Announcement

Collapse
No announcement yet.

তালেবানরা কি ফেৎনাগ্রস্থ হল?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তালেবানরা কি ফেৎনাগ্রস্থ হল?

    সম্মানিত ভাইয়েরা! কিছু দিন আগের পত্রিকার একটি নিউজ নিয়ে আমি খুব ভাবছি। ভাবার কারণ, কোন এক মুরজিআ সেটা দিয়ে তালেবানদের উপর আপত্তি করেছে। আমি উক্ত নিউজ ও তার লিংক নিচে দিচ্ছি:
    এদিকে, আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইস আহমাদ বারমাক তালেবান নেতাদের সঙ্গে শনিবার রাজধানী কাবুলে সাক্ষাৎ করেছেন। এছাড়া, বাতিকোট জেলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধারা ঈদে একসঙ্গে নামায পড়েছে। কয়েকদিন আগে এমন দৃশ্য আফগানিস্তানে কল্পনাও করা যেত না। নামাজের পাশাপাশি তালেবান যোদ্ধা ও নিরাপত্তা বহিনীর সদস্যরা এক অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে।

    তালেবানের এক সদস্য বলেন, আমরা এখানে এসেছি আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে। আমরা এখন যুদ্ধবিরতি পালন করছি। সবাই যুদ্ধের কারণে ক্লান্ত।যদি আমাদের নেতারা যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তাহলে আমরা তা চিরদিনের জন্য পালন করে যাব।
    লিংক:


    এই নিউজে দেখা যাচ্ছে, তালেবানরা আফগান সরকারি বাহিনীর সঙ্গে মিলে গেছে। যাদেরকে তারা এতদিন মুরতাদ ঘোষণা করে যুদ্ধ করত, তাদেরকে ভাই বলে সম্বোধন করে শুভেচ্ছা জানানো, কোলাকোলি করা এবং চিরদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করা কি বুঝায়।

    সম্মানিত হিন্দ আকসা ভাই ও অন্যান্য নিউজ পরিবেশনকারী ও বিশেষজ্ঞ ভাইদেরকে আবেদন করছি, সংবাদটির সত্যতা যাচাই ও এর ব্যাখ্যা প্রদান করে সংশয়টি নিরসন করার চেষ্টা করলে ভাল হয়।

    আলকায়েদা কি ফেৎনাগ্রস্ত হল?


    আরেকটি সংবাদে দেখা গেছে, ইয়ামেনের আলকায়েদার শাখা আনসারুশ শরীয়ার মুজাহিদ ভাইয়েরা সৌদি জোটের সাথে মিলে একসঙ্গে *যুদ্ধ করছে! এত মারাত্মক শত্রুর সঙ্গে কিভাবে মিলতে পারল? অনুগ্রহ পূর্বক সংবাদটির সত্যতা যাচাই সহ ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। সংবাদটি নিচে দেওয়া হল:

    ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পাশে থেকে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত জঙ্গিরাও। বিবিসি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে প্রমাণ আছে। দেশটিতে শিয়া হুতিদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করছে সৌদি জোট।

    বিবিসি জানায়, একজন নারী তথ্যচিত্র নির্মাতা ইয়েমেনের তায়েজ শহরে গিয়ে দেখেন, সৌদি জোটের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেনাদের সহায়তায় সরকারপন্থী যোদ্ধাদের পাশাপাশি আল-কায়েদার জিহাদিরাও লড়ছে। যদিও সৌদি জোটভুক্ত আরব দেশগুলো আল-কায়েদাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।

    সাফা আল আহমেদ নামের ওই তথ্যচিত্র নির্মাতা গত বছর তায়েজ শহর ঘুরে দেখার সময় সরকার সমর্থক যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে জানানো হয়, এই সুন্নি যোদ্ধারা আরব উপদ্বীপের (একিউএপি) আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আনসার আল-শরিয়ার সদস্য। প্রায় ১০টি সুন্নি আরব দেশের জোট শিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইয়েমেনের সরকারি বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।

