Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ৩০শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ৩০শে জমাদিউস-সানি ১৪৪১ হিজরী # ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ঈসায়ী।

    দিল্লিতে বিজেপি গুণ্ডার উসকানিতে, মুসলিমদের উপর হিন্দু সন্ত্রাসীদের হামলা নিহত ৩,আহত ৫০



    সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনকারী হিন্দু সন্ত্রাসীরা, সিএএ বিরোধিদের উপর দিল্লির উত্তরপূর্বের মৌজপুরে সোমবারে হামলা চালিয়েছে। এই সংঘর্ষের জেরে যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের ভজনপুর ও চান্দ বাগ এলাকাতেও। দিনভর এসব সহিংসতায় অন্তত ৩ জন নিহত ও অপর প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। এনিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ওই এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটলো। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির এক বিশ্লেষণে দেখানো হয়েছে, এসব সহিংসতার নেপথ্যে উসকানি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।



    বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করে দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই দিন সাড়ে চারটা নাগাদ হিন্দু সন্ত্রাসীরা পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে।



    ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই ভিডিওতে তাকে দিল্লির উত্তরপূর্ব পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ভেদ প্রকাশকে পাশে নিয়ে সিএএ বিরোধিতাকারীদের হুমকি দিতে দেখা যায়। ওই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তার সমর্থকেরা শুধুমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে আর তারপর তারা দিল্লি পুলিশের কথাও শুনবে না এবং সিএএ বিরোধিতাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাস্তা পরিষ্কার করে দেবে।

    রবিবার রাতে ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে ওই অঞ্চলের রাস্তায় ট্রাক থেকে ইট নামিয়ে রাখতে দেখা গেছে। এসব ট্রাকের আশেপাশে জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায়।

    সোমবার জাফরাবাদ ও মৌজপুরে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ শুরু হয়। এদিন সকালে সিএএ সমর্থকদের মৌজপুর চকে লাউডস্পিকারে গান বাজাতে দেখা যায়। এসব গানের মধ্যে ছিলো ‘যারা আজাদি (স্বাধীনতা) চায়, তাদের পাকিস্তানে পাঠানো উচিত’, ‘হিন্দুরা ভারতের গর্ব, গেরুয়াধারীরা আসবে, ভারত মাতার ডাকে রক্তের রঙে সাজবে গুলি’।




    মৌজপুর ও জাফরাবাদের আশেপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। তবে মৌজপুর চকে উসকানিমূলক গান বাজানো হতে থাকলেও তা থামাতে পুলিশের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

    তবে এর দুই ঘণ্টা পর বেলা দুইটার দিকে সিএএ সমর্থকেরা জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। আর জাফরাবাদ থেকে সিএএ বিরোধীরা মৌজপুর চকের দিকে রওনা দেয়। জাফরাবাদ ও মৌজপুর এলাকায় শুরু হওয়া সংঘর্ষ পরে আশেপাশের এলাকাতেও হিন্দু সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে।
    উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ৫৫ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে ভারত। সংশোধিত আইনে প্রতিবেশি তিন দেশ (বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) থেকে যাওয়া মুসলিম ব্যতিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হিন্দু সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকারের প্রণীত এই আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও ভারতীয় সংবিধান পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়। এসব বিক্ষোভে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় সোমবারের আগেই নিহত হয় অন্তত ২৫ জন।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33492/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনেরর জেরে উত্তাল দিল্লি, হিন্দুত্ববাদী মালাউনদের হামলায় নিহত ৭, আহত ১০৫, ১৪৪ ধারা জারি!



