Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ * নিউজ ll ৫ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll৬ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ * নিউজ ll ৫ যিলহজ ১৪৪০ হিজরী। ll৬ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।

    কাশ্মীরের আজাদির দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে মিছিল! (ভিডিও)

    দখলদার সন্ত্রাসবাদী ভারতীয় মুশরিক হিন্দু বাহিনী মুসলিমদের ভূমি কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সম্প্রতি প্রায় অর্ধলক্ষ সেনা বৃদ্ধি করা হয়েছে সেখানে, জারি করা হয়েছে কারফিউ, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তাছাড়া, সেখান থেকে হিন্দু ও পর্যটকদের সরে যেতে বলা হয়েছে। কাশ্মীরের স্থানীয় নেতারা সেখানে হিন্দু সেনাদের কর্তৃক গণহত্যা চালানোর আশংকা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে, সেখান থেকে অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া, কাশ্মীরের কথিত স্বায়ত্ত্বশাসনের অবসান ঘটিয়ে সম্পূর্ণ ভারতের নিয়ন্ত্রণাধীন করা হয়েছে। ভাগ করা হয়েছে দুটি রাজ্যে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্ব মুসলিমদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছেন কাশ্মীরী মুসলিমগণ।

    কাশ্মীরে উদ্ভূত ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল ৫ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার পর পর বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়।

    ‘ক্যাম্পাস টাইমস ডট প্রেস’ জানিয়েছে, কাশ্মীরী জনতার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে সংগঠিত উক্ত মিছিলের স্লোগান ছিল- কাশ্মীরের বীর জনতা লও লও লও সালাম, কাশ্মীরের বীর জনতা আমরা আছি তোমার সাথে।

    মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে শেষ হয়।

    মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, কাশ্মীরের আমাদের ভাই-বোনেরা বছরের পর বছর অত্যাচারিত হয়ে যাচ্ছেন। ভারত সরকার প্রতিনিয়ত তাদের উপর অবিচার করে যাচ্ছে। এসবের শেষ চাই। চাই আজাদ কাশ্মীর। চাই আমার ভাইবোনের নিরাপত্তা, বেঁচে থাকার অধিকার।

    মিছিলে অংশগ্রহণকারী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা কাশ্মীর সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। এটা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ দিনের সমস্যা। কাশ্মীর নিয়ে আর কোন তালবাহানা চলবে না। তিনি আরো বলেন, যখনই কোন দেশের মানুষের উপর হামলা হয়, জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘ চুপ কেন! জবাব চাই।

    এছাড়াও, কাশ্মীরে গণহত্যার ভারতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস৷ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরও আন্দোলন করার কথা রয়েছে।

    ঢাবিতে অনুষ্ঠিত মিছিলটির একাংশ দেখুন-



    সূত্র- https://alfirdaws.org/2019/08/06/25365/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর, কি হচ্ছে এই ভূস্বর্গ ক্ষ্যাত অঞ্চলটিতে !


    পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর, কি হচ্ছে এই ভূস্বর্গ ক্ষ্যাত অঞ্চলটিতে !

    গত রবিবার রাত থেকেই ভূস্বর্গ ক্ষ্যাত কাশ্মীর উপত্যাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। দিনের আলো ফুটতে না ফুটতে বন্ধ মোবাইলও। কিছুক্ষণ পরেই জানা গেল নেতৃস্থানীয় সকল নেতাদেরকেই গৃহবন্দী করা হয়েছে। পুরো উপত্যাকা জুড়ে জারি কারা হয়েছে কারফিউ। কাশ্মীরের বাইরে থাকা স্বজনেরা উদ্বেগে। কাশ্মীরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরই বা উদ্বেগ কম কী! কাশ্মীর থেকে জম্মু— যেখানে কারফিউ নেই, মুশরিক সন্ত্রাসী বাহিনী সেখানে জারি করেছে ১৪৪ ধারা।

