Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১৮ ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১৮ ই জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৩ হিজরি।। ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ঈসায়ী।

    এবার ধর্মযুদ্ধ ও মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহবান হিন্দুত্ববাদী নেতাদের

    ভারতে এবার প্রকাশ্যে হিন্দুত্ববাদী নেতারা মুসলিম গণহত্যার প্রকাশ্য আহ্ববান জানিয়েছে। এতদিনের চাপা মুসলিম বিদ্বেষ এখন খোলামেলা ভাবেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, যার প্রভাব পড়ছে সারা ভারতে। ফলে সর্বত্রই মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশের শিকার হচ্ছে।

    গত ১৭ই থেকে ১৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় 'ধর্মীয় সংসদ' নামের একটি সমাবেশ যেখানে প্রধান ধর্মীয় নেতা, ডানপন্থী কর্মী, কট্টরপন্থী হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গি এবং হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির একটি বড় অংশ উপস্থিত ছিল।
    তিনদিন ব্যাপী এই সমাবেশে মুসলিমদের ব্যপারে সীমাহীন ঘৃণাসূচক বক্তব্য, সহিংসতার আহ্বান এবং মুসলিম বিদ্বেষী জিঘাংসার চরমতম বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। তাদের এই সমাবেশের কিছু কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় এ নিয়ে বেশ তোলপাড় শুরু হয়।

    সেখান থেকে হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্যে মুসলিমদের জাতিগত নির্মূল করার আহ্বান জানিয়েছে।

    উত্তরাখণ্ডের উগ্রপন্থী সংগঠন হিন্দু রক্ষা সেনার সভাপতি স্বামী প্রবোধানন্দ গিরি বলেছে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর কোন সময় নেই, এখন সময় হল আপনি এখন মরার জন্য প্রস্তুত হন, নয়তো হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হন, এছাড়া আর কোন উপায় নেই। এই কারণেই, মিয়ানমারের মতো এখানকার পুলিশ, এখানকার রাজনীতিবিদ, সেনাবাহিনী এবং প্রত্যেক হিন্দুকে অস্ত্র তুলতে হবে এবং আমাদেরকেও মায়ানমারের জান্তা বাহিনীর মত মুসলিম নিধন অভিযান চালাতে হবে।

    উক্ত সমাবেশেই একদিন আগে উগ্র হিন্দু সংগঠন 'হিন্দু যুব বাহিনী' একটি শপথ নিতে দেখা যায় যেখানে তারা বলেছিল, "আমরা শপথ নিচ্ছি যে, এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। এর জন্যে দরকার হলে আমরা প্রাণ দেব এবং দরকার হলে আমরা প্রাণও নেব"।



    এই সমাবেশেই প্রকাশ্যে হিন্দুদেরকে মুসলিমদের হত্যা করার জন্য অস্ত্র কেনার আহ্বান জানিয়ে জ্যোতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী বলেছে, "অর্থনৈতিক বয়কট [মুসলমানদের বিরুদ্ধে] কাজ করবে না... অস্ত্র না তুলে কোন সম্প্রদায় বেঁচে থাকতে পারে না... এবং তলোয়ার কাজ করবে না, সেগুলো কেবল মঞ্চে ভাল দেখায়। আপনাদের অস্ত্র আপডেট করা দরকার... আপনাদের দরকার আরও বেশি সংখ্যক সন্তান এবং আরও ভাল অস্ত্র, কেবল এগুলোই আপনাদের রক্ষা করতে পারে।"।

    উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী 'অন্নপূর্ণা' এই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করে যে মুসলিমদের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে সে অস্ত্র হাতে নেবে। সে আরও বলে, "আমরা জেলে গেলেও তাদের হত্যা করতে প্রস্তুত। এমনকি যদি আমাদের ১০০ জনের একটি বাহিনী থাকে এবং যদি আমরা তাদের মধ্যে (মুসলিমদের) ২০ লক্ষকে হত্যা করতে সক্ষম হই, তবে আমরাই জিতব।"

    ঐ সভাতে বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় ও বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী উদিতা ত্যাগীসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিল।

