Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ নিউজ# | ১৪ই জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৮ই জানুয়ারী, ২০২২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ নিউজ# | ১৪ই জামাদিউস সানী, ১৪৪৩ হিজরি।। ১৮ই জানুয়ারী, ২০২২

    ৮ বছরের কাশ্মীরি মুসলিম বালিকা আসিফা বানুর ধর্ষকরা আজ কোথায়?


    আজ থেকে চার বছর আগে ১৭ই জানুয়ারী ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে কাঠুয়ার রাসানা গ্রামে ৮ বছর বয়সী কাশ্মীরি মুসলিম মেয়ে আসিফা বানুকে গণধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়।

    পরবর্তীতে রিপোর্টে উঠে আসে যে গণধর্ষণের কারণে ছোট্ট এই শিশুটির জরায়ু নষ্ট হয়ে যায়। আর ধর্ষণের পর পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

    পুরো ঘটনার সাথে জড়িত থাকে সেখানকার স্থানীয় একটি মন্দিরের পুরোহিত সানজি রাম, পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া এবং আরেক পুলিশ অফিসার পরভেশ কুমার। ২০১৯ সালের ১০ জুন এদেরকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

    এছাড়া তিলক রাজ (হেড কনস্টেবল), আনন্দ দত্ত এবং সুরেন্দ্র ভার্মাকে প্রমাণ নষ্ট করার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    কিন্তু হাস্যকর বিষয় হলো যে দেশে পশু হত্যাকারীদের বিচার হয় এবং এমনকি পশু হত্যার দায়ে যে দেশে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হয় সে দেশে শিশু হত্যাকারীদের কোনও বিচার হয় না। সম্প্রতি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট দুইজন হত্যাকারী আনন্দ দত্ত (প্রাক্তন সাব-ইন্সপেক্টর) এবং তিলক রাজকে (হেড কনস্টেবল) জামিনে মুক্তি দেয়।

    বিশ্লেষকদের মতে, হিন্দুত্ববাদীদের এ ধরণের মামলার বিচার করা আমাদের মুসলিমদের চোখে ধূলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

    তথ্যসূত্রঃ DOAM- Muslim Girl Gang-Raped and Brutally Murdered
    লিংকঃ https://tinyurl.com/2p97ypef
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    দেশে দেশে ইসলাম বিদ্বেষ | শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে সিংহলিজ বৌদ্ধদের হামলা

    শ্রীলঙ্কায় মুসলিম সম্প্রদায় বহুকাল থেকেই বর্ণবৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার, যার মাত্রা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকহারে বেড়েছে। বিভিন্ন ডানপন্থি সিংহলিজ সংগঠন প্রায়ই মুসলিমদের বাড়িঘরবাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে থাকে।

    শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পেছনে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের নিরঙ্কুশ সমর্থন ছিল। তাই তাদের এসব অত্যাচার অবিচারে প্রেসিডেন্টের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন আছে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ বিশ্লেষক।

    এমনকি মহামারির সময় দেশটির সরকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের লাশ স্বজনদের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করেনি। কিছু দেহ জোরপূর্বক পোড়ানো হয়। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে দাফনের ব্যবস্থা করা সম্ভব।

    ইসলামের দৃষ্টিতে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা নিষিদ্ধ। কর্তৃপক্ষ সে সময় প্রচার করে, মৃতদেহ দাফন করলে ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হতে পারে।

    এ ছাড়া গত বছর শ্রীলঙ্কা সরকার বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাব সামনে নিয়ে আসে। তাদের দাবি, মুখ ঢাকা যেকোনো পোশাক জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। একজন বোরকাকে ধর্মীয় গোঁড়ামির প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে। মুসলিমদের ইসলামিক শিক্ষার মাদ্রাসা বন্ধেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গরু জবাইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

    সরকারের অন্য অনেক সিদ্ধান্তও সরাসরি সংখ্যালঘু মুসলিমদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করা হয়।

    গত নভেম্বরে রাজাপাকশে দেশটির আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্যে ‘টাস্কফোর্স ফর ওয়ান কান্ট্রি, ওয়ান ল’ গঠন করেছে। এর ফলে বিবাহ ও সম্পত্তি সংক্রান্ত সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিশেষ আইন বলে কিছু থাকবে না।

    সন্ত্রাসী বৌদ্ধ ভিক্ষু জনানরাসা, যে মুসলিমবিরোধী হিসেবে পরিচিত, সে মুসলিমদের উপর হামলাকে বৈধতা দিতে বলেছে, “ধর্মীয় সমস্যা সৃষ্টি করার খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ৫০০ টির ওপর সংগঠন আছে। এ ছাড়া কিছু ইসলামিক সংগঠন ওহাবিজম ও সালাফিজম প্রচার করছে।”

    এদিকে রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক বিপর্যয় মোকাবিলা করছে। মুসলিম কমিউনিটির নেতারা বলছেন, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে মুসলিমবিদ্বেষ ইচ্ছাকৃতভাবে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।

    হেজাজ হিজবুল্লাহ নামের একজন মুসলিম মানবাধিকার আইনজীবী প্রায় ২০ মাস যাবৎ সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে কারাগারে আটক রয়েছেন। প্রসিকিউটর তার বিরুদ্ধে সমাজে অস্থিরতা ও ঘৃণাসূচক মতাদর্শ প্রচারের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, তিনি মুসলিম তরুণদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর খেপিয়ে তুলতেন।

    হেজাজের স্ত্রী মারাম খলিফা তার স্বামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে জানান, তার স্বামী একজন স্পষ্টভাষী মানুষ। তিনি সব সময় মুসলিম ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন।

    তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কেবলই একটি সতর্কবার্তা তাদের প্রতি, যারা বর্ণবিদ্বেষ ও বৈষম্য নিয়ে কথা বলে।

    উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় মুসলিমরা বর্ণবিদ্বেষ ও বৈষম্যের শিকার হলেও এব্যাপারে কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বরাবরই নিশ্চুপ। সারা বিশ্বজুড়েই মুসলিমদের উপর বিভিন্ন জাতির চালানো অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতনের ব্যাপারেও জাতিসংঘ, কথিত সুশীল সমাজ বা হলুদ মিডিয়া – এরা সবাই নির্বাক ভূমিকা পালন করে থাকে।
    যদি মুসলিমরা অত্যাচার করত, তখন ঠিকই চিৎকার চেঁচামেচি করত আর মানবাধিকারে বুলি আউড়াতো। এমনিতেও তারা মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে মুসলিমদের সন্ত্রাসী, উগ্র বলে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালায়।

    তাই এসব মিথ্যা প্রচারণার পর্দা থেকে বেড়িয়ে এসে নির্যাতিত মুসলিমদের সমস্যা সমাধানে মুসলিদেরকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন উম্মাহ দরদী আলেম সমাজ।

    তথ্যসূত্র:
    ——
    ১। শ্রীলঙ্কায় মুসলিমদের করুণ পরিণতি: কবরের মাটিও জোটেনি অনেকের

    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

    Comment

    Working...
    X