Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ১১ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ১১ই শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ০৫ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ৬ নারী ও ৫৪ শিশু*সহ ২৫০ জন ফিলিস্তিনি গ্রেফতার



    সারা বিশ্ব এখন ‘করোনা ভাইরাস’ আতঙ্কে আতঙ্কিত। এমনকি ইসরায়েলেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আর এই করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। গত মার্চ মাস ছিল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের হট-টাইম। আর এই মার্চ মাসেই দখলদার সেনাবাহিনী দখল করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিতে অধিক আগ্রাসন ও গ্রেফতার চালিয়েছে। গত ৩ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিডলইস্ট মনিটর জানিয়েছে, মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৪ নারী-শিশুসহ ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে।

    গত বৃহস্পতিবার(২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের “প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” জানিয়েছে যে, মার্চ মাসে দখলদার বাহিনী ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের মধ্যে ৫৪ জন শিশু এবং ৬ জন মহিলা রয়েছে।

    গত মাসে দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে ৮ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। যাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন ব্যবসায়ী, যারা এরিজ এলাকা পারাপারের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং গাজা উপত্যকার পূর্ব সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আরও ৫ জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিনি মহিলাদের এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের টার্গেট করে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের বেশিরভাগই অধিকৃত জেরুজালেমের বাসিন্দা।

    ফিলিস্তিনের প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজের মুখপাত্র ও গবেষক রিয়াদ আল-আশকার নিশ্চিত করেছেন যে, বিশ্বের এই ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের অব্যাহত গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনিদের জীবনকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করে তুলছে যা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে ।

    দখলদার জায়নবাদী কর্তৃপক্ষ কিছু বন্দীদের মুক্তি দিলেও তারা অসুস্থ, প্রবীণ, নারী ও শিশুদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।

    আল-আশকার বন্দীদের প্রতি দখলমূলক আচরণকে তাদের জীবনের জন্য একটি স্পষ্ট অবহেলা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গত মাসে জেলখানায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং এ মাসেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বন্দীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করা ছাড়াও যে সব বিদেশিদের গ্রেফতার করছে তাদেরকে কারাগারে আলাদা রাখার ব্যবস্থা না করে বন্দীদের একত্রে রাখছে। এর অর্থ হল শীঘ্রই কারাগারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

    তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, কারাপ্রশাসন বন্দীদের দুর্ভোগ বাড়ানোর উপায় হিসাবে জেলখানার ক্যান্টিন থেকে প্রয়োজনীয় কোন উপকরণ সাবান,টুথপেষ্ট, শেভিং ক্রিম ইত্যাদি ক্রয় করতে দিচ্ছেনা।

    অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রথমবারের মতো জারি করা ৪০ টি নতুন আইন সহ ৫ টি প্রশাসনিক আইন জারি করেছে দখলদার ইসরাইলি আদালত। বন্দীদের মধ্যে অনেকেই মুক্তি পাওয়ার পরপরই প্রশাসনিক আইন দ্বারা পুনরায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

    “প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” সংস্থাটি দখলদার কর্তৃপক্ষের আগ্রাসন ও গ্রেপ্তার নীতি বন্ধ ও নারী-শিশু এবং অসুস্থ বৃদ্ধ বন্দীদের মুক্তির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরপ্রতি জোর আহবান জানিয়েছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35639/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    সৌদি আরবের বর্বর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইয়েমেনে পুরো পরিবার নিহত



    দারিদ্র্যপীড়িত ইয়ামানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সা’দা প্রদেশ সৌদি আরবের বর্বর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পুরো একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। ইয়ামানের আরবি ভাষার আল-মাসিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক গতকাল (শনিবার) জানিয়েছে, ওই পরিবারের একজন বাবা, গর্ভবতী মা এবং দুই শিশু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারা গেছে।

    সা’দা প্রদেশ সৌদি সীমান্তের কাছে অবস্থিত এবং সেখানে প্রায় প্রতিদিনই সৌদি আরব রকেট হামলা এবং গোলা বর্ষণ করে থাকে। সৌদি আরবের গোলাবর্ষণে সেখানে বহুসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক এ পর্যন্ত হতাহত হয়েছে। এছাড়া, সরকারি ও বেসরকারি বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে।

    সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন সৌদি আরব দারিদ্র্যপীড়িত ইয়ামানের ওপর এই বর্বর হামলা চালালো।

    এখন পর্যন্ত ইয়ামানে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায় নি তবে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধপীড়িত এই দেশটিতে তা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    গত ছয় বছরের সৌদি আগ্রাসনের কারণে ইয়েমেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং সেখানকার হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সেখানে তা থামানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

    সূত্র: পার্সটুডে


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35584/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে ছড়ায় করোনা! ব্রিটেনে ছড়ালো নতুন গুজব



      ব্রিটেনে ইন্টারনেটের ফাইভজি প্রযুক্তি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায় বলে আশঙ্কা থেকে টেলিকম স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। মিডিয়ার ভাষায়, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস করে দেশটিতে সম্প্রতি মোবাইল ফোনের তিনটি সংযোগ টাওয়ারে আগুন দেয়া হয়েছে। যে ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের বরাতে জানিয়েছে সময় নিউজ।

      লিভারপুলের মেয়র জো আন্ডারসন বলেন, এই অদ্ভুত তত্ত্ব নিয়ে আমার কাছে হুমকি এসেছে। সামাজিকমাধ্যমগুলোতে তা আরও গতি পাচ্ছে।

      শুক্রবার জরুরি সার্ভিসকে ফোনে জানানো হয় যে রাত ১১টার কিছু আগে একটি ফাইভজি মাস্তুলে আগুন লেগেছে। পুলিশও এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

      বৃহস্পতিবার মিডিয়া রেগুলেটর অফকম জানায়, এই ভুল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কারা প্রচার করেছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার ও নেক্সডোরের মতো সামাজিকমাধ্যমগুলোতে তা ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

      ডাউনিং স্ট্রিটের সংবাদ সম্মেলনে শনিবার মাইকেল গভ বলেন, বিপজ্জনক অর্থহীন তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছে। আর এই ভুয়া খবরের নিন্দা জানিয়েছেন এনএইচএস ইংল্যান্ডের জাতীয় চিকিৎসা পরিচালক অধ্যাপক স্টিভ পাওয়েস।

      তিনি বলেন, আমি খুবই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছে। এটা সত্যিই বাজে কাজ।

      লিভারপুলের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই অদ্ভুত তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে আন্ডারসন বলেন, সব বৈজ্ঞানিক ও সরকারি পরামর্শে দেখা গেছে যে প্রযুক্তি মানুষের জন্য ক্ষতিকর না!

      রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মোবাইল ফোনের মাস্তুল ভাঙচুর ও উত্তর ইংল্যান্ডের মার্সিসাইড এবং মধ্য ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে টেলিকম কর্মীদের হয়রানি করা হয়েছে। এমন এক সময় এই সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, যখন লোকজনের কাছে এটির প্রয়োজন খুবই বেশি।

      বার্মিংহামে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি বিটির মালিকানাধীন একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এখান থেকে লোকজনকে টুজি, ত্রিজি ও ফোরজি সেবা দেয়া হচ্ছিল। এখনো ফাইফজির সক্ষমতা অর্জন করেনি সেটি।

      এভাবে, আল্লাহ তা’য়ালা করোনাভাইরাসের মতো ক্ষুদ্র এক বাহিনীর মাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষী কথিত জ্ঞানীগোষ্ঠীর জ্ঞান ও শক্তির স্বরূপ উন্মোচন করছেন।


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35607/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ইকুয়েডরের রাস্তায় পড়ে আছে করোনায় মৃতদের লাশ



        ইকুয়েডরের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়ায়াকিলে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। জনশূন্য রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছে মানুষের মরদেহ। কিছু মানুষ রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলেও কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না মৃতদেহের দিকে।

        দেশটির কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা এসব মরদেহ সংগ্রহ করছে। গতকাল মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, জনবহুল শহর গুয়ায়াকিলের হাসপাতালগুলোতে অসুস্থ রোগীদের জন্য কোনো শয্যা খালি নেই। মর্গ কিংবা কবরস্থানেও জায়গা হচ্ছে না।