    বিশ্লেষকেরা বলছেন যে, সমাবেশে উগ্র হিন্দুদের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য থেকে এটা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মুসলিমদের গণহত্যার জন্য তারা সবদিক থেকেই প্রস্তুত। এমনকি শিশু বাচ্চাদেরকেও তারা মুসলিম হত্যার জন্য ট্রেনিং দিচ্ছে। তাই মুসলিমদের এখন সময় হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের এই কথিত 'ধর্মযুদ্ধ'র বিপরীতে নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর হেফাজতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।

    তথ্যসূত্র:
    ====

    ১। Hindutva Watch- Videos of seers, BJP’s Ashwini Upadhyay calling for killing of Muslims, Hindu rashtra spark anger -


    ২। টুইটার লিংক -
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় ছেলের আঙ্গুল কেটে দিলো নিষ্ঠুর চীনা পিতা

    চীনে এক ব্যক্তি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় তার আঙ্গুল কেটে ফেলেছে তার আপন বাবা শাস্তি হিসাবে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও ছেলেটি ইসলামের ওপর অটল আছে। এই ঘটনাটি মুসলিমদের প্রতি চাইনিজদের ঘৃণারই একটি উদাহরণ মাত্র।

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যায় ছেলেটি আব্দুল ওয়াহাব সালীম নামের একজন শাইখের পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাঁর বাম হাতের তিনটি আঙ্গুল কাটা। শাইখ তাঁর পোস্টে উল্লেখ করে বলেন যে- "আপনার জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন, তা ঈমান হারানোর চেয়ে মারাত্মক হতে পারে না। আপনি যখন সত্যিকার অর্থে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অর্থ বুঝবেন, তখন এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে উঠবে। আপনি চ্যালেঞ্জগুলিকে অতিক্রম করার এবং সামনের দিকে অগ্রসন হওয়ার সাহস পাবেন। আল্লাহ আমাদেরকে প্রকৃত ঈমানের শক্তি দান করুন।"

    উল্লেখ্য যে চীনে বিগত প্রায় ১০ বছর যাবত মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদেরকে ডির‍্যাডিকালাইজেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে সেখানে সকল প্রকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে জোরপূর্বক কথিত "চীনা সংস্কৃতি" গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    যে চীনারা ইসলাম গ্রহণ করায় নিজের ছেলের আঙুল কেটে দিতে পারে, তারা পূর্ব তুরকিস্তানের উইঘুর মুসলিমদের উপর কোন মাত্রার দমন-পীড়ন চালাতে পারে- সেটা সহজেই অনুমান করা যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

    তথ্যসূত্র:
    ------
    ১। টুইটার লিংক -

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment


    • #3
      বন্দি সন্তানদের দেখার অপেক্ষায় থেকেই চলে যান কাশ্মীরি মায়েরা

      কাশ্মীরে ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী বাহিনী অন্যায়ভাবে হাজারো মুসলিম যুবকদের গ্রেফতার করছে। অনেককে গুম করে খুন করেছে। যাদেরকে আটক করেছে তাদেরকে বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেলে বন্দি করে রেখেছে। আর তাদের পিতা মাতা,আত্মীয় স্বজন অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে কখন তাদের কলিজার টুকরা জালেমদের হাত থেকে মুক্তি পাবে। অপেক্ষার প্রহর গুনতেই গুনতেই অনেক পিতা-মাতা দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।

      এমনই এক অসহায় মা মুনেরা বানু। তার ছেলে আইজাজ আহমেদ নায়েক ৬ মে, ২০১৯ থেকে হিন্দুত্ববাদী বাহিনীর হাতে বন্দি আছেন। তিনি তার বন্দী পুত্রের জন্য গত দুই বছর আট মাস অপেক্ষায় ছিলেন। ছেলেকে দেখার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে প্রচেষ্টা করেছেন।

      প্রায়ই ঐ অসহায় বৃদ্ধা বলতেন, "তোমরা কি আমাকে আমার ছেলে আইজাজের সাথে দেখা করতে সাহায্য করতে পারবে, আমি তাকে শেষবারের মতো দেখতে চাই।”
      এইটাই ছিল মুনিরা বানুর শেষ কথা। অবশেষে ছেলেকে দেখার এই আক্ষেপ সাথে নিয়েই ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২১ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

      ২০০০ সালে, আইজাজের বাবা, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নায়েক, একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ তিনটি ছোট বাচ্চা রেখে গিয়েছিলেন তিনি।
      মুনীরা তার পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। তিনি তার সন্তানদের কঠিন পরিস্থিতিতে বড় করেছেন এই আশায় যে, তারা একদিন তার দুঃখের অবসান ঘটাবে।

      দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর আইজাজ তার পরিবারের জন্য জীবিকা নির্বাহের তাগিদে স্কুল ছেড়ে দেন। ব্যাংক থেকে বন্ধকী ঋণ নিয়ে তিনি বাড়ির বাইরে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরিবারের জন্য তিনি খুব কমই দুবেলা খাবারের টাকা রোজগার করতে পারতেন।

      আইজাজের একজন প্রতিবেশী তারিক আহমেদ বলেছেন, "৬ই মে ২০১৯-এর সেই ভয়ঙ্কর দিনে আমরা আমাদের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম, যখন হিন্দুত্ববাদী বাহিনী তল্লাশির নামে আইজাজের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ তাকে আটক করে এবং জয়নাপোরার একটি স্থানীয় থানায় তাকে নিয়ে যায়।
      “সেখানে এক মাস কাটানোর পর, তাকে পুলওয়ামা জেলে পাঠানো হয়েছিল যেখান থেকে তাকে শ্রীনগর কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এবং শ্রীনগর থেকে তাকে কাঠুয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে, কাঠুয়া থেকে তিনি আবার সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত হয়েছেন, যেখানে তিনি বর্তমানে বন্দী রয়েছেন।”

      আইজাজ গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই, ৩৭০ ধারা বাতিলের কারণে উপত্যকায় কারফিউ জারি করায় মুনিরার জন্য তার জেলে থাকা ছেলেকে দেখতে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন পর কারফিউ উঠিয়ে নেওয়ার পরই করোনা মহামারীর কারণে বন্দীদের কারও সাথে দেখা করতে নিষেধ করা হয়।
      আর এভাবেই দিনের পর দিন ছেলেকে দেখার আক্ষেপ নিয়ে মুনিরা বানু মারা গেলেন।

      নিভৃতে চলে গেলেন মুনিরা, আর আমামদের জানিয়ে দিয়ে গেলেন কাশ্মীরি মায়েদের বুকে পাথর চাপা দিয়ে দিন যাপনের গল্প। হয়তো পৃথিবীবাসীকে জানিয়ে গেলেন কাশ্মীরি মুসলিমদের পাশে দাড়ানোর আহ্বান।

      তথ্যসূত্র:
      -----
      ১। Kashmiri mother dies without meeting her jailed son

      আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

      Comment


      • #4
        ঝাড়খণ্ডে আইন পাশের পরেই মুসলিম যুবককে গাছে উল্টো ঝুলিয়ে নির্যাতন

        ভারত জুড়ে মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। মুসলিম নিধনের এ কালো ঝড় যেন সবকিছু লণ্ডভণ্ড করার আগ পর্যন্ত থামবে না।

        মুসলিমদের বোকা বানাতে ঝাড়খণ্ডে মব লিঞ্চিং-এর আইন বিধানসভায় পাশ করা হয়েছে। অথচ এই আইন পাশ হওয়ার পরই পালামুতে হিন্দু উগ্র জনতার ভয়ঙ্কর চেহারা সামনে এসেছে।

        হিন্দু যুবতির সাথে প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ তুলে সাজিদ নামে এক মুসলিম যুবককে উল্টো করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে নির্যাতন করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। যুবকের গোঙানিতে পরিবেশ ভারি হয়য়ে এলেও তার প্রতি দয়া দেখায়নি কেউ। হাত জোর করে ক্ষমা চাওয়ার পরেও তাকে কেউ মুক্ত করেনি।

        এ ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হল যে, মানবরচিত ঠুনকো আইন দিয়ে মুসলিম বিদ্বেষের হিন্দুত্ববাদী আগুনকে নিভানো যাবে না। শুধুমাত্র হিন্দুত্ববাদের এই বিষবৃক্ষকে সমূলে উপড়ে ফেলার মাধ্যমেই উপমহাদেশকে হিন্দুত্ববাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তও করা সম্ভব বলে মনে করেন হক্কানী উলামাগণ।

        তথ্যসূত্র:
        ------
        ১। টুইটার ভিডিও লিংক -

        আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তাদের সাহায্যে যাওয়ার তৌফিক করে দাও।

          Comment

          Working...
          X