  • #2
    আখি, উত্তর সহজ, আপনি তালিবানদের মিডিয়ায় চুখ রাখুন।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      Originally posted by bokhtiar View Post
      আখি, উত্তর সহজ, আপনি তালিবানদের মিডিয়ায় চুখ রাখুন।
      আখি! আসলে তালেবানদের থেকে কি এর পক্ষে-বিপক্ষে কোন জবাব এসেছে? ওই আপত্তিকারী আমাকে এভাবে প্রশ্ন করেছিল যে, সাধারণত তো কোন মিথ্যা রটনা হলে মুজাহিদগণ প্রতিবাদি রিলিজ বের করেন। এখন এব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ বের হয়েছে কি না? যেহেতু সব সময় মিথ্যা রটনা হলেই প্রতিবাদি রিলিজ বের করেন, তাহলে এখন চুপ থাকলে তো বুঝা যাবে ঘটনা সত্যি!!
      তাই আমিও এভাবেই জিজ্ঞেস করলাম।
      তাই ঘটনাটি সত্যি কি না, এবং সত্যি হলে এর ব্যাখ্যা কি সেটা জানতে চাচ্ছিলাম।
      এছাড়া ইয়ামেনের ঘটনাটির ব্যাপারেও জানতে চাচ্ছিলাম।।

      Comment


      • #4
        জি জানালে ভারো হতো

        Comment


        • #5
          আচ্ছা, আমি গাজওয়ায়ে হিন্দ সাইট ভ্রমণ করে খুরাসানের নিউজটার ব্যাপারে মোটামোটি উত্তর পেলাম আলহামদু লিল্লাহ। তো এবার ইয়ামেনের বিষয়টার কোন উত্তর দরকার।

          Comment


          • #6
            যুদ্ধ তো যুদ্ধই। যুদ্ধের সময় অনেক কিছুই নিয়ম মত হয় না।
            আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
            আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              Originally posted by ibnul khattab View Post

              যেহেতু সব সময় মিথ্যা রটনা হলেই প্রতিবাদি রিলিজ বের করেন, তাহলে এখন চুপ থাকলে তো বুঝা যাবে ঘটনা সত্যি!!
              তাই আমিও এভাবেই জিজ্ঞেস করলাম।
              কুফফার মিডিয়ার সোর্সকে বিশ্বাস করে মুজাহিদিন এর ব্যাপারে আপত্তি জানানো অথবা সংশয়ে পরে যাওয়া অনুচিত।

              আর এই রকম যদু-মধু-কদুরা প্রতিদিন হাজার-হাজার প্রোপাগান্ডা চালায় মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে - এর প্রতিটির জবাব দিতে গেলে মূল কাজ বন্ধ করে শুধু এটিই করতে হবে। এর এ রকম খবরে বিশ্বাসকারীরা প্রতিদিন নতুনভাবে তাদের বুঝ নবায়ন করতে হবে...
              কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

              Comment


              • #8
                Originally posted by Taalibul ilm View Post
                কুফফার মিডিয়ার সোর্সকে বিশ্বাস করে মুজাহিদিন এর ব্যাপারে আপত্তি জানানো অথবা সংশয়ে পরে যাওয়া অনুচিত।

                আর এই রকম যদু-মধু-কদুরা প্রতিদিন হাজার-হাজার প্রোপাগান্ডা চালায় মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে - এর প্রতিটির জবাব দিতে গেলে মূল কাজ বন্ধ করে শুধু এটিই করতে হবে। এর এ রকম খবরে বিশ্বাসকারীরা প্রতিদিন নতুনভাবে তাদের বুঝ নবায়ন করতে হবে...
                ভাই! যারা আগের থেকেই জিহাদবিরোধী এবং সব সময়ই জিহাদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তি করে থাকে, তারা যদি প্রশ্নটি করত, তাহলে এটার কোন মূল্য দিতাম না। এর জবাব আমিই সহজে দিয়ে দিতাম। কিন্তু প্রশ্নটি করেছে এমন কিছু লোক....... বাকিটুকু বললাম না।

                এছাড়া একজন যদু-মধু-কদু বা নগন্য লোকই প্রশ্ন করুক না কেন, নিজেকে তার থেকে বড় মনে না করে ধৈর্যসহকারে তার প্রশ্নেরও উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকা চাই। সব সময় নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিম ভাবা চাই।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ibnul khattab View Post
                  ভাই! যারা আগের থেকেই জিহাদবিরোধী এবং সব সময়ই জিহাদ ও মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আপত্তি করে থাকে, তারা যদি প্রশ্নটি করত, তাহলে এটার কোন মূল্য দিতাম না। এর জবাব আমিই সহজে দিয়ে দিতাম। কিন্তু প্রশ্নটি করেছে এমন কিছু লোক....... বাকিটুকু বললাম না।