        সেখানকার অনেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, মরদেহ রাস্তায় ফেলে রাখা ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই। হাসপাতালে জায়গা না পাওয়ায় অনেকে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন। শহরটিতে ঠিক কতজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন- তার কোনো সঠিক তথ্যও নেই।

        ৩০ মার্চ বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে ফার্নান্দো এসপানা নামে এক ব্যক্তিকে বলতে দেখা গেছে, আমাদের পরিবারে একজন সদস্য অসুস্থ হওয়ায় আমরা পাঁচ দিন ধরে কর্তৃপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা ৯১১-এ কল করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তারা কেবল আমাদের অপেক্ষা করার জন্য বলছেন, কিন্তু কেউ আসছেন না।

        দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৩ থেকে ৩০ মার্চের মধ্যে শহরটির বিভিন্ন বাড়ি থেকে ৩০০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ইকুয়েডরের ন্যাশনাল সার্ভিস অব রিস্ক অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৩৬৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ১৪৫ জন। এর মধ্যে ১০২ জনই গুয়ায়িকি প্রদেশের, যেখানে গুয়ায়াকিল শহরটির অবস্থান।

        বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ মাসে শুধু গুয়ায়াকিল শহরেই ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ জনের মৃত্যু হতে পারে।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35619/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          ভারতে মুসলিম নির্যাতনের নয়া ছক আঁকছে হিন্দুরা!



          ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতনের নয়া ছক আঁকছে হিন্দুরা। একদিকে নানা ধরণের মিথ্যা অজুহাতে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে মুসলিমদেরকে নিঃশেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে হিন্দুরা।
          সম্প্রতি ভারতের তাবলিগ জামাআতের নিজামুদ্দিন মারকাজে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া মুসলিমদের নিয়ে ব্যাপক মিথ্যাচার ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে ভারতীয় সন্ত্রাসী হিন্দুগোষ্ঠী। তারা এখন করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার দায় চাপাচ্ছে মুসলিমদের উপর। আর, এ মিথ্যাচারের মাধ্যমে সারা ভারতজুড়েই এখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিন্দুদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত রয়েছে। মুসলিমদেরকে বয়কট করার ঘোষণাও দিচ্ছে হিন্দুরা।
          হিন্দুদের এরকম নিকৃষ্ট আচরণের শিকার হয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে বিষয়টি নজরে আনেন একজন ভারতীয় মুসলিম। মুফাসসির মল্লিক নামের একজন ভারতীয় হিন্দুদের নিকৃষ্ট আচরণের শিকার হন। তিনি জানান, তার বাড়ির পাম্প খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এটি ঠিক করার জন্য দু’জন হিন্দু মিস্ত্রিকে ফোন করেছিলেন। মুখের উপর দু’জনেই জানিয়ে দিয়েছে, নিজামুদ্দিন ঘটনার কারণে তারা কোনো মুসলিম এলাকায় ঢুকবে না।
          এর আগে, ভারতের রাজস্থানে এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলাকে কেবল মুসলিম হওয়ার কারণে চিকিৎসা দেয়নি হিন্দু চিকিৎসক। পরে রাস্তায় এম্বুলেন্সের মধ্যেই সন্তান প্রসব করেন ঐ মহিলা। কিন্তু, সন্তানটি মারা যায়। এভাবে মুসলিমদের বয়কট করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে হিন্দুরা।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35627/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            চিকিৎসার পরিবর্তে তাবলিগের লোকদের গুলি করে মারা উচিত : মালাউন রাজ ঠাকরে



            ভারতের ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’ (এমএনএস) প্রধান মালাউন রাজ ঠাকরে তাবলিগ জামাতের লোকদের চিকিৎসার পরিবর্তে তাদের গুলি করে মারা উচিত বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি গত (শনিবার) এ সংক্রান্ত মন্তব্য করেন।

