Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ্ নিউজ # ২০শে শাবান, ১৪৪১ হিজরী # ১৫ই এপ্রিল, ২০২০ ঈসায়ী।

    ইসরায়েলের কারাগারে মৃত্যুমুখে শত-শত ফিলিস্তিনি!



    ফিলিস্তিনি বন্দীরা আজ দুটি ফ্রন্টের লড়াইয়ে আটকা পড়েছে-একটি করোনভাইরাস মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে, অন্যটি দখলদার ইসরায়েলের ভয়াবহ কারানির্যাতনের বিরুদ্ধে। তারা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে কিন্তু পরিস্তিতি মৃত্যুর দিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলে মিডলইস্ট মনিটরের (১৪-মার্চ) প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    খবরে বলা হয়েছে, চার বন্দী ফিলিস্তিনির করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে, ফলাফল পজিটিভ এসেছে। আশংকা করা হচ্ছে এ সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে, কারণ অন্য একজন বন্দী মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিন পরে ভাইরাসের জন্য পরীক্ষা করা হয়, সেখানেও ফলাফল পজিটিভ এসেছে।

    ফিলিস্তিনি সংস্থা “প্রিজনার রাইটস গ্রোপ এডেমিয়ার” জানিয়েছেন, দখলদার কারাগারে প্রায় ৫০০০ হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন।
    ইতিমধ্যে কারাগারে কমপক্ষে ৭০০ এর বেশি পুরুষ ও মহিলা অসুস্থ হয়েছেন এবং তাদের জরুরী স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন। তাদের মধ্যে ১ জন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রমলা কারাগার হাসপাতালে রয়েছেন, যার পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

    বেশিরভাগ কারাকক্ষ সঙ্কীর্ণ, ফলে বন্দীরা কোন ধরণের সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করতে পারেছে না, এমনকি সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার সামগ্রীও পাচ্ছেনা।

    অসংখ্য মানবাধিকার সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, পুরো বন্দীদের মাঝে ভাইরাস ছড়াতে কেবলমাত্র একজন সংক্রামিত ব্যক্তিই যথেষ্ট যা মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। জীবন বাঁচাতে বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও দখলদার কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি না দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে।

    বরং মুক্তির পরিবর্তে করোনা ভাইরাসের অজুহাতে ফিলিস্তিনি আটক বন্দীদের উপর উল্টো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের অজুহাত ব্যবহার করে ইসরায়েল প্রিজন সার্ভিস (আইপিএস) অসুস্থ ও আহত বন্দীদের সেবাদানকারী মেডিকেল ক্লিনিকগুলি সীমিত করেছে। অনেকের মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও তাদের কোন প্রকার চেক-আপ করা হচ্ছে না ।

    এমনকি ফিলিস্তিনি বন্দীদের উকিলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র ফোনে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে, ফলে আটককৃতদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।




    বন্দীদের প্রয়োজনীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান গুলোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফেস মাস্ক হিসাবে মোজা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে এবং কারাগার ক্যান্টিনে অত্যাবশ্যকীয় জরুরী উপাদানের মধ্যে ১৪০ টি পণ্যের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

    ফিলিস্তিনি সংস্থা “প্রিজনারস সেন্টার ফর স্টাডিজের” পরিচালক রাফাত হামদোনা বলেছেন, চিকিৎসা অবহেলায় দখলদারদের চারটি নীতি প্রয়োগ করছে – ইচ্ছাকৃতভাবে সঠিক চিকিৎসা সামগ্রী অভাব, সঠিক ওষুধের অভাব, পরীক্ষাগারে পরীক্ষার অভাব এবং জরুরী সার্জারি স্থগিত করা।

    তিনি আরও বলেন, দখলদার কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বন্দীদের ওষুধ প্রেরণ করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেছে।

    সাম্প্রতিক নোবেল করোনা ভাইরাসটি বন্দীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনাচিকিৎসায় নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন।

