Announcement

Collapse
No announcement yet.

এদেশে দারুল হরবের সব বিধান ফিট হবে না

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এদেশে দারুল হরবের সব বিধান ফিট হবে না

    এক ভাই জানতে চেয়েছেন,

    ‘বাংলাদেশ দারুল হরব কি’না ? যদি দারুল হরব হয়ে থাকে তাহলে দারুল হরবের সমস্ত মাসয়ালা এখানে পালন করা যাবে কি না ? কুরআন হাদিসের দলিল সহ জানালে ভাল হয়।’


    উত্তর:
    বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
     বাংলাদেশ দারুল হরব। কারণ, এখানকার শাসনক্ষমতা মুরতাদ কাফেরদের হাতে।

     তবে দারুল হরবের সকল বিধান এখানে পালন করা যাবে না। যেমন, দারুল হরবের একটা বিধান হল, যাকে সামনে পাওয়া যাবে- নারী, শিশু ও এছাড়াও শরীয়ত যাদেরকে হত্যা করতে নিষেধ করেছে তারা বাদে- সকলকেই হত্যা করা যাবে। তবে সুস্পষ্ট আলামত দ্বারা যদি মুসলমান বুঝা যায় তাহলে হত্যা করা যাবে না। অন্যথায় ঢালাওভাবে যাকে পাওয়া যাবে তাকেই হত্যা করা যাবে।

    কিন্তু আমাদের এসব দারুল হরবে এ বিধান পালন করা যাবে না। এখানে ঢালাওভাবে যাকে পাওয়া যায় হত্যা করা যাবে না। যারা হত্যার উপযুক্ত তাদেরকেই হত্যা করা যাবে। বাকিদেরকে নয়।

    এর কারণ, আসলী দারুল হরবগুলোতে সাধারণত কাফেররাই বসবাস করে। মুসলমান নিতান্তই কম। বিশেষত খেলাফতের যামানায়। এ কারণে ঢালাওভাবে সকলকে হত্যা বৈধ। পক্ষান্তরে আমাদের দেশগুলোর মতো দারুল হরবে সাধারণত মুসলমানরা বসবাস করে। এ কারণে হত্যার আগে বুঝে নিতে হবে, আমি অন্যায়ভাবে কোন মুসলমান হত্যা করছি না তো? এ ব্যবধানের মূল কারণ দারের ভিন্নতা না, মূল কারণ সাধারণ অধিবাসীরা মুসলমান না কাফের- সেটা। অতএব, দারুল হরব হলেও যেহেতু এখানকার অধিবাসীরা সাধারণত মুসলমান, তাই হত্যার আগে বিবেচনা করে দেখতে হবে।

    যেমন, দারুল হরবে কোন একটা মহল্লা যদি মুসলমানদের বসবাসের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে বরাদ্দ করা হয় এবং সেখানে কয়েক লাখ মুসলমান বসবাস করে- তাহলে কি আপনি তাদের উপর হামলা করতে পারবেন? না! কিছুতেই না। দারুল হরব হওয়ার কারণেই শুধু হামলা করা যাবে না। মূল কথা সেটাই যে, যেখানকার সাধারণ অধিবাসী কাফের, সেখানে ঢালাওভাবে হত্যা জায়েয। আর যেখানকার সাধারণ অধিবাসী মুসলমান সেখানে হত্যা নাজায়েয। হত্যা করতে হলে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে, সে হত্যার যোগ্য। দারের ভিন্নতার কারণে এখানে কোন ব্যবধান হবে না।