    এরপর সোমবার বেলা ১১টার পরে পুরো দেশ জেনে গিয়েছে, রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে মুসলিম জনবসতি ভূস্বর্গ জম্মু ও কাশ্মীর, তার দেহেরই অপর একটি বড় অংশ “লাদাখ”কে আলাদা করা হচ্ছে । ভারতীয় কুফরী সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ রদ হওয়ার পরে যে কোনও ভারতীয় জমি কিনে বাড়ি, কারখানা বা হোটেল করতে পারবে কাশ্মীরে। ভারতীয় ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সদস্যরা রাজ্যসভায় গলা উঁচিয়ে বলছে, কাশ্মীরকে এত দিনে সত্যি সত্যি ‘হিন্দুস্তান’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হল। কিন্তু কেমন আছেন কাশ্মীরের মুসলিমরা, আজ দুদিন যাবত তার কোনও খবরই পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ তো সবারই জানা, সেখান থেকে সকল ধরণের যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। কাল থেকে অনেকবারই নতুন কোন সংবাদ পাওয়ার আসায় কাশ্মীর থেকে পরিচালিত বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল ও সাইটে ঢুকছি, কিন্তু কোন নিউজ নেই, অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে, সেখানে এখন সকল ধরণের যোগাযোগই বিচ্ছিন্ন।

    পুরো ভূস্বর্গ জোড়ে যখন এই অবস্থা তখন ভূস্বর্গের বাহিরে থাকে মানুষের উপরেও আসে নতুন নিষেধাজ্ঞা।
    এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর সার্কেলের জন্য কোনও ধরনের ‘মেইল’ বুক করা যাবে না। বাহির থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কোন চিঠিও পাঠানো যাবে না। শুধু চিঠিই নয়, কোন পার্সেলও পাঠানো বা কেউ ভিতরে নিতে পারবে না! বেসরকারি ক্যুরিয়ার সার্ভিসও আপাতত জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।

    কাশ্মীরের দুই মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেন-
    “কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্তে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ কার্যত বিলোপের ফলে ভারত এখন জম্মু ও কাশ্মীরে দখলদারি শক্তিতে পরিণত হল।” —মেহবুবা মুফতি
    ***
    “ভারত সরকারের এই একতরফা সিদ্ধান্তে ১৯৪৭-এ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হল।” —ওমর আবদুল্লা
    এতক্ষণ যা বললাম এ সবই রবিবার রাতের সংবাদ। সোমবার কাশ্মীর ছিল বিচ্ছিন্ন পুরো বিশ্ব থেকে।

    বর্তমানে ভূস্বর্গ কাশ্মীর একেবারেই নিরবতার চাদরে ঢেকেগেছে, পুরো উপত্যকাতেই বিরাজ করছে নিরব ও স্তব্ধতা। পাখিদের কিচিরমিচির ও পাহাড়িয় ঝর্ণার পানির আওয়াজ ব্যাতিত পুরো এলাকাই নিরব। এদিকে মেঘাচ্ছন্ন কাশ্মীরের আঁকাশ, হালকা হালকা বৃষ্টির ফোটাও পড়ছে, বৃষ্টি ভেজা রাস্তা-ঘাট। কোথাও মানুষের আনাঘোনা নেই। যেন জিবন্ত এক কবরস্থান।

    হা তবে কিছুক্ষণ পরপরেই পথ ও বাড়ির আশপাশে দেখা মিলছে মানুবরূপী দখলদার উগ্র হিন্দুত্ববাদী হায়নাদের, যারা ভারী যুদ্ধাস্ত্র তাক করে দাড়িয়ে আছে শিকারী ধরার লক্ষ্যে, অর্থাৎ কোন মুসলিমকে বাহিরে দেখা যায় কিনা।
    রাস্তায় দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর গাড়ি ছাড়াও মাঝে মাঝে হুটার বাজিয়ে ছুটে চলা দু একটা অ্যাম্বুল্যান্সের আওয়াজও শুনা যাচ্ছে। কিন্তু এই অ্যাম্বুল্যান্সেগুলো এখান থেকে কাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে! কারাই বা শিকার হচ্ছেন হায়নাদের! তা আজানা ।

