে একশো বেত্রাঘাত লাগানো হবে। [ সহীহ বুখারী: ২২৯০, মুসনাদে আহমাদ: ১৪৫১]
কুরআনে কারীমের মুতাশাবিহ আয়াত নিয়ে ফিতনা সৃষ্টির অপরাধে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইরাকের সাবিগ ইবনে ইসলকে পেটাতে পেটাতে রক্তাক্ত করেছেন। [ সুনানে দারেমী: ১৪৪] অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি তাকে দুইশত বেত্রাঘাত করেছেন। [ মুসনাদে বাযযার: ২৯৯]
মোটকথা: প্রহারের দ্বারা তা’যির বৈধ। তবে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ কত হবে তা নিয়ে আইম্মায়ে কেরামের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। সামনে এর আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
এখানে জেলে বন্দী বা নিজ গৃহে নজরবন্দী উভয়টাই উদ্দেশ্য। কুরআন সু্ন্নাহয় এ উভয়টাই এসেছে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ فَإِنْ شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا}
“তোমাদের নারীদের মধ্য হতে যারা অশ্লীল কাজ করবে, তাদের ব্যাপারে তোমাদের মধ্য হতে চার জন সাক্ষী রাখবে। তারা সাক্ষ্য দিলে সেসকল নারীকে গৃহে বন্দী করে রাখবে, যাবৎ না মৃত্যু তাদের তুলে নিয়ে যায় কিংবা আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা দেন।” [ নিসা: ১৫]
ইসলামের শুরু যামানায় যিনার নির্ধারিত কোন শাস্তি ছিল না। সে সময়ে ব্যবস্থা ছিল- যিনায় লিপ্ত নারীদের গৃহে বন্দী করে রাখা। পরবর্তীতে এ বিধান রহিত হয়ে গেছে। অবিবাহিতদের জন্য একশো বেত্রাঘাত আর বিবাহিতদের জন্য রজম করে হত্যা নির্ধারিত হয়েছে।
এ আয়াত যদিও মানসূখ হয়ে গেছে, তবে এ থেকে এতটুকু বুঝে আসে যে, যেসকল অপরাধের জন্য শরীয়তে নির্ধারিত কোন শাস্তি নেই, সেসবের ক্ষেত্রে বন্দী করে রাখা একটা শাস্তি হতে পারে।
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. (৭২৮হি.) বলেন,
قوله تعالى: {فأمسكوهن في البيوت حتى يتوفاهن الموت أو يجعل الله لهن سبيلا} [النساء: 15] قد يستدل بذلك على أن المذنب إذا لم يعرف فيه حكم الشرع فإنه يمسك فيحبس حتى يعرف فيه الحكم الشرعي فينفذ فيه. اهـ
“আল্লাহ তাআলার বাণী: [সেসকল নারীকে গৃহে বন্দী করে রাখবে, যাবৎ না মৃত্যু তাদের তুলে নিয়ে যায় কিংবা আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য কোন ব্যবস্থা দেন।] এ থেকে এ বিষয়ে দলীল দেয়া যায় যে, অপরাধীর ব্যাপারে যদি শরীয়তের বিধান জানা না যায়, তাহলে তার ব্যাপারে শরীয়তের বিধান জানা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকে আটক করে বন্দী করে রাখা হবে। বিধান জানা গেলে তখন বাস্তবায়ন করা হবে।” [ আলফাতাওয়াল কুবরা: ৫/৫২৭]
এক হাদিসে এসেছে,
عن بهز بن حكيم عن أبيه عن جده: (أن النبي صلى الله عليه وسلم حبس رجلا في تهمة ثم خلى عنه)
“হযরত বাহয ইবনে হাকিম তার পিতৃসূত্রে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন- অভিযোগের ভিত্তিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে বন্দী করেছিলেন। এরপর (নির্দোষ প্রমাণিত হলে) তাকে ছেড়ে দেন।” [ তিরমিযি: ১৪১৭, আবু দাউদ: ৩৬৩০]
সাহাবায়ে কেরাম থেকে বন্দী করে রাখার অজস্র ঘটনা বর্ণিত আছে।
চার. প্রহার