                  এছাড়া একজন যদু-মধু-কদু বা নগন্য লোকই প্রশ্ন করুক না কেন, নিজেকে তার থেকে বড় মনে না করে ধৈর্যসহকারে তার প্রশ্নেরও উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকা চাই। সব সময় নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিম ভাবা চাই।
                  প্রিয় ভাই! আমার মনে হয় আপনি ‘তালিবুল ইলম’ ভাইয়ের কথা বুঝতে পারেননি! তাই, বলেছেন-
                  এছাড়া একজন যদু-মধু-কদু বা নগন্য লোকই প্রশ্ন করুক না কেন, নিজেকে তার থেকে বড় মনে না করে ধৈর্যসহকারে তার প্রশ্নেরও উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকা চাই। সব সময় নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিম ভাবা চাই।
                  তালিমুল ইলম’ ভাই মূলত যদু-মধু-কদু দ্বারা কুফফার বাহিনীর উদ্দেশ্য নিয়েছেন!
                  যাইহোক, প্রিয় ভাই! আমার ইসলামী শরীয়তের তেমন জ্ঞান নেই। যার কারণে, আপনার প্রশ্নগুলোর পুরোপুরি উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। তারপরও, যেহেতু মুজাহিদীনের নিউজগুলো নিয়মিতই পড়া হয় আলহামদুলিল্লাহ, তাই আপনার প্রশ্ন বিষয়ক কিছু কথা বলবো ভাবছি ইনশাআল্লাহ। তবে, কথাগুলো নিচে পরবর্তী কমেন্টে দিবো ইনশাআল্লাহ।

                  Comment


                  • #10
                    তালেবানরা কি ফেৎনাগ্রস্থ হল? এই শিরোনামে তালেবান মুজাহিদীনের প্রতি তোলা কিছু আপত্তির সংক্ষিপ্ত জবাব:-

                    এদিকে, আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াইস আহমাদ বারমাক তালেবান নেতাদের সঙ্গে শনিবার রাজধানী কাবুলে সাক্ষাৎ করেছেন।
                    এরকম সাক্ষাতের বিষয়ে মুজাহিদগণ তাদের ওয়েবসাইটে কিছু দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। অথচ, তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাতকারের কথা তাদের ওয়েবসাইটে বলে থাকেন। তাই, প্রথমত, এই সাক্ষাতকারের বিষয়টিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাখান করি। কেননা, যাদের থেকে নিউজটা নেওয়া তারা মিথ্যাবলায় পারদর্শী!
                    অতঃপর, যদিও এই সাক্ষাতকারের বিষয়টিকে সত্য বলে মেনে নেওয়া হয়, তাহলে কি এতে কোন শরীয়ী বিধি-নিষেধ আছে কি? আমার জানামতে এ ধরণের কোন নিষেধাজ্ঞা শরীয়তে নেই!
                    তাই, এ বিষয়টি সুস্পষ্ট মনে করছি যে, তালেবানদের সাথে কোন কুফফার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাত করুক বা না করুক, তাতে তালেবানদের উপর শরীয়ী কোন দোষ আরোপিত হয় না!
                    এছাড়া, বাতিকোট জেলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবান যোদ্ধারা ঈদে একসঙ্গে নামায পড়েছে। কয়েকদিন আগে এমন দৃশ্য আফগানিস্তানে কল্পনাও করা যেত না। নামাজের পাশাপাশি তালেবান যোদ্ধা ও নিরাপত্তা বহিনীর সদস্যরা এক অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে।
                    এ বিষয়ের ব্যাপারে আমার শরীয়ী জ্ঞান নেই। আমার জানামতে, ঘটনাটি সত্য। তবে, যুদ্ধবিরতীকালীন সময়ে আপন ভাই সে হারবী কুফফারই হোক, তার সাথে কোলাকুলি করা নাজায়েয কি না- তা জানার বিষয়। এ বিষয়ে আলেমদের মতামত আশা করছি। তবে, আমার অর্জিত ইলম অনুযায়ী- আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে এবং এ লক্ষ্যে শত্রু কমাতে ইহুদীদের সাথে চুক্তি করেছিলেন। যেন আগ্রাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মনোযোগ দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে, তালেবান মুজাহিদগণ উত্তম আচরণের মাধ্যমে হয়তো আফগান সেনাদেরকে ইসলামের দিকে আনতে চাচ্ছেন। যার দ্বারা আগ্রাসী আমেরিকাকে পরাজিত করা সহজ হবে। আল্লাহু আ’লাম।

