দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হাতে ৬ নারী ও ৫৪ শিশু*সহ ২৫০ জন ফিলিস্তিনি গ্রেফতার
সারা বিশ্ব এখন ‘করোনা ভাইরাস’ আতঙ্কে আতঙ্কিত। এমনকি ইসরায়েলেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আর এই করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। গত মার্চ মাস ছিল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের হট-টাইম। আর এই মার্চ মাসেই দখলদার সেনাবাহিনী দখল করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিতে অধিক আগ্রাসন ও গ্রেফতার চালিয়েছে। গত ৩ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিডলইস্ট মনিটর জানিয়েছে, মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৪ নারী-শিশুসহ ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে।
গত বৃহস্পতিবার(২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের “প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” জানিয়েছে যে, মার্চ মাসে দখলদার বাহিনী ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের মধ্যে ৫৪ জন শিশু এবং ৬ জন মহিলা রয়েছে।
গত মাসে দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে ৮ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। যাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন ব্যবসায়ী, যারা এরিজ এলাকা পারাপারের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং গাজা উপত্যকার পূর্ব সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আরও ৫ জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিনি মহিলাদের এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের টার্গেট করে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের বেশিরভাগই অধিকৃত জেরুজালেমের বাসিন্দা।
ফিলিস্তিনের প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজের মুখপাত্র ও গবেষক রিয়াদ আল-আশকার নিশ্চিত করেছেন যে, বিশ্বের এই ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের অব্যাহত গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনিদের জীবনকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করে তুলছে যা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে ।
দখলদার জায়নবাদী কর্তৃপক্ষ কিছু বন্দীদের মুক্তি দিলেও তারা অসুস্থ, প্রবীণ, নারী ও শিশুদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
আল-আশকার বন্দীদের প্রতি দখলমূলক আচরণকে তাদের জীবনের জন্য একটি স্পষ্ট অবহেলা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গত মাসে জেলখানায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং এ মাসেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বন্দীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করা ছাড়াও যে সব বিদেশিদের গ্রেফতার করছে তাদেরকে কারাগারে আলাদা রাখার ব্যবস্থা না করে বন্দীদের একত্রে রাখছে। এর অর্থ হল শীঘ্রই কারাগারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, কারাপ্রশাসন বন্দীদের দুর্ভোগ বাড়ানোর উপায় হিসাবে জেলখানার ক্যান্টিন থেকে প্রয়োজনীয় কোন উপকরণ সাবান,টুথপেষ্ট, শেভিং ক্রিম ইত্যাদি ক্রয় করতে দিচ্ছেনা।
অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রথমবারের মতো জারি করা ৪০ টি নতুন আইন সহ ৫ টি প্রশাসনিক আইন জারি করেছে দখলদার ইসরাইলি আদালত। বন্দীদের মধ্যে অনেকেই মুক্তি পাওয়ার পরপরই প্রশাসনিক আইন দ্বারা পুনরায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
“প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” সংস্থাটি দখলদার কর্তৃপক্ষের আগ্রাসন ও গ্রেপ্তার নীতি বন্ধ ও নারী-শিশু এবং অসুস্থ বৃদ্ধ বন্দীদের মুক্তির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরপ্রতি জোর আহবান জানিয়েছে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35639/
সারা বিশ্ব এখন ‘করোনা ভাইরাস’ আতঙ্কে আতঙ্কিত। এমনকি ইসরায়েলেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। আর এই করোনা মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই দখলদার ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। গত মার্চ মাস ছিল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের হট-টাইম। আর এই মার্চ মাসেই দখলদার সেনাবাহিনী দখল করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলিতে অধিক আগ্রাসন ও গ্রেফতার চালিয়েছে। গত ৩ এপ্রিল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মিডলইস্ট মনিটর জানিয়েছে, মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৪ নারী-শিশুসহ ২৫০ জন ফিলিস্তিনিকে।
গত বৃহস্পতিবার(২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের “প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” জানিয়েছে যে, মার্চ মাসে দখলদার বাহিনী ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের মধ্যে ৫৪ জন শিশু এবং ৬ জন মহিলা রয়েছে।
গত মাসে দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকা থেকে ৮ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছিল। যাদের মধ্যে ৩ জন ছিলেন ব্যবসায়ী, যারা এরিজ এলাকা পারাপারের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিল এবং গাজা উপত্যকার পূর্ব সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আরও ৫ জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটি ফিলিস্তিনি মহিলাদের এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের টার্গেট করে গ্রেপ্তার করেছে। যাদের বেশিরভাগই অধিকৃত জেরুজালেমের বাসিন্দা।
ফিলিস্তিনের প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজের মুখপাত্র ও গবেষক রিয়াদ আল-আশকার নিশ্চিত করেছেন যে, বিশ্বের এই ব্যাতিক্রমী পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের অব্যাহত গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনিদের জীবনকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করে তুলছে যা পুরো বিশ্বকে হতবাক করেছে ।
দখলদার জায়নবাদী কর্তৃপক্ষ কিছু বন্দীদের মুক্তি দিলেও তারা অসুস্থ, প্রবীণ, নারী ও শিশুদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
আল-আশকার বন্দীদের প্রতি দখলমূলক আচরণকে তাদের জীবনের জন্য একটি স্পষ্ট অবহেলা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গত মাসে জেলখানায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং এ মাসেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বন্দীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিতে অস্বীকার করা ছাড়াও যে সব বিদেশিদের গ্রেফতার করছে তাদেরকে কারাগারে আলাদা রাখার ব্যবস্থা না করে বন্দীদের একত্রে রাখছে। এর অর্থ হল শীঘ্রই কারাগারে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, কারাপ্রশাসন বন্দীদের দুর্ভোগ বাড়ানোর উপায় হিসাবে জেলখানার ক্যান্টিন থেকে প্রয়োজনীয় কোন উপকরণ সাবান,টুথপেষ্ট, শেভিং ক্রিম ইত্যাদি ক্রয় করতে দিচ্ছেনা।
অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রথমবারের মতো জারি করা ৪০ টি নতুন আইন সহ ৫ টি প্রশাসনিক আইন জারি করেছে দখলদার ইসরাইলি আদালত। বন্দীদের মধ্যে অনেকেই মুক্তি পাওয়ার পরপরই প্রশাসনিক আইন দ্বারা পুনরায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
“প্রিজনার সেন্টার ফর স্টাডিজ” সংস্থাটি দখলদার কর্তৃপক্ষের আগ্রাসন ও গ্রেপ্তার নীতি বন্ধ ও নারী-শিশু এবং অসুস্থ বৃদ্ধ বন্দীদের মুক্তির জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোরপ্রতি জোর আহবান জানিয়েছে।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/05/35639/
Comment