Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ০৭ || মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)|| - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)|| ৩য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ০৭ || মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)|| - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)|| ৩য় পর্ব

    আত্তিবয়ান পাবলিকেশন্স কর্তৃক পরিবেশিত

    মুসলিম ভূমিকে প্রতিরক্ষা করা
    (ঈমান আনার পর প্রথম ফারদ্)||
    - শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)||
    এর থেকে = ৩য় পর্ব
    ========================================
    ===============


    কে ছিলেন এই আবদুল্লাহ আযযাম?
    শাইখের জীবন আবর্তিত ছিল একটি মাত্র বিষয়কে কেন্দ্র করে, আর তা ছিল আল্লাহর হুকুমকে এই জমীনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করা, যা প্রতিটি মুসলিমের জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাঁর সারা জীবনের একমাত্র মহৎ লক্ষ্য ছিল, জিহাদের মাধ্যমে খিলাফাহ পুণঃপ্রতিষ্ঠিত করা। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, পৃথিবীর বুকে খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে যাতে সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের আলো জ্বলতে থাকে। তিনি এ কাজে তাঁর পরিবারকেও উৎসাহিত করতেন। যার ফলশ্রুতিতে, তাঁর স্ত্রীকে দেখা যেত ইয়াতীমদের সেবা এবং অন্যান্য মানুষের দুঃখ দুর্দশায় সহযোগিতামূলক কাজে নিয়োজিত থাকতে। তিনি অনেক বারই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং বলতেন, তিনি ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ চালিয়ে যাবেন যতক্ষণ পর্যন্ত হয় তিনি শহীদ হবেন নতুবা তাকে হত্যা করা হবে। তিনি প্রায়ই একটি কথার পুনরাবৃত্তি করে বলতেন, যদিও তখনও তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা। একদা তিনি বলেছিলেনঃ

    আমি কখনো জিহাদের ভূমি ত্যাগ করবোনা; তিনটি অবস্থা ব্যতীত। হয় আমি আফগানিস্তানে নিহত হব, নতুবা পেশোয়ারে নিহত হব নতুবা আমার হাত বাধা অবস্থায় পাকিস্তান থেকে বহিষ্কৃত হব।”

    বিংশ শতাব্দীতে আফগানিস্তানের জিহাদের মাধ্যমে শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) জিহাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠেন। তিনি মুসলিমদের হৃদয়কে জিহাদ এবং এর প্রয়োজনীয় বিষয়ে দারুণভাবে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছেন, তা জিহাদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অথবা উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে কিংবা জিহাদের বিষয়ে দাবীকৃত ভ্রান্ত ধারণাগুলোকে দূর করার মাধ্যমেই হোক না কেন? তরুণ প্রজন্মকে জিহাদের পথে আহ্বানের মাধ্যমে তিনি আলিমদের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন। তিনি জিহাদ এবং এর যে কোন প্রয়োজনীয়তাকে খুব গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করতেন। একদিন তিনি বলছিলেন,


    আমি মনে করি আমার প্রকৃত বয়স হচ্ছে নয় বছরঃ সাড়ে সাত বছর কেটেছে আফগান জিহাদে আর দেড় বছর কেটেছে ফিলিস্তিনের জিহাদে, এছাড়া আমার জীবনের বাকি বয়সগুলোর কোন মূল্য আমার কাছে নেই।”

    মিম্বারে দাড়িয়ে খুতবা দেয়ার সময়ে প্রায়ই তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতে থাকতেন,

    জিহাদ পরিত্যাগ করা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এক আল্লাহর ইবাদাত করা হয়। এই জিহাদ চলতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর কালিমাকে সবার উপরে তোলা হয়। জিহাদ চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত না সকল নির্যাতিত মানুষদের মুক্ত করা হয়। জিহাদ চলবে আমাদের সম্মান ও দখলকৃত ভূমিগুলোকে ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত। জিহাদ হচ্ছে চিরস্থায়ী মর্যাদার পথ।”

