Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৪ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৪ মুহাররম ১৪৪১ হিজরী # ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    হাউসটনে বিক্ষোভে মোদিকে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের চেহারা আখ্যা দিল শিখ-কাশ্মীরিরা




    হাজার হাজার কাশ্মীরি, শিখ ও মানবাধিকার সংস্থার কর্মীরা টেক্সাসের হাউসটনে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা পাকিস্তানিরাও অংশ নিয়েছেন।

    মোদির জনসমাবেশকে রুখে দিতে তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন এনআরজি স্টেডিয়ামের বাইরের সড়ক।

    হাউসটনে গত রোববারের স্লোগানে শিখ সম্প্রদায়ের লোকজনও দলে দলে অংশ নিয়েছে। অর্ধশত বাসযোগে ৪০ হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে মোদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    ভেন্যুর চারপাশে ভারত, মোদিবিরোধী ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে ভরিয়ে দেয়া হয়। উইফরনিউজের খবরে বলা হয়েছে, ২০ হাজার পাকিস্তানি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ ধর্মীয় লোকজন মোদির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জড়ো হয়েছে।

    মোদির বিরুদ্ধে যখন তারা স্লোগান দিচ্ছিল, তখন সে মঞ্চেই ছিল। মোদিকে তারা ভারতীয় সন্ত্রাসবাদের চেহারা হিসেবে উল্লেখ করেন।
    সমাবেশে দেয়া বক্তৃতায় মোদিকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম নিবেদিত, সর্বাধিক অনুগত বন্ধু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেক্সাসের এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত বোধ করছি।
    জবাবে মোদি বলে হোয়াইট হাউসের সত্যিকার বন্ধু ভারত। সে ট্রাম্পকে উষ্ণ, বন্ধুসুলভ, সহজগম্য, উদ্যমী ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতা হিসেবে উল্লেখ করে।
    মোদিবিরোধী বিক্ষোভকারীরা বলেছে, মোদির শাসনামলে ভারতে নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ভারতকে গণহত্যার নজরদারির তালিকায় রেখেছে।
    পাঁচ বছর আগে সে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশটিতে সামাজিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা মারাত্মক রূপ নিয়েছে।
    সাঈদ আলী নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, কাশ্মীরে আট লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার অধিবাসীদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।
    বিক্ষোভকারীরা বলেন, শিশুদের কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ওপর নিপীড়ন চালাচ্ছে পুলিশ। আর ভারতীয় সেনারা তাদের গুলি করে হত্যা করছে। রাজ্যটির ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।

    মোদিকে হাউসটনে স্বাগত জানানো হয়নি- সেই খবর তার কানে পৌঁছাতে চাচ্ছেন বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।

    বিক্ষোভকারীরা বলেন, মোদি অন্ধ ও বধির। কারণ সে যদি কিছু দেখত, তা হলে কাশ্মীরে ৮০ লাখ লোককে হত্যা করতে যাচ্ছে বলেও ইতিমধ্যে দেখতে পেত।

    সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর
    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27102/


    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন বহু কাশ্মীরি, আহাজারি সাধারণ মুসলিমদের।




    গত ৫ আগস্ট ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ ও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয় সন্ত্রাসী ভারত সরকার। বিষয়টির প্রতিবাদে লাখো কাশ্মীরি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের গেরুয়া সন্ত্রাসী ভারত প্রশাসনের কড়া হস্তক্ষেপে তা আর সফল হয়নি।

    সেদিন থেকেই ১৪৪ ধারা জারিসহ কাশ্মীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় বিশ্ব থেকে। ধরপাকড় করা হয় স্বাধীনচেতা, মুক্তিকামী, আন্দোলনকর্মী, বিক্ষোভকারীদের। এ ছাড়া স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়।

    বিবিসি বাংলার বরাতে জানা যায় কাশ্মীরে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সেই বিক্ষোভে আটকদের অনেককে এখনও ফিরে পায়নি তাদের পরিবার।
    এ বন্দিদের অনেককে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। যে কারণে পরিবারের সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ নেই তাদের।
    সম্প্রতি সাংবাদিক ভিনিত খারে উত্তরপ্রদেশের এমনই একটি কারাগার পরিদর্শন করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    যানা গেছে, কাশ্মীর থেকে ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে আগ্রা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বেশ কয়েকজন কাশ্মীরি।

    আগ্রার সেই কারাগারে ৮০ জনেরও বেশি কাশ্মীরিকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে এক সাংবাদিককে জানিয়েছে কারাগারের এক কর্মকর্তা।

