‘আমাকে ইসলাম পালনে সাহায্য করার মতো কেউ নেই।
আমাকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে সহায়তা করার মতো কাউকে আমি আশেপাশে পাই না।'
💢 অভিযোগটা কমন
প্রায়ই আমরা এ ধরনের কথা শুনি। এসব ক্ষেত্রে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে-
আপনি কেন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করে আছেন?
এভাবে আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন?
কেন আপনি নিজেই নিজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলছেন না? কেন আপনি ওই শাখাপ্রশাখাগুলোর বিকাশে মনোযোগী হচ্ছেন না,
যা আপনার জন্য ছায়া হবে?
যারা হবে আপনার সহায় ও শক্তি? রাসূল এবং তাঁর সাহাবী-দের এর বর্ণনায় আল্লাহ কী বলেছেন লক্ষ করুন: মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল
আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর আর পরস্পরের প্রতি অত্যন্ত সদয়... [তরজমা, সূরা আল-ফাতহ, ২৯]
তারপর এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,
محمد رسول الله ، والذين معه أشداء على الكفار رحماء بينهم ومثلهم في الإنجيل كزرع أخرج شطأه فارزة فاشتغلظ فاستوى على شوقي
তাদের দৃষ্টান্ত হলো,
একটি চারাগাছের মতো।
যা তার কচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে।
এরপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে... [তরজমা, সূরা আল-ফাতহ, ২১]
মুহাম্মদ নিজেই তাঁর পরিবেশ গড়ে নিয়েছিলেন।
তিনি চারাগাছ লাগিয়েছেন এবং সেই শেকড় প্রোথিত হয়েছে গভীরে।
তারপর সেই শেকড়, ‘শক্ত করেছেন’—
অর্থাৎ,,
রাসূলুল্লাহ এবং সাহাবীগণ একে অপরকে সাহায্য করেছেন। এবং পরস্পর আগলে রেখেছিলেন।
এবং, ‘অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে’—অর্থাৎ, তারা পরস্পরের সহায়তায় গড়ে উঠেছেন দৃঢ় ও মজবুত হয়ে।
যার ফলে তাঁরা সহজে ভেঙে পড়বেন না। ঠিক যেমন এক আঁটি তির একসাথে ধরে ভাঙা যায় না।
কিন্তু একটি করে একটি করে নিলে সহজেই ভেঙে ফেলা যায়।
‘স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে'—
অর্থাৎ যখন একজনের ওপর চাপ পড়ে তখন বাকিরা সাহায্যে এগিয়ে আসে।
যার ফলে একসময় সবাই মিলে একসাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।
এ কথাগুলো শোনার পর কেউ বলতে পারেন, ‘আমাকে দিয়ে এসব হবে না, আমি তো আর নবী না!’
কিন্তু দেখুন মহান আল্লাহ কী বলেছেন :
অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ
📕 আয়নাঘর
✍️ প্রিয় শায়েখ ডাঃ ইয়াদ
কুনাইবি (রহঃ)
Comment