    অতীতের ইতিহাস থেকে এবং যে কেউ শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-কে পূর্ব থেকে চিনতেন তারা সবাই তাঁর ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন বক্তা। শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-কে মুসলিম উম্মাহ্-কে উপলক্ষ করে খুতবা দেয়ার সময় বলতে শোনা যেত যে,

    মুসলিমরা কখনোই অপর জাতির দ্বারা পরাজিত হয় না। আমরা মুসলিমরা কখনোই আমাদের শত্রুদের কাছে পরাজিত হইনি, কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা পরাজিত হয়েছি আমাদের নিজেদেরই লোকদের কাছে।”

    তিনি ছিলেন একজন উত্তম ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ধর্মানুরাগ, আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা এবং সংযমশীলতা ছিল তাঁর চারিত্রিক অলংকার। তিনি কখনোই কারো সাথে হীনতামূলক আচরণ দেখাতেন না। শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) সব সময়ই তরুণদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন; তিনি তাদেরকে সম্মান করতেন এবং সকল প্রকার ভয়-ভীতিকে অতিক্রম করে তাদের হৃদয়ে সুপ্ত সাহসিকতাকে জাগিয়ে তুলতেন। তিনি অবিরাম সিয়াম পালন করতেন; বিশেষ করে দাউদ (আলাইহি ওয়া সালাম)-এর সুন্নাহ্ অর্থাৎ একদিন সিয়াম পালন করা এবং একদিন বিরত থাকা, এই নীতিতে তিনি সিয়াম পালন করতেন। তিনি অন্যদেরকে সোম এবং বৃহস্পতিবার দিন সিয়াম পালন করার বিষয়ে খুব বেশি বেশি তাগিদ দিতেন। শাইখ ছিলেন একজন ন্যায়বান, সৎ মানুষ এবং তিনি কখনো কোন মুসলিমের সাথে খারাপ ভাষায় অথবা অসন্তুষ্টি মূলক ভাবে কথা বলতেন না।

    একবার পেশোয়ারে বসে কিছু উগ্র স্বভাবের মুসলিম ঘোষণা দিল যে, তিনি কাফির হয়ে গিয়েছেন, কারণ তিনি মুসলিমদের সম্পদ অপচয় করছেন। যখন এই সংবাদ শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর কাছে এসে পৌঁছালো তখন তিনি তাদের কাছে গিয়ে তর্ক করার পরিবর্তে তাদের জন্য কিছু উপহার সামগ্রী প্রেরণ করলেন। এই উপহার সামগ্রী পাওয়ার পরেও তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক তার বিষয়ে কটুবাক্য এবং অপবাদ ছড়াতে লাগল। কিন্তু শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) তাদেরকে নিয়মিতভাবে উপহার পাঠাতে লাগলেন। অনেক বছর পর, যখন তারা তাদের ভুল বুঝতে পারল, তখন তারা তাঁর বিষয়ে বলতে লাগলঃ

    আল্লাহর কসম! আমরা কখনোই শাইখ আবদুল্লাহ আযযামের মত মানুষ দেখিনি। তিনি আমাদেরকে নিয়মিত অর্থ এবং উপহার দিয়ে যেতেন যখন কিনা আমরা তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য এবং কটুবাক্য রটনা করতাম।”

    আফগান জিহাদ চলাকালীন সময়ে তিনি সেখানকার বিভিন্ন মুজাহিদীনদের দলকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। স্বভাবতইঃ মুসলিমদের এত সফলতা দেখে ইসলামের শত্রুরা নিদারুণ যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগল এবং তারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা শুরু করল। ১৯৮৯ সালের নভেম্বর মাসে তিনি যেই মিম্বারে উঠে নিয়মিতভাবে জুম্মার খুতবা দিতেন তার নিচে একটি মারাত্মক শক্তিশালী টি.এন.টি বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল। এটি এতই ভয়াবহ বিস্ফোরক ছিল যে, এটি বিস্ফোরিত হলে মসজিদের ভিতরে সকল মানুষ নিয়ে পুরো মসজিদটিই ধ্বসে যেতে পারতো। কিন্তু আল্লাহ যাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তাকে মারার ক্ষমতা কার আছে? বিস্ফোরকটি তখন বিস্ফোরিত হয়নি।

