Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ * নিউজ ll ০২রা যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ০৩রা আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ * নিউজ ll ০২রা যিলক্বদ, ১৪৪০ হিজরী ll ০৩রা আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।

    “সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ’বলে মন্তব্য করেছেন ড.শাহদীন মালিক
    দেশের সর্বত্র খুন, গুম, ঘুষ, ধর্ষণ, চাদাঁবাজি, রাহজানি। ঘরে বাহিরে নিরাপদে নেই কেউ।
    নয়া দিগন্ত পত্রিকার বরাতে জানা যায়, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড.শাহদীন মালিক বলেছেন, সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি জনগণকে মানবাধিকারসহ গুম নির্যাতন বিচার বর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দেশের ভেতরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কথা বলার আহবান জানান। তা না হলে দেশে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে গেলে কেউ রুখে দিতে পারবে না।
    সব মিলিয়ে দেশের অবস্থা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ। একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার আগে এমন পরিস্থিতিই থাকে। তিনি বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের গৃহযুদ্ধেও প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
    তিনি বলেন, ওইসব দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছিল। জনগনের গড় আয় আমোদের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মানবাধিকার ছিল নাবলেই আজ ওইসব দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এদেশগুলি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবার আগে নির্যাতন দিয়েই শুরু করেছিল। বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডে জবাবহিতিা না থাকার কারণে এমন পরিনতি হয়েছে। এটা হচ্ছে আসলে অকার্যকর রাষ্ট্রে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। উন্নয়ন একদম বাজে কথা। লিবিয়া, সিরিয়া-এদের গড় আয় আমাদেরও চেয়ে ত্রিশগুন বেশি ছিল। এখনতো একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যখন আইন শৃংখলা বাহিনী জবাবদিহিতার উর্ধ্বে উঠে যায় তখনই এমন হয়।
    তবে ইসলামি বিশ্লেষকগণ একটি দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পিছনে রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে ইসলামী বিধি বিধান বাদ দেওয়াকেই আন্যতম কারণ সাব্যস্ত করেছেন।

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সরকারী খরচে হজ্বে যাওয়া আলেমরা রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে অংশ নিতে আজ যাবে বঙ্গভবনে!

    রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের দেয়া নৈশভোজে অংশ নিতে আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাচ্ছে ৫৮ আলেমের একটি দল। সরকারী খরচে হজ্বে যাচ্ছে এসব আলেমরা।

    জানা গেছে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৫৮ আলেম শনিবার বিকালে বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওয়ানা করবে।

    রাষ্ট্রপতি সাথে সাক্ষাতের পর নৈশভোজে অংশ নেবে তারা।

    এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজপালন বিষয়ে ধর্মীয় পরামর্শ দেয়ার জন্য গঠিত ওলামা-মাশায়েখদের দলে আরও চার আলেমকে যুক্ত করা হয়েছে। সে হিসেবে এখন ওই দলের সদস্য সংখ্যা ৫৮।
    এর আগে ৯ জুলাই ৫৫ জন আলেমের একটি দল গঠন করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৪ ও ৫ আগস্ট ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে ওলামা মাশায়েখদের দলটি সৌদি আরব যাবে। ২৩ আগস্ট তারা দেশে ফিরে আসবে। এটি রাষ্ট্রীয় খরচে হজ সফর হিসেবে গণ্য হবে। তাদের ভ্রমণ ব্যয় এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশের বাহিরে হজ বাবদ ব্যয়’ খাতে বরাদ্দ রাখা অর্থ থেকে বহন করা হবে।

    সূত্র: ইনসাফ টোয়েন্টিফোর ডট কম
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      উপস্থাপক মুসলিম বলে চোখ বন্ধ রাখলো এক উগ্র হিন্দু!

      সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে হিন্দুদের দৌড়াত্ম বেড়েই চলেছে। মুসলিমদের হুমকি-ধমকি, হত্যা, গুম, ধর্ষণ, উচ্ছেদ অভিযান, সবমিলিয়ে নিরবে-সরবে মুসলিমদেরকে ভারত থেকে একরকম জাতিগতভাবে নিধন প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে উগ্র সন্ত্রাসী হিন্দুরা। কিছুদিন আগেই জোম্যাটো কোম্পানির সরবরাহ করা খাবার এক মুসলিম ‘ডেলিভারি বয়’ নিয়ে যাওয়ায় সে খাবার রাখেনি অমিত শুক্লা নামের এক হিন্দু মুশরিক গ্রাহক। এর মধ্যেই জাতীয় টিভি চ্যানেলে মুসলিমদের প্রতি নতুন উগ্রতা প্রদর্শন করলো ‘হাম হিন্দু’ নামের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অজয় গৌতম।

