এবার ধর্মযুদ্ধ ও মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহবান হিন্দুত্ববাদী নেতাদের
ভারতে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহ্ববান জানিয়েছে। এতদিনের চাপা মুসলিম বিদ্বেষ এখন খোলামেলা ভাবেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়ছে সারা ভারতে। ফলে সর্বত্রই মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হচ্ছে।
গত ১৭ই থেকে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় 'ধর্মীয় সংসদ' নামের একটি সমাবেশ যেখানে প্রধান ধর্মীয় নেতা, ডানপন্থী কর্মী, কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির একটি বড় অংশ উপস্থিত ছিল।
তিনদিন ব্যাপী এই সমাবেশে মুসলিমদের ব্যপারে সীমাহীন ঘৃণাসূচক বক্তব্য, সহিংসতার আহ্বান এবং মুসলিম বিদ্বেষী জিঘাংসার চরমতম বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তাদের এই সমাবেশের কিছু কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়।
সেখান থেকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের জাতিগত নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উগ্রপন্থী সংগঠন হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি বলেছে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর কোন সময় নেই, এখন সময় হল আপনি এখন মরার জন্য প্রস্তুত হন, নয়তো হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হন, এছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই কারণেই, মিয়ানমারের মতো এখানকার পুলিশ, এখানকার রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী এবং প্রত্যেক হিন্দুকে অস্ত্র তুলতে হবে এবং আমাদেরকেও মায়ানমারের জান্তা বাহিনীর মত মুসলিম নিধন অভিযান চালাতে হবে।
উক্ত সমাবেশেই একদিন আগে উগ্র হিন্দু সংগঠন 'হিন্দু যুব বাহিনী' একটি শপথ নিতে দেখা যায় যেখানে তারা বলেছিল, "আমরা শপথ নিচ্ছি যে, এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। এর জন্যে দরকার হলে আমরা প্রাণ দেব এবং দরকার হলে আমরা প্রাণও নেব"।
এই সমাবেশেই প্রকাশ্যে হিন্দুদেরকে মুসলিমদের হত্যা করার জন্য অস্ত্র কেনার আহ্বান জানিয়ে জ্যোতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেছে, "অর্থনৈতিক বয়কট [মুসলমানদের বিরুদ্ধে] কাজ করবে না... অস্ত্র না তুলে কোন সম্প্রদায় বেঁচে থাকতে পারে না... এবং তলোয়ার কাজ করবে না, সেগুলো কেবল মঞ্চে ভাল দেখায়। আপনাদের অস্ত্র আপডেট করা দরকার... আপনাদের দরকার আরও বেশি সংখ্যক সন্তান এবং আরও ভাল অস্ত্র, কেবল এগুলোই আপনাদের রক্ষা করতে পারে।"।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী 'অন্নপূর্ণা' এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করে যে মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে সে অস্ত্র হাতে নেবে। সে আরও বলে, "আমরা জেলে গেলেও তাদের হত্যা করতে প্রস্তুত। এমনকি যদি আমাদের ১০০ জনের একটি বাহিনী থাকে এবং যদি আমরা তাদের মধ্যে (মুসলিমদের) ২০ লক্ষকে হত্যা করতে সক্ষম হই, তবে আমরাই জিতব।"
ঐ সভাতে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় ও বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী উদিতা ত্যাগীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সমাবেশে উগ্র হিন্দুদের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মুসলিমদের গণহত্যার জন্য তারা সবদিক থেকেই প্রস্তুত। এমনকি শিশু বাচ্চাদেরকেও তারা মুসলিম হত্যার জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এই কথিত 'ধর্মযুদ্ধ'র বিপরীতে নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
তথ্যসূত্র:
====
১। Hindutva Watch- Videos of seers, BJP’s Ashwini Upadhyay calling for killing of Muslims, Hindu rashtra spark anger -
২। টুইটার লিংক -
ভারতে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহ্ববান জানিয়েছে। এতদিনের চাপা মুসলিম বিদ্বেষ এখন খোলামেলা ভাবেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়ছে সারা ভারতে। ফলে সর্বত্রই মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হচ্ছে।
গত ১৭ই থেকে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় 'ধর্মীয় সংসদ' নামের একটি সমাবেশ যেখানে প্রধান ধর্মীয় নেতা, ডানপন্থী কর্মী, কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির একটি বড় অংশ উপস্থিত ছিল।
তিনদিন ব্যাপী এই সমাবেশে মুসলিমদের ব্যপারে সীমাহীন ঘৃণাসূচক বক্তব্য, সহিংসতার আহ্বান এবং মুসলিম বিদ্বেষী জিঘাংসার চরমতম বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তাদের এই সমাবেশের কিছু কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়।
সেখান থেকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের জাতিগত নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের উগ্রপন্থী সংগঠন হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি বলেছে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর কোন সময় নেই, এখন সময় হল আপনি এখন মরার জন্য প্রস্তুত হন, নয়তো হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হন, এছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই কারণেই, মিয়ানমারের মতো এখানকার পুলিশ, এখানকার রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী এবং প্রত্যেক হিন্দুকে অস্ত্র তুলতে হবে এবং আমাদেরকেও মায়ানমারের জান্তা বাহিনীর মত মুসলিম নিধন অভিযান চালাতে হবে।
উক্ত সমাবেশেই একদিন আগে উগ্র হিন্দু সংগঠন 'হিন্দু যুব বাহিনী' একটি শপথ নিতে দেখা যায় যেখানে তারা বলেছিল, "আমরা শপথ নিচ্ছি যে, এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। এর জন্যে দরকার হলে আমরা প্রাণ দেব এবং দরকার হলে আমরা প্রাণও নেব"।
এই সমাবেশেই প্রকাশ্যে হিন্দুদেরকে মুসলিমদের হত্যা করার জন্য অস্ত্র কেনার আহ্বান জানিয়ে জ্যোতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেছে, "অর্থনৈতিক বয়কট [মুসলমানদের বিরুদ্ধে] কাজ করবে না... অস্ত্র না তুলে কোন সম্প্রদায় বেঁচে থাকতে পারে না... এবং তলোয়ার কাজ করবে না, সেগুলো কেবল মঞ্চে ভাল দেখায়। আপনাদের অস্ত্র আপডেট করা দরকার... আপনাদের দরকার আরও বেশি সংখ্যক সন্তান এবং আরও ভাল অস্ত্র, কেবল এগুলোই আপনাদের রক্ষা করতে পারে।"।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী 'অন্নপূর্ণা' এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করে যে মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে সে অস্ত্র হাতে নেবে। সে আরও বলে, "আমরা জেলে গেলেও তাদের হত্যা করতে প্রস্তুত। এমনকি যদি আমাদের ১০০ জনের একটি বাহিনী থাকে এবং যদি আমরা তাদের মধ্যে (মুসলিমদের) ২০ লক্ষকে হত্যা করতে সক্ষম হই, তবে আমরাই জিতব।"
ঐ সভাতে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় ও বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী উদিতা ত্যাগীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সমাবেশে উগ্র হিন্দুদের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মুসলিমদের গণহত্যার জন্য তারা সবদিক থেকেই প্রস্তুত। এমনকি শিশু বাচ্চাদেরকেও তারা মুসলিম হত্যার জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এই কথিত 'ধর্মযুদ্ধ'র বিপরীতে নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
তথ্যসূত্র:
====
১। Hindutva Watch- Videos of seers, BJP’s Ashwini Upadhyay calling for killing of Muslims, Hindu rashtra spark anger -
২। টুইটার লিংক -
Comment