দিল্লিতে বিজেপি গুণ্ডার উসকানিতে, মুসলিমদের উপর হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলা নিহত ৩,আহত ৫০
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনকারী হিন্দু সন্ত্রাসীরা, সিএএ বিরোধিদের উপর দিল্লির উত্তরপূর্বের মৌজপুরে সোমবারে হামলা চালিয়েছে। এই সংঘর্ষের জেরে যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ভজনপুর ও চান্দ বাগ এলাকাতেও। দিনভর এসব সহিংসতায় অন্তত ৩ জন নিহত ও অপর প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটলো। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, এসব সহিংসতার নেপথ্যে উসকানি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।
বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করে দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই দিন সাড়ে চারটা নাগাদ হিন্দু সন্ত্রাসীরা পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।
২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই ভিডিওতে তাকে দিল্লির উত্তরপূর্ব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভেদ প্রকাশকে পাশে নিয়ে সিএএ বিরোধিতাকারীদের হুমকি দিতে দেখা যায়। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তার সমর্থকেরা শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আর তারপর তারা দিল্লি পুলিশের কথাও শুনবে না এবং সিএএ বিরোধিতাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে।
রবিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে ওই অঞ্চলের রাস্তায় ট্রাক থেকে ইট নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। এসব ট্রাকের আশেপাশে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সোমবার জাফরাবাদ ও মৌজপুরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন সকালে সিএএ সমর্থকদের মৌজপুর চকে লাউডস্পিকারে গান বাজাতে দেখা যায়। এসব গানের মধ্যে ছিলো ‘যারা আজাদি (স্বাধীনতা) চায়, তাদের পাকিস্তানে পাঠানো উচিত’, ‘হিন্দুরা ভারতের গর্ব, গেরুয়াধারীরা আসবে, ভারত মাতার ডাকে রক্তের রঙে সাজবে গুলি’।
মৌজপুর ও জাফরাবাদের আশেপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তবে মৌজপুর চকে উসকানিমূলক গান বাজানো হতে থাকলেও তা থামাতে পুলিশের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তবে এর দুই ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে সিএএ সমর্থকেরা জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। আর জাফরাবাদ থেকে সিএএ বিরোধীরা মৌজপুর চকের দিকে রওনা দেয়। জাফরাবাদ ও মৌজপুর এলাকায় শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে আশেপাশের এলাকাতেও হিন্দু সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ৫৫ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে ভারত। সংশোধিত আইনে প্রতিবেশি তিন দেশ (বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) থেকে যাওয়া মুসলিম ব্যতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হিন্দু সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকারের প্রণীত এই আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়। এসব বিক্ষোভে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় সোমবারের আগেই নিহত হয় অন্তত ২৫ জন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33492/
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনকারী হিন্দু সন্ত্রাসীরা, সিএএ বিরোধিদের উপর দিল্লির উত্তরপূর্বের মৌজপুরে সোমবারে হামলা চালিয়েছে। এই সংঘর্ষের জেরে যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ভজনপুর ও চান্দ বাগ এলাকাতেও। দিনভর এসব সহিংসতায় অন্তত ৩ জন নিহত ও অপর প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটলো। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, এসব সহিংসতার নেপথ্যে উসকানি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।
বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করে দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই দিন সাড়ে চারটা নাগাদ হিন্দু সন্ত্রাসীরা পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।
২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই ভিডিওতে তাকে দিল্লির উত্তরপূর্ব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভেদ প্রকাশকে পাশে নিয়ে সিএএ বিরোধিতাকারীদের হুমকি দিতে দেখা যায়। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তার সমর্থকেরা শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আর তারপর তারা দিল্লি পুলিশের কথাও শুনবে না এবং সিএএ বিরোধিতাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে।
রবিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে ওই অঞ্চলের রাস্তায় ট্রাক থেকে ইট নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। এসব ট্রাকের আশেপাশে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সোমবার জাফরাবাদ ও মৌজপুরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন সকালে সিএএ সমর্থকদের মৌজপুর চকে লাউডস্পিকারে গান বাজাতে দেখা যায়। এসব গানের মধ্যে ছিলো ‘যারা আজাদি (স্বাধীনতা) চায়, তাদের পাকিস্তানে পাঠানো উচিত’, ‘হিন্দুরা ভারতের গর্ব, গেরুয়াধারীরা আসবে, ভারত মাতার ডাকে রক্তের রঙে সাজবে গুলি’।
মৌজপুর ও জাফরাবাদের আশেপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তবে মৌজপুর চকে উসকানিমূলক গান বাজানো হতে থাকলেও তা থামাতে পুলিশের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তবে এর দুই ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে সিএএ সমর্থকেরা জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। আর জাফরাবাদ থেকে সিএএ বিরোধীরা মৌজপুর চকের দিকে রওনা দেয়। জাফরাবাদ ও মৌজপুর এলাকায় শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে আশেপাশের এলাকাতেও হিন্দু সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ৫৫ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে ভারত। সংশোধিত আইনে প্রতিবেশি তিন দেশ (বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) থেকে যাওয়া মুসলিম ব্যতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হিন্দু সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকারের প্রণীত এই আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়। এসব বিক্ষোভে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় সোমবারের আগেই নিহত হয় অন্তত ২৫ জন।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33492/
Comment