Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২১শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২৩শে রবিউল আউয়াল ১৪৪১ হিজরী # ২১শে নভেম্বর, ২০১৯ ঈসায়ী।

    উইঘুর জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনঃ কি করছে জাতিসংঘ?


    নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা মুসলিম বিদ্বেষী চীনের কিছু গোপন নথি ফাঁস করে দিয়েছে। নথিগুলো চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর সন্ত্রাসী সরকারের পীড়ননীতি সম্পর্কিত। পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীনের সন্ত্রাসী প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুসলিমদের প্রতি ‘বিন্দুমাত্র দয়ামায়া না দেখানোর’ জন্য চীনা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে। উইঘুরদের দুর্ভোগের ওপর এটিই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসা সর্বশেষ তথ্য।

    চীনের উত্তর-পশ্চিম অংশে সবচেয়ে বড় প্রদেশ জিনজিয়াং। এর আয়তন ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের ১২ গুণ)। এ এলাকা আয়তনে চীনের প্রায় ছয় ভাগের এক ভাগ। এর পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে আছে মুসলিম দেশ তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান ও কাজাখস্তান; আর দক্ষিণ-পশ্চিমে আছে আফগানিস্তান এবং জম্মু-কাশ্মির। স্বর্ণ, তেল ও গ্যাস সম্পদে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। এরাই উইঘুর মুসলমান। তারা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং তুর্কি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত উইঘুর ভাষায় কথা বলেন।

    এ ভাষার বর্ণলিপি আরবি। এখানকার অর্থনীতি কৃষি ও বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। জিনজিয়াং ছাড়াও উইঘুররা বিশ্বের বহু দেশে ছড়িয়ে আছে। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, জিনজিয়াংয়ে দেড় কোটির মতো উইঘুর বসবাস করে। এ ছাড়া কাজাখস্তানে দুই লাখ ২৩ হাজার, উজবেকিস্তানে ৫৫ হাজার, কিরঘিজস্তানে ৪৯ হাজার, তুরস্কে ১৯ হাজার, রাশিয়ায় চার হাজার, ইউক্রেনে এক হাজারের মতো উইঘুর মুসলিমের বসবাস। এ ছাড়া নির্যাতন থেকে বাঁচতে অনেক উইঘুর জিনজিয়াং থেকে পালিয়ে অভিবাসী হিসেবে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছেন। জিনজিয়াং কাগজ-কলমে ‘স্বায়ত্তশাসিত’ হলেও চীনের কথিত কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

    চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে উইঘুর মুসলিমদের বিরোধের ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে। এক সময় ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ স্বাধীন ছিল। কিন্তু ১৯১১ সালে স্বাধীন তুর্কিস্তানে চীনের মাঞ্চু সাম্রাজ্যের পতনের পর সেখানে প্রত্যক্ষ চীনা শাসন চালু করে এ অঞ্চলকে চীনের জিনজিয়াংয়ের সাথে একীভূত করা হয়। তবে সেটি স্থায়ী করতে চীনাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। চীনের সন্ত্রাসী সৈন্যদের বিপক্ষে মুক্তিকামী উইঘুর মুসলিমরা অস্ত্র তুলে নেয় এবং ১৯৩৩ ও ১৯৪৪ সালে দুইবার তারা স্বাধীনতাও অর্জন করেছিলেন। ১৯৪৯ সালে চীনের কথিত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কিছু দিন পর কমিউনিস্ট সরকার উইঘুরদের বৃহত্তর চীনের সাথে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব নাকচ করে দিলে শুরু হয় নির্যাতন, নেমে আসে বিভীষিকাময় অত্যাচার। কমিউনিস্টরা অস্ত্রের জোরে জিনজিয়াং দখল করে নেয়। তবে উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াংকে দৃশ্যত স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়। কিন্তু এর পরও চীন সরকার তাদের ওপর প্রতিনিয়ত দমন ও নিপীড়ন অব্যাহত রাখে।

    উইঘুরদের ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর গায়ের জোরে কমিউনিজম চাপিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে তাদের ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়। মসজিদ-মাদরাসা-মক্তব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া ছাড়াও ধর্ম পালনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এসবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহায়তায় হাজার হাজার নিরীহ উইঘুরকে হত্যা করা হয়। অনেককে করা হয় গৃহহীন। কমিউনিস্টরা উইঘুরদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্ম ধ্বংস করে দেয়ার জন্য চীনের অন্য অঞ্চল থেকে হান চীনাদের এখানে এনে পুনর্বাসন করেছে।