    শত্রুরা তাদের ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়নের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল, তাই তারা কিছু দিন পরে ঠিক একই বছরে পেশোয়ারে তাদের দুষ্কর্ম বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে, শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-কে এই দুনিয়া থেকে তুলে নিয়ে তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের সাথে রাখবেন (আমরা তাঁর ব্যাপারে এরূপই ধারণা করে থাকি), তিনি তাঁর মহৎ ব্যক্তিত্বের সাথে আখিরাতের দিকে প্রত্যাবর্তন করলেন। দিনটি ছিল ১৯৮৯ সালের ২৪শে নভেম্বর, শুক্রবার এবং সময় ছিল বেলা ১২:৩০।

    শত্রুরা তিনটি বোমা রাস্তার পাশে পুতে রেখেছিল আর রাস্তাটি এতই সরু ছিল যে, সেখান দিয়ে একটি গাড়ির বেশি অতিক্রম করতে পারত না। শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) এই রাস্তা দিয়েই প্রতি শুক্রবার জুমার সলাত আদায় করতে যেতেন। সেই দিন, শাইখ তাঁর দুই পুত্র ইবরাহীম এবং মুহাম্মাদকে সাথে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তাঁর আরেক সন্তান তামিম আদনানী (আফগান জিহাদের আরেকজন বীর মুজাহিদ পরবর্তীতে যিনি প্রসিদ্ধ আলিম হন) একাকী অন্য আরেকটি গাড়িতে করে আসছিলেন। প্রথম বোমাটি যেখানে পুতে রাখা হয়েছিল ঠিক সেই জায়গাতেই গাড়িটি থামানো হল এবং শাইখ গাড়ি থেকে নেমে হাটা শুরু করলেন আর তখনই শত্রুদের বোমাটি মারাত্মক বিকট শব্দ নিয়ে বিস্ফোরিত হল যার আওয়াজ পুরো শহরবাসী শুনতে পেয়েছিল।

    মসজিদ এবং আশপাশ থেকে মানুষ ঘটনাস্থলে দৌড়িয়ে আসলো। সেখানে গাড়ির বিক্ষিপ্ত কিছু টুকরো ছাড়া আর কিছুই তারা দেখতে পেল না। তাঁর ছোট পুত্রের দেহ বিস্ফোরণের ফলে ১০০ মিটার আকাশের উপরে উঠে গিয়েছিল, বাকি দু’জনের দেহও একই পরিমাণের উচ্চতায় উপরে উঠে গিয়েছিল এবং তাদের দেহের বিভিন্ন অংশ গাছের এবং বৈদ্যুতিক তারের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল । আর শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর দেহটি সম্পূর্ণ অক্ষত শুধুমাত্র মুখ দিয়ে কিছু রক্ত প্রবাহিত অবস্থায় একটি দেয়ালের সাথে হেলানো অবস্থায় পাওয়া গেল।

    ঐ চরম বিস্ফোরণের মাধ্যমেই শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) এর দুনিয়ার যাত্রা পরিসমাপ্তি ঘটে, যিনি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পথে জিহাদ করার মাধ্যমে কাটিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তাঁর জন্য জান্নাতের বাগান আরো সুনিশ্চিত হয়ে যায়। আমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করি, যেন তিনি তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করে নেন এবং সম্মানিত বান্দাদের সাথে থাকার সুযোগ দান করেন। যেমনটি আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,

    وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَأُولَئِكَ مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا


    যারা আল্লাহ তা’আলা ও (তাঁর)রসূলের আনুগত্য করে, তারা (শেষ বিচারের দিন সেসব) পুণ্যবান মানুষদের সাথেথাকবে, যাদের উপর আল্লাহ তা’আলা প্রচুর নিয়ামাত বর্ষণ করেছেন, এরা (হচ্ছে)নবী-রসূল, যারা (হিদায়াতের) সত্যতা স্বীকার করেছে, (আল্লাহর পথে জীবনউৎসর্গকারী) শহীদ ও অন্যান্য নেককার মানুষ, সাথী হিসেবে এরা সত্যিই উত্তম!”