    তিনি বলেন, ‘আগ্রা কারাগারে চরম দুর্ভোগে আছেন এসব বন্দি কাশ্মীরি। কারণ কাশ্মীর উপত্যকা থেকে আসা এসব বন্দির আগ্রার প্রচণ্ড গরম ও ধুলোবালিময় আবহাওয়া মোটেই সহনীয় নয়। কাশ্মীরে যেখানে সেপ্টেম্বর মাসের তাপমাত্রা ১৮ সেন্টিগ্রেডের নিচে থাকে, সেখানে আগ্রায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এমন গরম কাশ্মীরিদের ধৈর্যসীমা ছাড়িয়ে নিচ্ছে।’

    শুক্রবার আগ্রার কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্ধ গেটের বাইরে একটি বিশাল ওয়েটিং এই গরম উপেক্ষা করে বেশ কিছু কাশ্মীরিকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

    সবাই কারাদণ্ড পাওয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বলে সাংবাদিককে জানান।

    সংবাদদাতা ভিনিত খারে বলেন, কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা আগ্রা কেন্দ্রীয় কারাগারটি ভীষণ গরম আর দুর্গন্ধে ভরা। ওয়েটিং হলে বসেই টয়লেটের দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এই দুর্গন্ধের কারণে বন্দি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল তাদের। সবাই নাকে-মুখে কাপড় দিয়ে বসেছিলেন আর ঘাম মুছছিলেন।’

    ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এক কাশ্মীরি। কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পুলওয়ামা শহর থেকে এসেছেন তিনি।
    আগ্রা কারাগারে তার ভাইকে আনা হয়েছে সে খবর জানলেন কীভাবে? এ প্রশ্নে সেই কাশ্মীরি বলেন, ৪ আগস্টের রাতে ভারতীয় সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাইকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কাশ্মীরের আন্দোলনের সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্রতা ছিল না।

    সন্ত্রাসী পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়েছিলেন আমার ভাই। তিনি একজন সাধারণ গাড়িচালক।’

    তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে আমরা জানতামই না যে আমার ভাইকে কোথায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। ভাইয়ের খোঁজ জানতে আমি সন্ত্রাসী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার দেখা করেছি। অনেক খোঁজখবরের পর তারা জানায়, আমার ভাইকে শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

    কিন্তু শ্রীনগরে গিয়েও ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাননি বলে জানান তিনি।
    এর পর অনেক চেষ্টা করার পর ভাইকে আগ্রায় আনা হয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি।
    জানার পর পরই ২৮ আগস্ট আগ্রায় পৌঁছলে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, ‘বিষয়টি প্রমাণ করতে কাশ্মীরের স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে একটি ভ্যারিফিকেশন লেটার আনতে হবে। সেই চিঠি আনতে আবারও পুলওয়ামায় যান তিনি এবং আজ চিঠিটি নিয়ে আগ্রায়ে ফিরেছেন।’

    এখন শুধু ভাইকে একনজর দেখার অপেক্ষায়।

    আপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আগ্রার এই গরমে মনে হচ্ছে আমিই মরে যাব। আর কারাগারের ভেতরে ভাই আমার কেমন আছেন আল্লাহ জানেন।’
    সাক্ষাৎকালে সাংবাদিক তার নাম জিজ্ঞেস করলে স্মিত হাসি দিয়ে সেই কাশ্মীরি বলেন, ‘আমাদের কারও নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমরা তা হলে ঝামেলায় পড়ে যাব।’

    কাশ্মীরের কুলগাম শহর থেকে ছেলে এবং ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন দিনমজুর শ্রমিক আবদুল ঘানি।

    তবে কোনো ভেরিফিকেশন লেটার আনতে পারেননি বলে বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তিনি।’

    তিনি বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে-পায়ে ধরে জানতে পেরেছি আমার ছেলে ও ভাগ্নে এখানে বন্দি। তাই ১০ হাজার রুপি খরচ করে এখানে এসেছি। এখন সেই চিঠি না হলে ওরা দেখা করতে দেবে না ভেবে আমি উদ্বিগ্ন।’

    কী কারণে তার ছেলে ও ভাগ্নেকে আটক করা হয়েছে সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রাত ২টার দিকে ঘুমের মধ্যে তাদের তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর সদস্যরা। কেন তাদের সেদিন তুলে নেয়া হয়েছিল, তার কারণ আজও জানতে পারিনি। তারা কখনই এই বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ করেনি।’

    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27100/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      অসামাজিক কাজে জড়িত ম্যাসাজ পার্লার : প্রভাবশালীরা কতটা জড়িত?




      বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-চাঁদাবাজির অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যেই নতুন করে সামনে এসেছে ম্যাসাজ পার্লারগুলোর বিরুদ্ধে। অনেকের দাবি, এসব ব্যবসা অসামাজিক কার্যকলাপে পরিচালিত হচ্ছিল।

      প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্পা ও ম্যাসাজ সেন্টারের নামে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

      কাদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো?
      ম্যাসাজের নামে সেক্স?
      বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে যানা যায় “তারা ম্যাসাজের নামে সেক্সও অ্যালাও করতো। আমাদের এখানে এমন কিছু নেই। তারপরও আমাদের ক্লায়েন্টরা এখন আসতে চাচ্ছে না” – বলেন এই ম্যাসাজ পার্লারের ব্যবস্থাপক।

      এই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার পেছনে পেটুয়া বাহিনী পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্পৃক্ততা না পেলেও, রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক ছত্রছায়া ছাড়া ঢাকার এমন একটি ব্যস্ত এলাকায় এ ধরণের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

      একজন ব্যবসায়ী রাহিমা সুলতানা বলছিলেন, “কিছু প্রভাবশালীর ভূমিকা তো আছেই। তারা হয়তো টাকা পয়সা দিয়ে এতদিন এসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ম্যাসাজ পার্লারের নামে ভেতরে কী চলছে – সেটা এতদিন পরে কিভাবে বের হল বলেন? এগুলো আগেও ছিল। ”
      তবে এসব ব্যবসার পরিচালকরা যতোই ক্ষমতাবান হোন না কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান মিসেস সুলতানা।

      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27097/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার।




        পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল হোসেনের বাগান বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পেটুয়া বাহিনী পুলিশ। রবিবার বিকালে ডাঙ্গা ইউনিয়নের ডাঙ্গা বাজার এলাকায় ওই বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী পুলিশ। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশ থানার ওসি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন।

        জানা যায়, গোপন সংবাদে ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনের বাগান বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ২৫টি রামদা, ৫টি চাপাতি ও কয়েকটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্র গুলো জব্দ করা হয়েছে।

        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27094/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          মাফিয়া শামীমের গডফাদার কে?




          গ্রেফতারের আগে ছয় মন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিল টেন্ডার কিং জি কে শামীম। ঘনিষ্ঠ কজন শীর্ষ নেতার সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করে সে। কারও কাছ থেকেই তেমন কোনো সাড়া পায়নি শামীম। শেষমেশ তার হাতের শেষ অস্ত্রটি কাজে লাগায়।

          রিমান্ডে থাকা টেন্ডার কিং শামীমের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যে পুলিশ কর্মকর্তারাও বিব্রত হচ্ছে। কজন মন্ত্রী ও নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় নাম ভাঙিয়ে প্রভাব খাটাত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে। মন্ত্রীদের বাসায় তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের সঙ্গেও ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায় ছিল সরকারি কর্মকর্তারা।