    ফলে ১৯৪৯ সালে জিনজিয়াংয়ে যেখানে উইঘুর মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৯৫ শতাংশ, ১৯৮০ সালের মধ্যেই তা ৫৫ শতাংশে নেমে আসে। বর্তমানে নিজেদের ভূখণ্ডে উইঘুরদের হার প্রায় ৪৬ শতাংশ। চীনাদের দমনপীড়ন থেকে মুক্তিলাভ এবং স্বাধীন হওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি। এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করার চেষ্টা চলে, কিন্তু চীনা সরকার ১৯৯০ সালে সেখানে ভয়াবহ দাঙ্গা উসকে দেয়। পরে এই দাঙ্গার অভিযোগেই হাজার হাজার উইঘুর তরুণকে অন্যায়ভাবে হত্যা এবং কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।

    এক রিপোর্টে বলছে, ওই দাঙ্গার পর সন্ত্রাসী চীনা সরকারের সমালোচনা করে মতামত প্রকাশের দায়ে চীন সরকার গোপনে বেশ কয়েকজন উইঘুর মুসলিম বুদ্ধিজীবীর বিচার করেছে। বেশ ক’জন বিশিষ্ট উইঘুর ব্যক্তিত্ব গত কয়েক বছরে আটক বা অদৃশ্য হয়ে গেছেন জিনজিয়াং থেকে। এদের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলেন ইসলামী শিক্ষাবিদ মোহাম্মদ সালিহ হাজিম, অর্থনীতিবিদ ইলহাম তোকতি, নৃতাত্ত্বিক রাহাইল দাউদ, পপশিল্পী ও বেহালাবাদক আবদুর রহিম হায়াত, ফুটবল খেলোয়াড় এরফান হিজিম প্রমুখ।

    ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১০ লাখ উইঘুরকে চীনের ‘সন্ত্রাসবাদ’ কেন্দ্রগুলোতে আটক রাখা হয়েছে। আর ২০ লাখ মানুষকে ‘রাজনৈতিক ও দীক্ষাদান কেন্দ্রে’ অবস্থান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। যেসব লোকজনের ২৬টি ‘স্পর্শকাতর দেশে’ আত্মীয়স্বজন আছেন তাদের এসব ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান ও তুরস্ক এবং আরো ২৩টি দেশ। এ ছাড়াও যারা মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিদেশের কারো সাথে যোগাযোগ করেছে, তাদেরও টার্গেট করেছে কর্তৃপক্ষ।

    সংগঠনটি জানায়, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তাদের বাড়িঘরের দরজায় লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে বিশেষ কোড; বসানো হয়েছে মুখ দেখে শনাক্ত করা যায়- এ রকম ক্যামেরা। ফলে কোন বাড়িতে কারা যাচ্ছেন, থাকছেন বা বের হচ্ছেন তার ওপর কর্তৃপক্ষ সতর্ক নজর রাখতে পারছে। নানা ধরনের বায়োমেট্রিক পরীক্ষাও দিতে হচ্ছে।

    গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ওই সব আটককেন্দ্রে কর্মরতদের একজন অকথ্য নির্যাতনের কথা জানিয়েছেন। একটি আটককেন্দ্রে চাকরি করা সারায়গুল সাউতবে সিএনএনের কাছে উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নের ভয়াবহতা বর্ণনা করেন। সাউতবে বলেন, তাদের কষ্ট লাঘবে আমার কিছুই করার ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই যে একদিন এই সত্য প্রকাশ করব।

    চীন অস্বীকার করলেও পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা প্রকাশ পেয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সর্বশেষ রিপোর্টে। অভিযুক্ত উইঘুর পরিবারের সন্তানদের নিজের পরিবারে বা এলাকায় রাখা হয় না। তাদের ভিন্ন প্রদেশে ‘শিক্ষা’ গ্রহণ করতে পাঠিয়ে দেয় সরকার। যখন তারা নিজের বাড়িতে ফেরে তখন তাদের জানানো হয়, তোমার পরিবারের লোকজন ‘প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠগ্রহণ’ করছে। তাদের সাথে দেখা হবে যখন তাদের শিক্ষা সমাপ্ত হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সন্তানদের সেই অপেক্ষার আর অবসান ঘটে না। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস বলেছে, বন্দীদের কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই আটকে রাখা হচ্ছে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্দীদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না। চরম নির্যাতন করা হয়।