    বলছিলাম আযাদ কাশ্মীর সীমান্তে অবস্থানরত মুসলিমদের থেকে পাওয়া কিছু সংবাদের কথা। তাদের মতে রাস্তা-ঘাট একেবারেই ফাকা, দখলদার ভারতীয় হায়নাদের ব্যাতিত মানুষের চলাচল বলতেই নেই। সীমান্তের ওপার হতে মাঝে মাঝেই কিছু গুলি ছুড়ার শব্দ শুনা যাচ্ছে, কোথাও থেকে আবার দেখা মিলছে ধোঁওয়ার। এর পরপরই হুটার বাঝিয়ে ছুটতে দেখা যায় কিছু অ্যাম্বুল্যান্সকে, হয়তো হতাহত কোন কাশ্মীরীর মৃত বা আহত দেহ-কে সরানো হচ্ছে নয়তো গুম করা হচ্ছে প্রতিবাদী কাশ্মীরীদেরকে। তবে এই নিরবতার মধ্য দিয়েই কিছু করা হচ্ছে কাশ্মীরে, এমনই মন্তব্য অনেকের।

    এত কিছুর পরেও পুরো বিশ্ব নিশ্চুপ, যেন কেউ কিছুই জানেনা, এখানে কিছুই হচ্ছে না! সব কিছুই ঠিক আছে।
    কুফ্ফার বিশ্বের এই নিরবতার একটাই কারণ, কাশ্মীরীরা মুসলিম, তারা চায় ইসলাম।
    আর কাফেররা “আল-কুফরু মিল্লাতুন ওয়াহিদাহ” এর বাস্তব রূপ নিয়েই মুসলিমদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।

    পরিশেষে বলবো, হে গাজওয়ায় হিন্দের পবিত্র ভূমিতে নির্লিপ্তে ঘুমিয়ে থাকা অসচেতন উম্মাহ, হে ঘুমন্ত শার্দূল, হে মোহাম্মদ বিন কাসেম আর গজনভীর উত্তরসুরীরা! তোমরা এবার গর্জে উঠো। তোমরা জেগে উঠলেই জুলুমের আধার কেটে আবারো নতুন প্রভাতে দেখা মিলবে বিজয়ের পতাকার, বিজয়ের হাসি হাসবে এই উম্মাহ। ইনশাআল্লাহ

    সূত্র:- https://alfirdaws.org/2019/08/06/25383/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবেদে মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন “আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম” এর শিক্ষার্থীরা!


      গতকাল ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের পর এবার কাশ্মীরিদের উপর ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে
      মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন “আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম” এর শিক্ষার্থীরা!

      এসময় তারা কাশ্মীরীদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের বেনার ও পোস্টার তৈরী করেন।

      অনেকের মুখে শ্লোগান উঠে-

      “মুর্দারা থাক গোরস্তানে, জিন্দারা গাও জয়ের গান
      রক্তে যাদের জং ধরেছে, নতুন করে দাওরে শান”
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        হে গাজওয়ায় হিন্দের পবিত্র ভূমিতে নির্লিপ্তে ঘুমিয়ে থাকা অসচেতন উম্মাহ, হে ঘুমন্ত শার্দূল, হে মোহাম্মদ বিন কাসেম আর গজনভীর উত্তরসুরীরা! তোমরা এবার গর্জে উঠো। তোমরা জেগে উঠলেই জুলুমের আধার কেটে আবারো নতুন প্রভাতে দেখা মিলবে বিজয়ের পতাকার, বিজয়ের হাসি হাসবে এই উম্মাহ। ইনশাআল্লাহ
        “মুর্দারা থাক গোরস্তানে, জিন্দারা গাও জয়ের গান
        রক্তে যাদের জং ধরেছে, নতুন করে দাওরে শান”
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ! আপনি কাশ্মীরের ভাই বোনদেরকে রক্ষা করুন । তাদের এই অবস্থার অবশান ঘটানোর জন্য মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন।