প্রহার তা’যিরের অত্যধিক প্রসিদ্ধ পন্থা। বরং তা’যির বলতে যেন সাধারণত প্রহারকেই বুঝিয়ে থাকে। কুরআন সুন্নাহয় প্রহারের দ্বারা তা’যিরের কথা এসেছে। খুলাফায়ে রাশিদিনসহ পরবর্তী সকল যুগে প্রহারের মাধ্যমে তা’যিরের ধারা চলে আসছে।
কুরআনে কারীম থেকে সূরা নিসার পূর্বোল্লিখিত ৩৪ নং আয়াত এর দলীল। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
{وَاللَّاتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا}
“যে সকল স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা কর, তাদেরকে (প্রথমে) বুঝাও এবং (তাতে কাজ না হলে) তাদের সাথে একই বিছানায় শয়ন ছেড়ে দাও এবং (তাতেও সংশোধন না হলে) তাদের প্রহার করতে পার। অতঃপর তারা যদি তোমাদের আনুগত্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুঁজো না। নিশ্চিত জেনো- আল্লাহ সবার উপরে, সবার বড়।” [ নিসা: ৩৪]
এক হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
(مُرُوا أولادَكم بالصلاة وهم أَبناءُ سبع ، واضربوهم عليها وهم أبناءُ عشْر ، وفرِّقُوا بينهم في المضاجع)
“তোমাদের সন্তানরা যখন সাত বৎসরে উপনীত হয়, তখন তাদেরকে নামাজের আদেশ কর। আর দশ বৎসরে উপনীত হলে তাদেরকে নামাযের জন্য প্রহার কর এবং তাদের বিছানা আলাদা করে দাও।” [ আবু দাউদ: ৪৯৫]
এখানে নাবালেগকে নামায তরক করার কারণে প্রহারের আদেশ দেয়া হয়েছে, অথচ নাবালেগের উপর শরীয়তের বিধি বিধান বর্তায় না; তাছাড়া নামায না পড়ার দ্বারা শুধু ব্যক্তির নিজেরই ক্ষতি হয়, অন্যের ক্ষতি হয় না। তাহলে বালেগ ব্যক্তিদের এবং ঐ সকল অপরাধ, যেগুলোর দ্বারা অন্যের ক্ষতি হয় বা হক নষ্ট হয়- সেগুলোতে এর আগেই প্রহার বৈধ হবে।
অন্য হাদিসে এসেছে,
(لا يجلد فوق عشر جلدات إلا في حد من حدود الله)
“আল্লাহ তাআলার কোন হদ ভিন্ন অন্য কোথাও দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে না।” [ সহীহ বুখারী: ৬৪৫৬]
এখানে হদ দ্বারা গুনাহ উদ্দেশ্য। অর্থাৎ গুনাহ নয় এমন বিষয়ে দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে না। অর্থাৎ আদব-কায়দা ও সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বৈধ রীতি-নীতির বিপরীত করলে, যদি তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে গুনাহের পর্যায়ে না পড়ে, তাহলে বেত্রাঘাত করা যাবে, তবে দশের অধিক নয়। আর কোন গুনাহে লিপ্ত হলে তখন মুনাসিব মতো দশের অধিক বেত্রাঘাত করা যাবে।
এক হাদিসে এসেছে, নিজ স্ত্রীর বাঁদিকে বৈধ মনে করে সহবাস করলে একশো বেত্রাঘাত লাগানো হবে। [ সহীহ বুখারী: ২২৯০, মুসনাদে আহমাদ: ১৪৫১]
কুরআনে কারীমের মুতাশাবিহ আয়াত নিয়ে ফিতনা সৃষ্টির অপরাধে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু ইরাকের সাবিগ ইবনে ইসলকে পেটাতে পেটাতে রক্তাক্ত করেছেন। [ সুনানে দারেমী: ১৪৪] অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি তাকে দুইশত বেত্রাঘাত করেছেন। [ মুসনাদে বাযযার: ২৯৯]
মোটকথা: প্রহারের দ্বারা তা’যির বৈধ। তবে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ কত হবে তা নিয়ে আইম্মায়ে কেরামের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। সামনে এর আলোচনা আসবে ইনশাআল্লাহ।
Comment