    ২০১৬ সালে ‘মেকিং ফ্যামিলি’ নামের একটি উদ্যোগ চালু করে বেইজিং সরকার। এর মাধ্যমে উইঘুর পরিবারকে প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে পাঁচ দিনের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের অতিথি হিসেবে থাকতে দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিমদের সাথে পার্টির ‘সুসম্পর্ক সৃষ্টির’ জন্য নাকি এই উদ্যোগ। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় মুসলিম নারীদের সম্ভ্রমহানির অভিযোগ ওঠে। মানসিকভাবে শিশুদেরও নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে কমিউনিস্ট পার্টির শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। সেই সাথে শিশুদের মাতৃভাষার পরিবর্তে ম্যান্ডারিন তথা চীনা ভাষা শেখানো হচ্ছে।

    মুসলিম বিশ্বের আরেক প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব সবসময়ই উইঘুরদের ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। এমনকি ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসিসি) কোনো পরিসরেই উইঘুরদের বিষয়ে আলোচনার সুযোগ দেয়নি। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান চীন সফরে গিয়ে উল্টো সুর শুনিয়ে এসেছে। ইহুদি ঘেষা এই প্রিন্স বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ‘উগ্রবাদ প্রতিহত করা’ ও ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের অধিকার বেইজিংয়ের রয়েছে। তুরস্কের দূতাবাসে ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক আদনান খাশোগিকে খুন করিয়ে সালমান যখন বেকায়দায়, তখনই সে চীনের আনুকূল্য পেতে চেষ্টা করে ওই বক্তব্য দিয়ে। তবে সমালোচিতও হয়েছে এজন্য।

    উইঘুর মুসলিমদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ যে থেমে যাবে, এমনটি মনে হয় না। গায়ের জোরে নিপীড়ন চালিয়ে কাউকে চিরকালের জন্য দমিয়ে রাখা যায় না। উইঘুর সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি পেরহাত তুরসুন। তারই একটি কবিতার অংশ দিয়ে তাদের যন্ত্রণার উপলব্ধিটুকু বলে যাই :
    ‘ময়লাওয়ালার কুৎসিত- কর্কশ হাঁক,/ দালানের ওপর সূর্যালোকের লাবণ্য,/ কম্বল থেকে পাকিয়ে ওঠা বিছানার কড়া গন্ধ,/ একজন মানুষকে ঘাড় ধরে কবুল করতে বাধ্য করে, আহা/ নিশ্চয়ই সূর্য উঠেছে- সূর্য উঠেছে এখানে!’

    কবি তুরসুনকে সরকারি বন্দিশিবিরে নিয়ে যেতে দেখেছে এলাকার মানুষ। তিনি আর কখনো ফিরে আসেননি। কিন্তু তার বাণী রয়ে গেছে! কোনো-না-কোনো উইঘুরের বুকের ভেতরে তা নিশ্চয়ই অনুরণন তোলে। একদিন তা বাক্সময় হবেই।
    কিন্তু এসবের মধ্যেই প্রশ্ন জাগে মানবতার পক্ষে অবস্থানকারী কথিত জাতিসংঘের প্রতি। তারা আজ কোন নীরব কারনে নিশ্চুপ? মুসলিম বলে?


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28840/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    গত একবছরে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের হামলায় হতাহতের শিকার ৪৫৩১ ফিলিস্তিনী শিশু!


    যুগ যুগ ধরে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন ফিলিস্তিনী মজলুম মুসলিমরা, আর দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের এই জলুম ও নির্যাতনে সরাসরি সাহায্য করে আসছে ক্রুসেডার আমেরিকা ও তাদের মিত্র দেশগুলো।

    অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের এসকল জলুম ও নির্যাতন বৃদ্ধ আর যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে ছোট ছোট নিষ্পাপ ফিলিস্তিনী শিশুরাও রক্ষা পায়নি। দখলদারদের অমানবিক বিমান হামলায় প্রাণ দিতে হয় শত শত শিশুকেও।

    ফিলিস্তিনী শিশুদের উপর চালানো নির্যাতন ও হত্যাকান্ঠের এমনই একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন ভিত্তিক একটি সংবাদ মাধ্যম। তাদের তথ্যমতে গত ২০১৮ সালে দখলদার ইহুদী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে হতাহত হয়েছেন ৪৫৩১ জন ফিলিস্তিনী শিশু। যার মাঝে নিহত ফিলিস্তিনী শিশু সংখ্যা হচ্ছে ৫৯ এবং আহতের সংখ্যা ৩৪৭২। এছাড়াও বন্দী করে রাখা হয়েছে আরো ২০০ ফিলিস্তিনী শিশুকে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28867/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      জার্মানিতে সন্দেহভাজন দুই ভারতীয় মুশরিক গুপ্তচর গ্রেফতার!