          Comment


          • #6
            আমাদের ভাইবোনদের হত্যা করা হচ্ছে আর আমরা আছি এসব সস্তা আন্দোলন নিয়ে!! আমাদের রব, আমাদের খালিক্ব, আমাদের মুনিব,আমাদের ইলাহ। শাহাদাইন উচ্চারণ এ-র মাধ্যমে যার সাথে ওয়াদা করেছি যে,আপনার ইবাদত ছাড়া অন্য কিছু করবো না। সেই রব্বে কারীম তার পবিত্র কালামে বলেছেন, ( মুমিন হচ্ছে আরেক মুমিনের ভাই) আজ যদি আমার/ আমাদের ভাইবোনদের কিছু হয়ে যেতো তাহলে দেখা যেতো আমার কী রকম দৌড়াদৌড়ি শুরু হতো। টাকা যে, কোথ্যেকে আসতো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু আমরা কতজন আছি নিজের মনে করে তানজিমে টাকা দেয়!? মাসে কত দেয়? শুনলে হাসি আসে!আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন আমীন।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment


            • #7
              আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
              ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

              Comment


              • #8
                আল-ফেরদাউস নিউজ বুলেটিনের ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, আগষ্ট প্রথম সপ্তাহের বুলেটিনের প্রতীক্ষায় আছি। আর আপডেট খবর দিলে বেশি ভাল হয়।

                Comment


                • #9
                  ক্রোধান্বিত কাশ্মীরী মুসলিমরা, ইট-পাটকেলের বিপরীতে চলছে গুলি!

                  ভারতের কুফুরী সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার একদিন আগ থেকেই কাশ্মীর কার্যত বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন সাধারণ কাশ্মীরীরা। কাশ্মীরীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের বিপরীতে দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাসীদের দিক থেকে আসছে গুলি!

                  ভারতের কুফুরী সংবিধানের যে ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে নামে মাত্র বিগত ৭০ বছর কাশ্মীরী মুসলিমদেরকে কিছু সুযোগ দিত তা বিলোপের একদিন আগে অর্থাৎ রোববার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যের টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। যার কারণে ভিতর থেকে কোন সংবাদই বাহিরে আসছেনা।

                  এদিকে বিবিসি উর্দু তাদের এক সাংবাদিক আমীর পীরজাদার (যে বর্তমানে কাশ্মীরে অবস্থান করছে) বরাতে জানায় যে, বর্তমানে পুরো কাশ্মীর ক্রোধে ফেঁটে পড়েছে।
                  “শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে জনসাধারণের পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটছে, যার বিপরীতে ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনী টিয়ারশেল ও গুলি ছুঁড়ছে সাধারণ জনতার দিকে ।

                  রাস্তায় সর্বত্র হাজার হাজার সেনা, পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী সন্ত্রাসী বাহিনী টহল দিচ্ছে। সকল রাস্তা বন্ধ। কাশ্মীরের ১০ জেলার সবকটিতেই জারি করা হয়েছে কারফিউ, অন্যদিকে জম্মুর ১২টি জেলার ৬টিতেই জারি করা হয়েছে কারফিউ। যেখানে কারফিউ জারি নেই সেখানে চলছে ১৪৪ ধারার আইন। মোটকথা কাউকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। দখলদার ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সামরিকযান থেকে লাগাতার ঘোষণা করা হচ্ছে যে, শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, যেখানেই দুজনের বেশি লোক দেখা যাবে সেখানেই তাদের উপর হামলা চালানো হবে। এভাবে ঘোষাণার মাধ্যমে আতংকিত করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরীদেরকে।

                  কাশ্মীরে ল্যান্ড ফোন, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্লক করে দেয়া হয়েছে। এখন কাশ্মীরে একজনের সাথে আরেকজনের যোগাযোগ করার কোন উপায়ই নেই এবং কাউকে এক শহর থেকে অন্য শহরেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ যেতে চাইলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে এক ধরণের অত্যাচার করা হচ্ছে।
                  পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে কে কোথায় যাচ্ছে, কেন যাচ্ছে – সবকিছু চেক করছে। ”