      নিউজ২৪ নামের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিল মুশরিক গৌতম। বক্তব্যের বিষয় ছিল সেই জোম্যাটো প্রসঙ্গ। যেই মুহূর্তে ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক স্টুডিওতে প্রবেশ করেন, সঙ্গে সঙ্গেই নিজের চোখ ঢেকে রাখে উগ্র মুশরিক হিন্দু গৌতম। কারণ উপস্থাপক একজন মুসলিম। খালিদ নামের ওই উপস্থাপককে দেখা থেকে বিরত থাকতেই টিভির সম্প্রচারের সময় নিজের চোখ ঢেকে নেয় গৌতম ।

      সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেছে। ভিডিও নিয়ে সমালোচনা এখন তুঙ্গে। কিন্তু, হিন্দুত্ববাদীদের এরূপ আগ্রাসনের শেষ কোথায়?

      গৌতমের ‘হাম হিন্দু’ ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ওয়েবসাইটেও লেখা রয়েছে ‘মুসলিম তোষণনীতির বিরুদ্ধে লড়াই ও সম্পূর্ণ হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তোলাই মূল লক্ষ্য।’
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        যশোরে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার!

        ধর্ষণের মত নানা মহামারিতে আক্রান্ত বাংলাদেশ। সর্বত্রই ধর্ষণের সয়লাব।
        কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার বরাতে জানা যায়, যশোরের বাঘারপাড়ায় এক প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
        গত বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান এ উপজেলার বরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দোহাকুলা গ্রামের নূর আলী মোল্যার ছেলে। এর আগে মিজানুর রহমান আগ-দোহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করাকালীন একই রকম অভিযোগে মামলা হয়েছিল বলে খবর মিলেছে।
        যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান (৫০) বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) গত বুধবার স্কুল ছুটির পর অফিসে কক্ষে দেখা করতে বলে। মেয়েটি অফিস কক্ষে যাওয়ার পর মিজানুর রহমান তাকে জড়িয়ে ধরে। এক পর্যায়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় মেয়েটি চিৎকার করা শুরু করে। তা শুনে আশপাশের লোকজন বিদ্যালয়ে দৌড়ে আসলে মিজানুর রহমান তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে সেখান থেকে সটকে পরে।

        বরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগে মিজানুর রহমান আগ-দোহাকুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিল। এ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়েও সে একই ঘটনা ঘটায় এবং অনুরূপ একটি মামলাও হয়। সে সময় মামলার কারণে মিজানুর রহমান চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়। পরে বাদী পক্ষ মামলা প্রত্যাহার করলে সে পুনরায় চাকরি ফিরে পায়।
        সে এখন পলাতক রয়েছে। তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায় নি।
        যৌন নির্যাতনের মত ভয়াবহ অপরাধ দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে ভারতীয় ধাঁচে গড়ে উঠা অনৈসলামিক হিন্দুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন ইসলামিক সামাজিক বিশ্লেষকগণ।
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জঘন্য মন্তব্য- ‘এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না””

          মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে এবং জাতিগতভাবে যখন আল্লাহর অবাধ্য হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন আযাব প্রেরণ করেন। যাতে তাঁর বান্দারা তাঁর দিকে ফিরে আসে। পূর্ববর্তী জাতিরাও যখন আল্লাহর অবাধ্য হয়েছিল তখন তাদের উপরও বিভিন্ন আযাব পাঠিয়ে ছিলেন। যা আল্লাহ তায়ালা সূরা আরাফে বলেছেন,
          فَأَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ ٱلطُّوفَانَ وَٱلْجَرَادَ وَٱلْقُمَّلَ وَٱلضَّفَادِعَ وَٱلدَّمَ ءَايَـٰتٍۢ مُّفَصَّلَـٰتٍۢ فَٱسْتَكْبَرُوا۟ وَكَانُوا۟ قَوْمًۭا مُّجْرِمِينَ [٧:١٣٣]
          সুতরাং আমি তাদের উপর পাঠিয়ে দিলাম দুর্যোগ, তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত প্রভৃতি বহুবিধ নিদর্শন একের পর এক। তারপরেও তারা গর্ব, অহংকারে মেতে রইলো এবং তারা ছিল বড়ই অপরাধ প্রবণ সম্প্রদায়। সূরা আরাফ:১৩৩

          এখানে মূল শব্দ হচ্ছে قُمَّلَ (কুম্মালু)। এর কয়েকটি অর্থ হয়। যেমন উকুন, ছোট মাছি, ছোট পংগপাল, মশা, ঘুণ ইত্যাদি।
          ডেঙ্গু, কল্লাকাটা,গুজব, বন্দুকযুদ্ধ, আর এসব নিয়ে জাতির অথর্ব কান্ডারিদের হাসি তামাসা হচ্ছে এই জাতির উপর আল্লাহ তায়ালার গজব।