            দিল্লির নিজামুদ্দিনে তাবলিগ জামাতের মারকাজে এক কর্মসূচি থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগকে কেন্দ্র দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র বিতর্ক ও মুসলিম বিদ্বেষী অপপ্রচারের মধ্যে এমএনএস প্রধানের ওই মন্তব্য প্রকাশ্যে এল।

            রাজ ঠাকরে নিজামুদ্দিনের মারকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাবলিগ জামাতের সদস্যদের সম্পর্কে বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছি। এ ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। মারকাজের সাথে জড়িত এই জাতীয় লোকের কাজ সহ্য করার মতো নয়। সেজন্য, তাদের চিকিৎসা করার দরকার নেই, বরং তাদের গুলি করে মারা উচিত।

            রাজ ঠাকরে আরও বলেন, দেশ এখন ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এরকম অবস্থায় ওরা ধর্মটাকেই বড় করে দেখছে। এর মধ্যে যদি কোনও ষড়যন্ত্র থাকে তাহলে তাবলিগ জামাতে থাকা লোকজনকে পেটানো উচিত। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল করা উচিত।

            সূত্র: পার্সটুডে


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35583/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ভারতে মুসলিম হওয়ায় গর্ভবতী মহিলাকে চিকিৎসা দিলো না হিন্দু ডাক্তার



              মুসলিম হওয়ায় একজন গর্ভবতী মহিলাকে ভর্তি নেয়নি ভারতের রাজস্থানের একটি সরকারি হাসপাতালের এক মালাউন চিকিৎসক। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অন*্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ*্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই সন্তান প্রসব করেন ওই মহিলা। তবে শিশুটি বাঁচেনি বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

              মহিলার স্বামী ইরফান খান বলেন, “আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিল। ওর প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। সিক্রি থেকে জেলা সদরে অবস্থিত জানানা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল তাঁকে।* কিন্তু সেখানের ডাক্তাররা বললো, আমাদের জয়পুর যাওয়া উচিত কারণ আমরা মুসলিম। আমি যখন আমার স্ত্রীকে অ*্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন সে আমাদের সন্তানের জন্ম দেয় কিন্তু শিশুটি মারা যায়। আমার সন্তানের মৃত্যুর জন্য আমি প্রশাসনকে দায়ী করি।”

              এর আগে ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য হিংসাত্মকভাবে মুসলিমদেরকে দায়ী করে ভারতের মুশরিক হিন্দুরা। এবার, এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলাকে কেবল মুসলিম হওয়ার কারণে চিকিৎসা দেয়নি হিন্দু ডাক্তাররা। এভাবে ভারতে প্রতিনিয়তই ইসলাম ও মুসলিমবিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে।


              সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35613/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বাংলাদেশে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সোয়া ৪ কোটি মানুষ!



                বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর অনেক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে৷

                এদিকে, সম্প্রতি চিকিৎসা সেবা না মেলায় প্রাণ হারিয়েছেন একজন স্কুল শিক্ষিকা৷ তিনি কিডনি, ফুসফুসে পানি জমা, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন৷ ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি নিয়মিত চিকিৎসা নিতেন৷ কিন্তু গত বুধবার তার ভর্তি নেয়নি সেই হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ এরপর আরো কয়েকটি হাসপাতালে চেষ্টা করেও তার স্বজনরা চিকিৎসা পেতে ব্যর্থ হন৷ সেদিন রাত ১০টার দিকে মগবাজারের রাশমনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যান তিনি৷ তার মেয়ে মাসুদা পারভীন চম্পা দাবি করেছেন, তার মায়ের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না৷ তারপরও আতঙ্কের কারণেই হাসপাতালগুলো চিকিৎসা দেয়নি৷

                অধ্যাপক মোস্তফা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে পাঁচ থেকে ছয় লাখ ক্যান্সারের রোগী রয়েছেন৷ প্রতি বছর ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে মারা যান৷ তার মতে, ক্যান্সার প্রতিদিনই ছড়াতে থাকে, যার চিকিৎসা না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে৷

