Announcement

Collapse
No announcement yet.

দ্বীন ইসলাম পালনে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে কারো সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দ্বীন ইসলাম পালনে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে কারো সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ


    ‘আমাকে ইসলাম পালনে সাহায্য করার মতো কেউ নেই।

    আমাকে দ্বীনের পথে অবিচল থাকতে সহায়তা করার মতো কাউকে আমি আশেপাশে পাই না।'
    💢 অভিযোগটা কমন

    প্রায়ই আমরা এ ধরনের কথা শুনি। এসব ক্ষেত্রে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে-

    আপনি কেন আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করে আছেন?
    এভাবে আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন?

    কেন আপনি নিজেই নিজের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলছেন না? কেন আপনি ওই শাখাপ্রশাখাগুলোর বিকাশে মনোযোগী হচ্ছেন না,

    যা আপনার জন্য ছায়া হবে?
    যারা হবে আপনার সহায় ও শক্তি? ‌ রাসূল এবং তাঁর সাহাবী-দের এর বর্ণনায় আল্লাহ কী বলেছেন লক্ষ করুন: মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল
    ‌ আর যারা তাঁর সাথে আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর আর পরস্পরের প্রতি অত্যন্ত সদয়... [তরজমা, সূরা আল-ফাতহ, ২৯]

    তারপর এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,

    محمد رسول الله ، والذين معه أشداء على الكفار رحماء بينهم ومثلهم في الإنجيل كزرع أخرج شطأه فارزة فاشتغلظ فاستوى على شوقي

    তাদের দৃষ্টান্ত হলো,
    একটি চারাগাছের মতো।

    ‌ ‌যা তার কচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে।

    এরপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে... [তরজমা, সূরা আল-ফাতহ, ২১]

    মুহাম্মদ নিজেই তাঁর পরিবেশ গড়ে নিয়েছিলেন।

    তিনি চারাগাছ লাগিয়েছেন এবং সেই শেকড় প্রোথিত হয়েছে গভীরে।

    তারপর সেই শেকড়, ‘শক্ত করেছেন’—

    অর্থাৎ,,
    রাসূলুল্লাহ এবং সাহাবীগণ একে অপরকে সাহায্য করেছেন। এবং পরস্পর আগলে রেখেছিলেন।

    এবং, ‘অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে’—অর্থাৎ, তারা পরস্পরের সহায়তায় গড়ে উঠেছেন দৃঢ় ও মজবুত হয়ে।

    যার ফলে তাঁরা সহজে ভেঙে পড়বেন না। ঠিক যেমন এক আঁটি তির একসাথে ধরে ভাঙা যায় না।

    কিন্তু একটি করে একটি করে নিলে সহজেই ভেঙে ফেলা যায়।

    ‘স্বীয় কাণ্ডের ওপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে'—
    অর্থাৎ যখন একজনের ওপর চাপ পড়ে তখন বাকিরা সাহায্যে এগিয়ে আসে।

    যার ফলে একসময় সবাই মিলে একসাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়।

    এ কথাগুলো শোনার পর কেউ বলতে পারেন, ‘আমাকে দিয়ে এসব হবে না, আমি তো আর নবী না!’

    কিন্তু দেখুন মহান আল্লাহ কী বলেছেন :

    অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ

    📕 আয়নাঘর
    ✍️ প্রিয় শায়েখ ডাঃ ইয়াদ
    কুনাইবি (রহঃ)
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    চেষ্টা করি ।আমরা পারব ইনশাল্লাহ। কারণ আল্লাহর কাছে আমাদের একা যেতে হবে । এবং আমাদের হিসাব নিকাশ আমাদের একাই দিতে হবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      এ রকম অভিযোগ শুনতেও কেমন লাগে।
      তার আমলের হিসাব কি অন্য কেউ দিবে?

      Comment


      • #4
        সমাজে দু ধরণের মানুষ রয়েছে,

        ১)সত্য গ্রহনে প্রস্তুত।
        ২)উদ্ধত।

        প্রথম শ্রেনীর গুলোকে সত্যের দাওয়াত দিয়ে সৎ পথে আনা যায়।


        ২য় শ্রেনীর গুলো এক ধরনের গাদ্দার টাইপের,

        এরা নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে,
        নিজের বুঝকে সবথেকে উৎকৃষ্ট মত মনে করে।

        অন্যের কথাকে এরা তুড়ি মেরে ছুড়ে ফেলে দেয় একবার ও ভেবে দেখেনা এর মধ্যে কিছু ভালো আছে কিনা।
        এমন স্বভাবের কেউ যদি থাকে নিজের আশপাশে তাহলে আর কি করা যায়।

        সবসময়ই তো আশপাশের মানুষের জন্য স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
        💐💐নিরাপত্তা নামক রাস্তাটির সূচনা হয় আগ্রাসন উঠিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে।।💐💐

        _______❣️শহিদ শাইখ ওসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❣️_______

        Comment


        • #5
          Originally posted by Allahor banda View Post
          সমাজে দু ধরণের মানুষ রয়েছে,

          ১)সত্য গ্রহনে প্রস্তুত।
          ২)উদ্ধত।

          প্রথম শ্রেনীর গুলোকে সত্যের দাওয়াত দিয়ে সৎ পথে আনা যায়।


          ২য় শ্রেনীর গুলো এক ধরনের গাদ্দার টাইপের,

          এরা নিজেদেরকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে,
          নিজের বুঝকে সবথেকে উৎকৃষ্ট মত মনে করে।

          অন্যের কথাকে এরা তুড়ি মেরে ছুড়ে ফেলে দেয় একবার ও ভেবে দেখেনা এর মধ্যে কিছু ভালো আছে কিনা।
          এমন স্বভাবের কেউ যদি থাকে নিজের আশপাশে তাহলে আর কি করা যায়।

          সবসময়ই তো আশপাশের মানুষের জন্য স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
          مُحَمَّدُ بْنُ يُوْسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مَيْسَرَةَ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ {كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ} قَالَ خَيْرَ النَّاسِ لِلنَّاسِ تَأْتُوْنَ بِهِمْ فِي السَّلَاسِلِ فِيْ أَعْنَاقِهِمْ حَتَّى يَدْخُلُوْا فِي الإِسْلَامِ.

          আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

          كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ আয়াত সম্পর্কে বলেন, মানুষের জন্য মানুষ কল্যাণকর তখনই হয় যখন তাদের গ্রীবাদেশে (আল্লাহ্‌র আনুগত্যের) শিকল লাগিয়ে নিয়ে আসে। অতঃপর তারা ইসলামে প্রবেশ করে। [৩০১০] (আ.প্র. ৪১৯৬, ই.ফা. ৪১৯৮)

          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment


          • #6
            আসলেই এই অভিযোগ আমাদের মাঝে বিদ্যমান। মাশাআল্লাহ সুন্দর পোস্ট উক্ত পোস্ট থেকে আমাদের জন্য শিক্ষা রয়েছে। জাঝাকুমুল্লাহ খায়রান
            Last edited by Munshi Abdur Rahman; 01-02-2023, 11:00 AM.
            সর্বোত্তম আমল হলো
            আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
            আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

            Comment

            Working...
            X