          সশস্ত্র দেহরক্ষী নিয়ে গাড়িতে হুইসেল বাজিয়ে সরকারি দফতরগুলোতে যখন সে ঢুকত, ছাত্রলীগ-যুবলীগের অনেককেই দেখা যেত তার লট বহরে। রুমে প্রবেশ করতেই কর্মকর্তাদের অনেকেই চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেত। পিডব্লিউডিতে তার প্রবেশ ঘটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার মাধ্যমে। এমনই এক পরিস্থিতিতে সময়ের সব চেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই টেন্ডার কিং জি কে শামীম। প্রশ্ন উঠেছে, টেন্ডার কিং-এর গডফাদার কে?
          গত শুক্রবার ভোর থেকেই সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের নিকেতনের অফিস ঘিরে রাখে র*্যাব। একপর্যায়ে র*্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম নিকেতনে এলে শুরু হয় অভিযান, আর কার্যালয়ে তল্লাশির প্রস্তুতি। র*্যাব কর্মকর্তাদের অভিযান ও তল্লাশি করতে বারণ করে জি কে শামীম। এর বদলে এক কর্মকর্তাকে ১০ কোটি টাকা ঘুষ প্রস্তাব করে সে। জব্দ করা হয় নগদ টাকা, এফডিআরসহ মাদক।
          দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে শামীম গণপূর্ত অধিদফতরের ২০ জন সাবেক সরকারি কর্মকর্তার নাম বলেছে, যাদের মাসে ২-৫ লাখ টাকা দিত এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী। এর বদলে তারা শামীমকে ঠিকাদারির কাজের টেন্ডার পেতে সাহায্য করত। সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম জানায় যে, ঢাকার বাসাবো ও নিকেতনে তার অন্তত পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট আছে। গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তার বাড়ি রয়েছে। তার বাসাবো ও নিকেতনের বাড়ি দুটি খুবই অত্যাধুনিক। সেখানে গণপূর্তের যুগ্ম ও অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসায়িক আলাপ ও লেনদেন করত। সেখানে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থাও ছিল।
          সূত্র আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই টেন্ডার কিং সরকারি বড় বড় প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোটি কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে শামীম জানায়, ঠিকাদারির কাজ পাইয়ে দিতে সে দুই কর্মকর্তাকে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।
          জিজ্ঞাসাবাদে জি কে শামীম আরও জানায়, প্রতি টেন্ডারে ৮-১০ শতাংশ কমিশন দেওয়া লাগত তার। অনেক সময় নির্দিষ্ট কমিশনের পরও ঘুষ দিতে হতো। পূর্ববর্তী ও ভবিষ্যতের কাজ পেতে এখন পর্যন্ত গণপূর্ত অধিদফতরের সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে তিনি ঘুষ হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা ও গণপূর্তের ঢাকা জোনের আরেক সদ্য সাবেক কর্মকর্তাকেও ঘুষ দিয়েছে ৪০০ কোটি টাকা- এমন দাবি করে এই সন্ত্রাসী।
          ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ জেরার মুখে অনেকের নাম ফাঁস করেছে। যুবলীগ আওয়ামী লীগ থেকে শুরু পুলিশ কর্মকর্তাদের নামও বলতে শুরু করেছে। পুলিশকে কী পরিমাণ টাকা দেওয়া হতো, তার হিসাবও দিয়েছেন ক্যাসিনো কিং খালেদ। সূত্র জানিয়েছে, খালেদ বলেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটই ক্যাসিনোর আসল রূপকার। তাঁর হাত ধরেই ঢাকার মতিঝিল থানার বিভিন্ন এলাকার স্পোর্টস ক্লাবগুলোয় ‘হাউজি’ আসরকে ক্যাসিনোতে উন্নীত করা হয়। এ কাজে সম্রাটের সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পান খালেদ। তার দেওয়া তথ্য মতে, এসব ক্লাবের ক্যাসিনোতে খেলা এবং সেগুলো পরিচালনায় যুক্ত হয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতাও। খালেদের এই স্বীকারোক্তিতে বিব্রতবোধ করছে জিজ্ঞাসাবাদকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র বলেছে, এখন পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে খালেদের তথ্যে ফেঁসে যেতে পারেন পুলিশ সদর দফতর ও মহানগর সদর দফতরের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে অনেক শীর্ষ কর্তা; মহানগরের মতিঝিল, রমনা, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা বিভাগের অনেক পুলিশ কর্মকর্তাও। জিজ্ঞাসাবাদকারী সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকেই ক্যাসিনো কারবারের ‘গডফাদার’ দাবি করেছেন খালেদ। এর বাইরে যুবলীগের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাসহ ঢাকা সিটি করপোরেশনের অনেকের নাম বলেছে খালেদ। অপরদিকে আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং খ্যাত শফিকুল আলম ফিরোজ ওরফে কালা ফিরোজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কালা ফিরোজ দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেপথ্য কারিগর। তার মূল ব্যবসা ছিল বিদেশে লোক পাঠানো। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশেই রয়েছে

