আল হিকমাহ মিডিয়া পরিবেশিত
“আল আকসা পুনরুদ্ধারের ফরয আদায় করুন ” ।।
মুঈনুদ্দীন শামী হাফিযাহুল্লাহ || এরথেকে
১মপর্ব
===================
“আল আকসা পুনরুদ্ধারের ফরয আদায় করুন ” ।।
মুঈনুদ্দীন শামী হাফিযাহুল্লাহ || এরথেকে
১মপর্ব
===================
الْحَمْدُ للهِ نَحْمَدُه ونستعينُه، ونستغفرُه، ونَتوكَّلُ عليه، ونعوذُ باللهِ من شرورِ أنفسِنا، ومن سيئاتِ أعمالِنا، مَن يَهْدِهِ اللهُ فلا مُضِلَّ له، ومَن يُضْلِلْه فلا هادِيَ له، ونَشهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عبدُه ورسولُه. رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي، أمَّا بَعْد!
হামদ ও সালাতের পর!
দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে এই লাইনগুলো লিখছি। এই লেখায় হৃদয়ের রক্ত এবং চোখের অশ্রুও যুক্ত হয়েছে। প্রতিটা মুহূর্তেই বেদনা বেড়ে চলেছে। বেদনাটা এমন যে, কখনও কখনও হাঁটুর মাঝে মাথা চেপে ধরে চিন্তা করি, যদি এভাবেই ভাবতে থাকি এবং এই দুঃখ-বেদনার সমাধানের কোনো উপায় না ভাবি, তাহলে আমার হৃদয় ও মনের অবস্থা কী হবে?
তাই, এই কথা মাথায় রেখে এই কয়েকটি লাইন লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হল সময়ের দাবি অনুযায়ী সচেতন হয়ে কিছু দিকনির্দেশনা ভাবা এবং লেখা জরুরী। কিন্তু আমার আবেগ প্রবল হয়ে আছে। তখন ভাবলাম যে, দিকনির্দেশনায় আবেগপ্রবণ হওয়া উচিত নয়। কিন্তু যার আবেগ নেই সে তো উদাসীন। আর এই উদাসীনতার একটা বড় মাত্রা হল আত্মমর্যাদাহীনতা। এমন ব্যক্তির সামনে তার প্রিয়জনকে কেটে ফেলা হলেও সে উঠে দাঁড়ায় না। এমন দৃষ্টান্ত পশু জগতেও বিরল!
আজকের এই পরিস্থিতিতে কোনো নাদান তথা অজ্ঞ লোক ছাড়া এমন কেউ নেই, যে আমার দুঃখের কারণ জানে না। এ দুঃখ-বেদনা শুধু আমার নয়, এটা সমগ্র উম্মাহর দুঃখ-বেদনা। আজ মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্য, এমনকি তরুণরাও এ বিষয়ে অবগত। গতকাল রাতেও কম বয়সী দুই কিশোরীকে ফিলিস্তিনের শোকে হাত তুলে দোয়া করতে ও কাঁদতে দেখেছি। এ সময়ের তরুণ-তরুণী এই কবিতার মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছে:
“কারো দেহে জখম হলে ছটফট করি আমরা সবে,
সারা বিশ্বের দুঃখ সবই আছে আমাদের হৃদয়ে।”
বৃদ্ধ কিংবা যুবক, শিশু অথবা বড়, পুরুষ বা মহিলা আমার জানা মতে এমন কেউ নেই, ইসরাঈলের আগ্রাসনে যাদের কলিজায় জখম হয়নি। আমি ভাবতাম তারা কিভাবে এমন ঈসায়ী (খ্রিস্টান) হবে, যে কিনা ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে দেখে ঈমান নিয়ে আসবে। কম্পিউটারের স্ক্রিনে ফিলিস্তিনের উপর আগ্রাসন দেখে কয়েকজন খ্রিস্টান ফিলিস্তিনের মুজাহিদীনের পক্ষে কথা বলায় আমার মনে হয়েছিল যে, হয়তো তাদের মাঝে এমন কিছু লোক আছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হবে। সারকথা হলো এই যে, আজ সকল বিবেকবান মানুষ ইসরাঈলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের সাথে আছে।
আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদীন এবং তাদের মতো অন্যান্য ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাতের প্রতি মুহাব্বত, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ ও কিতালের আগ্রহ, জীবনবাজি রাখা ও বীরত্বের যতই প্রশংসা করা হবে তা কম হবে। তারা এমন এক ফিদায়ী যুদ্ধের কাহিনী যুক্ত করেছে, যার নজির ইতিহাসে খুব কমই পাওয়া যায়।
হাজার হাজার ফিদায়ী মুজাহিদ আকাশ পথ ও স্থল পথে দখলদার ইহুদীদের সীমানা অতিক্রম করে তাদের বিশ্রামস্থল ও দুর্গে প্রবেশ করেন। এই শত্রুরা কখনোই কল্পনাও করেনি যে, তারা তাদের দুর্গে আক্রান্ত হবে। জীবনের প্রতি সবচেয়ে বেশি আসক্ত ‘আয়রন ডোমের’ নিচে নিশ্চিন্ত মনে বসবাসকারী ইহুদীদেরকে আযাবে ইলাহী ‘তুফানুল আকসা’ এমন আচ্ছন্ন করেছিল, ঠিক যেভাবে আদ ও সামুদ জাতিকে আযাবে ইলাহী আচ্ছন্ন করেছিল। ‘আয়রন ডোমের’ নিচে বসবাসকারী লোকেরা শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলো। তাদের অস্ত্র, শক্তি এবং ‘আয়রন ডোমে’ তাদের অগাধ বিশ্বাস ছিল। তারা বলতো, এখানে মৃত্যুর কি কাজ? আমাদের কাছে বিশ্বের সেরা ‘আয়রন ডোমের’ প্রযুক্তি রয়েছে।
{مَنْ أَشَدُّ مِنَّا قُوَّةً}
অর্থঃ “আমাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী কি আর কেউ আছে?” (সূরা ফুসসিলাত ৪১: ১৫)
আদ ও সামুদের মতো তারাও ভুলে গিয়েছিল যে, {هُوَ أَشَدُّ مِنْهُمْ قُوَّةً} “যে আল্লাহ তাদের সৃষ্টি করেছেন তিনি তাদের থেকেও বেশি ক্ষমতাবান।” (প্রাগুক্ত) বরং ক্ষমতা তাঁরই এবং তাঁর শাস্তিও অত্যন্ত কঠিন। তিনি বলেন:
{أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ}
অর্থঃ “যাবতীয় ক্ষমতা শুধু আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।” (সূরা বাকারা ০২: ১৬৫)
অতঃপর তিনি ঐ খোদায়ী শাস্তির বর্ণনাও দিলেন; আমার মুজাহিদ বান্দা! আমি তোমাদের উপর যুদ্ধ করা ফরয করে দিয়েছি, সুতরাং {قَاتِلُوهُمْ} “তাদের সাথে যুদ্ধ কর” {يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ}“তোমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে বিজয়ী করবেন।” আর এই কাফেরদের জুলুম ও অত্যাচারে তোমাদের অন্তর যে আগুনে জ্বলছে, আল্লাহ এই কষ্টেরও অবসান ঘটাবেন, খুশি ও আনন্দ তোমাদেরই হবে –
{وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِين}
“এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।” (সূরা তাওবা ০৯: ১৪)
প্রকৃতপক্ষে, ঐশী নির্দেশাবলীর আলোকে এই সম্মানিত মুজাহিদদের প্রশংসা যতই করা হবে তা কম হবে। তবে তাদের প্রশংসার জন্য এর চেয়েও বড় একটি দিক আছে।
এই মুজাহিদরা আসবাবের স্বল্পতা সত্ত্বেও সারা বিশ্বে ঈমানদারদের উপর একটি হুজ্জত কায়েম করেছে। তারা কর্মের ভাষায় এবং মুখের ভাষায়ও বলেছে:
“হে মুসলিম জাতি!
আমাদের রক্তে তোমাদেরকে একটি অনুরোধ লিখে যাই,
আমাদের উপর যা ফরয ছিল তা আমরা করেছি আদায়,
বাকি কাজের দায়িত্ব তোমাদের উপর বর্তায়।”
আমাদের রক্তে তোমাদেরকে একটি অনুরোধ লিখে যাই,
আমাদের উপর যা ফরয ছিল তা আমরা করেছি আদায়,
বাকি কাজের দায়িত্ব তোমাদের উপর বর্তায়।”
হে মুসলমান!
