Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছি

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • #16
    আলহারবু খাদাআ , যুদ্ধ হলো ধোকা।
    জিহাদের জন্য এমন অনেক বিষয় বৈধ যা অন্যত্র বৈধ নয়, (কারন যুদ্ধ হলো ধোকা )
    যুদ্ধের মাঠে দম্ভ অহংকারের ভাব নিয়ে বিচরন করা যায় অথচ (অন্যত্র ) এটিকে আল্লাহ তায়ালা অপছন্দ করেন ,
    যুদ্ধে মিথ্যা বলা যায় অথচ মৌলিকভাবে এটি নিষিদ্ধ।
    কালো খিযাব মুজাহিদের জন্য বৈধ , অথচ অন্যদের জন্য নিষেধ।
    বরং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কিরামের জন্য একব্যক্তিকে হত্যা করার সুবিদার্থে তাঁর নিজের ব্যপারে্ এবং (দ্বীনের)দাওয়াতের ব্যপারে (উলটা পালটা মিথ্যা এবং কুফরি ) কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন। যেমনঃ কাব ইবনে আশরাফের হত্যার ঘটনা , সাল্লাম ইবনে আবিল হুকাইকের হত্যা,খালিদ ইবনে সুফিয়ান হুজালির হত্যা।
    বরং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কিরামের জন্য একব্যক্তিকে হত্যা করার সুবিদার্থে তাঁর নিজের ব্যপারে্ এবং (দ্বীনের)দাওয়াতের ব্যপারে (উলটা পালটা মিথ্যা এবং কুফরি ) কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন। যেমনঃ কাব ইবনে আশরাফের হত্যার ঘটনা , সাল্লাম ইবনে আবিল হুকাইকের হত্যা,খালিদ ইবনে সুফিয়ান হুজালির হত্যা।
    মুজাহিদদের জন্য জরুরত হলে রেশম পরিধানের অবকাশ কে ইবনে তাইমিয়্যা রহঃ মুসলিমদের সর্বসম্যত রায় বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যদি এতে শত্রুকে ভীত সন্ত্রস্ত করার কোন বিষয় থাকে তাহলে জায়েজ আছে।
    মুজাহিদদের জন্য এমন সব বিষয়ের অবকাশ আছে যা অন্যদের জন্য নেই এর উপর দলীল প্রমান অনেক রয়েছে। যেমন যুদ্ধ এবং তার প্রস্তুতির জন্য শত্রু দেশে সফরের করতে গিয়ে ফটো উঠানো। এমনি ভাবে প্রয়োজন এবং জরুরতের সময় দাড়ি মুন্ডন করা,প্যন্টপরিধান করা এবং টাখনুগিড়ার নিচে লটকিয়েদেয়া,ফেইক ভিসা তৈরি করা , নাম পরিচয় পালটে দেয়া ... ইত্যাদি।
    ইবনে তাইমিয়্যা রাঃ আরো বলেনঃ
    কোন মুসলমান যদি দারুলহরবে /দারুলকুফরে থাকে তাহলে বাহ্যিক ঢঙ্গে তাদের বিরোধিতার নির্দেশ তার প্রতি থাকবেনা , কারন এটি তার ক্ষতির কারন হবে। বরং কখনো ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব বরং কখনো ওয়াজিব হয়ে পড়ে বাহ্যিক অবয়ব গ্রহনে তাদের অংশীদার হওয়া যদি এতে ধর্মিয় কোন উপকারিতা থাকে , যেমন তাদেরকে দীনের দিকে আহবান করা তাদের আভ্যন্তরিন বিষয়ের ব্যপারে অবগতি লাভ করা, যেন মুসলমানদেরকে তাদের সংবাদ জানানো যায় অথবা মুসলমানদের থেকে তাদের অনিষ্ঠতাকে রোখা যায়, এই ধরনের সৎ উদ্দ্যেশ্যে।
    কারন ঈমানের পরে বড় ফরজ জিহাদ আদায়ে জন্য নামাজের মত করণীয় ফরজ আমল ও অগত্যা ছাড়ার যেখানে অবকাশ আছে সেখানে বর্জনিয় কাজগুলো করার অবকাশ সৃষ্টি হওয়া আরো স্বাভাবিক ।

    Comment


    • #17
      নির্ভরযোগ্য তাফসির ইবনে কাসির। সিরাত গ্রন্থ আর রাহিকুল মাখতুম।নির্ভরযোগ্য আকিদার কিতাব আকিদাতুত তহাবী।জিহাদ বুঝার জন্য দীন কায়েমের সঠিক পথ পড়েতে পারেন।

