Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৭ || মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)|| - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)|| ২য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৭ || মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)|| - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)|| ২য় পর্ব

    আত্তিবয়ান পাবলিকেশন্স কর্তৃক পরিবেশিত

    মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা
    (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)||
    - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)||
    এর থেকে = ২য় পর্ব
    ==================================================
    =====

    কে ছিলেন এই আবদুল্লাহ আযযাম?

    শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) একক কোন ব্যক্তি ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একাই পুরো একটি উম্মাত। তাঁর শাহাদাতের পরে মুসলিম মায়েরা তাঁর মতো দ্বিতীয় একটি সন্তানকে জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
    [শাইখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্, আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলের সাক্ষাতকার, ১৯৯৯]

    বিংশ শতাব্দীতে জিহাদকে পূণর্জাগরণে তিনিই দায়ী।”
    [টাইম ম্যাগাজিন]

    তাঁর কথা কোন সাধারণ মানুষের কথা ছিল না, তাঁর কথা ছিল খুবই অল্প কিন্তু এর অর্থ ছিল অত্যন্ত গভীর। যখন আমরা তাঁর চোখের দিকে তাকাতাম, তখন আমাদের অন্তর ঈমান এবং আল্লাহ তা’আলার প্রতি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে যেত।”
    [মক্কা থেকে একজন মুজাহিদ আলিম]

    বর্তমান বিশ্বে এমন কোন জিহাদের ভূমি অথবা আল্লাহর পথে যুদ্ধরত মুজাহিদ নেই, যিনি শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর জীবনী, শিক্ষা এবং তাঁর কাজের দ্বারা প্রভাবিত না হয়েছেন।
    [আযযাম পাবলিকেশন্স]

    ১৯৮০-এর দশকে শহীদ শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) ছিলেন এমন একটি মুদ্রিত নাম যার কথা চেচনিয়ার জিহাদের ময়দানগুলোতে আজও বার বার প্রতিধ্বনিত হয়ে চলছে। তিনি (রহিমাহুল্লাহ্) মুজাহিদীনদের ব্যাপারে বলতেন, যে কেউ জিহাদের ময়দানে মারা গেল সে যেন শরীক হল, ‘শহীদী কাফিলার সাথে’।”
    [চেচনিয়া জিহাদের ফিল্ড কমান্ডার ইবনুল খাত্তাব (রহিমাহুল্লাহ্)]

    আবদুল্লাহ ইউসুফ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) জন্ম গ্রহণ করেন ১৯৪১ সালে দখলকৃত পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের জেনিন প্রদেশে, আসবাহ্ আল-হারতিয়াহ্ নামক গ্রামে। তিনি এমন একটি পরিবারে বেড়ে উঠেছিলেন, যেখান থেকে তিনি শিক্ষা পেয়েছিলেন ইসলাম সম্পর্কে এবং ভালবাসতে শিখেছেন আল্লাহ ও তাঁর রসূল -কে, আল্লাহর পথে মুজাহিদীনদের, সৎকর্মশীল ব্যক্তিগণের এবং আখিরাতের আকাঙ্খার বিষয়ে।

    আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) ছিলেন এমন একজন ব্যতিক্রম ধর্মীয় কিশোর যিনি খুব অল্প বয়সেই ইসলামের দিকে প্রচার কাজ শুরু করেন। তাঁর সহচররা তাকে ধর্ম ভীরু কিশোর হিসেবেই চিনতো। বাল্যকালে তাঁর মধ্য থেকে কিছু অসাধারণ গুণাবলী প্রকাশিত হয়েছিল, যা তাঁর শিক্ষকেরা চিনতে পেরেছিলেন অথচ তখনও তিনি সবেমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন, তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এগ্রিকালচার খাদররী কলেজে, যেখান থেকে তিনি ডিপ্লোমা লাভ করেন।

    শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) পরিচিত ছিলেন দৃঢ় নিষ্ঠাবান এবং গম্ভীর প্রকৃতির, যার কারণে তাকে দেখে বোঝার কোন উপায় ছিল না যে তিনি তখনও ছিলেন একটি ছোট্ট বালক। তিনি তাঁর গ্রামেই প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন, তাঁর সহপাঠীদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে তরুণ হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি সুদর্শন এবং মেধাবী। খাদররী কলেজ থেকে তাঁর গ্র্যাজুয়েট শেষ করার পরে তিনি দক্ষিণ জর্ডানের আদ্দির নামক গ্রামে শিক্ষকতা পেশায় কাজ করেন। এর পরে তিনি দামেস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে শারিয়াহ্ বিভাগে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন এবং সেখান থেকে তিনি ১৯৬৬ সালে শারিয়াহ্ (ইসলামিক আ’ইন)-এর উপর বি.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে যখন ইহুদীরা পশ্চিম তীর দখল করে নেয় তখন তিনি সেখান থেকে হিজরত করে জর্ডানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ তিনি ফিলিস্তিনের মধ্যে ইহুদীদের দখলদারিত্বের অধীনে থাকতে চাচ্ছিলেন না।…

    পরবর্তীতে তিনি ১৯৭০ সালে ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলী আগ্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে জর্ডান থেকে জিহাদে যোগ দান করেন। এর কিছুদিন পরেই তিনি চলে যান মিশরে এবং সেখানে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শারিয়াহ্-এর উপর মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।

    ১৯৭০ সালের পরে জর্ডানের বাহিরে জিহাদ করাকে পি.এল.ও বাহিনী জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়, তখন তিনি জর্ডানের আম্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি কায়রোতে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাণ্ডিত্যের পুরষ্কার লাভ করেন, যেখান থেকে তিনি ইসলামিক আইনের বিজ্ঞান ও দর্শন (উসূলুল ফিকহ)-এর উপর পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে মিশরে থাকা কালীন তিনি শহীদ সাইয়্যেদ কুতুব (রহিমাহুল্লাহ্) [১৯০৬-১৯৬৬] -এর পরিবারের খোজ-খবর নিতে যান।

    শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) ফিলিস্তিনের জিহাদের মধ্যে একটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। যদিও কিছু বিষয় যা তার খুবই অপছন্দনীয় ছিল, যেমন এর মধ্যে এমন অনেকেই যোগদান করেছিল যারা ইসলাম থেকে অনেক দূরে ছিল। তিনি বলতেন, কিভাবে তারা ফিলিস্তিনকে মুক্তির জন্য জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে তারা প্লেয়িং কার্ড ও গান শোনা এবং দৃষ্টিভ্রমের কাজের মধ্য দিয়ে রাত অতিবাহিত করে। শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) আরো উল্লেখ করে বলেন, হাজারো মানুষের কোন জনবহুল জায়গায় যখন তাদের সবাইকে সলাতের জন্য আহবান করা হত, তখন তাদের মধ্য থেকে এত কম সংখ্যক মানুষ সলাতে উপস্থিত হত যা এক হাতের আঙ্গুল দিয়েই গুণা সম্ভব ছিল। তিনি তাদেরকে ইসলামের দিকে পরিচালনার চেষ্টা করতেন, কিন্তু তারা তাঁর এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করত। একদিন তিনি এক মুজাহিদকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ফিলিস্তিনের মধ্যে এই অভ্যুথানে দ্বীনের সাথে কি সম্পর্ক আছে?’ সে বোকার মত এবং সুস্পষ্ট ভাষায় বলল, ‘এই অভ্যুথানের পিছনে দ্বীনের কোন সম্পর্ক নেই’।”

    এটি ছিল সেখানে তাঁর অবস্থানের শেষ মুহুর্তের কথা, এর পরে তিনি ফিলিস্তিন ত্যাগ করে সৌদি আরবে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা দেয়ার জন্য চলে যান।

    যখন শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) উপলব্ধি করতে পারলেন যে, এই উম্মাহর বিজয় ফিরিয়ে আনতে পারবে একমাত্র ঐক্যবদ্ধ বাহিনীর মাধ্যমে, তখন থেকে জিহাদ এবং বন্দুক হয়ে যায় তাঁর প্রধান কাজ ও বিনোদন।