    ভারতের দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সমর্থকদের উপর হিন্দুত্ববাদী মালাউনদের হামলার মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির ব্রহ্মপুর এলাকা। ভারতের জাতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী দুপুর ১:০০টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে ভারতীয় মালাউনদের হামলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ১০৫ জন।

    জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবারপুর, গোকুলপুরি, শিব বিহার ও জোহরি এনক্লেভ মেট্রো স্টেশনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সেখানে কোনও ট্রেন দাঁড়াবে না। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি হয়েছে।

    এছাড়া দিল্লির আরও ১০ জায়াগায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

    এ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে “এবিপি” নিউজ ।

    এদিকে আজ দিল্লির নব নিযুক্ত হিন্দুত্ববাদী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল আরেক হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসে আন্দোলনকারীদের ভয় ও হুমকি দিয়ে জানিয়ে দিল যে, আন্দোলন থেকে বিরত না থাকলে সেনাবাহিনীকেও নামানো হবে।









    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33525/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদীদের চলমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭, আহত শতাধিক



      ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের উপর হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সে ভয়াবহ সহিংসতায় সাত জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬ বেসামরিক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ১০৫ জন আহত হয়েছেন।

      বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রোস্টেশনে একই ধরনের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। ওই দিন সাড়ে ৪টা নাগাদ উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পরস্পরের দিকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।




      মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি সহিংসতার জন্য নাম না করে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে অভিযুক্ত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সাবেক বিধায়ক এবং এক বিজেপি নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্যই এদিনের দাঙ্গার জন্য দায়ী। এখন তো পুলিশের যুক্ত থাকার প্রমাণও স্পষ্ট। সাবেক ওই বিধায়ককে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। সহিংসতা রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে, নইলে এটা আরও ছড়িয়ে পড়বে।’

      গত (শনিবার) রাত থেকে ‘সিএএ’-এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহীন বাগের আদলে বিক্ষোভ চলছে দিল্লির জাফরাবাদে। কয়েকশ’ মুসলিম নারী জড়ো হন সেখানে। তা নিয়ে রোববার পুলিশকে হুমকি দিয়েছিলেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। তিন দিনের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের না হঠালে তাঁরাও পাল্টা রাস্তায় নামবেন বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

      ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার দুপুরে দিল্লির গোকুলপুরি, ভজনপুরা এলাকায় বিক্ষোভ হয়। এসময় ‘সিএএ’-এর সমর্থনে একদল মানুষ সেখানে এসে হাজির হয় বলে অভিযোগ।

      গণমাধ্যমের বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে ‘সিএএ বিরোধী’ মিছিলের সামনে হাজির হয় ওই দলটি। এতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সড়কের উপরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

      সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, এমপি, শাসক দলের নেতৃত্বের ঘৃণ্য বক্তব্য এবং ‘গোলি মারো’ বলে হিংসায় প্ররোচনার কারণেই দিল্লিতে আইনশৃঙ্খলার এই পরিণতি আমরা দেখলাম।’

      এই ঘটনার দায় সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর বর্তায়, কারণ সরকার মানুষের ক্ষোভ নিরসনে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।’

      গতকাল সোমবার দিনভর সহিংসতার পরে রাতে দিল্লির উত্তর-পূর্ব জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের অবস্থা ছিল ভীতিকর। এসময় তাণ্ডবকারীরা দোকানের শাটার ভেঙে জিনিসপত্র বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাতে এ ধরণের বহু ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হামলাকারীরা গণমাধ্যম তো দূরের কথা, এমনকি সাধারণ ব্যক্তিকেও মোবাইল থেকে কোনও কিছু রেকর্ড করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, তারা আশেপাশে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জাফরাবাদ, মৌজপুর, চাঁদবাগ, ভজনপুরা, করওয়াল নগর, জোহরপুর প্রভৃতি স্থানে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বেশকিছু যানবাহন লাঠিডাণ্ডা নিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

      গণমাধ্যমের একটি সূত্র বলছে, রোববার বিকেল থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সহিংসতার জেরে জাফরাবাদ অঞ্চলের বহু মুসলিম পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে মহল্লা ছেড়েছেন। জাফরাবাদ, মৌজপুর, বাবরপুর, সিলমপুরের অনেকে বাড়ির সামনে ‘গেরুয়া পতাকা’ ঝুলিয়ে দিয়েছেন, যাতে হামলা না হয়।