      Comment


      • #18
        যি প্রশ্নগুলো উত্তর দিলে উপকার হবে।

        Comment


        • #19
          কারিমুল ইসলাম ভাই আপনি কি দিয়ে বুঝাচ্ছেন এই ভাবে মানুষকে বুঝালে আল্লাহ তায়ালার কি জবাব দিবেন

          Comment


          • #20
            এদেশে জিহাদ করা খুবি কঠিন। এখানে এমন পাহাড় নেই যেখানে মুজাহিদিনরা আত্নগোপনে থাকতে পারে। এখানকার আলিমরা প্রকাশ্যে জিহাদ বিরোধী ফতুয়া দেয়। এখানের মুসলিমরা বিশ্বাস করে জঙ্গিবাদ বলে কিছু একপ্টা আছে কিন্তু ইসলামে নেই। এখানে আপনি বড় কোনো আলিমকে জিহাদের পক্ষে ওপেন বয়ান করে পাবেন না। এখানকার মুসলিমরা গনতন্ত্র প্রতিনিয়ত চর্চা করে!!!!তারা ভোট দেয়। এবং ভোটে পাশ লোকদের শাসকের মর্যাদা দেয়! কাজেই এখানে খুব চিন্তাভাবনা করে কাজ করে যেতে হবে। জিহাদের একজন দায়ীর যেই সকল গুনাবলী থাকা প্রয়োজন সবি অর্জন কর*্য্র হবে। এখানকার আলিমরাও জানে না আমাদের ভূমী শরিয়ী দৃষ্টি কোন থেকে কিসের হুকুমে আছে???? তারা এদেশকে নতুন এক নাম করন করেছে, সেটা হচ্ছে দারুল আমান / দারুল মুসলিম!!! অথচ শরিয়তে এমন আছে বলে মনে হয় না। ইসলাম প্রতিটি দেশকেদু ভাগে ভাগ করে ঃ দারুল হারব ও দারুল ইসলাম। বাংলাদেশে কাফেরকেও মুসলিমের মতই পূর্ণ নাগরিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু ইসলাম আসলে কাফেররা জিম্মি হয়ে যাবে। এখানে কাফেরদের শক্তিশালী করার জন্য সরকার অর্থায়ন করে!!!!! বললে অনেক কথাই বলতে হবে। আমাদের আগে ইসলাম জানত্র হবে।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #21
              মাশাআল্লাহ। বড় ভাইয়েরা খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।
              আল্লাহ ভাইদের কে বিল করুন, আমিন।

              Comment


              • #22
                কারিমুল ইসলাম ভাই আপনি কি দিয়ে বুঝাচ্ছেন এই ভাবে মানুষকে বুঝালে আল্লাহ তায়ালার কি জবাব দিবেন

                বংশধর ভাই! আল্লাহর কাছে কি জবাব দিব আমি সেটা আপনার ভাবার দরকার নেই। আমি যা লিখেছি সুন্নাহ থেকেই লিখেছি। বানানো কোন কাহিনী লিখিনি।
                আমি ভুল করলে আপনার উচিত ভুল খন্ডন করা । আপনি আমার ভুল কেন খন্ডন না করে এ কথা বলছেন এভাবে বললে আল্লাহর কাছে আপনি কি জবাব দিবেন সেটা ভাবেন । আমি তো যথাযথ কথাই বলেছি। ও আপনাকে সিরাত পড়তে বলেছি। খারাপ কথা তো বলিনি।এখানে আমার দোষ কোথায়? ভুল ধরিয়ে দিন । সবাই দেখুক। ভুল হলে সংশোধন করা হবে। আমি সংশোধন করতে প্রস্তুত।

                ** বাকি আপনি বারবার নতুন আইডি না বানিয়ে এক আইডিতে পোস্ট দিন। পোস্ট দেওয়ার জন্য এত আইডির দরকার লাগেনা। আপনার রূপ যতই পাল্টান ধরা পড়বেন আপনি সে লোক যে ফোরামে বিভিন্ন নামে আইডি খুলে প্রশ্নের বাহানা করে ভাইদেরকে ধোকায় ফেলতে চাচ্ছেন। সত্য প্রকাশ আইডি থেকে পোস্ট করেছেন সেটাতেই কমেন্ট করার দরকার ছিল।মনে রাখবেন ফোরামের ভাইদেরকে ফেতনায় ফেলা সহজ নয়। আমাদের ভাইয়েরা সব প্রশ্নের উত্তর দিবেন ইনশাআল্লাহ। ফোরামের সাধারন ভাইয়েরা উহা দেখেই যাচাই করে নিবে।