    আর কোন সমঝোতা নয়, নয় সংলাপ অথবা কোন আলাপ-আলোচনা, একমাত্র জিহাদ এবং রাইফেল।”

    তিনি তা-ই বলতেন যা তিনি নিজে আমল করতেন। শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) হচ্ছেন প্রথম আরব যিনি আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে জিহাদে যোগ দান করেছিলেন।

    ১৯৮০ সালে যখন তিনি সৌদি আরবে ছিলেন তখন তাঁর সুযোগ হয়েছিল একজন আফগান মুজাহিদের সাথে সাক্ষাত করার, যিনি হজ্জ করার উদ্দেশ্যে সেখানে এসেছিলেন। অতঃপর তিনি তাদের মধ্যেই সময় কাটালেন এবং আফগান জিহাদের বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলেন। যখন তাঁকে আফগান জিহাদের ঘটনাগুলো বলা হচ্ছিল তখন এ বিষয়গুলো তাঁর কাছে ছিল একেবারেই অপ্রকাশিত, এবং তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে এত দিন যাবৎ তিনি এই পথটিকেই খোঁজ করছিলেন।


    এভাবেই তিনি সৌদি আরবের জেদ্দায় বাদশাহ্ আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর শিক্ষকতার পেশাকে ত্যাগ করেন এবং সেখান থেকে তিনি পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চলে যান জিহাদে অংশ গ্রহণ করার জন্য এবং তাঁর বাকি জীবন তিনি এর মধ্যেই অতিবাহিত করেন। সেখানে গিয়ে তিনি আরো কিছু মুজাহিদ নেতাদের খোঁজ পেয়ে যান। পাকিস্তানে অবস্থানকালের প্রথম দিকে তিনি ইসলামাবাদের আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দান করেন। এর কিছু দিন পরেই তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে আফগানিস্তানের জিহাদের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

    ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) জিহাদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আফগানিস্তানে আসেন। এই জিহাদের মধ্যে আত্ম নিয়োগের মাধ্যমে তিনি আল্লাহর পথে যুদ্ধ করার পূর্ণ আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন, ঠিক যেভাবে রাসূলুল্লাহ একদা বলেছিলেন, “আল্লাহর পথে যুদ্ধের ময়দানে এক মুহুর্ত দণ্ডায়মান হওয়া, ৬০ বছর ধরে ইবাদাতে দণ্ডায়মান থাকার চেয়ে শ্রেয়।”

    এই হাদীসের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) এমনকি তার পরিবারকে পর্যন্ত পাকিস্তানে নিয়ে আসেন; যাতে তিনি জিহাদের ময়দানের আরো নিকটবর্তী হতে পারেন। এর কিছুদিন পরেই, তিনি জিহাদ ও শাহাদাতের ভূমিতে অবস্থান করার উদ্দেশ্যে ইসলামাবাদ ছেড়ে পেশোয়ারে চলে যান। পেশোয়ারে আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) ও তার প্রিয় বন্ধু উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ্ বায়তুল আনসার (মুজাহিদীনদের সেবা সংস্থা) এর সন্ধান পান। যারা আফগান জিহাদ এর জন্য সমস্ত প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করতে প্রস্তুতছিল। এই সংস্থা অনেক নতুন মুজাহিদীনকে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দান করত যাতে তারা আফগানিস্তানে সম্মুখ কাতারে থেকে জিহাদ করতে পারে।



    আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর জিহাদের প্রতি প্রচন্ড আকাঙ্খার কারণে শুধু এতটুকু করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। অবশেষে তিনি জিহাদের প্রথম কাতারে শামিল হন এবং সাহসিকতার সাথে বীরের মত ভূমিকা পালন করেন।