      আজ (মঙ্গলবার) এনসিপি নেতা নবাব মালিক বলেছেন, ২/৩ মাস ধরে সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে বিক্ষোভ হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে, এজন্য সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকার পক্ষের লোকেরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন, গুলি মারার কথা বলছেন। কপিল মিশ্র (বিজেপি নেতা) বলেন, ট্রাম্পের ছাড়ার পরে এ নিয়ে নিষ্পত্তি হবে।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33508/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        স্কুল থেকে ফেরার পথে সন্ত্রাসী ইসরায়েলি পুলিশের গুলিতে চোখ হারাল ফিলিস্তিনি শিশু



        স্কুল থেকে ফেরার পথে আট বছরের ফিলিস্তিনি কন্যা শিশু মালিক ইসাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে একজন ইসরায়েলি পুলিশ-এতে শিশুটি বাম চোখে মারাত্মক আঘাত পেয়েছে। গত সপ্তাহের শেষে ফিলিস্তিনি রাজধানী অধিকৃত জেরুসালেমের আল-ইসাওয়াইয়া শহরে এই ঘটনা ঘটে।

        ঘটনার পরপরই আক্রান্ত শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় এবং চিকিৎসক তার চক্ষু উপড়ে ফেলার নির্দেশ দেন।

        القدس.. رصاصة إسرائيلية تغيّر مجرى حياة الطفل الفلسطيني "مالك" (تقرير)

        ফিলিস্তিনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল কুদস জানায়, ঘটনার পর থেকে এই পর্যন্ত ইসরায়েলি পুলিশের তরফ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। বিনা কারণে স্কুল থেকে ফেরার পথে শিশুটির ওপর কেন রাবার বুলেট ছোড়া হল- এবিষয়ে কারও নিকটই পরিস্কার ধারণা নেই।

        বেসরকারি একটি ইনফরমেশন সেন্টারকে মালিক ইসার পিতা বলেন, এই ঘটনায় আমরা ভেঙে পড়েছি। ডাক্তার মালিকের বাম চোখ উপড়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এটা ছাড়া আমাদের সামনে ভিন্ন কোন উপায় নেই। চোখটি ফুলে গেছে, এর ভিতরে মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন, চক্ষু উপড়ে ফেলা না হলে আরও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটার আশঙ্কা রয়েছে- যে সমস্যা মস্তিষ্ক পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

        তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদুলু আরবির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিশুটির ডান চোখও আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। মস্তিষ্কে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সেটাও উপড়ানো লাগতে পারে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তবে মালিক ইসার পিতা চিকিৎসককে অনুরোধ করেছেন যেভাবেই হোক অন্তত তার একটি চোখ ভাল করার চেষ্টা করার, যাতে সে পৃথিবীর আলো থেকে বঞ্চিত না হয়।

        কিন্তু তার এই অনুরোধ চিকিৎসক রাখতে পারবেননা বলে তিনি আশঙ্কাবোধ করছেন। দৃষ্টি হারানোর ভয়ে শিশু মালিক ইসা শুক্রবার সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছেন বলেও তার পিতা জানান।

        হামলার সময় মালিকের সঙ্গে তার অন্যান্য বোনেরাও ছিল। অল্পের জন্য তারা রক্ষা পেয়েছে ঠিকই, তবে তাদের সকলেই মারাত্মক মানসিক আক্রান্তের শিকার হয়েছে। তাদেরও চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। আসলে এই হামলা আমাদের পুরো পরিবারকে মানসিকভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বলছিলেন ইসা মালিকের পিতা।

        প্রসঙ্গত, বিগত দুই বছর যাবত ইসরায়েলি পুলিশ কতৃক ধারাবাহিক হামলার নানা অভিযোগ করে আসছেন আল-ইসাওয়াইয়া শহরের বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দেয়া, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও পুরুষদের বিনা অপরাধে গ্রেফতারসহ ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করে চলছে প্রতিনিয়ত। এবং দখলদারদের হামলার শিকার হয়ে অনেক ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলেও জানান তারা।