          বাংলা ট্রিবিউনের সংবাদ সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে এডিস মশা বেড়ে যাওয়ার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সে বলেছে ‘এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, যে কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ এডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। এই মশাগুলো অনেক হেলদি ও সফিস্টিকেটেড, তারা বাসাবাড়িতে বেশি থাকে।’
          গত ২৫ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজন করে। এতে একজন বক্তা হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। তখন মন্ত্রী তার জবাবে এসব কথা বলে। সেমিনারের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ।

          মন্ত্রী আরও বলে, এডিস মশার প্রডাকশন অনেক বেশি। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।

          নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে কটাক্ষ করে এরূপ মন্তব্য করে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সে বলেছে, সাংবাদিকদের জানতে হবে, দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন মারা যায়, সাপের কামড়ে মারা যায় ১০ জন, হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় শত শত লোক। সে সব খবর আমরা রাখি না। কিন্তু গত কয়েক মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছে মাত্র ৮ জন।( যদিও বাস্তবে ডেঙ্গু জ্বরে হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক) আসলে তাদের কাছে জনগণের রক্তের কোন মূল্য নাই তাই তাঁদের কাছে মাত্র ৮ জন মনে হয়।
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দেশে সরকারী মদদে হিন্দু বাচ্চাদের সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা দিতে গজিয়ে উঠছে ‘গীতা স্কুল’!


            হিন্দু সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধানে দেশের আনাচে-কানাচে গজিয়ে উঠছে একের পর এক ‘গীতা স্কুল’।

            স্বদেশ বার্তা ডট কমের বরাতে জানা যায়, দেশের আনাচে-কানাচে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে হিন্দু বাচ্চাদের সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা দিতে ‘গীতা স্কুল’ গজিয়ে উঠছে এবং এগুলো তত্ত্বাবধান করছে এমনসব উগ্র হিন্দু, যাদের উগ্রতার কারণে খোদ হিন্দুবান্ধব আওয়ামী সরকারের পুলিশও তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে।

            স্বদেশ বার্তা ডট কম জানায়, উদাহরণস্বরূপ- কয়েক বছর আগে আমি ‘কার্তিক কৃষ্ণ রায়’ নামে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের এক উগ্র হিন্দু যুবকের কয়েকটি স্ট্যাটাস নিয়ে পোস্ট দিই। তার স্ট্যাটাসগুলোতে লেখা ছিল-

            “সব গ্রামেই ছোট বড় কালী মন্দির, শীতলা মন্দির, মনসা মন্দির আছে। মন্দিরে খড়গও আছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় খড়গগুলো জং ধরা, কোনটা মরিচাধরা, কোনটাতে আবার ধাঁর নাই। কোন কোন খড়গের ব্যবহার নাই ৫০/১০০ বছর ধরে। ফলে খড়গগুলো হিন্দুদের অভিশাপ দিচ্ছে রক্তের স্বাদ না পেয়ে। মন্দিরের খড়গগুলোকে রক্ত না পান করানোর জন্য, মরিচা ধরানোর জন্য, খড়গ নষ্ট করার জন্য হিন্দুদের পাপ হয়েছে।”

            “কালী পাঁঠা খাক, বা না খাক, আমার সমস্যা নাই, আমি নিজেও পাঁঠা খাই না। কিন্তু বলির সমর্থক আমি। হিন্দুদের রক্ত দেখার অভ্যাস করতে হবে, এক কোপে মাথা কেটে ফেলে দেওয়ার মত অভ্যাসটা যেন হিন্দু সমাজ থেকে না যায়।”

            ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে এসব উগ্র স্ট্যাটাসগুলো দেয়ার পর আমি আমার পেজ থেকে পোস্ট দেই, এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তার মেস থেকে ডিবি পুলিশ তখন গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়, তখন হিন্দুদের পোস্টে কমেন্ট দেখেছিলাম যে, ভারতীয় হাইকমিশনের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ খবর জানায় স্বদেশ বার্তা ডট কম।

            জেলখাটা উগ্র হিন্দু এই কার্তিক কৃষ্ণ উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে হিন্দু শিশুদের বেশকিছু গীতা স্কুলের উদ্যোক্তা। যেমন তার নিজের গ্রাম নীলফামারীর ‘গের্দ্দ জয়চণ্ডী’র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি সে এবং তার সঙ্গীরা ব্যবহার করে থাকে ‘গীতা স্কুল’ হিসেবে।