          তার অফিস। রাজধানীর সেভেন স্টার গ্রুপের নেপথ্য গডফাদার এই কালা ফিরোজ। সুইডেন আসলামের শেল্টারদাতা কালা ফিরোজের নির্দেশে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে খুন-খারাবিসহ বড় ধরনের ঘটনাও ঘটে। তবে সে থেকে যেত ধরাছোঁয়ার বাইরে।
          খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ২০০৬ সালের ঘটনা। ওই সময়ে রাজধানীর পরীবাগে আলোচিত ‘দি তুর্কি অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদা না পেয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয়েছিল রমজান আলী মাস্টার নামে এক ব্যক্তিকে। সূত্র জানায়, আর এই হামলায় জড়িত অভিযোগে সরাসরি নাম উল্লেখ করে যে কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছিল তাদের অন্যতম ছিল শফিকুল আলম ফিরোজ ওরফে কালা ফিরোজ। যে রাজধানীর কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। গত শুক্রবার বিকালে কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাবে অবৈধ জুয়া বা ক্যাসিনো পরিচালনার দায়ে র*্যাব কালা ফিরোজকে গ্রেফতার করে। অবশ্য কৃষক লীগ থেকে ফিরোজকে বহিষ্কারও করা হয়। জানা গেছে, এই শফিকুল আলম ফিরোজ এক যুগ আগেও সন্ত্রাসী কালা ফিরোজ নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পরিচিত ছিল। সময়ের পালাবদলে অপরাধ জগতের এই মানুষ খোলস পাল্টে হয়ে যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। এ ছাড়াও সে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সিনিয়র সহসভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্বও দেয়। এখানেই শেষ নয়, এমন একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের জন্য ব্যাপক চেষ্টা-তদবির চালায়।

          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27092/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ঘুষখোর পুলিশের সহায়তায় পালায় বিদেশি জুয়াড়িরা!




            ► বিপুল ক্যাসিনো সরঞ্জাম জব্দ
            ►কর্মকর্তারা আগেই পালিয়ে যায়

            ক্লাবে ঢুকতেই চোখে পড়ে বিশাল বোর্ডরুম।
            ক্লাবটির উন্নয়নে মিটিং করার জন্য নির্ধারিত এ কক্ষে জুয়ার আসর যে বসত তা স্পষ্ট। কক্ষজুড়ে জুয়ার সামগ্রী। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের কোথাও তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি খেলার কোনো সামগ্রী। দামি সোফা, কারুকার্যখচিত বড় বড় ক্যাসিনো টেবিলে এলোমেলোভাবে রাখা ছিল জুয়ার বোর্ড, মদের বোতলসহ বিভিন্ন বাহারি আহারসামগ্রী। দেয়ালে টানানো টিভি।

            এক সাংবাদিক বলে ওঠেন, ‘যে ক্লাবটি নিয়ে আমাদের এত অহংকার, সেটার পুরোটায় ক্যাসিনো সামগ্রী, কিন্তু নেই কোনো ফুটবল, ক্রিকেট ব্যাট। ’ হাতের বাঁ পাশে তাকাতেই চোখে পড়ে একটি সুসজ্জিত কক্ষ। সেখানে নতুন একটি ক্যাসিনো বোর্ড।

            এর চারপাশে দামি সোফা। কক্ষটির ওপরের দেয়ালে ঝুলছিল দামি বাতি। এর পাশের কক্ষে ঢুকেও পাওয়া গেল ক্যাসিনো বোর্ডসহ জুয়ার সরঞ্জাম। সেখান থেকে ক্যাশ কাউন্টারে ঢুকে দেখা যায়, তাস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। চেয়ার-টেবিল সব এলোমেলো। এর পাশেই রয়েছে একটি স্টোর রুম।
            এখানেও মদের বোতলসহ বিভিন্ন ক্যাসিনো সরঞ্জাম। ওয়াশরুমগুলোতে ছড়িয়ে রয়েছে জুয়ার কড়ি। এরপর চোখে পড়ে একটি গোপন কক্ষ। সেখানেও জুয়ার সরঞ্জাম। ভিক্টোরিয়া ক্লাবের গেট দিয়ে ভেতরে ঢুখে চোখে পড়ে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো তাস। পাশাপাশি রয়েছে খোলা তাসের প্যাকেট ও তাসের অসংখ্য বান্ডেল এবং তার পাশেই একটি মদের বোতল। তার পাশের অন্য একটি টেবিলে রয়েছে ক্যাসিনোর কয়েন।