    এজন্য বলা যায়, আমাদের এসব রাষ্ট্র দারুল হরব হলেও আসলী দারুল হরবের সকল বিধান এখানে প্রযোজ্য হবে না। বরং এখানে একটা মাঝামাঝি অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ণরূপে দারুল ইসলামের বিধানও প্রয়োগ করা যাচ্ছে না, পূর্ণরূপে দারুল হরবের বিধানও প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. এর একটি ফতোয়া আছে। ‘মারিদিন’ এলাকা- যেটি তাতাররা দখল করে নিয়েছিল কিন্তু সাধারণ জনগণ মুসলমান ছিল, সেটি- সম্পর্কে তিনি এ ফতোয়া দিয়েছিলেন। মাজমুউল ফাতাওয়া থেকে সুওয়াল জওয়াবসহ ফতোয়াটি তুলে দিচ্ছি-


    وَسُئِلَ - رَحِمَهُ اللَّهُ -:
    عَنْ بَلَدِ "مَارِدِينَ" هَلْ هِيَ بَلَدُ حَرْبٍ أَمْ بَلَدُ سِلْمٍ؟ وَهَلْ يَجِبُ عَلَى الْمُسْلِمِ الْمُقِيمِ بِهَا الْهِجْرَةُ إلَى بِلَادِ الْإِسْلَامِ أَمْ لَا؟ وَإِذَا وَجَبَتْ عَلَيْهِ الْهِجْرَةُ وَلَمْ يُهَاجِرْ وَسَاعَدَ أَعْدَاءَ الْمُسْلِمِينَ بِنَفْسِهِ أَوْ مَالِهِ هَلْ يَأْثَمُ فِي ذَلِكَ؟ وَهَلْ يَأْثَمُ مَنْ رَمَاهُ بِالنِّفَاقِ وَسَبَّهُ بِهِ أَمْ لَا؟
    فَأَجَابَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ، دِمَاءُ الْمُسْلِمِينَ وَأَمْوَالُهُمْ مُحَرَّمَةٌ حَيْثُ كَانُوا فِي "مَارِدِينَ" أَوْ غَيْرِهَا. وَإِعَانَةُ الْخَارِجِينَ عَنْ شَرِيعَةِ دِينِ الْإِسْلَامِ مُحَرَّمَةٌ سَوَاءٌ كَانُوا أَهْلَ مَارِدِينَ أَوْ غَيْرَهُمْ. وَالْمُقِيمُ بِهَا إنْ كَانَ عَاجِزًا عَنْ إقَامَةِ دِينِهِ وَجَبَتْ الْهِجْرَةُ عَلَيْهِ. وَإِلَّا اُسْتُحِبَّتْ وَلَمْ تَجِبْ. وَمُسَاعَدَتُهُمْ لِعَدُوِّ الْمُسْلِمِينَ بِالْأَنْفُسِ وَالْأَمْوَالِ مُحَرَّمَةٌ عَلَيْهِمْ وَيَجِبُ عَلَيْهِمْ الِامْتِنَاعُ مِنْ ذَلِكَ بِأَيِّ طَرِيقٍ أَمْكَنَهُمْ مِنْ تَغَيُّبٍ أَوْ تَعْرِيضٍ أَوْ مُصَانَعَةٍ؛ فَإِذَا لَمْ يُمْكِنْ إلَّا بِالْهِجْرَةِ تَعَيَّنَتْ. وَلَا يَحِلُّ سَبُّهُمْ عُمُومًا وَرَمْيُهُمْ بِالنِّفَاقِ؛ بَلْ السَّبُّ وَالرَّمْيُ بِالنِّفَاقِ يَقَعُ عَلَى الصِّفَاتِ الْمَذْكُورَةِ فِي الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ فَيَدْخُلُ فِيهَا بَعْضُ أَهْل مَارِدِينَ وَغَيْرُهُمْ.
    وَأَمَّا كَوْنُهَا دَارَ حَرْبٍ أَوْ سِلْمٍ فَهِيَ مُرَكَّبَةٌ: فِيهَا الْمَعْنَيَانِ؛ لَيْسَتْ بِمَنْزِلَةِ دَارِ السِّلْمِ الَّتِي تَجْرِي عَلَيْهَا أَحْكَامُ الْإِسْلَامِ؛ لِكَوْنِ جُنْدِهَا مُسْلِمِينَ؛ وَلَا بِمَنْزِلَةِ دَارِ الْحَرْبِ الَّتِي أَهْلُهَا كُفَّارٌ؛ بَلْ هِيَ قِسْمٌ ثَالِثٌ يُعَامَلُ الْمُسْلِمُ فِيهَا بِمَا يَسْتَحِقُّهُ وَيُقَاتَلُ الْخَارِجُ عَنْ شَرِيعَةِ الْإِسْلَامِ بِمَا يَسْتَحِقُّهُ. مجموع الفتاوى، ج:28، ص:240-241