        আল-ইসাওয়াইয়ার জনসংখ্যা আনুমানিক ত্রিশ হাজারের অধিক। শহরটি অধিকৃত জেরুসালেমের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ শহর হিসাবে বিবেচিত হয়।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33504/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          যৌতুক না দেয়ায় স্ত্রীর শরীরে গরম ডাল ঢেলে দিলো পাষণ্ড স্বামী



          যৌতুকের টাকার জন্য গরম ডাল ঢেলে ঝলসে দেওয়া হলো লাভলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে । ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সন্ধ্যায় লাঙ্গুলিয়া গ্রামে।
          পরিবারের সদস্য ও থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের পরিবহন শ্রমিক বাবুল সরকারের সাথে বন্দগোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে লাভলী আক্তারকে ২০ বছর আগে বিয়ে হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য চাপ দিত স্ত্রী লাভলী আক্তারকে। এ নিয়ে সংসার জীবনে তাদের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। তাদের রয়েছে তিন সন্তান। সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করে স্ত্রী লাভলী আক্তার তার স্বামীকে ৫ লাখ টাকা এনে দেয়। এতেও খুশি না হয়ে বিভিন্ন সময় আরও টাকার জন্য চাপ অব্যাহত রাখে বাবুল সরকার। পরে দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করে লাভলী আক্তার।
          রোববার সন্ধ্যায় রান্না করার সময় এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায় স্বামী বাবুল সরকার চুলার ওপর থেকে গরম ডাল ঢেলে দেয় স্ত্রী লাভলী আক্তারের শরীরে। এতে তার মুখ, গলা, কান ও বুক ঝলসে যায়। গুরুতর অবস্থায় ওইদিনই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা ।
          আয়নাল হক বলেন, তার ভগ্নিপতি বাবুল সরকার মাদকে আসক্ত। নেশার টাকার জন্যই তার বোনকে মারধর করতো। মারধরের কারণে বিভিন্ন সময় শোধে প্রায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয় বাবুল সরকারকে। ঘটনার দিন টাকার জন্যই তার বোনের শরীরে চুলার ওপর থেকে গরম ডাল ঢেলে দেওয়া হয়।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33501/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            দুই আ’লীগ নেতার বাসা থেকে ২৬ কোটি টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার জব্দ



            রাজধানীর পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়ার বাসার ৫টি সিন্দুক থেকে নগদ ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা পাওয়া গেছে।



            মঙ্গলবার দুপুরে র*্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল রকিবুল হাসান সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, ওই বাসা থেকে সোয়া পাঁচ কোটি টাকার এফডিআরের বই, এক কেজি সোনা, ৯ হাজার ২০০ ইউএস ডলার, ১৭৪ মালয়েশিয়ান রিংগিত, ৩৫০ ভারতীয় রুপি, ১ হাজার ৫৯৫ চায়নিজ ইয়েন, ১১ হাজার ৫৬০ থাই বাথ ও ১০০ দিরহাম জব্দ করা হয়েছে।



            পুরান ঢাকার ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত র*্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়জুল ইসালাম জানান, ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত দুই ভাইয়ের ঢাকায় বহু ফ্ল্যাট-বাড়ি রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁরা ২৪টি বাড়ির খোঁজ পেয়েছেন। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে তাঁরা পুরান ঢাকার এ বাড়ির খোঁজ পান। এর পরপরই এখানে অভিযান চালিয়ে এসব সম্পদ জব্দ করা হয়।

            গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র*্যাব। সেখান থেকে চারটি ভল্ট ভেঙে নগদ এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও ৭৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করা হয়েছিল।

            গত ছয় থেকে সাত বছরে তারা পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজন জানান, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। আর নেশা হলো বাড়ি কেনা।

            গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র*্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।

            এদিকে টাকা দিয়ে ২০১৮ সালে এনামুল পান গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আর রূপন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নেন বলে অভিযোগ আছে। এছাড়াও তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্য, ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ১৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে পদ পান।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33507/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              মামলার ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি সন্ত্রাসী পুলিশের