                কিডনি ফাউন্ডেশনের হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় আড়াই কোটি থেকে তিন কোটি মানুষ কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত৷ প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি অকার্যকর হয়, প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মারা যান বছরে৷ ডায়বেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ ভাগ মানুষ কিডনি সমস্যায় ভুগছেন৷ দেশে উচ্চ রক্তচাপের রোগী আছেন তিন কোটি৷ এসব রোগীদেরও কিডনি সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেশি৷

                ইন্টারন্যাশনাল ডায়বেটিসে ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮৪ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত৷ তবে দেশের ডায়বেটিক সমিতির জরিপ অনুযায়ী এই সংখ্যা দ্বিগুণ৷ তাদের হিসেবে শতকরা ৮ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত৷ সেই হিসেবে ১৬ কোটি মানুষের দেশে সংখ্যাটি দাঁড়ায় এক কোটি ২৮ লাখে৷

                অধ্যাপক মোস্তফা বলেন, কিডনি, ক্যান্সার বা ডায়বেটিসে আক্রান্তদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে৷ এ কারণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে এ ধরনের রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি থাকে৷ তারা নিয়মিত চিকিৎসা না পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷ বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে অনেকের জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা হয়৷ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদেরও জ্বর, সর্দি, কাশি হতে পারে৷ তাই বলে তাকে সেবা না দেওয়া অমানবিক৷

                বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোর এই ধরনের আচরণ খুবই অন্যায়৷

                সূত্র: ডয়চে ভেলে


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35593/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  ঝুঁকি শুধু গার্মেন্টসকর্মীরা নেবে কেন? ওরা কি করোনাজয়ী?



                  ঢাকা আর চট্টগ্রামে ফিরছে গার্মেন্টসকর্মীরা৷ দলে দলে, বাসে বা ট্রাকে মুরগিবোঝাই হয়ে এমনকি পায়ে হেঁটে৷ ফিরছেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা৷ শনি বা রোববার থেকে যে খুলে গেছে কারখানা৷ ফিরতেই হবে৷

                  সারা দুনিয়ার সব ভাল ভাল জায়গা লকডাউন হচ্ছে, চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, স্কুল কলেজ সব বন্ধ করে দিয়েছে আমাদের কিছুই হচ্ছে না! স্কুল বন্ধ, অফিস বন্ধ এমনকি বাইরে বেরোলে ডাণ্ডা বা কান ধরানো সবই করা হলো একে একে৷ ঘোষণা হল দুই সপ্তাহের বন্ধ৷ ঘরে থাকুন, বাইরে বের হবেন না৷ সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং করুন৷

                  সেই বন্ধে চলে যাওয়ার সময়ও আমার আপনার আদরের ফেসবুকে দারুণ ঘৃণা কুড়িয়েছিল ওরা৷ সরকার দুই সপ্তাহের ঘোষণা করলো কী করলো না হুড়মুড়িয়ে ছুটি কাটাতে চলে যাচ্ছে ওরা৷ দেখেন কীভাবে চলে যাচ্ছে৷

                  হ্যালো৷ জ্বি আপনাকেই বলছি৷ ওরা চলে যাবে না তো কী করবে? গাদাগাদির ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে থেকে শতেক জনে এক বাথরুম আর শদুয়েক জনের রান্নাঘরে কোয়ারান্টাইন বা আইসোলেশন হবে? কী ভাবি আসলে আমরা? নাকি আমরা জানিই না যে, এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো ঢাকায় প্রপার ঘরে থাকে না?

                  ওরা চলে যায় কারণ এই শহরে ওদের ঘর নেই, আছে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই৷ ওরা ফিরে আসে কারণ ওদের শুধু বাঁচলেই হবে না বাঁচাতে হবে মুল্যবান চাকুরিখানাও৷ পেতে হবে ঘাম আর শ্রমের দাম৷