    “শাইখুল ইসলাম রাহিমাহুল্লাহর কাছে মারিদিন শহর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল যে, সেটা কি দারুল হরব না দারুল ইসলাম? সেখানকার মুসলমানদের কি অন্যান্য দারুল ইসলামে হিজরত করতে হবে না’কি হবে না? হিজরত আবশ্যক হলে যদি হিজরত না করে বরং মুসলিমদের দুশমনদেরকে নিজের জান-মাল দিয়ে সাহায্য করে তাহলে কি গুনাহগার হবে? এমন ব্যক্তিকে যে মুনাফিক বলবে এবং এ বলে তাকে গালি দেবে সে কি গুনাহগার হবে?

    তিনি উত্তর দেন: আলহামদু লিল্লাহ। মারিদিন বা অন্য যেখানেই থাকুক মুসলমানের জান-মালের ক্ষতিসাধন হারাম। মারিদিন হোক বা অন্য কোন ভূখণ্ড হোক- ইসলামী শরীয়ত থেকে বহিষ্কৃত (কাফের)দের সাহায্য করা সর্বাবস্থায় হারাম। সেখানে বসবাসরত মুসলিম যদি নিজের দ্বীন কায়েমে অপারগ হয়, তাহলে হিজরত ফরয। অন্যথায় মুস্তাহাব, ফরয নয়। জান-মাল দিয়ে মুসলমানদের দুশমনদের সাহায্য করা তাদের জন্য হারাম। যেকোনভাবে সম্ভব তাদেরকে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আত্মগোপন করে, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলে বা তোষামোদ করে- যেভাবেই হোক। হিজরত করা ব্যতীত সম্ভব না হলে হিজরত করাই আবশ্যক। ব্যাপকভাবে তাদের সকলকে গালি দেয়া বা মুনাফিক বলা বৈধ হবে না। কুরআন সুন্নাহয় (মুনাফিকদের) যেসব সিফাত উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে গালি দেয়া হবে বা মুনাফিক বলা হবে। মারিদিন ও অন্যান্য ভূখণ্ডের কতক অধিবাসী এসব সিফাতের মধ্যে পড়বে।

    আর তা দারুল হরব কি দারুল ইসলাম- তো এ ব্যাপারে কথা হচ্ছে: তা দারে মুরাক্কাবা। এতে উভয় দিকই বিদ্যমান। দারুল ইসলামের মতো নয়, যেখানকার সৈনিকরা মুসলিম হওয়ায় সেখানে ইসলামী বিধি বিধান চলে। আবার এমন দারুল হরবের মতোও নয়, যেখানকার অধিবাসীরা কাফের। বরং তা তৃতীয় এক প্রকার। সেখানকার মুসলমানদের সাথে তাদের প্রাপ্য অনুযায়ী মুআমালা হবে, আর শরীয়ত থেকে বহিষ্কৃত (কাফের)দের সাথে তাদের প্রাপ্য অনুযায়ী যুদ্ধ করা হবে।”-মাজমুউল ফাতাওয়া: খণ্ড-২৮, পৃষ্ঠা-২৪০-২৪১