              মামলার ভয় দেখিয়ে বরিশালগামী মানামী লঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয় মো. খবির উদ্দিন গাজী নামের এক যাত্রীকে। তাকে মারধর করে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে তার সঙ্গে রক্ষিত নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং তার এটিএম কার্ডের মাধ্যমে দুই দফায় আরও ২৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর একটি অন্ধকার গলিতে তাকে ছেড়ে দিয়ে কেটে পড়ে লুটেরার দল। আর সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন লালবাগ থানার সন্ত্রাসী এএসআই সাজ্জাদ হোসেন মামুন এবং তার অনুগত পাঁচ সোর্স।

              আমাদের সময় বরাতে জানা যায় লালবাগ থানার এএসআই সাজ্জাদ হোসেন মামুন ছাড়াও তার আরও তিন সোর্স হিসেবে মো. মাইনুল ইসলাম বাবু, মো. রাকিব হোসেন ও আসলাম তার কাছ থেকে টাকা লুট করে। বাদী বলেছেন, আর দুই সোর্সকে তিনি চেনেননি। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বরিশালগামী মানামী লঞ্চে এ কা-ের সূত্রপাত বলে জানান খবির। তাকে ঘটনার দিন রাতে মানামী লঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে দুটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি ক্যামেরা)।

              তবে সেই লুটের পর ১৪ দিনেও কাউকে আটক না করায় ক্ষুব্ধ খবির উদ্দিন গতকাল রবিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে।

              এএসআইয়ের পোশাকে নামযুক্ত কোনো ব্যাজ ছিল না। সাজ্জাদ আমাকে বলেন, আপনার নাম খবির উদ্দিন গাজী? মাথা নাড়তেই বলেন, আপনার নামে মামলা আছে, স্যার নিচে অপেক্ষা করছে। এই বলে দুজন আমাকে লঞ্চ থেকে নামিয়ে রাস্তায় অপেক্ষমাণ দুটি মোটরসাইকেলের একটিতে তুলে দেন। গাড়ি দুটো বুড়িগঙ্গার পশ্চিম পাড় দিয়ে এগোতে থাকে। অন্য মোটরসাইকেলটি ছিল আমাদের পেছনে। আমি ভয়ে চেঁচামেচি করলে তারা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। সন্ত্রাসী এএসআই সাজ্জাদ আমার মুখে ঘুষি মারে।

              পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে গিয়ে মাদক দিয়ে চালান করাসহ জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তারা আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর আগেই আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। পরে আসলাম আমার এটিএম কার্ড থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের একটি ব্র্যাাক ব্যাংকের বুথে ঢুকে প্রথমে ৫ হাজার পরে ২০ হাজার টাকা তুলে নেন। এর পর তারা একটি অন্ধকার গলিতে নিয়ে গেলে আমি ভয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করি। এ সময় তারা আমাকে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33511/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                সীমান্ত হত্যা ও প্রতিবেশীর বন্ধুত্ব!



                বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন খুবই চমৎকার বলে মনে করা হয়। ১৯৭১ পরবর্তী ফারাক্কা বাঁধ, সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা এবং চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারতীয় সাহায্যসহ বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বেশ উষ্ণ বলেই প্রচার রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা ততটা সুখকর না। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা এই দাবির যৌক্তিকতাকে অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ করে।

                সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার প্রবণতা অনেক বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় সরকারের মাথাব্যথা না থাকলেও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারত সম্পর্কে বিরূপ ধারণা ক্রমেই বাড়ছে। সীমান্তে চোরাচালান ও বাংলাদেশ থেকে কথিত অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ভারতীয় সন্ত্রাসী সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিতর্কিত ‘শ্যুট-অন-সাইট’ নীতি দীর্ঘ দিন থেকেই অনুসরণ করে আসছে। ফলে সন্ত্রাসী বিএসএফকে কারণে-অকারণে বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের সাথে যোগাযোগ, হাট-বাজারে কেনাকাটার জন্য অনেক মানুষের সীমান্ত পারাপার জরুরি হয়ে পড়ে। এ ছাড়াও সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে কৃষিজমিতে কৃষিকাজ বা নদীতে মাছ ধরার জন্যও অনেক মানুষকে সীমান্ত পেরুতে হয়। এসব ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ হিসেবেই দেখা হয় সীমান্ত এলাকায়। এমতাবস্থায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের ‘দেখামাত্র গুলি’র ক্ষমতা চর্চা বন্ধুত্বের সম্পর্কের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