                Comment


                • #23
                  ১. দীনী কাজের নিরাপত্তার জন্য মিথ্যা বলা ওয়াজিব। আর বৈধ দুনিয়ার নিরাপত্তার জন্য মিথ্যা বলা বৈধ। বরং এটাও কখনো ওয়াজিব।
                  ২. স্বাভাবিক সময় সাধারণ মুসলমানদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নিজেদের নিরাপত্তা এর বাইরে নয়। সংঘর্ষের সময় মুজাহিদদের নিরাপত্তা আগে। এরপর অন্যদের। তবে কোনো মুজাহিদ যদি অন্যদের জন্য কেবল নিজেকে উৎসর্গ করে, আর এ কারণে সহযোদ্ধাদের ক্ষতি না হয়; তবে অসুবিধা নেই।

                  Originally posted by Musafir33 View Post
                  প্রিয় ভাইয়েরা। আমারও কিছু প্রশ্ন ছিলোঃ
                  ১/ একটি নির্ভরযোগ্য তাফসিরের নাম জানতে চাচ্ছি???
                  ২/ নির্ভরযোগ্য একটি সিরাত কিতাবের নাম জানতে চাচ্ছি??
                  ৩/ নির্ভরযোগ্য আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়ার একটি আকিদার কিতাবের নাম জানতে চাচ্ছি?
                  ৪/ জিহাদ বুঝার জন্য নির্ভরযোগ্য একটি কিতাবের নাম জানতে চাচ্ছি?
                  প্রিয় ভাইয়েরা। আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন। আমার আকিদার কিতাবটি খুবি প্রয়োজন।
                  অনেক ভাই কিতাবের নাম জানতে চান, তাদের জন্য-
                  তাফসীর: মুফতী শফী র. রচিত মাআরিফুল কুরআন পড়তে পারেন। এতে সংক্ষেপে নির্ভরযোগ্য অনেক কিতাবের তাফসীর আনা হয়েছে। লেখকের নিজস্ব তাফসীর থাকলেও কম।
                  সীরাত: ইদরীস কান্ধলবী র. রচিত সীরাতুল মুস্তফা। সংক্ষেপে সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া (মুফতী শফী র.)। নবীদের জীবনী: কাসাসুল কুরআন।
                  হাদীস: মিশকাত, রিয়াযুস সালিহীন, (শরহু মাআনিল আসার বা তহাবী শরীফ -ইমাম তহাবী)। ব্যাখ্যা সহ।
                  মাসায়েল: বেহেশতী জেওর, আহকামে যিন্দেগী।
                  উল্লেখ্য, সাধারণ মাসআলা আমরা সাধারণ আলিমদের থেকে নিব আর জিহাদী মাসআলা মুজাহিদ আলিমদের থেকে।
                  আকীদা: ১) ইমাম তহাবী র. রচিত সর্বস্বীকৃত আকীদাতুত তহাবী। বাংলা ব্যাখ্যা সহ। (যারা কঠিন আলোচনা বুঝেন তাদের জন্য শরহে আকায়েদ। -তাফতাযানী) ২) বাংলায় ক) কিতাবুল ঈমান -মুফতী মানসূরুল হক। খ) ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ -মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন। এ বই গুলো সাধারণ ইসলামী আকীদা বুঝতে সাহায্য করবে। জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ে যথেষ্ট নয়।
                  জিহাদ: ১) মাসায়েলের জন্য কষ্ট করে চার মাযহাবের ফিকহী কিতাবের জিহাদ অধ্যায় দেখতে হবে। বাংলায় হানাফী কিতাবগুলো পাবেন। (অন্য মাযহাবের কিতাব কম অনূদিত হওয়া স্বাভাবিক।) যেমন ফতওয়ায়ে আলমগীরী। (সাধারণ মানুষ আবার বই পড়ে ফতওয়া দিতে যাবেন না) মাযহাবের ফিকহী কিতাব সমূহ সার্চ দিয়ে বের করুন।
                  ২) বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আমাদের ফোরাম ও gazwah.net ই ইনশাআল্লাহ যথেষ্ট।


                  Comment

                  Working...
                  X