    শায়খুল ইসলামের উদ্দেশ্য, মারিদিন যদিও দারুল হরব, তবে বিধানের দিক থেকে এটি মাঝামাঝি একটা প্রকার। এমনটি উদ্দেশ্য নয় যে, তা দারুল ইসলামও নয়, দারুল হরবও নয়। কেননা, এটি আহলুস সুন্নাহর আকীদা পরিপন্থী। দার হয়তো দারুল ইসলাম, নতুবা দারুল হরব। মাঝামাঝি কোন সূরত নেই। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।

  • #2
    মাশাআল্লাহ।।
    বিষয়টি এতদিন আমার কাছে অস্পষ্ট ছিল..
    আল্লাহ পাক ভাইয়ের ইলমে বারাকাহ দান করুন ।।।
    যদি তোমরা জিহাদে বের না হও তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। আর তোমরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। (সূরা তাওবা, আয়াত: ৩৯)

    Comment


    • #3
      আখি আল্লাহ আপনার ইলমে বরকত দান করুন, আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4
        جزاك الله أحسن الجزاء

        Comment


        • #5
          তাহলে বলা যায়: বিষয়টা নতুন নয়। পূর্বেও দারুল ইরবে কোন মুসলিম থাকলে তাকে হত্যা করা যেত না। আর এখনও দারুল হরবের মুসলিমদেরকে হত্যা করা যাবে না। তবে আগে দারুল হরবে মুসলিম খুব কম থাকত, তেমন থাকত ই না। আর এখন বেশি থাকে, বরং ৯০% ই মুসলিম থাকে।

          তবে ভাই! তাকি উসমানী সাহেব ও আরো কয়েকজন উর্দু ফাতওয়ার প্রণেতাগণ নতুন একটি দার আবিস্কার করেছেন। তা হল: “দারুল আমান”। মানে দারুল হরবে যদি মুসলিমরা নিরাপদে থাকতে পারে, তাহলে সেটা দারুল আমান। সেটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না। তিনি নবী যুগে এর উদাহরণ দিয়েছেন হাবশাকে দিয়ে। যেহেতু সেখানে মুসলিমগণ নিরাপদে ছিলেন।

          আরেকটি ব্যাপার হল: মুফতি শফী সাহেহবের মারিফুল কুরআনে সূরা কাসাসের একটি আয়াতের প্রাসঙ্গিক আলোচনায় তিনি বলেছেন: নিরাপত্তা চুক্তি দুই ধরণের। একটা হল: লিখিত বা ঘোষিত। আরেকটি হল: অঘোষিত বা অলিখিত। সূরা কাসাসের উক্ত আয়াতটি হল:

          وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَذَا مِنْ شِيعَتِهِ وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَى فَقَضَى عَلَيْهِ قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ (15) قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (16)

          তিনি এভাবে দলিল দেন যে: মূসা আলািইহিস সালাম যেই কিবতীকে হত্যা করেছিলেনو সে তো হারবীই ছিল। তাহলে তাকে হত্যা করাতে দোষের কি؟! তথাপি কেন মূসা আলাইহিস সালাম এটাকে নিজের নফসের উপর জুলুম হিসাবে বিবেচনা করলেন।

          এর উত্তরে তিনি বলেন: কিবতীদের সাথে যদিও লিখিত নিরাপত্তা চুক্তি হয়নিو কিন্তু একসাথে পরস্পর মিলে মিশে নিরাপদে থাকার কারণে অলিখিত নিরাপত্তা চুক্তি হয়ে গেছে। এ কারণে এই হত্যার মাধ্যমে অনিচ্ছাকৃতভাবে মূসা আলাইহিস সালাম এই চুক্তিটি ভঙ্গ করেছেন।

          তো ভাই! এই হিসাবে তো ধরা হবে যেو আমাদের দেশে এবং সকল দেশে বসবাসকারী মুসলিমগণ ওই দেশের কাফেরদের সাথে অলিখিত অঘোষিত চুক্তি করে ফেলেছে। তাই তাদেরকে হত্যা করা বৈধ হবে না।