    আফগানিস্তানে তিনি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় খুব কম সময়ই অবস্থান করতেন। তিনি গোটা দেশে সফর করেছেন; এর অধিকাংশ প্রদেশগুলো হচ্ছে: লোগার, কান্দাহার, হিন্দুকুশ পর্বতমালা, পাঞ্জসের এর উপত্যকা, কাবুল, জালালাবাদ। এই সফর করার কারণে তিনি আফগানিস্তানের সাধারণ যোদ্ধাদের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পান যারা আল্লাহর কালিমাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেদের জীবন ও সম্পদ দ্বারা জিহাদে লিপ্ত ছিল।

    সফর থেকে ফেরত আসার পর পেশোয়ারে তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে জিহাদের ব্যাপারে খুতবা দিতে লাগলেন। তিনি বিভক্ত মুজাহিদীন নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য দু’আ করতেন এবং যারা এখনো পর্যন্ত জিহাদের কাতারে শামিল হয়নি ও আল্লাহর রাহে অস্ত্র তুলে নেয়নি; খুব দেরি হওয়ার পূর্বেই তাদেরকে তাদের দায়িত্বে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানাতেন।

    আফগান জিহাদের দ্বারা শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) অত্যন্ত প্রভাবিত হয়েছিলেন, ঠিক একইভাবে আফগান জিহাদও তাঁর দ্বারা মারাত্মক প্রভাবিত হয়েছিল। তিনি তাঁর পুরো সময় এই কাজের মধ্যেই নিয়োজিত থাকতেন। আফগান মুজাহিদ নেতাদের কাছে তাঁর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মুসলিম উম্মাহ্-কে আফগান জিহাদের বিষয়ে জাগ্রত করার জন্য তিনি তাঁর সামর্থ্যের মধ্যে কোন প্রচেষ্টাকেই বাকি রাখেননি। তিনি সারা বিশ্বের প্রতিটি কোনায় সফর করেন এবং মুসলিমদের ভূমি এবং দ্বীনকে হিফাজতের জন্য তাদেরকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। তিনি জিহাদের উপর অনেক বই লিখেছেন। যেমনঃ ‘এসো কাফেলা বদ্ধ হই’, ‘আফগান জিহাদে আর-রহমান এর মুজিযা সমূহ’, ‘মুসলিম ভূমি সমূহের প্রতিরক্ষা’, ‘কারা জান্নাতের কুমারীদের ভালবাসে?’ ইত্যাদি। অধিকন্তু তিনি সশরীরে আফগান জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। যদিও তার বয়স চল্লিশোর্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আফগানিস্তানের পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে, বরফের এলাকায়, পাহাড়ে, গরম-ঠাণ্ডায়, গাধায় চলে, পায়ে হেটে সফর করেছেন। তার সাথে কোন যুবক থাকলে ক্লান্ত হয়ে পড়ত অথচ শাইখ ক্লান্ত হতেন না।

    তিনি আফগানিস্তানের জিহাদের বিষয়ে মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করেছেন এবং এই জিহাদ যে, ইসলামের জন্য করা হচ্ছে তা সারা বিশ্বের মুসলিমদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর এই অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরে আফগান জিহাদ আন্তর্জাতিক রূপ লাভ করে এবং এতে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মুসলিমরা অংশ গ্রহণ করা শুরু করে। খুব দ্রুত ইসলামের সৈনিকেরা তাদের জিহাদের ফারজিয়াত আদায় এবং নির্যাতিত মুসলিম ভাই ও বোনদেরকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে পৃথিবীর চতুর্দিক অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ দিক থেকে এবং আফগানিস্তানে সমবেত হতে শুরু করে দেয়।


    আরও পড়ুন
    ১ম পর্ব ----------------------------------------------------------------------------------------------------- ৩য় পর্ব
    Last edited by tahsin muhammad; 10-18-2023, 08:25 PM.

  • #2
    আল্লাহ এই সিরিজকে চলমান রাখুন এবং আমাদেরকে উপকৃত করুন। আমীন
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment


    • #3
      বিংশ শতাব্দীতে জিহাদকে পূণর্জাগরণে তিনিই দায়ী।”
      [টাইম ম্যাগাজিন]
      আল্লাহ্‌ তাআলা শাইখকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উঁচু মাকাম দান করুন, আমীন

      Comment

      Working...
      X