                  কাশ্মীরে অবস্থানরত একজন সাংবাদিক জানান যে, ‘শ্রীনগর থেকে বারাহ-মোলা এলাকায় যাওয়ার পথে আমাকে ১২বার চেকিং ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, আমার পরিচয়, সাংবাদিকতার কার্ড সবকিছুই তারা চেক করে। এমনকি একটি চেকপোস্টে চেকিংয়ের সময় আমার মোবাইলটাও চেক করা হয়, তখন সংবাদের জন্য সংগ্রহ করা বেশ কিছু ফটো ও ডকুমেন্ট ওরা ডিলেট করে দেয়। অথচ শ্রীনগর থেকে বারাহ-মোলা মাত্র ১ঘন্টার পায়ে হাঁটার পথ, এর মাঝেই আমাকে ১২বার চেকিং ও জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়।’ এর থেকেই বুঝা যাচ্ছে সেখানে কী পরিমাণ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

                  বিবিসি উর্দু থেকে জানা যায় যে, কাশ্মীরের কারো জন্যই অন্য জায়গায় কী হচ্ছে তা জানার কোন উপায় নেই। কারণ এক স্থানের লোকদের সাথে অন্য জায়গার কোন যোগাযোগ নেই। বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা সবকিছু চেক করছে। শ্রীনগর এবং কাশ্মীরের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ এবং পাথর ছোঁড়ার খবর পাওয়া গেছে। বিবিসির উক্ত সাংবাদিক মনে করেন, “তবে আগামী কয়েক দিনে হয়তো কী হচ্ছে তা আরেকটু ভালোভাবে জানা যাবে।” সবখানেই উত্তেজনা। লোকজন ক্ষুব্ধ। তারা এখনো বুঝতে চাইছে কী ঘটছে, কী ঘটতে যাচ্ছে, তাদের ভাগ্যে কী আছে।

                  সামনে ঈদ আসছে। মনে করা হচ্ছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার তখন সাময়িকভাবে কারফিউ তুলে নেবে – যাতে লোকজন উৎসবের আগে কেনাকাটা করতে পারে। আমাদের দেখতে হবে, ঈদের সময় বাড়ির বাইরে এসে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় কিনা। আমরা এখনো তা জানি না।

                  তবে জল্পনা চলছে যে আগামী দিনগুলোতে সহিংসতা হয়তো বাড়তে পারে।কাশ্মীরের যোগাযোগ এমনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যে সেখানকার অনেক লোকই এখনো ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের খবর জানেন না।

                  তবে যারা জানতে পেরেছেন তাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া কী হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিবিসির সাংবাদিক আমীর পীরজাদা জানায়, তারা মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলে বারামুল্লা জেলায় গিয়েছিল, স্থানীয়দের কাছে জানতে চেয়েছিলেন এ খবর তারা জানেন কিনা।
                  অধিকাংশ লোকই বলেছেন, তারা আরো খবরের অপেক্ষায় আছেন, কারণ সবার কথা তারা বিশ্বাস করেন না।

                  আমীর পীরজাদা বলছিল, তবে একজন লোকের সাথে তাদের কথা হয়, যার বয়স ৫০-এর কোঠায়। তিনি বলছিলেন, আগে তারা নিজেদের স্বাধীন ভাবতেন, কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে সেই স্বাধীনতা তারা হারিয়ে ফেলেছেন।
                  লোকটি বলছিলেন, তারা ভারতের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন, এবং তারা ভারতের গোলামে পরিণত হয়েছেন।

                  বিবিসির উক্ত সাংবাদিককে প্রশ্ন করা হয়, কাশ্মীরের নেতাদের গৃহবন্দী হবার কথা সাধারণ লোকেরা জানেন কিনা।
                  তখন উত্তরে বলা হয় সাংবাদিকরা ছাড়া কাশ্মীরের খুব কম লোকই এ কথা জানেন।
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁস!?