          ভাই! এ দু’টি বিষয়ের সুন্দর উত্তর প্রয়োজন। যদি কষ্ট করে উত্তরটা দেনو ভাল হবে ইংশাআল্লাহ।



          Comment


          • #6
            সম্মানিত ইলম ও জিহাদ ভাই বা অন্য কোন ভাই! বেশ কিছু দিন আগে আমি উপরুক্ত প্রশ্নটি করেছিলাম। যদি কষ্ট করে উত্তর দিতেন, তাহলে ভাল হত।

            Comment


            • #7
              ভাই! আমার একটা বিষয়ে জানার খুবই জরুরী হয়ে পড়ছে তা হচ্ছে। আমাদের ভারত উপমহাদেশ যেহেতু শাহ্* আব্দুল আযীয দেহলবী এর ফতোয়া অনুসারে এখনো দারুল হরবই আছে। তাই এখানে কি ব্যাঙ্ক এর ইন্টারেষ্ট গ্রহণ করা যাবে? যদি একটু সাহায্য করতেন তাহলে অনেক ভাল হত। কারন ২-৩ ধরে এক ভাল আলেম এই সব জানতে চাচ্ছেন।
              অবিরাম করাঘাতে বদ্ধ দরজাও খুলে যায়।

              Comment


              • #8
                মুহতারাম ভাই, উম্মাহর জুমহুর উলামায়ে কেরামের রায় হলো, সুদ কোথাও বৈধ নয়; দারুল ইসলামেও নয়, দারুল হরবেও নয়।

                তবে আবু হানিফা রহ. বলেন, হরবির মাল মূলত মুসলমানের জন্য বৈধ। গাদ্দারি ছাড়া যেকোনভাবে নেয়া হবে জায়েয হবে। সুদে যেহেতু পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে তাই জায়েয। এ হিসেবে হরবির মাল সুদের ভিত্তিতে নেয়াকে আবু হানিফা রহ. জায়েয বলেন। কেননা, এটা প্রকৃতপক্ষে সুদ নয়।

                তবে এটা দারুল হরবের সকল অধিবাসীর ক্ষেত্রে নয়। শুধু হরবি কাফেরের ক্ষেত্রে। মুসলমানের ক্ষেত্রে এমনটি জায়েয নয়। মুসলমানের মাল- দারুল ইসলামেই হোক আর দারুল হরবেই হোক- সুদের ভিত্তিতে বা অন্য যেকোন নাজায়েয পন্থায় নেয়া হারাম। এ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানসহ বিশ্বের সকল দারুল হরবের কাফেরদের খালেছ মাল, যেটাতে মুসলমানদের কোন অংশ নেই, তা সুদের ভিত্তিতে নেয়া আবু হানিফা রহ. এর মতে জায়েয, আর অন্যান্য ইমামের মতে নাজায়েয। আর মুসলমানের মাল হলে কারো মতেই জায়েয নয়।

                যেহেতু উম্মাহর জুমহুর উলামায়ে কেরামের মতে হরবির মালেও সুদ জায়েয নয়, তাই এ থেকে বেঁচে থাকাই উচিৎ। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

                Comment


                • #9
                  সুন্দর উপস্থাপন ""জাঝাকাল্লাহ্ ভাই

                  ইমান সবার আগে
                  সর্বোত্তম আমল হলো
                  আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
                  আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ !আপনার জওয়াবে পুরাপুরি বিষয়টা ক্লিয়ার হয়েছে,আলহামদুলিল্লাহ । তবে মুহতারাম "ইলম ও জিহাদ "ভাই! হারবি দ্বারা কি মুতলাক কাফের হওয়াই যথেষ্ট ? না এর জন্য ভিন্ন কোন মূলনীতি আছে? একটু জানিয়ে বাধিত করবেন।ইনশাল্লাহ ।আল্লাহ আপনার ইলম,আমলে বারাকাহ দান করুক!
                    Last edited by molla; 03-22-2019, 11:35 PM. Reason: একটু জলদিই
                    অবিরাম করাঘাতে বদ্ধ দরজাও খুলে যায়।