            উল্লেখ্য, এই কার্তিক কৃষ্ণই একমাত্র জেলখাটা হিন্দু নয়, যে কিনা হিন্দু শিশুদের সন্ত্রাসবাদের দীক্ষা দিতে গীতা স্কুল চালায়। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উগ্র হিন্দুরা নজিরবিহীন এক হামলা চালায়। সেই হামলার নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিল ‘অজয় দত্ত’ নামক এক উগ্র হিন্দু যুবক (ছবিতে আগ্রাসী ভঙ্গিতে থাকা)। সে হলো ‘শারদাঞ্জলি ফোরাম কেন্দ্রীয় গীতা শিক্ষা বোর্ড’ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সচিব।

            উল্লেখ্য, যে গোবিন্দ প্রামাণিককে দেখা যাচ্ছে কার্তিক কৃষ্ণ’র হাতে ত্রিশূল তুলে দিতে, তার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু মহাজোট’ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘বৈদিক স্কুল’ তৈরী করেছে।

            মূলত বাংলাদেশকে মুসলমান মুক্ত করতে হিন্দুদের যে পরিকল্পনা, তা সুদূরপ্রসারী। ভারতে হিন্দু বাচ্চাদেরকে উগ্রতার দীক্ষা দিতে নানারকম ট্রেনিং সেন্টার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। একারণে ভারতে হিন্দু বাচ্চারা বিভিন্ন দাঙ্গায় বড়দের সঙ্গ দেয় এবং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উদাহরণস্বরূপ, উগ্র হিন্দু শম্ভুলাল আফরাজুলকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে মারার সময় তার ভিডিও করেছিল তার নাবালক ভাতিজা। মিডিয়াগুলোতে ভিডিওটি নিয়ে আশ্চর্য প্রকাশ করা হয়েছিল যে, এরকম বীভৎস দৃশ্য দেখেও ভিডিওকারী নাবালক হিন্দু কিশোরটির হাত একবারের জন্যও কেঁপে উঠেনি, তা ছিল এতোটাই নিখুঁত।

            কাশ্মীরের আসিফা হত্যার সময়েও একই দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। আসিফাকে ধর্ষণে ধর্ষণে ক্ষতবিক্ষত করার পর কে তাকে মারবে, এই প্রশ্ন ওঠার পর এগিয়ে আসে পুরোহিতের নাবালক ভাগ্নে। সে-ই আসিফার মাথায় পাথর দিয়ে থেতলে থেতলে তাকে হত্যা করে। বাংলাদেশের হিন্দু শিশুদেরকেও যেন ভারতের আদলে গড়ে তোলা যায়, সেজন্য এদেশের উগ্র হিন্দুরা তাদের বাচ্চাদের দীক্ষা দিতে ‘গীতা’কে বেছে নিয়েছে, কারণ গীতা বইটি হলো কৃষ্ণ কর্তৃক অর্জুনকে যুদ্ধে প্রণোদনা দানের বিভিন্ন উপদেশ।

            হিন্দুদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের গীতা স্কুল থেকে বের হওয়া হিন্দু বাচ্চাদের পরবর্তীতে আওয়ামী লবি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্পর্শকাতর সরকারি পদে বসানো হবে, যেখান থেকে সহজে এদেশের মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো সম্ভবপর হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এসব গীতা স্কুল হচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে, যেখানে হিন্দুদের কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ পকেট রয়েছে। ঐসব অঞ্চলকে কেন্দ্র করে যদি দাঙ্গা লাগে, তাহলে ভারতের ন্যায় সেখানে মুসলমানদের গলা কাটতে তাদের কোনো বেগ পেতে হবে না।

            কিন্তু মুসলমানরা কোনোপ্রকার বাধার সৃষ্টি করতে পারবে না, কারণ সে তো জিহাদের দীক্ষা পায়নি! সে তো মনে করেছে যে, সব হিন্দু খারাপ নয়। তার একমাত্র নিয়তি হবে পড়ে পড়ে মার খাওয়া আর হিন্দুদের দ্বারা নিজ মা-বোনের ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত দেহ অবলোকন করা।

            যদি বাঙালি মুসলমান নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তবে তাদেরকে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, হিন্দুদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাংলার বুকে বিচরণ করতে দেয়া যাবে না। কারণ বর্তমানের প্রিয়া সাহার প্রজন্মই মূলত বিশ্বাসঘাতকতায় সীমাবদ্ধ থাকবে, এর পরের প্রজন্ম সরাসরি গীতার দীক্ষা নিয়ে হত্যা-ধর্ষণে নেমে পড়বে।
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              আল্লাহ তা‘আলা আপনাদের সকল খেদমতকে কবুল করুন এবং তাতে আরো বারাকাহ দান করুন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment


              • #8
                আল্লাহ আপনাদের খেদমত কবুল করুন,আমিন।
                ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                Comment

                Working...
                X