    ফিলিস্তিনি প্রিজনার সংস্থার মতে, তখন থেকে দখলদার বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েল কারাগারে কমপক্ষে ২২২ ফিলিস্তিনি বন্দী মারা গেছেন,যাদের মধ্যে ৬৫জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে।

    গত বছরের শেষদিকে, রাজনৈতিক বন্দী সামি আবু দিয়াক ক্যান্সারে মারা গিয়েছিলেন এবং আটকে থাকার সময় ফুসফুস ও পেটে সমস্যায় ভুগছিলেন। নোংরা কারাগার ও অমানবিক পরিস্থিতি এবং ইচ্ছাকৃত চিকিৎসার অবহেলার ফলে ৩৬ বছর বয়সী আবু দিয়াকের শরীরে টিউমার ছড়িয়ে পড়েছিল।

    তিনি বিভিন্ন চিকিৎসা নিয়েছিলেন এবং বেশ কিছু শারিরীক জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন,তবু সন্ত্রাসী ইসরায়েল দখলদার কর্তৃপক্ষ তাকে মানবিক কারণে মুক্তি দিতে অস্বীকার করেছিল।

    যে সব ফিলিস্তিনি দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে এক দশক সময় আটক থেকে মুক্তিলাভ করেছেন তারা বেঁচে রয়েছেন জটিল অসুস্থতার সাথে এবং তাদের অসুস্থতা শেষ অবধি মৃত্যুর দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।

    বন্দীদের জীবন যখন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু মুখে পৌঁছে যায়, টিক তখনই কেবল নামমাত্র চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় যা মানবাতার জন্য লজ্জাজনক।

    কয়েক দশক ধরে কারাগারে বিনাচিকিৎসায় শত শত ফিলিস্তিনিরা তাদের জীবন হারিয়েছে। কারা বিষয়ক কমিশন বলেছেন যে ৯০% বন্দীদের গ্রেফতারের মুহুর্ত থেকেই নির্যাতন করা হয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন এমনকি বন্দীদের কারাগারে রাখার পরেও নির্যাতন অব্যাহত থাকে এবং হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবর্তে অনেককে নির্জন কারাগারে আটকে রাখা হয়।

    “অ্যাডামিরের ডকুমেন্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিটের” সমন্বয়কারী এহতেরাম গাজাওয়ানহ উল্লেখ করেছেন, কারাগারে রোগ নির্ণয় একটি মারাত্মক সমস্যা যা প্রায়ই ভুল রোগ নির্ণয় করে বন্দীদের মৃত্যুর মুখে পৌঁছে দেয়।

    বন্দিরা বলেছেন যে তারা তাদের আটকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রায়শই অনশন বা ধর্মঘট করে, যার ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের জন্য আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।

    বিশ্বব্যাপী মহামারী চলাকালীন সময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের রক্ষার জন্য আইপিএস স্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলির অনুপস্থিতি এদিকে আরও স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, দখলদার ইসরায়েল অন্যায়ভাবে পূর্ণ ফিলিস্তিন দখল প্রকল্পে অগ্রসর হতে করোনা ভাইরাসকে ফিলিস্তিনের বন্দীদের বিরুদ্ধে মারাত্মক মরণঘাতী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36395/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    মসজিদে সীমাবদ্ধতা আরোপ করায় পাক মুরতাদ সরকারকে আলেমদের হুঁশিয়ারি!



    করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলার জন্য মসজিদে নামাজ আদায়ে সীমাবদ্ধতা আরোপের ব্যাপারে কড়াকড়ি করে পাকিস্তানের মুরতাদ সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে তা নিয়ে দেশটির অন্তত ৫০ জন আলেম সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের বার্তা সংস্থা ডনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, পাকিস্তানের বেফাকুল মাদারিস আল-আরাবিয়া সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের আলেমরা ইমরান খানের সরকারকে গতকাল (মঙ্গলবার) এই হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেছেন, মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করবেন না।




    সারাদেশের উলামা ও ধর্মীয় আলেমদের বৈঠকে বলা হয়েছে যে, এখন থেকে সব মসজিদে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত ও জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

    রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদের বেফাকুল মাদারিসের আলেমরা সরকারকে মসজিদে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা জারি করতে নিষেধ করেছেন। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের ৫৩ জন আলেম রাজধানী ইসলামাবাদের জামিয়া দারুল উলুম জাকারিয়ায় গতকাল বৈঠকে বসেন এবং সেখানে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে শীর্ষ পর্যায়ের আলেমদের পাশাপাশি বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক, নিষিদ্ধ ধর্মীয় সংগঠনের নেতা এবং রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    পাকিস্তান সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলার অংশ হিসেবে পবিত্র রমজান মাসেও মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা আরোপের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। এরপর পাকিস্তানের আলেমদের পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি এল।

    পাকিস্তানে সমস্ত প্রদেশের কর্তৃপক্ষগুলি গত দুই সপ্তাহের পর থেকে সরকারীভাবে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে জামাত আদায় নিষিদ্ধ করেছিল। এই অন্যায় নির্দেশ অমান্য করার অজুহাতে পাক মুরতাদ সরকারের সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন মসজিদের ইমাম মুসল্লিদের গ্রেফতার করেছিল।


    সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36365/
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      করোনাকে কেন্দ্র করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে ভারতসহ অন্যান্য দেশ



      ভারতের হিমাচল প্রদেশে সম্প্রতি দিলশাদ মাহমুদ নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেন৷ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, পরীক্ষা করে এই যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া না গেলেও সামাজিক চাপে পড়ে এলাকার মানুষের অবজ্ঞা ও হুমকির কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ স্থানীয় মানুষের এমন আচরণের কারণ মার্চে তাবলিগ জামাতের দুই অনুসারীর সঙ্গে দিলশাদ দেখা করেছিলেন৷ তাতে তাদের ধারণা হয়েছিল, দিলশাদও আক্রান্ত এবং তাকে এলাকাবাসীর জন্য হুমকি বলে ভাবছিলেন তারা৷

      করোনা ও মুসলিমবিদ্বেষ

      মার্চে ভারতের দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের সমাবেশ হয়৷ সেখানে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে বিদেশিও ছিলেন অনেকে৷ এই সমাবেশে অংশ নেয়া কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়৷ ফলে ভারতের নিজামুদ্দিনের সমাবেশের পর থেকে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুসলিমবিদ্বেষী প্রচারণা শুরু হয়৷ এর আগে ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধের মুখে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াতে শুরু করে৷ এমনকি তা মুসলিম গণহত্যার রুপ ধারণ করে।

      হ্যাশট্যাগ করোনা জিহাদ

      টুইটারে সম্প্রতি কয়েকটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচুর পোস্ট হচ্ছে৷ এর মধ্যে #CoronaJihad, #BioJihad কিংবা #MuslimMeaningTerrorist এসব সম্বলিত পোস্ট দেখা যাচ্ছে৷ কিছু মানুষ করোনা ভাইরাসকে মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াবার উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন৷




      এ বিষয়ে ভারতীয় সাংবাদিক রানা আইয়ুব একটি টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘‘বিশ্বের অতি-ডানপন্থি দল ও ওয়েবসাইটগুলো মানুষের ভয় ও দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মুসলিমদের বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে৷”

      ✔@RanaAyyub

      Anti-Muslim Propaganda Is Seeping Into Online Discourse About The Coronavirus

      Far-right groups and websites across the globe have taken advantage of people’s fears and vulnerabilities in order to push disinformation to vilify




      Anti-Muslim Propaganda Is Seeping Into Online Discourse About The Coronavirus

      Far-right groups and websites across the globe have taken advantage of people’s fears and vulnerabilities in order to push disinformation to vilify Muslims.

      মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন অ্যানালিস্ট প্লাটফর্ম ইকুয়ালিটি ল্যাবের বরাত দিয়ে বলছে, ২৮ মার্চ থেকে প্রথম সপ্তাহেই #CoronaJihad হ্যাশট্যাগটি টুইটারে কমপক্ষে তিন লাখ বার প্রকাশিত হয়েছে এবং কমপক্ষে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ তা দেখেছেন৷

      ফেসবুক ও টুইটারে বিদ্বেষমূলক এসব বক্তব্য যারা ছড়াচ্ছেন তাদের বিরাট অংশই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সন্ত্রাসী দল বিজেপির সমর্থক বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে৷ ওয়াশিংটন পোস্টে মন্তব্য প্রতিবেদনে রানা মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানোর পেছনে রাজনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করে লেখেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, এমন একটা বৈশ্বিক সংকটের সময় যখন আমাদের সব হিংসা দূরে রাখা দরকার, তখন আমার দেশ ও আমার নেতারা আমাকে আবারো বাধ্য করছেন মানুষের নৈতিকতাবিবর্জিত অন্ধসংস্কার নিয়ে লিখতে৷”

      এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় প্রবাসীদের সংগঠন ইন্ডিয়ান অ্যামেরিকান মুসলিম কাউন্সিল (আইএএমসি) গেল শনিবার একটি যৌথবিবৃতি দিয়েছে৷ তারা মুসলিম সংখ্যালঘুদের করোনা সংকটে বলির পাঠা বানানোর নিন্দা জানিয়েছে, বিশেষ করে তাবলিগ জামাতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে৷

      ইংল্যান্ড ও অ্যামেরিকাতেও

      শুধু ভারতে নয়, ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা গেছে৷ গেল কয়েকসপ্তাহ ধরে যুক্তরাজ্যে ভুল তথ্য ও প্রচারণা চালাচ্ছে দক্ষিণপন্থিরা৷

      হাফিংটন পোস্ট প্রতিবেদন করেছে, সামাজিক গণমাধ্যমে মসজিদ ও বাইরের পুরোনো ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে বলা হচ্ছে, মুসলিমরা এখনো জমায়েত হচ্ছে৷ অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে ছড়ানো এসব ছবির সত্যতা পায়নি পুলিশ ও বিভিন্ন ফ্যাক্ট চেকিং গ্রুপ৷

      এর মধ্যে একটি প্রচারণা ছিল, ‘যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসের কেসগুলোর ২৫ ভাগ মুসলিমদের কারণে হয়েছে৷’ কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, তারা ‘নিজেদের আলাদা করতে চাননি৷’ ফ্যাক্ট চেকিং প্লাটফর্ম ফার্স্ট ড্রাফট নিউজ এই পরিসংখ্যানের সত্যতা পায়নি৷

      যুক্তরাষ্ট্রেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা মুসলিমদের রমজানের আগে তুলে নেয়া হবে, অথচ অন্য ধর্মাবলম্বীদের যেমন, খ্রিস্টানদের ইস্টার পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল৷

      সূত্র: ডয়চে ভেলে


      সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36356/
      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        অপরিকল্পিত লকডাউন: শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার দাবিতে স্টেশনে ভিড়, মুম্বাই পুলিশের লাঠিচার্জ



        ভারতে মালাউন মোদির অপরিকল্পিত ২১ দিনের লকডাউনে এমনিতেই চরম বিপাকে পড়েছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। তাঁদের কথা চিন্তা না করে চলমান লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগের তিন সপ্তাহের লকডাউনের কারণে রোজগার হারিয়েছেন হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক। পরিবহন বন্ধ থাকায় ফিরতে পারেননি বাড়িতেও। ভারত সরকার এসব শ্রমিককে বিনামূল্যে খাবার ও আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা পাননি।

        কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম মনে করেন খাবার সংকট ছাড়াও অভিবাসী শ্রমিকেরা বাসস্থানের সংকটে পড়ে নিজ বাড়িতে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিনি বলেন, এসব শ্রমিকের অধিকাংশই একটি কক্ষ দশ জন বা তার চেয়ে বেশি মানুষের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন। টানা লকডাউনের কবলে পড়ে দীর্ঘ সময় তাদের পক্ষে ওই কক্ষে অবস্থান করা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।

        ফলে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রতিবাদে মুম্বাইয়ের একটি রেল স্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভারতের হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক। বাড়ি ফেরার দাবিতে মঙ্গলবার বান্দ্রা স্টেশনে সমবেত এসব শ্রমিকের সঙ্গে যোগ দেয় খাবারের সন্ধানে আসা বহু বস্তিবাসী। বিক্ষোভরত এসব মানুষের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।

        ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে সোস্যাল ডিসটান্সিংয়ের বিধিনিষেধ অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ চালাতে থাকে। এনডিটিভি জানিয়েছে, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভরতরা ইচ্ছাকৃতভাবে না সরায় লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

        ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্যতম এলাকা মুম্বাই। মহারাষ্ট্রে শনাক্ত হওয়া দুই হাজার তিনশো করোনা আক্রান্তের মধ্যে এক হাজার পাঁচশোরও বেশি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা।


        সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36362/
        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          করোনায় ঠাকুরগাঁয়ে ত্রাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ!



          ঠাকুরগাঁওয়ের আউলিয়াপুরে ত্রাণ না পাওয়ায় এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন স্থানীয়রা।

          বিডি প্রতিদিনের সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের সদর উপজেলা ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ী গ্রামের তিয়াস তিমু পাম্পের সামনে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় ২ শতাধিক এলাকাবাসী।
          স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাসে কারণে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। বার বার স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছি।

          মোলানী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কোনো কাজ করতে পারতেছি না। আমার পরিবারের সবাই কয়েকদিন থেকে আলু সিদ্ধ করে খাচ্ছি। কোনো ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় আসছি।

          এ সময় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে তাদের ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করার মৌখিক আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা ফিরে যান।


          সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36350/
          আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

          Comment


          • #6
            ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু



            ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

            জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারতে এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫৫। এর মধ্যে ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

            মঙ্গলবারই দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

            ভারতে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। সরকারি হিসাবেই রাজ্যটিতে দুই হাজার ৬৮৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে এক হাজার ৫৬১ এবং এক হাজার ২০৪।

            মঙ্গলবার গুজরাটে একজন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানী ও অন্য দুই মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরে ওই বিধায়কের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

            ইমরান খেদাওয়ালা নামের ওই কংগ্রেস বিধায়ক এক সাংবাদিক সম্মেলনেও যোগ দেন। সেখানে অন্যান্য বিধায়ক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।

            এদিকে মঙ্গলবার লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে মুম্বাই। লকডাউনের বিরোধিতা করে বাণিজ্য নগরীর বান্দ্রা স্টেশনের বাইরে সহস্রাধিক অভ্যন্তরীণ অভিবাসী শ্রমিক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

            বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হোক। এক পর্যায়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

            সূত্র: এনডিটিভি।


            সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36378/
            আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

            Comment


            • #7
              ৩৩৩ নম্বরে কল করে ত্রাণ চাওয়ায় কৃষককে পেটালেন ইউপি চেয়ারম্যান!



              করোনায় দেশের বেহাল দশা। অপরিকল্পিত লকডাউনে দেশের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। কর্মহীন মানুষগুলো খাবারের অভাবে পেরেশান। এমতাবস্থায় দেশের ত্বাগুত মিডিয়াগুলো দরিদ্র মানুষগুলোকে মিথ্যে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে- যে, বিভিন্ন নম্বরে ফোন দিলেই খাবার পৌঁছে যাবে ঘরে। আসলেই কি তাই?