      জার্মানিতে থাকা কাশ্মীরী মুসলিমদের নানা খবর ২০১৫ সাল থেকেই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স উইং বা ‘র’-এর হাতে তুলে দিচ্ছিল ৫০ বছর বয়সি মনমোহন নমক এক মালাউন৷ এই কাজে ২০১৭ সাল থেকে তার স্ত্রী কানওয়ালজিতও তাকে সাহায্য করতে শুরু করে৷

      এই কাজের জন্য ‘র’ তাদের ৭ হাজার দুইশ’ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) দিত বলে জানা গেছে৷

      বৃহস্পতিবার জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের আদালতে শুরু হয়েছে গ্রেফতারকৃত উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারতী দুই গুপ্তচরের বিচার প্রক্রিয়া৷ জার্মানিতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে৷

      মামলার রায় হবে ১২ ডিসেম্বর৷ দোষী প্রমাণিত হলে দশ বছর পর্যন্ত কারাবাসের শাস্তি হতে পারে ভারতীয় এই দুই গুপ্তচরের।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28873/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ছিনতাই করতে গিয়ে জনগণের কাছে ধরা পড়ল মহিলা আ’লীগ নেত্রীর ছেলে


        ছিনতাই করতে গিয়ে ধরা পড়েছে সাতক্ষীরা জেলা সন্ত্রাসী মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জোৎস্না আরার ছেলে আবরার জাহিন।

        মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দহাকুলা মোড়ে ছিনতাই করে পালানোর সময় তাকে আটক করে স্থানীয়রা।

        আটক ছিনতাইকারী জাহিনের বাবা সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া লস্করপাড়া এলাকার আবু জাফর।

        ইনসাফ২৪ থেকে জানা যায়, ধুলিহর ইউনিয়নের বয়ারবাতান এলাকার নিরঞ্জন মিস্ত্রির ছেলে সাগর মিস্ত্রি রামচন্দ্রপুর ও দহাকুলার মধ্যবর্তী স্থানে মোবাইল ফোনে ছবি দেখছিলেন। এ সময় দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে তার হাত থেকে ছো মেরে ফোনটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে জাহিন। সাগরের চিৎকারে স্থানীয়রা ব্যারিকেড দিয়ে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে তাকে আটক করে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28855/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ৫ কোটি টাকা চাঁদা না দেয়ায় মাদক মামলায় ফাঁসায় সন্ত্রাসী এসপি হারুন


          নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক পুলিশ সুপার সন্ত্রাসী হারুন অর রশীদ ৫ কোটি টাকা চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ড এর নাগরিক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল।

          সে জানিয়েছে, চাহিদামতো টাকা না দেয়ায় সাজানো ও মিথ্যা মাদকের মামলায় আমাকে ফাঁসিয়েছে সন্ত্রাসী এসপি হারুন।

          বুধবার (২০ নভেম্বর) বন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে সে এই অভিযোগ করে।

          সংবাদসম্মেলনে দুলাল বলেছে, ওই ঘটনাটি সাজানো মামলা ছিলো। প্রশাসনের জনৈক লোক আমার কাছে বিশাল অঙ্কের টাকা দাবি করেছিলো। সে আমার কাছে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছিলো। যারা আমাকে মাদক নিয়ে ধরেছিলো তারা আমাকে বলেছে উপরের নির্দেশে আমাকে ধরা হয়েছে।

          সম্প্রতি ওই কর্মকর্তার যেরকম অপরাধের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে আমার কাছে তেমন ভিডিও নাই। সেটি মিথ্যা মামলা আমার উকিলের মাধ্যমে আমি এটির বিরুদ্ধে প্রত্যাহারের আবেদন করবো। তদন্ত হলে আমি অবশ্যই নির্দোষ প্রমাণিত হবো। একথাগুলো প্রকাশ করার সুযোগ আমাকে আগে দেয়া হয় নাই।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28852/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            এমপির আত্মীয় পরিচয়ে সরকারি গাছ কাটল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা


            সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় দুই সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা। এমপির নির্দেশে জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন থেকে তারা গাছগুলো কেটে নিয়েছে।

            বুধবার সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জেহাদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে গাছ কাটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

            তিনি জানান, সরেজমিনে গিয়ে নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে।

            স্থানীয়রা জানান, রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের মৃত নজিবর রহমানের ২ ছেলে আরিফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম জোড়দিঘি-মালতিনগর আঞ্চলিক সড়কের ৩৫টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। খবরঃ বিডি প্রতিদিন

            গাছ কাটার সময় তারা নিজেদের এমপির আত্মীয় বলে পরিচয় দেয় এবং এমপির নির্দেশেই এ গাছগুলো কাটা হচ্ছে বলে জানান।

            আরিফুল, মনিরুল ও আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমের কাছে গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছে। তারা দাবি করেছে, কথিত এমপি সাহেব আমাদের আত্মীয়। সেই আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। তাই আমরা গাছগুলো কেটে নিচ্ছি।

            আরিফুল ও মনিরুল স্থানীয় ওয়ার্ড সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানিয়েছে ধুবিল ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম ভোলা।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28849/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ঠাকুরগাঁওয়ে পোস্টমাস্টারকে পেটাল সন্ত্রাসী এসআই


              ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আহসানুল হাবীব নামে এক পোস্টমাস্টারকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী এসআই সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে।

              বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার পীরগঞ্জ পোস্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারপিটে গুরুতর আহত পোস্টমাস্টার বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার শরীরের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

              মারপিটের শিকার পোস্টমাস্টার আহসানুল হাবীব শিবগঞ্জ পোস্ট অফিসে এবং অভিযোগ উঠা সন্ত্রাসী এসআই সাখাওয়াত হোসেন পীরগঞ্জ থানায় কর্মরত আছে।

              পোস্ট মাস্টার আহসানুল হাবীব জানান, সন্ধ্যায় পোস্ট অফিসের সামনে গাড়ী নিয়ে এসআই সাখাওয়াত দাড়ালে আমি সালাম দিই। গাড়ী থেকে নেমেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রকাশ্যে চড়, থাপ্পড় মারা শুরু করে।

              কিছুদিন আগে নারী ক্যালেঙ্কারির অভিযোগ উঠে ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে। তথ্য দিয়ে তাকে নারীর সাথে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম- এমন সন্দেহে আমাকে মারধর করছে বলে জানায়। অথচ এমন ঘটনার কিছুই আগে জানা ছিল না আমার।

              বক্তব্য নেয়ার জন্য এসআই সাখাওয়াতের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সম্ভব হয়নি।

              এর আগে গত ২ নভেম্বর এসআই সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে ভাড়া বাসায় নারী নিয়ে ফুর্তি করার অভিযোগ উঠেছিল। ৫ নভেম্বর এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হয় এই এসআই।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28846/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের চেয়ার ছোড়াছুড়ি, আহত ১০


                পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চম্পাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন পন্ড হয়ে গেছে। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের চেয়ার ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুরের কারণে প্রথম অধিবেশন শেষে এ সম্মেলন প্রক্রিয়া পন্ড হয়ে যায়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও মারধরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

                স্থানীয় কথিত এমপি অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানসহ উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দ্রুত সম্মেলনস্থল ত্যাগ করে।

                মঙ্গলবার বিকেলে এ হট্টগোলের ঘটনায় অন্তত ১০ জন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়নসন্ত্রাসী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল গাজী ও সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন বাচ্চু মোল্লা রক্তাক্ত জখম হয়েছে।

                বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় চম্পাপুর ইউনিয়নের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
                সুত্রঃ বিডি প্রতিদিন


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2019/11/21/28843/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  চীনের উপর সব ধরণের আক্রমণ করা সময়ের দাবী। উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন করে করে শেষ করে দিচ্ছে! চীনা পণ্যগুলো আমরা বর্জন করতে পারি, করতে পারি ইন্ডিয়ান পণ্য বর্জন। যারাই মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত তাদের পণ্য বর্জন করে বিকল্প পথ খুজা মুসলিমদের উপর কর্তব্য।
                  আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                  আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    ইয়া আল্লাহ! মাজলুম উইঘুর মুসলিমদেরকে হিফাযত করুন। তাদেরকে ঈমানের উপর অটল-অবিচল থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন
                    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                    Comment

                    Working...
                    X