            অন্য তিনটি ক্লাব হচ্ছে ভিক্টোরিয়া, আরামবাগ ও দিলাকুশা। সব ক্লাবেই ঢুকে একই চিত্র চোখে পড়ে। ক্লাবগুলো থেকে ক্যাসিনো তথা জুয়ার বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।
            এদিকে মতিঝিলে প্রথম দফায় অভিযানের সময় বিদেশী জুয়ারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসী পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই এলাকায় নেপালের নাগরিকসহ ১৯জন বিদেশী জুয়ারী ছিল, যারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে সটকে পড়েছিল।
            কালের কণ্ঠের বরাতে জানা যায় ক্লাবগুলো থেকে টাকা, মদ, সিসা, ক্যাসিনো ও জুয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। চারটি ক্লাবেই ক্যাসিনো ও জুয়ার সামগ্রী পাওয়া গেছে।
            অভিযানে মোহামেডান ক্লাব থেকে দুটি রুলেট টেবিল, ৯টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকুসহ বিপুল পরিমাণ জুয়ার সামগ্রী পাওয়া গেছে । ভিক্টোরিয়া ক্লাব থেকে একটি বড় টেবিল, বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার ৯টি বোর্ড, চেয়ার, সোফা, ক্যাসিনো কয়েন, বোর্ডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম, এক লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ তাস, জুয়ায় ব্যবহৃত চিপস ও মদ পাওয়া যায় । আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও পাওয়া যায় বাকারা ও রুলেটসহ বিভিন্ন জুয়ার সরঞ্জাম।
            ওই এলাকায় ৯ জন নেপালের বড় জুয়াড়িসহ ১৯ জন বিদেশি জুয়াড়ির তথ্য মিলেছে। এরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। অথচ এরা ক্লাবের আশপাশের বাড়িতে ভাড়া থাকত। অভিযানের সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের বাসায় গিয়ে খবর জানিয়ে পালাতে সাহায্য করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এমনই তথ্য পেয়েছে তদন্তকারীরা। গোপন খবর দিয়ে ওই পুলিশ সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে বলেও জানিয়েছে সূত্র। কয়েকজনকে ব্যাগ হাতে বাসা থেকে বের হতে দেখা গেছে।

            ক্লাবগুলো এখন শুধু নামেই চলে, বাস্তবে ক্লাবগুলোতে কোনো ক্রীড়াসামগ্রী বা কোনো খেলোয়াড়কে দেখা যায় না। ক্লাবের কক্ষগুলোতে ক্যাসিনো, ডার্ট বোর্ডসহ জুয়াসামগ্রী মদ বিয়ার ছাড়া খেলার সামগ্রী নেই।

            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/09/24/27089/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে প্রাণ গেল কাশ্মীরি মুসলিম কিশোরের




              ভারতীয় সেনাদের নির্যাতনে নিহত হয়েছেন জাবার আহমেদ ভাট নামে এক কাশ্মীরি কিশোর। কাশ্মীরের পুলওয়ামার চন্দগম গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

              জাবার আহমেদের পরিবার জানায়, তার ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার করে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসী সেনারা। বেড়ধক মারধর করা হয় তাকে।

              ১৫ বয়সী জাবার আহমেদ চলতি বছর প্রাইভেট প্রার্থী হিসেবে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে ফিরে আসার পর ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীদের চালানো নির্যাতনে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে এরপর তাকে শ্রী মহারাজা হরিসিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়।

              গ্রামবাসীরা জানান, ঘটনার আগের দিন এলাকায় গ্রেনেড হামলা হয়। সেই উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় সন্ত্রাসী সেনাবাহিনী স্থানীয় কিছু ছেলের পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়।
              জাবার আহমেদের বাবা আব্দুল হামিদ জানান, সেই ঘটনার জেরে রাস্তায় ভারতীয় সেনাদের হাতে প্রচণ্ড অত্যাচারের শিকার হয় সে। বাড়িতে ফিরে ভারতীয় মালাউন সন্ত্রাসীদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার খবর সে তার বোনকে জানিয়েছিল।
              তবে ওই কিশোরের চাচাত ভাই বলেন, ভারতীয় সেনাদের মারের প্রেক্ষিতেই জবর বিষপান করেছে কথা সে আমাকে জানিয়েছিল এমনকি বিষপানের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, সে যেতে চাইছিল না সে বলছিলকাশ্মীরে নিপীড়ন চলছে
              সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন

              সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/09/24/27077/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সময় দাজ্জালের, ইমাম মেহদি কই!?
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  হে আল্লাহ! আপনি মুসলিম উম্মাহকে হিফাযত করুন। আমীন
                  ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                  Comment


                  • #10
                    সুখে থাকলে ভুতে কিলাই!!
                    ان المتقین فی جنت ونعیم
                    سورة الطور

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ!মুসলিমদেরকে সজাগ করে দিন।
                      আসুক না যত বাধাঁ যত ঝর সাইক্লোন কিতালের পথে মোরা চলবোই

                      Comment

                      Working...
                      X