              বার্তা সংস্থা বাংলা ট্রিবিউনের বরাতে জানা যায়, প্রতিবেশী দরিদ্রদের জন্য ত্রাণ সহায়তা চাইতে টেলিভিশনে দেখানো ৩৩৩ নম্বরে কল করেছিলেন লালপুর উপজেলার অর্জুনপুর -বরমহাটি ( এবি) ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। বিষয়টি জানতে পেরে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিজ হাতে লাঠি দিয়ে শহিদুলকে বেদম মারধর করেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার। এরপর শাসিয়ে দেন কাউকে বললে অবস্থা আরও খারাপ হবে। দরিদ্র ওই কৃষক এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ওই চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।



              আহত শহিদুল ইসলাম

              ভুক্তভোগী শহিদুল(৬০) জানান, আঙ্গারীপাড়া এলাকার প্রায় আড়াইশ’ দরিদ্র মানুষ ২০-২৫ দিন থেকে কর্মহীন। নিজেরও কর্ম নেই। এ অবস্থায় নিজের পরিবারের কথা চিন্তা না করে প্রতিবেশীদের জন্য সাহায্য পেতে শনিবার বিকেলে তিনি ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেন। রবিবার দুপুরে নামাজ শেষে বাড়ি এলে চৌকিদার তাকে বলে ইউনিয়ন পরিষদে ইউএনও এসেছে আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছে ইউএনওকে পাওয়া যায়নি বরং কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়ে চৌকিদারের হাত থেকে লাঠি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাত্তার তাকে বেদম মারধর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মারধরে তার দেহের পেছন অংশ ও পায়ে মারাত্মক জখম হয় ও মারের দাগ বসে যায়। তিনি বাড়ি ফেরার সময় চেয়ারম্যান শাসিয়ে বলে, ৩৩৩ নম্বরে কেন ফোন দিয়েছিস তার জন্যই এই শাস্তি। একথা কাউকে বললে তোর অবস্থা আরও খারাপ করে দেবো।

              বাড়ি আসার পর এলাকাবাসী তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়। এ ঘটনায় শহিদুলসহ তার গ্রামবাসী মারধরকারী চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

              বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার জানান, সোমবার বিকেলে ইউএনও তাকে এব্যাপারে ডেকেছিলেন। ওখানেই বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। জানতে চাইলে ইউএনও উম্মুল বাণীন দ্যুতি মীমাংসার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।


              সূত্র; https://alfirdaws.org/2020/04/15/36351/
              আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

              Comment


              • #8
                বাংলাদেশে ত্রাণ না পেয়ে কর্মহীন ও ক্ষুধার্ত মানুষের খাদ্য ‘লুট’!



                বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও ত্রাণ না পাওয়া ক্ষুধার্ত মানুষেরা খাবার লুট করতে শুরু করেছে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের হিসাব অনুযায়ী- করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশে নিম্ন আয়ের ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে কোনো খাবারই নেই। এ অবস্থায় অস্থির হয়ে উঠেছে ক্ষুধার্ত মানুষ।

                সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডের বরাতে জানা যায়, গত (রোববার) দুপুরে জামালপুর পৌরসভার মুকুন্দবাড়ি এলাকায় কয়েক শ’ ক্ষুধার্ত মানুষ রাস্তা বন্ধ করে ত্রাণবাহী একটি ট্রাক থামিয়ে খাদ্য সামগ্রী লুট করে নেয়। এসময় অনেকটা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ট্রাকটি কর্মহীন মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল, ডাল, আলুসহ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল পাশার কার্যালয়ে যাচ্ছিল।

                স্থানীয়দের অভিযোগ, করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছে শতশত মানুষ। খাবারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এখন পর্যন্ত পৌঁছেনি ত্রাণ সামগ্রী। তাই বাধ্য হয়েই ত্রাণের মালামাল ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা।