                    “পাকিস্তানের কল্যাণেই আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করা ছেড়ে দিয়েছি”

                    9/11 এ টুইনটাওয়ার হামলার পর পুরো বিশ্বের চিত্র পালটে যায়। কাশ্মীর-ফিলিস্তিন-আরাকানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা সংগ্রামকারীরা পশ্চিমাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসী অভিধায় অভিষিক্ত হয়। পশ্চিমা কুফুরি শক্তির আনুকুল্যে সংগ্রামকারীরাই শুধু স্বাধীনতাকামী বলে বিবেচিত হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেই পশ্চিমা তাগুতি শক্তির পা চাটা গোলাম। কাশ্মীর সম্পর্কে তাই তাদের ভাষ্য এরকম-

                    “9/11 এর পূর্বে যে সংগ্রামকে স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হত তা এখন আর বলা হয় না। এখন এ সংগ্রামের ভিন্ন অর্থ দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি কাশ্মীরের এ স্বাধীনতা সংগ্রাম বৈধ সংগ্রাম। কিন্তু যখন আপনি কোন সমর্থন পাবেন না তখন আপনার হিসাব-নিকাশ পুনর্বিবেচনা করা উচিৎ। একথা বলতে আমি দ্বিধা করি না যে, আমরা এখন কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতা করা ছেড়ে দিয়েছি, এটা আমাদের দেশের কল্যাণেই।”

                    সংগৃহীত: সাঈদ হোসাইন, ফেসবুক ইউজার।
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      “বিশ্ব মুসলিম অস্ত্র ধর, কাশ্মীর স্বাধীন কর”
                      সোস্যাল মিডিয়ার ছোট বাচ্চাদের এমন শ্লোগান দেখেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল লেগেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন এভাবেই বেড়ে উঠে, সেই পরিবেশ আমাদের নিশ্চিত করা উচিত নিজস্ব পরিসরে।
                      আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আমীন
                      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                      Comment


                      • #12
                        কাশ্মির ইস্যুতে আমাদের কী করণীয়। নিচের কথাগুলো শুধুমাত্র আমার ব্যাক্তিগত খেয়াল। কাশ্মির ইস্যুতে আমরা যা যা করতে পারি।
                        যারা তানজিমের সাথে আছি, তানজিমের শক্তি বাড়াতে পারি। আর্থিকভাবে / জনবল বাড়িয়ে। তানজিমের অনেক ভাইয়েরাই এখন তানজিম থেকে বিচ্ছিন্ন। আসলে জিহাদ সবার কপালে জুটে না। জিহাদ হচ্ছে ঈমানের কষ্টিপাথর। জিহাদ ছাড়া ঈমানের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করা অসম্ভব। সামনে কুরবানির ঈদ, ঈদ উপলক্ষে আমরা তানজিমের আর্থিক সক্ষমতাকে বাড়াতে পারি। তানজিমের খুব বেশি করে টাকা কালেকশন করা যেতে পারে। কেও না আসলে তবে একলা চলেরে। ইন্ডিয়ার যত কম্পানি আছে তাদের বয়কট করতে পারি,আর এটি এ-ই মূহর্তে আমাদের জন্য অপরিহার্য। ইন্ডিয়ান কম্পানির পণ্য ক্রয় না করি। এবং ফেইজবুকে ছবি বানিয়ে মুসলিমদের আহবান করতে পারি। পুরো বিশ্বকে মালুওয়ানদের জন্য অনিরাপদ করে তুলা। ইন্ডিয়ার যত দুতাবাস আছে সবগুলোকে হামলা করে উড়িয়ে দেওয়া। ইন্ডিয়ার হিন্দু পাইলেই কুপানো। তাহলে দেখবেন, ইনশআল্লাহ শুধু কাশ্মির নয় পুরো ইন্ডিয়া বিজয় হয়ে যাবে।
                        ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                        Comment

                        Working...
                        X