                    তালেবানের এক সদস্য বলেন, আমরা এখানে এসেছি আমাদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভাইদেরকে শুভেচ্ছা জানাতে। আমরা এখন যুদ্ধবিরতি পালন করছি। সবাই যুদ্ধের কারণে ক্লান্ত।যদি আমাদের নেতারা যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেন তাহলে আমরা তা চিরদিনের জন্য পালন করে যাব।
                    নিউজের এই অংশগুলো আমার কাছে পুরোপুরিই মিথ্যাচার মনে হয়েছে। প্রথমত, এর কোন ভিডিও থাকলে দিতে পারেন ইনশাআল্লাহ। আর দ্বিতীয়ত, তালেবান মুজাহিদগণ কেমন ক্লান্ত তা দেখিয়েছেন গজনী হামলাতে! প্রতি সপ্তাহে তাগুতের বড় বড় আস্তানাগুলোতে হামলা করে কয়েক শতাধিক সেনাকে নিহত করা আসলেই কি ক্লান্ত যোদ্ধাদের কাজ!!?? আসলে ভাই, এটা কেবলই তাদের মিথ্যাচার, আদৌ কোন তালেবান মুজাহিদ এটা বলেছেন কি না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। অতঃপর, বলবো যে, যদিও এটা কোন তালেবান মুজাহিদ বলে থাকেন, তবুও এর ভার সকল তালেবান মুজাহিদের ঘাড়ে চাপানো কেবল বোকামিই নয়, চরম মূর্খতা! কেননা, আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি যে, তালেবান মুজাহিদগণ কীভাবে শত্রুবাহিনীর উপর হামলা করছেন ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আর, তারা ঘোষণা করছেন যে, আগ্রাসীদের উৎখাত করে ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
                    তাই, কোনভাবেই নিউজের উল্লেখিত অংশটিকে গ্রহণ করতে পারলাম না!



                    আলকায়েদা কি ফেৎনাগ্রস্ত হল?- এটার সংশয়ের জবাব পরে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

                    Comment


                    • #11
                      শাইখ হাফিজাহুল্লাহ এর এই বার্তাটি ও আপনার সংশয় নিরসণের আশাকরি ভুমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

                      আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার রূপরেখা


                      ১৪৩৯ হিজরির পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সম্মানিত আমীরুল মুমিনীন শাইখুল হাদীস হেবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিজাহুল্লাহ’র গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।


                      বার্তার লিংক:

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by ibnul khattab View Post


                        আখি! আসলে তালেবানদের থেকে কি এর পক্ষে-বিপক্ষে কোন জবাব এসেছে? ওই আপত্তিকারী আমাকে এভাবে প্রশ্ন করেছিল যে, সাধারণত তো কোন মিথ্যা রটনা হলে মুজাহিদগণ প্রতিবাদি রিলিজ বের করেন। এখন এব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ বের হয়েছে কি না? যেহেতু সব সময় মিথ্যা রটনা হলেই প্রতিবাদি রিলিজ বের করেন, তাহলে এখন চুপ থাকলে তো বুঝা যাবে ঘটনা সত্যি!!
                        তাই আমিও এভাবেই জিজ্ঞেস করলাম।
                        তাই ঘটনাটি সত্যি কি না, এবং সত্যি হলে এর ব্যাখ্যা কি সেটা জানতে চাচ্ছিলাম।
                        এছাড়া ইয়ামেনের ঘটনাটির ব্যাপারেও জানতে চাচ্ছিলাম।।

                        আমিরুল মুমিনীন হাফিজাহুল্লাহ এর এই বার্তা আপনার সংশয় নিরসনে আশকরি ভুমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।

                        আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার রূপরেখা


                        ১৪৩৯ হিজরির পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সম্মানিত আমীরুল মুমিনীন শাইখুল হাদীস হেবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ হাফিজাহুল্লাহ’র গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

                        বার্তার দাওয়া ইলাল্লাহ লিংক:

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by ibnul khattab View Post
                          এছাড়া একজন যদু-মধু-কদু বা নগন্য লোকই প্রশ্ন করুক না কেন, নিজেকে তার থেকে বড় মনে না করে ধৈর্যসহকারে তার প্রশ্নেরও উত্তর দিতে প্রস্তুত থাকা চাই। সব সময় নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিম ভাবা চাই।
                          আমার কথা আপনি বুঝেন নাই ভাই। আমি এখানে ফোরামে আপনার কিংবা অন্য কারও প্রশ্ন করা আর আমাদের কারও উত্তর দেয়াকে বুঝাই নি। যা বুঝিয়েছি তা হল -

                          এই রকম যদু-মধু-কদুরা প্রতিদিন হাজার-হাজার প্রোপাগান্ডা চালায় মুজাহিদিনের বিরুদ্ধে == এই যদু-মধু-কদুরা হলুদ-ফাসেকী মিডিয়া।
                          এর প্রতিটির জবাব দিতে গেলে মূল কাজ বন্ধ করে শুধু এটিই করতে হবে == এই জবাব মুজাহিদিন গ্রুপগুলো অথবা তাদের মিডিয়াগুলো দেয়ার কথা বলেছি।

                          আশা করি বিষয়টি ক্লিয়ার হয়েছে।
                          কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

                          Comment


                          • #14
                            আলকায়েদা কি ফেৎনাগ্রস্ত হল? এই শিরোনামে যে সংশয়ের উল্লেখ করা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত জবাব ও কিছু কথা-

                            আরেকটি সংবাদে দেখা গেছে, ইয়ামেনের আলকায়েদার শাখা আনসারুশ শরীয়ার মুজাহিদ ভাইয়েরা সৌদি জোটের সাথে মিলে একসঙ্গে *যুদ্ধ করছে! এত মারাত্মক শত্রুর সঙ্গে কিভাবে মিলতে পারল? অনুগ্রহ পূর্বক সংবাদটির সত্যতা যাচাই সহ ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। সংবাদটি নিচে দেওয়া হল:
                            ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পাশে থেকে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত জঙ্গিরাও। বিবিসি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে প্রমাণ আছে। দেশটিতে শিয়া হুতিদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করছে সৌদি জোট।

                            বিবিসি জানায়, একজন নারী তথ্যচিত্র নির্মাতা ইয়েমেনের তায়েজ শহরে গিয়ে দেখেন, সৌদি জোটের সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেনাদের সহায়তায় সরকারপন্থী যোদ্ধাদের পাশাপাশি আল-কায়েদার জিহাদিরাও লড়ছে। যদিও সৌদি জোটভুক্ত আরব দেশগুলো আল-কায়েদাকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।

