Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্* নিউজ ll ৬ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ৯ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্* নিউজ ll ৬ই যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ৯ই জুলাই, ২০১৯ ঈসায়ী।

    ৫ দিনের ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২ জন নিহত, বিপুল ক্ষয় ক্ষতি!






    কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ৫ দিনের ভারি বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় আশ্রয়স্থল হারিয়েছে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। এ সময় পৃথক কারণে প্রাণ হারিয়েছে দুই রোহিঙ্গা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজার চারশত ঘরবাড়ি।

    আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে মৃতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।
    আইওএম’র ন্যাশনাল কমিউনিটি অফিসার তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে গত পাঁচ দিনে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছে দুই জন। আশ্রয়স্থল হারিয়েছে দুই হাজার সাতশ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    তিনি আরও বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিমাণ ইতোমধ্যেই ২০১৮ সালের ক্ষয়ক্ষতির থেকেও বেশি হয়েছে।
    আইওএম’র হিসাব মতে, গত ২ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত থাকা প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে, ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ১ হাজার ১৮৬ টি, পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ২১৬টি, ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ১ হাজার ৮৪০ টি, অন্যান্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫৩৪ জন। ভূমিধ্বস হয়েছে ৩৯১টি, ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে ৫১ বার এবং রবিবার রাত পর্যন্ত (৭ জুলাই) জন্য হয়েছে ২৬ বার।






    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24537/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ‘পরিমাণ মত কর্মসংস্থান নেই, বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার’






    দেশে পরিমাণ মত কর্মসংস্থান নেই। তাই দিন দিন বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত ২৩ লাখ ৭৭ হাজার এবং অশিক্ষিত ৩ লাখ।

    পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এদের মধ্যে শিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত ২৩ লাখ ৭৭ হাজার জন এবং নিরক্ষর ৩ লাখ জন।

    ২৬ লাখ ৭৭ হাজার বেকারের মধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ৪৭ হাজার এবং নারী ১৩ লাখ ৩০৯ হাজার জন। নিরক্ষর ৩ লাখ বেকারের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ২৭ হাজার এবং নারী এক লাখ ৭৩ হাজার।
    প্রাথমিক পাস বেকারের সংখ্যা ৪ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২ হাজার, নারী ২ লাখ ২৬ হাজার।
    মাধ্যমিক পাস ৮ লাখ ৯৭ হাজার বেকারের মধ্যে পুরুষ ৪ লাখ ২২ হাজার এবং নারী ৪ লাখ ৭৪ হাজার। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেকার ৬ লাখ ৩৮ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৫৩ হাজার ও নারী ১ লাখ ৭১ হাজার।
    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪ লাখ ৫ হাজার বেকারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৪ হাজার ও নারী ১ লাখ ৭১ হাজার।







    সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24540/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      ‘দুজন আরব মহিলাকে বন্দী করেছি, প্রতিদিন এদের একজনকে আমি ধর্ষণ করি!’- ভিডিও ধারণ করে বললো নরপশু কুর্দি সন্ত্রাসী!





      সিরিয়ার আল-হাসাকা প্রদেশে আমেরিকার মদদপুষ্ট কুর্দি SDF এর এক যোদ্ধা নিজেই তার এক পশুবৃত্তিক ভিডিও ধারণ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বন্দীখানার কক্ষে দুজন আরব নারীকে বন্দী করে রাখা হয়েছে এবং সে তাদের ধর্ষণ করতে সেখানে প্রবেশ করছে।
      ভিডিও ধারণকারী ঐ নরপশুটি বলছিল, “আমরা দুজন সুন্দরী আরব মহিলাকে বন্দী করতে সক্ষম হয়েছি, প্রতিদিন আমি তাদের একজনকে ধর্ষণ করি। দেখ! আমি এখন কী করতে যাচ্ছি।”

      এই হচ্ছে সিরিয়াতে আমেরিকার মিত্র ও মদদপুষ্ট YPG/SDF কুর্দি সন্ত্রাসী বাহিনী। তারাই, গোটা বিশ্ববাসীর সামনে সিরিয়ার অসহায় মুসলিমদের উপর লোমহর্ষক সব যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে, আবার গর্বভরে তা প্রকাশও করছে। তারপরেও ভণ্ড জাতিসংঘ এদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দিতে পারে না। এরা সন্ত্রাসী বলে ঐসকল মুজাহিদদেরকে, যারা মজলুম মুসলিমদের জন্য প্রতিদিন নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধ করে চলেছেন।






      সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24543/


      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        গরু বহনের আপত্তি তুলে ৬ মুসলিমসহ ২৪জনকে বেঁধে নির্যাতন করা হলো ভারতে, বাধ্য করা হলো ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে !






        ভারতের *মধ্য প্রদেশের খান্দওয়া জেলায় গত ৭ই জুলাই রবিবার হিন্দুদের আক্রমণের শিকার হয়েছে ২৪ জন পুরুষ। তাদের মধ্যে ৬জন মুসলিমও ছিলেন। তারা গরু নিয়ে মহারাষ্ট্রের এক পশুমেলায় যাওয়ার সময় উগ্র হিন্দুদের আক্রমণের শিকার হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি

        গরু স্থানান্তরের কারণে ঐ ২৪জনকে হিন্দুরা দড়ি দিয়ে বাঁধে এবং ‘গো মাতা কি জয়’ (অর্থাৎ, গরু মার জয়) বলতে বাধ্য করে। উগ্র হিন্দুদের সংখ্যা প্রায় ১০০জন ছিল বলে *উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে।
        ঘটনাটির একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিওতে দেখা যায়, বেঁধে রাখা লোকগুলোর পাশে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু উগ্র হিন্দু। ঐসকল মুশরিক হিন্দুত্ববাদীরা বাঁধা লোকদেরকে ‘উঠ-বস’ করতে এবং ‘গো মাতা কি জয়’ বলতে বাধ্য করছে ।
        এসকল মুশরিক হিন্দুরা সম্প্রতি ভারতের বিভিন্নস্থানে উগ্রতা ছড়াচ্ছে। সামান্য অজুহাতে বা বিনা কারণেই মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তারা মূলত উপমহাদেশে যে ‘রামরাজত্ব’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে, তারই বাস্তবায়ন করতে এখন উঠে পড়ে লেগেছে। তাই, পরিস্থিতি যেন এক বিশাল যুদ্ধের দিকে মোড় নিতে চলেছে।







        সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24547/


        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ‘কি দিন আইলোরে বাবা, রিকশা চালাইতেও ঘুষ দেওন লাগে!’










          রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর সড়ক থেকে ১০ নম্বর গোলচত্বর পার হতে অনেক রিকশাচালককেই ঘুষ দিতে হয়। এই ঘুষ নেয় ১০ নম্বর গোল চত্বরের শাহ আলী মার্কেটের পাশের গলির মুখে অবস্থানরত আনসার সদস্যকে। ৫ থেকে ১০ টাকা দিলেই রিকশা ছেড়ে দেয় । না দিলেই নানা বিপত্তির মুখে পড়তে হয় রিকশাচালকদের। গত সোমবার দুপুরের দিকে বেশ কয়েকবার এমন দৃশ্য দেখা গেল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রিকশাচালক বললেন, ‘কি দিন আইলোরে বাবা, রিকশা চালাইতেও ঘুষ দেওন লাগে!’






          সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24552/


          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ধর্ষণ মামলার আসামি মেয়রপুত্র জামিনে মুক্ত, আতঙ্কে পরিবার!






            শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা মামলার আসামি জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুছ ব্যাপারীর ছেলে মাসুদ ব্যাপারী জামিনে মুক্তি পেয়েছে। গ্রেপ্তারের আট দিন পর গতকাল সোমবার বিকেলে বেড়িয়ে আসে। সে জামিন পাওয়ায় ওই কলেজছাত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।

            ওই কলেজছাত্রীর বাবা বলেন, লজ্জা, ভয় আর আতঙ্কে মেয়েটি কুকড়ে আছে। সারাক্ষণ ঘরে বসে কাঁদে। লজ্জায় মানুষের সামনে যেতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে অপরাধী জামিনে বের হয়ে এসেছে। তাঁরা প্রভাবশালী, তাই শঙ্কা, কখন কোন ক্ষতি করে।

            গত ২৯ জুন রাতে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হন। ওই দিন বিকেলে মাসুদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য কলেজছাত্রীকে বাড়িতে আসতে বলে। ওই মেয়ে কাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাসুদের বাড়িতে যান। সেখানে মাসুদের পরিবারের কাউকে না দেখে ওই ছাত্রী ফিরে আসার চেষ্টা করেন। তখন মাসুদ তাঁকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মেয়েটি মাসুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে ওই মহল্লার কয়েকজন নারী তাঁকে উদ্ধার করেন। পরের দিন জাজিরা থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রী।