                    Comment


                    • #11
                      আমাদের বাড়ির পাশে হিন্দু বাড়ি এমনকি আমরা আমাদের বাড়ি থেকে বাহির হতে হয় এক সময় তারা আমাদের রাস্তা ও বন্ধ করে ছিল যাতে করে বাড়ি থেকে বাহির হতে না পারি। আর তারা আমাদের বাড়ির পাশে অনেক সাক সবজির আবাদ করে এমন অবস্থায় তাদের সাক সবজি বা অন্য কোন কিছু যেমন আম জাম কাঠাল
                      নারকেল ইত্যাদি চুরি অথবা কোন উপায়ে খাওয়া যয়েয হবে কিনা?
                      "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by molla View Post
                        ভাই! আমার একটা বিষয়ে জানার খুবই জরুরী হয়ে পড়ছে তা হচ্ছে। আমাদের ভারত উপমহাদেশ যেহেতু শাহ্* আব্দুল আযীয দেহলবী এর ফতোয়া অনুসারে এখনো দারুল হরবই আছে। তাই এখানে কি ব্যাঙ্ক এর ইন্টারেষ্ট গ্রহণ করা যাবে? যদি একটু সাহায্য করতেন তাহলে অনেক ভাল হত। কারন ২-৩ ধরে এক ভাল আলেম এই সব জানতে চাচ্ছেন।
                        এ ব্যাপারে আল্লামা সাঈদ পালনপুরী تحفة الالماعي তে বলেন,ব্যংক থেকে সুদের টাকা উঠায়ে নেওয়া অবশ্যক । অন্যথায় এ টাকা দিয়ে তারা খারাপ কাজে ব্যায় করবে । আর টাকা উঠায়ে গরিবদের কে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবে । শুধু মাত্র গোনাহ থেকে বাঁচার নিয়তে দান করবে ।
                        "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

                        Comment


                        • #13
                          "Salahuddin Aiubi" ভাইয়ের প্রশ্নের উত্তরটি দিলে আমাদের জন্যও উপকার হতো।
                          আমার নিদ্রা এক রক্তাক্ত প্রান্তরে,
                          জাগরণ এক সবুজ পাখি'র অন্তরে।
                          বিইযনিল্লাহ!

                          Comment


                          • #14
                            মাশাআল্লাহ।
                            এই পোষ্ট থেকে আমি অনেক উপকৃত হলাম।
                            আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment


                            • #15
                              এখানে দু’টি বিষয়:

                              এক. সুদ গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে ব্যাংকে টাকা রাখা এবং নিয়মিত সুদ নিয়ে ব্যবহার করতে থাকা বা সাদাকা করতে থাকা।

                              এটি নিষেধ। এমনটি করা যাবে না।

                              দুই. বিশেষ জরুরতে ব্যাংকে টাকা রেখেছিল। ব্যাংক এর উপর সুদ দিচ্ছে।

                              এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম বলেছেন, সুদটা ব্যাংকে না রেখে বরং নিয়ে নেবে। নিয়ে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সাদাকা করে দেবে।

                              সহজ কথায়: সুদি ব্যাংকের সাথে লেনদেন নাজায়েয। আর সুদের উদ্দেশ্যে টাকা রাখা তো আরো ভয়ংকর। তবে একান্ত নিরুপায় অবস্থায় কেউ যদি টাকা রাখে, তাহলে সুদটা নিয়ে নেবে। নিয়ে সাদাকা করে দেবে। কারণ, সুদটা না নিলে ব্যাংক একে হারাম কাজে ব্যবহার করবে। আপনার টাকাকে যথাসম্ভব হারাম থেকে বাঁচানোর জন্য এমনটা করবেন। ওয়াল্লাহু আ’লাম।

                              Comment

                              Working...
                              X