দেখুন, আসবাব স্বল্পতা ও সঙ্কটের মাঝেও আমরা আবাবীলরা জামানার আবরাহার উপর নিক্ষেপ করার জন্য নুড়ি পাথর জমা করেছি। এখন যখন সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, আমরা আবাবীলের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট প্রাণীদের উপর আক্রমণ করেছি। আপনারা আমাদেরকে প্যারাসুটে ঝুঁলে ইসরাঈলিদের উপর পড়তে দেখবেন। আমাদের মালিক আল্লাহ আমাদেরকে ‘আয়রন ডোমের’ মোকাবেলায় ‘আয়রন ডোম’ তৈরি করার আদেশ দেননি। তিনি আমাদের বলেছেন, যতটা সম্ভব তাদের সাথে লড়াই করার জন্য শক্তি সংগ্রহ করতে –
{وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ}
অর্থঃ “আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে।” (সূরা আনফাল ০৮: ৬০)
অর্থঃ “আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে।” (সূরা আনফাল ০৮: ৬০)
তাই আমরা সেই প্রস্তুতি নিয়েছি। এই সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতির ফলাফল দেখুন, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ঘুণাক্ষরেও এর খবর পায়নি। মাত্র অল্প কয়েকদিনের জমানো সরঞ্জাম দ্বারা দেড় হাজার ইহুদীকে তাদের ‘আয়রন ডোমের’ নিচে, তাদের ঘুমের ঘরে হত্যা করা একটি অলৌকিক ঘটনা থেকে কম নয়!
ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের প্রশংসা করতে হবে, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য শোক প্রকাশ করতে হবে, তাদের পক্ষে মিছিলও করতে হবে। কিন্তু এসব আসল কাজ নয়। আসল দাবি তো গত দশ দশক থেকেই আছে। যখন ব্রিটিশ ক্রুসেডার জেনারেল ‘অ্যালেন বি’ বাইতুল-মাকদিসে প্রবেশ করেছিল, সেই দিন থেকে এখনও আমাদের উপর দায়িত্ব হয়ে আছে, সালাহুদ্দীন আইয়ুবী রহিমাহুল্লাহর উত্তরসূরিরা ক্রুসেডার ও জায়নিস্ট বাচ্চাদেরকে তাদের রক্তে ধুয়ে কুদসের ভূমি মুক্ত করবে। যদি আমরা উম্মতে মুসলিমা এই কাজটি করতাম, এই কাজের জন্য প্রস্তুত হতাম, তাহলে পৃথিবীর মানচিত্র আজ এতটা ভয়াবহ হতো না। পৃথিবীর মানচিত্রে ইসরাঈলের মতো নাপাক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকতো না।
অবশ্য মুসলিম উম্মাহর উপর আন্দালুসের (স্পেনের) পতনের পর থেকে জিহাদ ফরযে আইন[1] হয়ে আছে। সুতরাং জিহাদের এই ফরয প্রতিদিন না, বরং প্রতি মুহূর্তেই বেড়ে চলেছে। আন্দালুসের পতনের পর খিলাফতে উসমানিয়ারও পতন ঘটেছে। তার আগে এবং পরের সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ইতিহাস ও ভূগোল, এমনকি মুসলিমদের দীনও (দীন কায়েম ও শরীয়াহ আইন বাস্তবায়নের অর্থে) উপনিবেশের নতুন যুগে পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন সহ প্রতিটি অঞ্চল - কোথাও পর্তুগাল, কোথাও ফ্রান্স, কোথাও ব্রিটিশ, কোথাও ডাচ, কোথাও জার্মান এবং ইতালিয়ানদের হাতে দখল হয়ে আছে। ক্রুসেডার ও জায়নিস্টদের বাচ্চারা কুদসের ভূমি দখল করেছে। অতঃপর একজন ব্রিটিশ জেনারেল সিরিয়ায় সালাহুদ্দীন আইয়ুবী রহিমাহুল্লাহর কবরে আঘাত করে বলেছিল, ‘সালাহুদ্দীন! আমরা আবার এসে গেছি।’
হারামাইনের ভূমিতে ক্রুসেডার এবং জায়নবাদীরা চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে। মসজিদে হারামের কয়েক কিলোমিটার দূরে আমেরিকান সৈন্যরা ঘাঁটি তৈরি করেছে। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মসজিদে এক ইহুদীকে ঘুরতে দেখা গেছে।
