ভারতকে দেবভূমি আখ্যা দিয়ে ইসলামিক স্থাপনা ভেঙ্গে দিচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা
মুসলিম শাসনের ৬০০ বছরে মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশকে একটি সভ্য, সমৃদ্ধ ও উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মুসলিমদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য ও তার সাথে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামিক স্থাপনা। আর এখন সেই ইতিহাসকে বিকৃত করতে, সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার বৈধতা দিতে, ইসলামিক স্থাপনাগুলো “ল্যান্ড জিহাদ” তথা ভূমি জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। তারা একে একে ধ্বংস করে দিচ্ছে মুসলিমদের স্থাপনা ও নিদর্শনগুলো।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ হিমাচল প্রদেশে মুসলিমদের আরেকটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে, যার ভিডিও ঐ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছে। এটি ১৫ দিনের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় ঘটনা, যেখানে দলটির গুন্ডারা “ল্যান্ড জিহাদের” হাস্যকর অজুহাত তুলে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে।
ভিডিওটি মূলত কমল গৌতমের এক সন্ত্রাসীর, যে ঐ সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন ‘কর্মী’। ঐ গৌতম তার ফেসবুক পোস্টে ভিডিও শেয়ার করেছিল।
সন্ত্রাসী গৌতম তার পেইজটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রচার করার কাজে ব্যবহার করে থাকে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে গৌতম মুসলিমদের হুমকি দিয়েছে যে, “দেবভূমিতে ভূমি জিহাদ সহ্য করা হবে না। প্রতিটি স্থাপনার একই ফল হবে। হিমাচলের হিন্দু নায়করা ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে…দেবভূমির প্রতিটি কোণ মুক্ত করব। দেবভূমি থেকে ভূমি জিহাদ মুছে ফেলবো। ভারতকে আওরঙ্গজেবের সন্তানদের থেকে মুক্ত করুন। অন্যথায়, আপনি দেবভূমির যেখানেই যান শিবাজিকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন।”
ভিডিও লিংক – https://tinyurl.com/2p8pbu98
এর আগে, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আরেক সদস্য হরিশ রামকালী, অন্যান্য কর্মীদের সাথে নিয়ে আরেকটি মুসলিম স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছিল। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল।
ভারতকে হিন্দুত্ববাদীরা দেবভূমি দাবি করছে, যার কুফল ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। হিন্দুরা মুসলিমদের মসজিদগুলোকে বিভিন্ন চক্রান্ত করে ভেঙ্গে মন্দির বানাচ্ছে। আর তাদের দেবতা যেহেতু কাল্পনিক, সে হিসেবে যেকোন স্থানকেই দেবের জন্মভূমি,সমাধি ইত্যাদি দাবি করে। আর এসব ঠুনকো অজুহাত তুলেই তারা মুসলিমদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যেকোন মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামিক স্থাপনাকেই ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
তাই নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও ধর্মীয় স্থাপনা তথা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তন্ত্র-মন্ত্রের ধোঁকায় না পড়ে মুসলিমদেরকে নববী মানহাজের অনুসরণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উপদেশ দিয়ে থাকেন সচেতন উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Hindutva goons vandalise another shrine in Himachal Pradesh
মুসলিম শাসনের ৬০০ বছরে মুসলিমরা ভারতীয় উপমহাদেশকে একটি সভ্য, সমৃদ্ধ ও উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ভারতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে মুসলিমদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস ঐতিহ্য ও তার সাথে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামিক স্থাপনা। আর এখন সেই ইতিহাসকে বিকৃত করতে, সেগুলো ভেঙ্গে ফেলার বৈধতা দিতে, ইসলামিক স্থাপনাগুলো “ল্যান্ড জিহাদ” তথা ভূমি জিহাদ আখ্যা দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা। তারা একে একে ধ্বংস করে দিচ্ছে মুসলিমদের স্থাপনা ও নিদর্শনগুলো।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ‘হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’ হিমাচল প্রদেশে মুসলিমদের আরেকটি স্থাপনা ধ্বংস করেছে, যার ভিডিও ঐ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে শেয়ার করেছে। এটি ১৫ দিনের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় ঘটনা, যেখানে দলটির গুন্ডারা “ল্যান্ড জিহাদের” হাস্যকর অজুহাত তুলে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে।
ভিডিওটি মূলত কমল গৌতমের এক সন্ত্রাসীর, যে ঐ সন্ত্রাসী সংগঠনের একজন ‘কর্মী’। ঐ গৌতম তার ফেসবুক পোস্টে ভিডিও শেয়ার করেছিল।
সন্ত্রাসী গৌতম তার পেইজটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রচার করার কাজে ব্যবহার করে থাকে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে গৌতম মুসলিমদের হুমকি দিয়েছে যে, “দেবভূমিতে ভূমি জিহাদ সহ্য করা হবে না। প্রতিটি স্থাপনার একই ফল হবে। হিমাচলের হিন্দু নায়করা ইসলামিক জিহাদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে…দেবভূমির প্রতিটি কোণ মুক্ত করব। দেবভূমি থেকে ভূমি জিহাদ মুছে ফেলবো। ভারতকে আওরঙ্গজেবের সন্তানদের থেকে মুক্ত করুন। অন্যথায়, আপনি দেবভূমির যেখানেই যান শিবাজিকে আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন।”
ভিডিও লিংক – https://tinyurl.com/2p8pbu98
এর আগে, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আরেক সদস্য হরিশ রামকালী, অন্যান্য কর্মীদের সাথে নিয়ে আরেকটি মুসলিম স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছিল। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল।
ভারতকে হিন্দুত্ববাদীরা দেবভূমি দাবি করছে, যার কুফল ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। হিন্দুরা মুসলিমদের মসজিদগুলোকে বিভিন্ন চক্রান্ত করে ভেঙ্গে মন্দির বানাচ্ছে। আর তাদের দেবতা যেহেতু কাল্পনিক, সে হিসেবে যেকোন স্থানকেই দেবের জন্মভূমি,সমাধি ইত্যাদি দাবি করে। আর এসব ঠুনকো অজুহাত তুলেই তারা মুসলিমদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যেকোন মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামিক স্থাপনাকেই ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
তাই নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও ধর্মীয় স্থাপনা তথা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য তন্ত্র-মন্ত্রের ধোঁকায় না পড়ে মুসলিমদেরকে নববী মানহাজের অনুসরণ করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উপদেশ দিয়ে থাকেন সচেতন উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
—–
১। Hindutva goons vandalise another shrine in Himachal Pradesh
Comment