                  এই দেখেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে আর সব কিছু ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ, শুধু খুলে যাচ্ছে তৈরি পোশাকের কারখানা৷ আজও দেখলাম বড়সাহেবরা আমাদের বলছেন আমরা যেন কাজ ছাড়া বাইরে না যাই, তিন চারদিন আগেই দেখেছি কড়াকড়ি আরোপ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আর সেনাবাহিনী হচ্ছে কঠোর৷ কারণ এই দুই সপ্তাহ নাকি সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার৷ গার্মেন্টসকর্মীদের কী আক্রান্ত ভয় নেই, ওরা কী করোনাজয়ী? বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেছেন, যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই যাদের অর্ডার আছে তারা কারখানা খোলা রাখতে পারবেন৷ কী এই যথাযথ ব্যবস্থা? এই যথাযথ ব্যবস্থা আর কোনো ক্ষেত্রে নেওয়া গেল না কেন? নাকি ওরা আমাদের জন্য টাকা আনে সেই টাকায় আমাদের ফ্লাইওভার হয় স্যাটেলাইট হয় বলে ওদের কাজ করেই যেতে হবে?

                  সরকারের যদি এই কারখানাগুলো চালু রাখতেই হতো তাহলে আমাদের এটাও দেখাতে হতো যে মালিকেরা তাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পেরেছেন? আর তা নিশ্চিত না করতে পারলে ওদের সঙ্গে সংহতি রেখে খুলে দেওয়া উচিত ছিল অফিস আদালত ব্যাংক বীমা বাজার স্কুল সবকিছু৷ ঝুঁকি শুধু ওরা নেবে কেন? ওদের কী অপরাধ?


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35602/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    করোনা ভাইরাসের কারণে ‘শিগগিরই ব্যাংক লুটপাট, কর্মী ছাঁটাই শুরু হবে’



                    করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়বে।

                    এমনটাই জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, এ মন্দা ২০০৯ সালের চেয়েও বিপদজনক। আর এ ক্ষতি থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে সময় লাগবে ২০২১ সাল পর্যন্ত।

                    তবে বিশ্ব অর্থনীতি হঠাৎ যেভাবে অচল হয়ে গেছে, তাতে খুব শিগগিরই ব্যাংক লুটপাট আর কর্মী ছাঁটাই শুরু হবে। ঝুঁকি বুঝতে পেরে অনেক দেশই মুদ্রানীতি ও বাজেটে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। এ ভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে চীনের প্রবৃদ্ধি কমবে বলেও জানিয়েছেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।

                    তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো থেকে অনেক আর্থিক সহায়তার অনুরোধ পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ৮০টি দেশ অর্থ সহায়তা চেয়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে, অর্থের লেনদেন কমেছে, রফতানিও কমেছে। এ স্থবিরতাকে স্বাভবিক অবস্থায় ফেরাতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগগুলো বেশ ভালো।
                    এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। মহামারি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৬ লাখের বেশি মানুষ। আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু ইতালিতেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। স্পেনে সেই সংখ্যাটা ৫ হাজারের বেশি। ওয়ার্ল্ডওমিটারে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

                    সূত্র: সময় নিউজ/ বিডি জার্নাল


                    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35597/
                    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                    Comment


                    • #11
                      চিকিৎসার বেহাল দশা- করোনায় মৃত নারী, ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হলো ‘ব্রেন স্ট্রোক’!



                      নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী এক নারীর হাসপাতালের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ ব্রেন স্ট্রোক উল্লেখ করা হলেও পরবর্তীতে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছে।

                      নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসূলবাগ এলাকায় করোনায় মৃত নারীর ছেলে মোহাম্মদ পাভেল আক্ষেপ প্রকাশ করে গতকাল শনিবার মোবাইল ফোনে এ কথা জানান।

                      পরীক্ষার রিপোর্ট গতকাল শনিবার ইমোতে পাঠিয়ে মৃত নারীর ছেলে বলেন,‘ মা শুধু একটি কাশি দিয়েছিল। এক কাশির অপরাধে ঢামেকে ভর্তি নেওয়া হলো না। কুর্মিটোলায় যখন গেলাম কোনো ডাক্তার নেই। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা মায়ের চিকিৎসায় আকুতি মিনতি করেছি একটু ছুঁয়েও দেখেনি কেউ। মাকে ধরার জন্য সামান্য একটু হেক্সিসল চেয়েছিলাম তাও দেয়নি। ভর্তি নেওয়ার পর একজন ওয়ার্ডবয় বা নার্স এগিয়ে আসেনি রোগীকে খাটে তুলতে। তাই হুইল চেয়ারে বসেই আমার মা মারা যায়। মরে যাওয়ার পর ডাক্তারের অভাব নেই। মৃত্যুর পর মৃত্যু সনদ (ডেথ সার্টিফিকেটে) লেখা ছিল মৃত্যুর কারণ ব্রেন স্ট্রোক। কিন্তু মৃত্যুর দুদিন পর ধরা পড়ল করোনাভাইরাস।’