                            সাফা আল আহমেদ নামের ওই তথ্যচিত্র নির্মাতা গত বছর তায়েজ শহর ঘুরে দেখার সময় সরকার সমর্থক যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে জানানো হয়, এই সুন্নি যোদ্ধারা আরব উপদ্বীপের (একিউএপি) আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত আনসার আল-শরিয়ার সদস্য। প্রায় ১০টি সুন্নি আরব দেশের জোট শিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইয়েমেনের সরকারি বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে। সূত্র : বিবিসি।
                            প্রিয় ভাই! এই সংশয়ের জবাবে বলবো- এ ধরণের কোন নিউজ আমরা মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে পাইনি। আর, যাদের বরাতে এখানে নিউজটি উল্লেখ করেছেন, তারা অতি চতুর মিথ্যাবাদী। কিছুদিন পূর্বে বিবিসি সংবাদমাধ্যম প্রথমে সংবাদ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের গাজায় িইসরাঈলের হামলায় নিহত হয়েছে মা-শিশু, কিছুক্ষণ পর ইসরাঈলের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টির ফলে সংবাদ পাল্টে হয়ে গেছে ইসরাঈলে ফিলিস্তিনীদের হামলায় নিহত মা-শিশু!!
                            তাহলে, এদের কাছ থেকে সংবাদ নেওয়া যাবে না বলে বুঝলাম। এখন কথা হলো- কীভাবে যাচাই করবো উল্লেখিত সংশয়টি!!? ভাই! এ ব্যাপারে যেহেতু মুজাহিদীনের পক্ষ থেকে কোন সংবাদ আসেনি তাই আমরা এ বিষয়টি বিশ্বাস করতে পারছিনা। আর, আমাদের অন্যকোন যাচাইপদ্ধতিও নেই!
                            আর, দ্বিতীয়ত- যদিও সৌদিজোটের সাথে মিলে হুতি শিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়, তাহলে কি শরীয়তে তা নাজায়েয হবে?!! এ বিষয়ে আমার জ্ঞান কম, তাই আপনাকে কিছু বলতে পারছিনা।
                            পরিশেষে, সকল মুজাহিদ ভাইকে উদ্দেশ্য করে একটি কথা বলতে চাই- আপনারা বর্তমান সময় বিবেচনায় তাগুতী মিডিয়ার মুজাহিদীন সম্পর্কিত কোন সংবাদে বিভ্রান্ত হবেন না। আর, তাদের সংবাদের উপর ভিত্তি করে মুজাহিদীনের উপর সন্দেহে পতিত হওয়া কেবলই বোকামি! ভাইদের প্রতি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় একটি নসিহত, তা হলো- তাগুত মিডিয়ার সংবাদ পড়ে সাধারণ মানুষের(যারা মুজাহিদীনের নিউজ সম্পর্কে অজ্ঞাত) পক্ষ থেকে মুজাহিদগণের সম্পর্কে এমন সংশয়মূলক প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক, কিন্তু যারা জিহাদী কাফেলায় যুক্ত আর নিয়মিত মুজাহিদীনের নিউজগুলো পড়ে থাকেন, তাদের মনে এরকম সংশয় সৃষ্টি হওয়াটা অনুচিত বলে মনে করছি। কেননা, এরকম হতে পারে যে, আপনার মনে মুজাহিদগণের সম্পর্কে এমন কোন সংশয় জেগেছে যার উত্তর ময়দানে অবস্থান করা মুজাহিদ ব্যতীত আর কেউই দিতে সক্ষম নয়! তখন, আপনাকে শয়তান সহজেই এই পবিত্র কাফেলাতে থেকে দূরে সরানোর সুযোগ খুঁজতে পারে! (আল্লাহ হেফাজত করুন) আর, কথা হলো- অনেক সময়ই যুদ্ধের ময়দানে যা ঘটে তাকে আপনি যুদ্ধ থেকে দূরে অবস্থান করে মেনে নিতে পারবেন না, মনে হবে মুজাহিদীনের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। কিন্তু, আল্লাহর রাসূলের জীবনী এই ক্ষেত্রেও আমাদের উত্তম আদর্শ! হুদাইবিয়ার সন্ধিসহ সকল ক্ষেত্রেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রেখে গেছেন। ইসলাম বাস্তবতা মেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে শেখায়। যুদ্ধের বাস্তবতা আপনি আর আমি ঘরে বসে বুঝতে পারবো না। যাইহোক ভাই, শরীয়ত বিরোধী কাজ যেই করবে আমরা তার ঐ কাজকে কখনোই সমর্থন করবো না, বিইযনিল্লাহ। তবে, তাগুত মিডিয়ার পক্ষ থেকে মুজাহিদীন সম্পর্কিত কোন সংবাদই আমরা গ্রহণ করছি না ইনশাআল্লাহ। মুজাহিদীন সম্পর্কে মিথ্যাচার করলে, আমাদের যদি উত্তর জানা থাকে তাহলে দিবো; আর নয়তো, চুপ থাকবো, সত্য প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় ইনশাআল্লাহ।
                            সর্বশেষে সকল ভাইকে বলতে চাই- নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোন। মুজাহিদীনের প্রতি সন্দেহ পোষণ করবেন না, পবিত্র জিহাদী কাফেলায় যারা শরীক হয়েছেন তারা কারো অপপ্রচারে আর কান দিবেন না; যেন শত্রু আপনার পেছনে পড়ে আপনাকে জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে না দিতে পারে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন, দ্বীন ইসলামের খেদমতে আমাদের জান-মালকে কবুল করুন । আমীন।

                            Comment


                            • #15
                              আমি বিস্তারিত কোন কথা বলতে পারবোনা তবে সেসময়ের উর্দু কোন পত্রিকা জং অথবা রুজনামা পাকিস্তান ... এ নিজেই পড়েছি যারা শুধু যুদ্ধ বিরতের বাইরে অতি উৎসাহে কাবুলে প্রবেশ কুলাকুলি .... ইত্যাকার আচরন করেছে , তালেবান উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাদের সাস্তিবিধান করেছেন।

                              Comment

                              Working...
                              X