            ১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে মাসুদ ব্যাপারীকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। ৭ জুলাই তাঁর জামিনের আবেদন করা হয় শরীয়তপুর জেলা আমলি আদালতে। পরে জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মরিয়ম মুন মঞ্জুরী জামিন মঞ্জুর করে আসামিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেয়।

            ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ‘মাসুদ আমার আত্মীয় হয়। তারপরও ধর্ষণ করতে পিছপা হয়নি। আমি তাঁর পায়ে ধরে কেঁদেছি। তারপরও রেহাই পাইনি। মামলা করার পর থেকেই চাপে আছি। এখন মাসুদ মুক্ত হয়েছে। শঙ্কায় আছি সে আমাকে মেরে ফেলে কি না।’
            আইন বিশ্লেষকগণ বলেছেন, ধর্ষণসহ বড় বড় অপরাধের আসামিরা যদি প্রভাবশালী কিংবা সরকার দলীয় ক্ষমতাশীল হয় তাহলে তারা আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বিনা শাস্তিতে বেড়িয়ে যায়। আইনের জঠিলতা থেকে যায় অসহায়দের জন্য।






            সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24557/


            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              “প্রতি ৫৫ মিনিটে একটি সংসার ভাঙার আবেদন”






              ভয়ঙ্কর সময় পার করছে দেশ। গভীর উদ্বেগ নিয়ে ভোর আসে। রাত কাটে অজানা আতঙ্কে। এভাবেই অন্ধকারে পথ হাতড়ে চলছে ১৬ কোটি মানুষ। ঘরে-বাইরে কোথাও নিরাপত্তা নেই। নেই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।

              বেঁচে থেকে ধুঁকে ধুঁকে মরা- কথাটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। খুন-ধর্ষণ, রাহাজানি- নৈরাজ্য নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

              খুনের নিত্যনতুন স্টাইল, ধর্ষণের লোহমর্ষক বর্ণনা শুনে আঁতকে উঠবে যে কেউই। প্রকাশ্যে নির্মমভাবে মানুষ হত্যা কিংবা পৈশাচিক কায়দার ধর্ষণ কেউই চায় না। তবুও প্রতিদিন দেশে খুন-ধর্ষণ ঘটেই চলছে। এসব ঘটনা বাড়ছে প্রতিযোগিতা করে।

              বাইরে যখন অস্থিরতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে তখন ঘরের ভেতরের খোঁজও নিতে হয়। চার দেয়ালে ঘেরা ঘর শুধু ঘর-ই নয়, শান্তি-সুখের একমাত্র ঠিকানা। আঁতকে ওঠার মতো খবর হল- সুখের ঠিকানা এখন আর সুখকর নয় মানুষের কাছে।

              এ যেন বিষে ভরা কোনো গর্তে পরিণত হয়েছে। তাই তো হন্য হয়ে ঘর ছাড়ার, সংসার ভাঙার মিছিলে যোগ দিয়েছে সবাই। এ মিছিলের শীর্ষে আছে রাজধানীর মানুষ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ৬ মাসে ঢাকার দুই সিটিতে তালাকের আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজারেরও বেশি!
              ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এক-দুটো অঞ্চলে ছাড়া বাকি অঞ্চলগুলোর তালাকের সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে ওঠবে যে কারোরই। সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তালাকের আবেদন জমা পড়েছে মোট ৪৫৫৭ হাজার।

              ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলে তালাকের আবেদন এসেছে ২৩১৫ হাজারটি। এর মধ্যে অঞ্চল-১ এ তালাকের আবেদনকারীর সংখ্যা ২৮৩ (নারী ১৫৫, পুরুষ ১২৮ জন), অঞ্চল-২ এ ৫০০ (নারী ৩৭২, পুরুষ ১৭৭ জন), অঞ্চল-৩ এ ৫২৩ (নারী ৩৪৩, পুরুষ ১৮০ জন), অঞ্চল-৪ এ ৩৭৭ (নারী ২৭৯, পুরুষ, ৯৪), অঞ্চল-৫ এ ৬৩২ (নারী ৫০৭, পুরুষ ১২৫)।

              ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ঘর ভাঙার আবেদন করেছেন ২২৪২ হাজার জন। এর মধ্যে অঞ্চল-১ এ তালাকের আবেদনকারীর সংখ্যা ২৫০ (নারী ১৫২, পুরুষ ৫৮ জন), অঞ্চল-২ এ ৫৮৪ (নারী ৪০০, পুরুষ ১৮৪ জন), অঞ্চল-৩ এ ৪৮৯ (নারী ৩৮৮, পুরুষ ১০১ জন), অঞ্চল-৪ এ ১৫৭ (নারী ১১১, পুরুষ, ৪৪), অঞ্চল-৫ এ ৭৬২ (নারী ৫৭২, পুরুষ ১৯০)।
              পরিসংখ্যান মতে, গেল ৬ মাস অর্থাৎ ১৮০ দিনে ৪ হাজার ৫৫৭টি তালাকের আবেদন হলে একদিনে আবেদন হয়েছে ২৬টি তালাকের। অর্থাৎ প্রতি ৫৫ মিনিটে একটি সংসার ভাঙার আবেদন করছেন রাজধানীর মানুষ।

              শেষ ৬ বছরের একটি জরিপে দেখা যায়, প্রতি ১ ঘণ্টায় একটি ঘর ভাঙার আবেদন জমা পড়েছে দুই সিটি কর্পোরেশনে। এ হিসেবে শেষ ছয় বছরে তালাকে আবেদনের মোট সংখ্যা অর্ধলাখেরও বেশি!

              ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তালাকের প্রবণতা বেড়েছে ৭৫ শতাংশ, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বেড়েছে ১৬ শতাংশ। জরিপ মতে, তালাকের আবেদনের পর ৫ শতাংশেরও কম দম্পতি নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করে থাকেন।
              তবে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, প্রতিদিন ঠিক কতটি তালাক হচ্ছে তার সঠিক হিসাব বলা মুশকিল। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, তালাকের আবেদনের পদ্ধতি খুবই সেকেলে ধরনের।
              সেকেলে পদ্ধতিতে সঠিক পরিসংখ্যান ওঠে আসবে কীভাবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী কর্মকর্তা উদয় দেওয়ান বলেন, তালাকের আবেদনের ক্ষেত্রে এখনও সেকেলে পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
              কেউ তালাকের আবেদন করার পর ডাক যোগে তাকে চিঠি পাঠানো হয়। অনেকেই ভুল ঠিকানা দেয়। মোবাইল নম্বর দেয় না। ফলে চিঠি বিলি করা সম্ভব হয় না। এতে করে তালাকের সঠিক সংখ্যা মেলানো মুশকিল হয়ে পড়ে।
              ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিন্তে সিরাজ বলেন, ঘর ভাঙতে মানুষ এত মরিয়া হয়ে ওঠছে, এটা সত্যিই একটি দেশ ও সমাজের জন্য চিন্তার বড় কারণ।

              বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য মতে, গত সাত বছরে তালাকের পরিমাণ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। দেশে সবচেয়ে বেশি বিচ্ছেদ ঘটেছে বরিশাল অঞ্চলে (হাজারে ২.০৭ জন)। [ সূত্র: যুগান্তর]

              সমাজ বিশ্লেষকগণের মতে, পশ্চিমা এবং হিন্দুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার প্রভাবেই বর্তমানে দেশে সবচেয়ে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে। এসকল বিচ্ছেদের প্রধানতম কারণ ইসলামী নৈতিকতাবোধ থেকে দূরে সরে গিয়ে পশ্চিমাদের তথাকথিত ‘আধুনিক সমাজব্যবস্থা’র জালে আটকে পড়া। ইসলামী শাসনব্যবস্থার অধীনে একদিকে যেমন আল্লাহ প্রদত্ত সুবিচার কায়েম করা হয়, আরেকদিকে দেওয়া হয় নীতি-নৈতিকতার সুমহান শিক্ষা। যার প্রভাবে মানুষের ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবনেও নেমে আসে সুখ-শান্তির প্রস্রবণ, মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে নাযিল হয় রহমত।






              সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/07/09/24561/

              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                মহান আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করে নিন এবং মাজলুম উম্মাহকে মুক্ত করার তাওফিক আমাদেরকে দান করুন। আমীন
                “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

                Comment


                • #9
                  ইয়া রব্ব, আপনি আমাদের মাজলুম মা-বোনদের ও নির্যাতিত ভাইদেরকে হেফাযত করুন এবং আমাদেরকে তাদের সহায়তা করার তাওফিক দান করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    আল্লাহ আপনাদের কাজকে কবুল করুন,আমিন।
                    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                    Comment

                    Working...
                    X