হারামের পবিত্র ভূমির অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ‘হারামের বাসিন্দাদের অসতর্কতার কারণে তাদের পদচিহ্ন দ্বারা হারামের অসম্মান হচ্ছে’। যারা নিজেদেরকে হারামাইন শরীফাইনের ‘মুতাওয়াল্লী’ হওয়ার দাবি করে, তারাই এক ধর্মহীন দু্শ্চরিত্রা-নির্লজ্জ মহিলাকে ডেকে এনে ২০২৩ সালের এই আগস্ট মাসের শেষ তারিখে প্রকাশ্যে শিরক করার আহ্বান করেছে। আল্লাহর পরিবর্তে দেব-দেবীর উপাসনার দাওয়াত, এটা আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করা এবং সকল নবী আলাইহিমুস সালামের দাওয়াতকে অবজ্ঞা ও প্রলাপ সাব্যস্ত করার নামান্তর। অতঃপর আজ ইসরাঈলের বিরুদ্ধে গাজার জনগণের যুদ্ধ এবং তার পরে ইসরাঈল কর্তৃক গাজার নিরীহ জনগণের উপর সবচেয়ে তীব্র বোমাবর্ষণ অব্যাহত আছে। পারমাণবিক বোমা না ফেললেও গাজা হিরোশিমা ও নাগাসাকির দৃশ্য ধারণ করেছে।
শরীয়তের আলোকে জিহাদ ফরয হওয়ার ক্ষেত্রে, প্রতিটি ঘটনার সাথে সাথে ফরযে আইনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আজ মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্যের উপর, সে পুরুষ হোক অথবা নারী, অতীতের তুলনায় অধিকতর তীব্রতার সাথে জিহাদ ফরযে আইন হয়ে আছে। এই ফরযে আইন আদায়ের উদ্দেশ্য শুধু পবিত্র স্থানসমূহ রক্ষা করা, ইসলামী ভূমি পুনরুদ্ধার করা, মুসলমানদের সাহায্য-সহযোগিতা করা এবং আল্লাহর দীনের কালিমা সুউচ্চ হওয়াই নয়, বরং এই সবকিছুর আগে আল্লাহর দরবারে আমাদের নিজেদেরকে দায়িত্ব মুক্ত করাই হল আসল উদ্দেশ্য। তা এভাবে যে, হে মালিক! আমাদের যা দায়িত্ব ছিল, আমরা তা সাধ্য মতো পালন করেছি এবং দায়িত্ব পালন শেষে আমরা আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি, এখন আমাদেরকে জাহান্নামের আগুনের ইন্ধন হওয়া থেকে রক্ষা করুন এবং আপনার রহমতের চাদরে ঢেকে দিন।
আজ ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধ, গাজার স্থল, আকাশ ও সমুদ্র অবরোধ, গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, বিদ্যুৎ ও পানি বন্ধ, তারপর আগুন, গোলা-বারুদ ও ফসফরাসের বিষাক্ত বৃষ্টি এবং এর পরিণতিতে আড়াই হাজার (বর্তমানে ৮ হাজার ছাড়িয়েছে) মুমিনের শাহাদাত এবং ৯,০০০ আহত হয়েছে। (বর্তমানে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে) [وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّابِاللَّهِ]
এসব কারণে আজ সারা বিশ্বের মুসলমানের উপর (মুসলিম জনগণ, উলামায়ে কেরাম ও ইসলামের মুজাহিদগণ সহ সকলের উপর) অতীতের তুলনায় আরও ভারী দায়িত্ব এসে গেছে। যদি মুসলিম দেশের শাসকদের মধ্যে সত্যিই ঈমান থাকে, তবে আজ ফিলিস্তিন ইস্যু তাদের ঈমানী দাবির প্রমাণ চাইছে। আজ সময় এসেছে ঈমান ও নিফাকের তাঁবু আলাদা হওয়ার।
বাইশ বছর আগে 9/11-এর রূপে পার্থক্যের একটি দিন ঈমান ও কুফরের শিবিরগুলো আলাদা করার মাধ্যম হয়েছিল এবং মুসলমানরা কাফেরদের নেতা আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট যুদ্ধে নেমেছিল। ঠিক একইভাবে আজকের পার্থক্যের দিন হল ‘তুফানুল আকসা’র যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ঈমান ও নিফাকের তাঁবু আলাদা করার মাধ্যম হবে, ইনশাআল্লাহ। আজকের এই যুদ্ধের কারণে ভিতরে ঈমান না কুফর তা প্রকাশ হয়ে যাবে।
[1] শহীদ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ আযযাম রহিমাহুল্লাহ-এর ‘ঈমান আনার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরয আইন’ নামক কিতাবটি দ্রষ্টব্য।
আরও পড়ুন