                      মৃত নারীর ছেলে আরও বলেন, ‘এবার আপনারাই বলেন, ব্রেন স্ট্রোক করে মারা যাওয়া মাকে কি জানাজা দেবো না?’

                      ওই সময় তিনি ইমোতে করোনায় মৃত মা পুতুল বেগমের (৫০) ডেথ সার্টিফিকেটের কপি সরবরাহ করে বলেন, ‘দেখেন কুর্মিটোলা থেকেই আমার মা যে ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছে তা লিখে দিয়েছে।’

                      তিনি ভীতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের বাড়িসহ এলাকার ১০০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। বাড়ির সামনে এসে রাতের আঁধারে চিৎকার করে কে বা কারা প্রতিদিন হুমকি দিয়ে বলছে, তোদের একটা একটা করে মেরে ফেলব। কারণ আমরা নাকি করোনায় মৃত আমার মায়ের জানাজা দিয়েছি। কিন্তু আমরা তো আমার মাকে করোনা রোগী হিসেবে জানাজা দেই নাই। দিয়েছি ব্রেন স্ট্রোকের রোগী নির্ণয় করে।’

                      কারোনায় মৃত মা পুতুলের চিকিৎসা ও অসুস্থতার বর্ণনা দিয়ে পাভেল বলেন, ‘আমি শহরের ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় কসমেটিক দোকান নিউ কদমরসূল স্টোরে চাকরি করি। আমার মা পুতুল দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিল। গত ২৯ মার্চ মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমে আমরা তাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কোনো চিকিৎসা হয়নি। পরে আমাদের পরিচিতি থাকায় শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আমাদের পরিচিত থাকায় ডাক্তার কিছু টেস্ট দেয়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাতাপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে রাতে ডিউটিরত ডাক্তার আমার মাকে বাইরে রেখে আমার সঙ্গে কথা বলে। ওই সময় তিনি আমার মায়ের রোগের কথা শুনে ভর্তি নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু একটি কাশি সব উলট পালট করে দেয়। বাইরে থাকা রোগী আমার মা একটি কাশি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার বলে দেয় ওনাকে ভর্তি নেওয়া যাবে না। তাকে কুর্মিটোলায় নিয়ে যান।’

                      ‘আমরা কি করব ভেবে না পেয়ে মাকে ফের নারায়ণগঞ্জ নিয়ে আসি। কিন্তু মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ৩০ মার্চ দুপুরের দিকে নারায়ণগঞ্জের সকল ক্লিনিক ও হাসপাতালে যোগাযোগ করি কিন্তু কোথাও ডাক্তার নেই। পরে দুপুর ১টায় কুর্মিটোলা নিয়ে যাই। সেখানে হাসপাতালে নেওয়ার পর নার্সরা কেউ ছুঁয়েও দেখে নাই রোগীকে। সেখানে কোনো ডাক্তার ছিল না। আমি যখন মায়ের কথা বলি নার্সরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল আর হাসছিল। পরে আমি চিৎকার করলে তারা ভর্তি নেয় কুর্মিটোলার বি ওয়ার্ড ৪৭ নম্বর বেডে। কিন্তু মায়ের ওজন খুব ভারী ছিল। অন্তত ৯০ কেজি হবে। আমি মাকে ধরার জন্য একটু হেক্সিসল দিতে বললে নার্সরা বলে দেয়, এগুলো সরকারি দেওয়া যাবে না। মায়ের ওয়ার্ডে মাকে বেডে শুয়াতে আমি ও আমার স্ত্রী অনুমতি পাই। দুজন মিলে মাকে আর বেডে তুলতে পারছিলাম না’, বলেন পাভেল।