                স্বাধীনতার পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সবসময়ই অশান্ত ছিল এবং এখনো রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশী হত্যার অভিযোগ রয়েছে সন্ত্রাসী বিএসএফের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিবর্ষণের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি বিএসএফ সন্দেহভাজনদের আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শন, নির্দয়ভাবে প্রহার এবং নির্যাতন করে আসছে। বিগত ১০ বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভারতীয় সন্ত্রাসী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই বাংলাদেশী। অনেক ক্ষেত্রে নিরস্ত্র এবং অসহায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ডের স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় সন্ত্রাসী সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে।

                দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বরাবরই এসব হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে আসছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সাবেক প্রধান রমণ শ্রীবাস্তবের মন্তব্য খুবই দুঃখজনক। তার ভাষায়, “কোনো মানুষের উচিত নয় এই শিকারগ্রস্তদের জন্য দুঃখ করা। তিনি দাবি করেন, যেহেতু এসব ব্যক্তি প্রায়ই রাতে, অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছিল, তাই তারা মোটেই ‘নির্দোষ’ ছিল না।” তার বক্তব্য সত্য হলেও বিনাবিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বরং তা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।

                মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর দেয়া তথ্যানুযায়ী ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক হাজার ৬৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৪২ জন বাংলাদেশীকে। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩১২ বার হামলা চালানো হয়। এতে ১২৪ জন বাংলাদেশী নিহত হন। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১ জন, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩ জন, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩ জন, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হন। ভারত প্রতিনিয়তই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। আর গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটেছে ২০১৯ সালে।

                বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিটি সম্মেলন বা বৈঠকেই সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনা বা বন্ধ করা নিয়েও আলোচনা এবং ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে উভয় পক্ষই দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছে। সম্প্রতি দিল্লি সফর শেষে ঢাকায় ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে হত্যা নিয়ে বলেছেন, বিএসএফ মহাপরিচালক তাকে আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি দৃশ্যমান নয়। বিজিবি মহাপরিচালকের দাবি মতে, ২০১৯ সালে সীমান্তে ৩৫ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। বিএসএফের হিসাবে এই সংখ্যা আরো কম। আর সরকারি হিসাবে ২০১৮ সালে সীমান্তে তিনজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। ২০১৭ সালে ১৭ জন। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরো বেশি। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে ২০১৯ সালে সীমান্তে ৪৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুলিতে ৩৭ জন এবং নির্যাতনে ছয়জন। আহত হয়েছেন ৪৮ জন। অপহৃত হয়েছেন ৩৪ জন। ২০১৮ সালে নিহত হয়েছেন ১৪ জন। আর ২০১৭ সালে ২৪ জন। সরকারি হিসাব ধরলে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সীমান্ত হত্যা বেড়েছে ১২ গুণ। আর বেসরকারি হিসাবে আরো বেশি। যা রীতিমতো উদ্বেগজনকই বলতে হবে।

                বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি যে খুবই উদ্বেগজনক তা ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠনের বক্তব্য থেকেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গভিত্তিক ভারতীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’-এর প্রধান কীরিটি রায়ের বক্তব্য হলো, ‘আগে সসন্ত্রাসী বিএসএফ বলত আমাদের ওপর আক্রমণ করতে এলে আমরা আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছি। লাশ ফেরত দিত। এখন আর তাও বলে না। গুলি করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়।’ তার ভাষায়, ‘ভারত তো একটা হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তারা তো সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে না। সীমান্তে মুসলমানদের মারছে। আর ঠেলে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। আমরা প্রতিটি ঘটনার প্রতিবাদ করছি। কিন্তু বাংলাদেশের দিক থেকে শক্ত কোন প্রতিবাদ দেখতে পাচ্ছি না। মেরে দিচ্ছে কোনো বিচার নেই।’

                বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলেই মনে হয়। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন থেকে সে চিত্রই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে। জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুসারে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিএসএফ হত্যা করেছে ৩৫ জনকে। এ সময় বিএসএফ ২২ বাংলাদেশীকে গুলি ও নির্যাতন করে আহত করেছে আর অপহরণ করেছে ৫৮ জনকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে ভারতীয়রা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তিন বাংলাদেশীকে জোর-জবরদস্তি অপহরণ করে নিয়ে গেছে।

                বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মোট ২৭ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্যরা। ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশীকে। আহত হয়েছেন ৬৮ জন। এ ছাড়া বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে ৫৯ জনকে। তিন বছরে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যায় ২০১৫ সাল শীর্ষে অবস্থান করছে। ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫ জন বাংলাদেশীকে। নয়া দিগন্তের রিপোর্ট।

                চলতি বছরের শুরুতেই নিহতের সংখ্যা ১০ জনে পৌঁছে গেছে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৩। যুদ্ধাবস্থা ছাড়া বন্ধুভাবাপন্ন দুই দেশের সীমান্তে এ রকম প্রাণহানি অস্বাভাবিক, অমানবিক। বিভিন্ন সময় ভারতীয় শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার নীতিতে কাজ করা হবে। সীমান্ত হত্যা রোধে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র দেয়া হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। বিএসএফের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয় যে, বিএসএফ সদস্যরা সাধারণ নাগরিকের ওপর গুলি ছোড়ে না। অস্ত্রধারী চোরাকারবারিরা দল বেঁধে জোয়ানদের ওপর আক্রমণ করে, তখন তারা আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণে বাধ্য হয়। কিন্তু এ যুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

                যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তারা সশস্ত্র আক্রমণকারী এ কথা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আর সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবার নিয়ে সীমান্তের উভয় পাড়েই রয়েছে অসাধু বাণিজ্যের বিস্তার। কিন্তু প্রতিটি ঘটনাতেই নিরস্ত্র বাংলাদেশীরা শুধু নিহত হচ্ছেন। পার পেয়ে যাচ্ছে ওপারের সন্ত্রাসীরা। দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা এবং এ সম্পর্কিত চুক্তি অনুযায়ী যদি কোনো দেশের নাগরিক অননুমোদিতভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে, তবে তা অনুপ্রবেশ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কথা এবং সেই মোতাবেক ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের নিয়ম রয়েছে। যেখানে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, মানুষ পাচার এবং চোরাচালান বন্ধে যৌথ উদ্যোগ ও দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা ও আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দুই দেশ কাজ করছে, সেখানে সীমান্তে গুলি-হত্যা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। সীমান্তে যেকোনো অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিদ্যমান আইনে বিচার হবে এবং এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হওয়া উচিত।

                সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘সীমান্তে হত্যা নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফের বৈঠকেও সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গতি গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করা হয়েছে।’

                মুখে এসব কথা বললেও এ ক্ষেত্রে তারা তেমন সাফল্য দেখাতে পারছে না বরং সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সার্বিক পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। এর দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33516/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  কৃষি বিভাগের উদাসীনতায় সার কিনে ঠকছেন কৃষকেরা



                  কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে প্রতি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি ইউরিয়া সার কম থাকার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ এসব বাজারে সরকারি মূল্যের চেয়েও বেশি দামে ইউরিয়া সার বিক্রির খবর পাওয়া গেছে।

                  খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা ডিলারদের কাছে বস্তা কিনে বিক্রি করি। ওজনে কম থাকলেও আমাদের কিছু করার নেই। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা প্রতারিত হওয়ায় তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