                কুষ্টিয়া

                এর আগে গত শনিবার কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নে ৪৫০টি ঘরবন্দী দুস্থ পরিবারের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল চেয়ারম্যানের পছন্দমতো স্বচ্ছল ও দলীয় লোকদের মাঝে বিতরণ করায় ত্রাণ বঞ্চিত প্রকৃত দুস্থরা ২৬ বস্তা চাল লুট করে নেয়। ঘটনার পর পুলিশ চাল উদ্ধারের জন্য গ্রামে অভিযান চালাতে গেলে গ্রামবাসী তাদেরও ঘেরাও করে রাখে।

                খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান স্বীকার করেছেন, প্রকৃত দুস্থ যারা তারাই ত্রাণের চাল লুট করেছে। সেখানে স্বচ্ছল লোকদের ত্রাণ দেয়া হয়েছে। কিন্তু খেটে খাওয়া দুস্থ লোকদের নাম তালিকায় ছিল না।


                সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36359/
                আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                Comment


                • #9
                  চাল চুরিতে ধরা পড়া আ’লীগ চেয়ারম্যানের পক্ষে আদালতে এমপি



                  ২২৯ বস্তা সরকারি ভিজিএফর চালসহ হাতেনাতে আটক ও পরে থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী সরদারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবীর এবং বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আব্দুল বাতেন।

                  মঙ্গলবার কোরবান আলী সরদারের পক্ষে জামিনের জন্যে নিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন আহমেদ ফিরোজ কবীর এমপি। এ সময় তিনি তার পক্ষে সাফাই গাইতে থাকে। তিনি বলেন নিরাপত্তার স্বার্থে চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার চালের বস্তা ইউনিয়ন পরিষদে না রেখে নিজ গুদামে মজুদ করছিলেন। বরাবরই তিনি এখান থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার আত্মসাতের কোন উদ্দেশ্য ছিল না। এটা সবাই জানে। কোন একটি মহল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

                  তবে, র*্যাব-১২ পাবনা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার উদ্ধারকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বলে জানানো হয়েছে। র*্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার আমিনুল কবীর তরফদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার র*্যাব জানতে পারে বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার ভিজিডির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে না রেখে গভীর রাতে রূপপুর ইউনিয়নের বাঁধেরহাট বাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গুদাম ঘরে মজুদ করছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে হাতেনাতে এই চাল উদ্ধার করা হয় এবং চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করে। রাতে আমিনপুর থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

                  বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ত্রাণের চাল কোনভাবেই ব্যক্তিগত গুদামে রাখার সুযোগ নেই। কোরবান আলী সরদার ইউনিয়নের সীমানার বাইরে বেআইনিভাবে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সেখানে ত্রাণের চাল মজুদ করার বিষয়েও তিনি প্রশাসনকে অবহিত করেননি।

                  সূত্র: সুরমা টাইমস


                  সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/04/15/36368/
                  আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

                  Comment


                  • #10
                    ভাই নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে তাতো বুঝলাম না ৷

                    Comment


                    • #11

                      মাশাআল্লাহ, পাকিস্তানের আলেমগণ সৎসাহসের পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহ তাদের সৎসাহস আরো বাড়িয়ে দেন। বাংলাদেশের আলেমগণও যদি এক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করতেন!
                      الجهاد محك الإيمان

                      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                      Comment


                      • #12
                        أللّٰهُمَّ إني اعوذ بك من البرص والجنون والجذام و من سيئ الأسقام آمين يا رب العٰلمين
                        যারা ঈমানদার তারা যে, ক্বিতাল করে আল্লাহর রাহেই । আল-ক্বুরআনুল কারীম ।

                        Comment


                        • #13
                          মাশাআল্লাহ।
                          আল্লাহ আপনাদের কাজে বারাকাহ দান করুন,আমিন।
                          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

                          Comment

                          Working...
                          X