Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ ফরজে আইন আদায় হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন জানতে চাওয়া প্রসঙ্গে: পার্ট ২

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ ফরজে আইন আদায় হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন জানতে চাওয়া প্রসঙ্গে: পার্ট ২

    সম্প্রীতি এক ভাই একটা বিষয় জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছেন। ইতি পূর্বে প্রশ্নের একটি পার্ট আলোচনা করা হয়েছে। পুনরায় প্রশ্নটি হুবহু তুলে ধরছি সবার সুবিধার জন্য।

    ওয়াক্ত হয়ে গেলে, ফরজে আইন সালাত যেমন অন্য কাজ সরিয়ে রেখে হলেও আদায় করে নিতে হয়, ফরজে আইন জিহাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কীরকম হবে জানতে পারলে উপকার হতো। যেমন দিনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে কতটুকু সময় কোনো না কোনোভাবে মাজলুম ফরজের জন্য ব্যয় করা উচিত? বা ঠিক কীভাবে বুঝতে পারবো যে এই ফরজে আইন আমার অনাদায় থেকে যাচ্ছে কিনা?

    প্রশ্নের প্রথম পার্ট ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। আজকে পরের অংশ

    ঠিক কীভাবে বুঝতে পারবো যে এই ফরজে আইন আমার অনাদায় থেকে যাচ্ছে কিনা?

    এই প্রশ্নের উত্তর একটি বড় আলোচনার দাবি রাখে তবে আমি ভাইয়ের সুবিধার জন্য সহজ এ আলোচনার চেষ্টা করছি।

    এই ফরজে আইন জিহাদ আমাদের অনাদায় থেকে যাচ্ছে কিনা তার জন্য আমরা একটি আয়াত এর দিকে লক্ষ্য করতে পারি। আল্লাহ বলেন,

    কোন ব্যক্তিকেই আল্লাহ তার সাধ্যের অতিরিক্ত কর্তব্য পালনে বাধ্য করেননা; সে যা উপার্জন করেছে তা তারই জন্য এবং যা সে অর্জন করেছে তা তারই উপর বর্তাবে। হে আমাদের রাব্ব! আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি সেজন্য আমাদেরকে অপরাধী করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেরূপ গুরুভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের উপর তদ্রুপ ভার অর্পণ করবেননা। হে আমাদের রাব্ব! যা আমাদের শক্তির বাইরে ঐরূপ ভার বহনে আমাদেরকে বাধ্য করবেননা, এবং আমাদের পাপ মোচন করুন ও আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদেরকে দয়া করুন, আপনিই আমাদের আশ্রয়দাতা! অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।(২:২৮৬)

    এই আয়াত এ আল্লাহ তা আলা স্পস্ট ভাবেই বলে দিয়েছেন আমাদের সাধ্যের বাইরে কোনো কর্তব্য পালনে বাধ্য করেন না। আমরা এখান থেকেই আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাই । আমরা যদি আমাদের সাধ্যের মধ্যে ফরজে আইন জিহাদ এর জন্য যা কিছু করা প্রয়জন তা না করি এবং অবহেলা করি তাহলেই বুঝতে হবে আমাদের ফরজে আইন জিহাদের হক অনাদায় থেকে যাচ্ছে। বর্তমানে সবার সাধ্য এক রকম নয়। তাই ভাই আপনিই জানেন আপনার সাধ্য কতটুকু । এবং নিজেই বুঝতে পারবেন এই বিষয়ে আপনি আপনার সাধ্যের কতটুক ব্যয় করেছেন।

    বি: দ্র: কোনো ভুলত্রুটি হলে ধরিয়ে দিয়ে উপকৃত করবেন

  • #2
    ভাই আল্লাহ আপনার কলমকে আরো শানিত করুন। আমীন

    Comment


    • #3
      উপকারী লেখা, মা শা আল্লাহ। অনেক শুকরিয়া ভাই।

      তবে ভাই, একটি ব্যাপার হলো দ্বীনি-দুনিয়াবী বিভিন্ন ধরনের ইলমের অভাব এবং আগ্রাসী নফসের কারণে প্রকৃত সাধ্য এবং কৃত আমলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে যায়। অবশ্য জিহাদের আমলকে খুব সহজ মনে করারও কোনো কারণ নেই।

      প্রতিনিয়ত কীভাবে এই আমলটির হিসাব নিজের কাছ থেকে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে সম্মানিত ভাইয়েরা ফোরামে আরো লেখা দেয়ার অনুরোধ করছি।

      Comment


      • #4
        [ abdullah14] ভাইজান, শুধু আয়াতের অনুবাদ দিলে অসুন্দর দেখায়, সাথে আয়াতগুলো লিখে দিলে ভালো হয়। আল্লাহ তায়ালা, আপনাকে আমাদেরকে তার দ্বীনের বিজয়ের জন্য কবুল করুন, আমীন।
        আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
        আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

        Comment


        • #5
          এই প্রশ্নের আরো বিস্তারিত উত্তর অভিজ্ঞ ভাইদের থেকে কামনা করছি। যেমন- ইলম ও জিহাদ ভাই বা অন্য কোন ভাই।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment

          Working...
          X