                  উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে উফসী ১৪ হাজার ৭২৭ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ১০৮ হেক্টরসহ ২০ হাজার ৩১১ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এসব জমিতে ফসল উৎপাদনে সারের চাহিদা মেটাতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৬ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন। এসব সারের চাহিদা মেটাতে উপজেলার ১৪ জন বিসিআইসির ডিলারের মাধ্যমে গত জানুয়ারি মাসে ৯৮১ মেট্রিক টন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১ হাজার ৫০১ টন ইউরিয়া সার উত্তোলন করা হয়েছে।

                  কিন্তু এসব ডিলার ইউনিয়ন পর্যায়ে সার বিক্রির বিধিবিধান থাকলেও তা না করে উপজেলা সদরেই বিক্রি করে থাকেন। ফলে এ পরিস্থিতিতে গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষি বিভাগের উদাসীনতার কারণে প্রতিবছর সার কিনে প্রতারিত হতে হচ্ছে কৃষকদের।

                  তবে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং না থাকায় ইউরিয়া সার কিনতে গিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের দাবি, কোথায় সমস্যা তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা ন্যায্য মূল্য দিয়ে সার কিনে কেন প্রতারিত হবো।

                  কৃষক মজিবর রহমান, বাদশা মিয়া, আব্দুস ছামাদসহ অনেকে জানান, ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সার কিনে বাড়িতে আনলে দেখা যায় বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি সার নেই।

                  কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে জানা যায়, উপজেলার বাকরেরহাট, চৌমহনী বাজার, অনন্তপুর, বজরা, তবকপুরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে বস্তায় ইউরিয়া সার কম দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।

                  খুচরা সার ব্যবসায়ী আতাউর রহমান জানান, প্রতি বস্তায় ৩ থেকে ৪ কেজি সার কম থাকে। বস্তা খুলে কেজি হিসেবে বিক্রি করি তাতে লাভ হয় না।

                  বিসিআইসির পরিবেশক আব্দুল মালেক বলেন, আমাকেও কয়েকজন ক্রেতা বস্তায় কম থাকার অভিযোগ দিয়েছেন। বাফার গুদাম থেকে আমাদের সার মেপে দেওয়া হয় না। ফলে সেখান থেকেই বস্তায় সার কম আসতে পারে।

                  উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম বাফারের গুদামে বস্তা পরে থাকার কারণে কম হতে পারে স্বীকার করে বলেন, গতকাল রবিবার শহরের বিসিআইসির একজন ডিলারের দোকানে গিয়ে ৪০০ গ্রাম সার বস্তায় কম পাওয়া গেছে।


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33519/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ছাত্রীর মৃত্যুর মামলা নেয়নি সন্ত্রাসী পুলিশ



                    মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্কুলছাত্রী সিনথিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নেয়নি সন্ত্রাসী পুলিশ। অভিভাবকদের ভাষ্য, সিনথিয়ার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার পরও পুলিশ তা সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেনি। এর সঙ্গে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর স্বজনরা।

                    সিনথিয়া ভাগ্যকূল ইউনিয়নের ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পরিবারের ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার সে বিদ্যালয়ের পাশে চাচাতো মামা সাকিবের সঙ্গে কথা বলছিল। ওই সময় স্থানীয় খোকা মোড়লের ছেলে রাকিব, তার সহযোগী জুবায়েদ, সিফাত, লিয়নসহ কয়েকজন সিনথিয়া ও সাকিবের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তুলে মারধর করে। খবরঃ কালের কন্ঠ

                    পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাত্ হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে সিনথিয়াকে বিদ্যালয়ের ছাড়পত্র (টিসি) দিতে প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেন। এতে ওই ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সেখানে থেকে বাড়ি ফিরে আত্মহত্যা করে সিনথিয়া।

                    ছাত্রীর বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘চেয়ারম্যান বখাটেদের পক্ষ নিয়েছে। তিনি থানা পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছেন। এই কারণে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। চেয়ারম্যান ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও ভিন্ন খাতে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন।’


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/25/33522/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                      Comment

                      Working...
                      X