                      তিনি বলেন, ‘নার্সদের ডাকলাম কেউ কাছে আসেনি। ওই সময় পাশের বেডে আরেক রোগীর সঙ্গে আসা এক যুবক বলল, আমি এখানে পাঁচ দিনেও কোনো ডাক্তার দেখি নাই। পরে আমি বাইরে গিয়ে অনেক প্রতিবাদ করি। পরেই একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসে নার্সরা। কিন্তু অক্সিজেন সরবরাহ পাইপে কোনো মাস্ক লাগানো ছিল না। বাধ্য হয়ে মাকে শুধু পাইপ দিয়ে অক্সিজেন দেই। ধীরে ধীরে মায়ের শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মা মারা যায়।’

                      নিহত নারীর ছেলে বলেন, ‘মায়ের চিকিৎসার অবহেলা দেখে অনেক কাকুতি-মিনতি করেছি আমার কুর্মিটোলা দরকার নাই। আমার মাকে ছেড়ে দেন চলে যাব। কিন্তু নার্সরা তখন বলছিল এখানে থাকলে ১৪ দিন পর ছাড়া আর বের হতে পারবেন না। মারা যাওয়ার পর ডাক্তারের অভাব নাই। চারদিক দিয়ে মায়ের লাশ ঘিরে ধরলো ডাক্তাররা। এই পরীক্ষা, সেই পরীক্ষা করল। কিন্তু ততক্ষণে তো মা আর নাই।’

                      পাভেল বলেন, ‘মায়ের নাক দিয়ে রক্ত বের হইছিল। জিজ্ঞেস করাতে ডাক্তার বলেন, ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। করোনার কথা বলেও নাই। ডেথ সার্টিফিকেটেও ব্রেন স্ট্রোকের কথা লেখা আছে। পরে লাশ কুর্মিটোলা থেকে ডাক্তার আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা লাশ নিয়ে যেহেতু মা করোনায় মারা যায় নাই সেহেতু স্বাভাবিকভাবে জানাজা সম্পন্ন করেছি। কিন্তু আমরা যদি জানতাম মা করোনায় মারা গেছে তাহলে তো সতর্কতা নিয়ে লাশ দাফন করতাম।’

                      তিনি ডেথ সার্টিফিকেটের কপি ইমোতে সরবরাহ করে বলেন, ‘এখন এলাকার মানুষজন আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। অনেকেই ভুল বুঝছে। এমনকি বাড়ির বাইরে এসে নানাভাবে চিৎকার করে বলে যাচ্ছে তোদের সব কয়টাকে একটা একটা করে মেরে ফেলব।’

                      তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ির আশে পাশে প্রায় ১০০ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু অনেকের বাসায় খাদ্য নাই। অনেক সমস্যা চলছে। আমার পাশের বাড়ির লালন মিয়া ও ডলি বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, কোথা থেকে কেউ খাবার দিয়ে যাচ্ছে না। তারা বেরও হতে পারছে না।’


                      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35624/
                      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                      Comment


                      • #12
                        লকডাউনে দুই সপ্তাহ ফাঁকা, তবুও ঢাকার বাতাসের মান এখনো ‘অস্বাস্থ্যকর’



                        মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও এ শহরের বাতাসের মানের কোনো উন্নতি হয়নি।

                        বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় রোববার সকালে তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। সকাল ৮টা ০৪ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) জনবহুল এ শহরের স্কোর ছিল ১৭৪। যার অর্থ ঢাকার বাতাসের মান এখনো ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। নয়া দিগন্ত

                        একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

                        বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই ও চীনের শেনইয়াং যথাক্রমে ৩১৩ ও ২৪৪ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে।

                        প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

                        একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

                        একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।


                        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35625/
                        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                        Comment


                        • #13
                          ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই এই সকল জুলুমের অবসান ঘটবে মুজাহিদীনে ইসলাম আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে অচিরেই সোনালি সকাল নিয়ে আসবেন ইনশাআল্লাহ।
                          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

                          Comment


                          • #14
                            হে আল্লাহ আপনি মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন,আমিন।
                            ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                            Comment

                            Working...
                            X