    আর এভাবেই এই মহান শাইখ এবং জিহাদকে পুণর্জীবিতকারী জিহাদের ভূমি এবং এই দুনিয়াকে ছেড়ে চলে যান, যিনি আর কখনো ফিরে আসবেন না। তাঁকে পেশোয়ারে শহীদদের কবরস্থান পাবী-তে কবর দেয়া হয়। যেখানে তাকে আরো শতাধিক শহীদদের মাঝে শায়িত করা হয়। আল্লাহ তা’আলা তাঁর শাহাদাতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু মর্যাদা দান করুন।

    ইসলামের শত্রুদের বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির পরেও তিনি বিভিন্ন দেশে তাঁর জিহাদের প্রচেষ্টাকে অব্যাহত রেখেছিলেন। তাই বিংশ শতাব্দীতে এমন কোন জিহাদের ভূমি পাওয়া যায়নি অথবা এমন কোন মুজাহিদ দেখা যায়নি যিনি শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর জীবনী, শিক্ষা অথবা তাঁর কাজ দ্বারা উদ্বুদ্ধ না হয়েছেন।

    আমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করি, যেন তিনি শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্)-এর সকল প্রচেষ্টাগুলোকে কবুল করে নেন এবং তাঁকে জান্নাতের সবচেয়ে উঁচু মর্যাদা দান করেন। আমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট আরো প্রার্থনা করি, এই উম্মাতের জন্য তিনি যেন তাঁর মতোই মহৎ চরিত্রের আরো আলিমগণকে জাগিয়ে তোলেন, যাতে তারা তাদের জ্ঞানকে শুধুমাত্র কিতাবের পাতায় এবং মসজিদের দেয়ালের ভিতরেই সীমাবদ্ধ না রেখে জিহাদের ময়দানগুলো পর্যন্ত সম্প্রসারিত করতে পারেন।

    বিংশ শতাব্দীতে তাঁর জীবনীর এই দশটি বছরের অর্থাৎ ১৯৭৯-৮৯ সময়কালকে আমরা ইসলামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। একদা শাইখ আবদুল্লাহ আযযাম (রহিমাহুল্লাহ্) নিজেই বলেছিলেন,“ইসলামের ইতিহাস শহীদদের রক্ত, স্মৃতি এবং দৃষ্টান্ত ছাড়া লেখা হয় না।”

    يُرِيدُونَ أَنْ يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلا أَنْ يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
    هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ


    এ (মূর্খ) লোকেরা তাদের মুখের (এক) ফুঁৎকার দিয়ে আল্লাহর (দ্বীনের) আলো নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহতা’আলা তাঁর এ আলোর পূর্ণ বিকাশ ছাড়া অন্য কিছুই চান না, যদিও কাফিরদেরকাছে এটি খুবই অপ্রীতিকর! তিনিই (মহান আল্লাহ), যিনি (তোমাদের কাছে)সুস্পষ্ট হিদায়াত ও সঠিক জীবনবিধান সহকারে তাঁর রসূলকে পাঠিয়েছেন, যেন সেএই বিধানকে (দুনিয়ার) সব কয়টি বিধানের উপর বিজয়ী করে দিতে পারে, মুশরিকরা (এ বিজয়কে) যতো অপছন্দ করুক না কেন!”



    আরও পড়ুন
    ২য় পর্ব -------------------------------------------------------------------------------------------------- ৪র্থ পর্ব

    Last edited by tahsin muhammad; 10-20-2023, 08:42 PM.
Working...
X